মন্তব্য কলাম
সন্ত্রাসবাদ নয়; জিহাদী যোগ্যতা অর্জন করা পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ অনুযায়ী ফরয। ৯৮ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত দেশে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় সব নাগরিকের জন্য সামরিক প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক করতে হবে। উন্নত প্রশিক্ষন, যুদ্ধকৌশল, সামরিক সক্ষমতা এবং আন্তর্জাতিক র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এখন সাফল্যের শীর্ষে।
সরকারের উচিত- দেশের মর্যাদা বুলন্দ ও দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ত্বকে সমুন্নত রাখতে সেনাবাহিনীর প্রতি সকল প্রকার পৃষ্ঠপোষকতা নিশ্চিত করা।
, ২৭ রবিউছ ছানী শরীফ, ১৪৪৭ হিজরী সন, ২১ খমীছ, ১৩৯৩ শামসী সন , ২০ অক্টোবর, ২০২৫ খ্রি:, ০৪ কার্তিক, ১৪৩২ ফসলী সন, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) মন্তব্য কলাম
মুসলমান মাত্রই পবিত্র বিদায় হজ্জ উনার কথায় আবেগতাড়িত হন। পবিত্র বিদায় হজ্জ উনার খুতবায় অনুপ্রাণিত হন। পবিত্র বিদায় হজ্জ উনার খুতবার প্রথমদিকেই বর্ণিত হয়েছে, “আজকের এদিন যেমন পবিত্র, তেমনি প্রতিটি মুসলমানের জান-মাল অনেক পবিত্র। ” আপন জান-মাল রক্ষার্থে মুসলমান যে যুদ্ধ করবে, তা জিহাদ বলে গণ্য হবে। প্রসঙ্গত, মুসলমানের জান-মাল রক্ষা করা যেমন ফরয, তেমনি তা রক্ষার জন্য জিহাদী যোগ্যতা অর্জন করাও জরুরী।
‘মুসলিম শরীফ’ ও ‘মুসনাদে আহমদ শরীফ’ উনাদের মধ্যে রয়েছে- হযরত সালমান ইবনে আকওয়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বর্ণনা করেন, “মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি দৌঁড় অনুশীলনে ইযাযত মুবারক দিয়েছেন। ” (তবে অবশ্যই খেলা হিসেবে নয়, বরং যুদ্ধ-জিহাদের প্রশিক্ষণ হিসেবে। )
আর ‘আবূ দাউদ শরীফ’ উনার মধ্যে বর্ণিত আছে, “মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি রোকনা পাহলোয়ানকে কুস্তি মুবারকে ধরাশায়ী করেছিলেন। ” সুবহানাল্লাহ!
(তবে তা অবশ্যই খেলা হিসেবে নয়; বরং রিসালাতের প্রমাণ ও মু’জিযা মুবারক হিসেবে তিনি রোকনা পাহলোয়ানের সাথে কুস্তি মুবারকে লড়েছেন এবং তাকে পরাস্ত করেছেন। )
উল্লেখ্য, পবিত্র হাদীছ শরীফ বা সম্মানিত শরীয়তে যেসব বিষয়ের অনুমোদন দেয়া হয়েছে, সে বিষয়গুলো কোনো প্রকার খেলার অন্তর্ভুক্ত নয়। অর্থাৎ পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে তীর-ধনুক চালনা করা, অশ্বকে প্রশিক্ষণ দেয়া, স্ত্রীর সাথে শরীয়তসম্মত হাসিখুশি করা, সাঁতার কাটা, সুতাকাটা, দৌঁড় অনুশীলন করা ইত্যাদি বিষয়গুলোকে শিখার জন্য তা‘কীদ দেয়া হয়েছে জিহাদের অংশ হিসেবে; খেলার জন্য নয়। সুবহানাল্লাহ!
কারণ উল্লেখিত বিষয়ের মধ্যে যেমন দ্বীনী ফায়দা রয়েছে, তেমনি দুনিয়াবী ফায়দাও নিহিত রয়েছে। যেমন- তীর চালনা করা, অশ্বকে প্রশিক্ষণ দেয়া, সাঁতার কাটা, দৌঁড় অনুশীলন ইত্যাদি জিহাদের প্রস্তুতি গ্রহণের অন্তর্ভুক্ত এবং স্বাস্থ্যকে সুঠাম ও বলিষ্ঠ রাখার মাধ্যম।
কিন্তু মুসলমান সে আদর্শ ও চেতনা এবং ঐতিহ্য ভুলে গেছে। কেবলমাত্র সংযুক্ত আরব আমিরাত তাদের দেশের নাগরিকদের সামরিক প্রশিক্ষণ প্রায় বাধ্যতামূলক করেছে। তারা আইন করেছে, ১৮ বছরের বেশি সকল পুরুষ কিংবা যারা হাই স্কুলের পড়াশোনা শেষ করেছে এবং ৩০ বছরের নিচে যাদের বয়স, তাদেরকে সামরিক প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতে হবে। সময়সীমা হবে হাই স্কুল সম্পাদনকারীদের জন্য ৯ মাস এবং যারা সম্পন্ন করেনি তাদের জন্য ২ বছর। মহিলাদের জন্য এ সামরিক প্রশিক্ষণ গ্রহণ ঐচ্ছিক। অথচ অন্যান্য অনেক অমুসলিম দেশে অনেক আগ থেকেই সাধারণ নাগরিকের জন্যও সামরিক প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলকভাবে অব্যাহত আছে।
জার্মানির তরুণদের বাধ্যতামূলক সামরিক প্রশিক্ষণ নিতে হয়। ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে উত্তেজনা মোকাবিলায় তরুণদের সামরিক প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক করে ডিক্রি জারি করেছে দেশটির প্রেসিডেন্টের কার্যালয়।
সিঙ্গাপুরে ১৮ বছর বয়স কাছাকাছি সময়ে, ১৬ বৎসর বয়স থেকে সব পুরুষ ঝরহমধঢ়ড়ৎবধহং ন্যাশনাল সার্ভিস নামক সামরিক প্রশিক্ষণ-এর আওতায় একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য সামরিক প্রশিক্ষণ নিতে হয়। প্রশিক্ষণ না নিলে ৩ বছরের জেল অথবা ৫০০০ সিঙ্গাপুরী ডলার জরিমানা অথবা উভয় দ- হবে।
ফিলিপাইনে সামরিক প্রশিক্ষণ শিক্ষা ব্যবস্থার একটি অংশ। এর একটি নাম ঈঅঞ (ঈরঃরুবহ অৎসু ঞৎধরহরহম): বাধ্যতামূলক সামরিক শিক্ষা প্রথম ধাপ ৮-১৫ বছর বয়সের মধ্যে। পুরো স্কুলের জন্য চার ঘণ্টা প্রতি সপ্তাহে পুরোপুরি সামরিক প্রশিক্ষণ নিতে হবে। সব পুরুষ-মহিলার। পরীক্ষা হবে অন্যান্য বিষয়ের মতো। পাস করা বাধ্যতামূলক।
আর কলেজ, ইউনিভার্সিটির ট্রেনিংকে বলা হয় ঈগঞ (ঈরঃরুবহ গরষরঃধৎু ঞৎধরহরহম): এই কোর্স শুধু পুরুষদের। সপ্তাহে একদিন হিসেবে ২ বছর। এই প্রশিক্ষণ না নিলে ডিগ্রি (স্নাতক) পাস সার্টিফিকেট দেয়া হয় না।
ইউরোপের সুইস যুক্তরাষ্ট্র (ঝরিংং ঋবফবৎধঃরড়হ) ১৮৪৮ এবং ১৮৭৪ সালের আইনের মাধ্যমে সুইস নাগরিকদের জন্য সামগ্রিকভাবে প্রতিরক্ষামূলক প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক করে সুইজারল্যান্ডে নাগরিক-সৈনিক সমন্বয়ে প্রতিরক্ষা বাহিনী সংগঠিত করেছে। দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের পরে জার্মানিসহ ইউরোপের বেশ কয়েকটি রাষ্ট্রে নির্দিষ্ট বয়সের তরুণ-তরুণীদের সামরিক প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক করে প্রতিরক্ষা বাহিনীতে নাগরিকদের সংশ্লিষ্ট করা হয়েছে, যা ঈরারষরধহং-রহ-ঁহরভড়ৎস নামে চিহ্নিত। যুক্তরাষ্ট্রেও নির্দিষ্ট বয়সের তরুণ-তরুণীদের সাময়িকভাবে সামরিক প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক করে (ঈড়হংপৎরঢ়ঃরড়হ) প্রয়োজন অনুযায়ী সামরিক বাহিনীর আকার বৃদ্ধি করে চলেছে। এসব রাষ্ট্রের প্রয়োজন কিন্তু ভিন্ন। সামরিক বাহিনীর উপর সিভিলিয়ান কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা এসব ক্ষেত্রে প্রধান লক্ষ্য নয়। নাগরিকদের সামরিক প্রশিক্ষণ দিয়ে এসব দেশে সামরিক বাহিনীকে এমনভাবে প্রস্তুত রাখা হয়, যেন সঙ্কটকালে বৃহৎকলেবরের বাহিনী জাতীয় স্বার্থ সংরক্ষণে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে পারে।
বর্তমান ভূরাজনৈতিক বাস্তবতার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী তার ‘ফায়ারপাওয়ার’ তথা যুদ্ধক্ষমতা বাড়িয়ে চলেছে। বাংলাদেশের পাশ্ববর্তী দেশগুলো নিজেদেরকে ব্যাপকভাবে সামরিকীকরণ করেছে। এমনকি তারা আন্তর্জাতিক নিয়ম অমান্য করেও ব্যাপক ধ্বংসাত্মক অস্ত্র (ডব্লিউএমডি) লাভসহ আক্রমণাত্মক সামরিক শক্তি অর্জনের জন্য বিনিয়োগ করছে। তাদের এই তৎপরতা বাংলাদেশের মতো শান্তিকামী দেশগুলোর জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। অপরদিকে মিয়ানমারের অত্যাচারে নির্যাতনের শিকার হয়ে বাংলাদেশে আসা ১২ লাখ রোহিঙ্গাদের তাদের নিজ মাতৃভূমিতে ফেরানোর চেষ্টা বাংলাদেশ করলেও আন্তর্জাতিক মহলের একটি অংশের চাপের কারণে এই চেষ্টা সফল হচ্ছে না। ষড়যন্ত্রকারীরা বাংলাদেশের এই সঙ্কটকে দীর্ঘয়িত করে ফায়দা লুটতে চাচ্ছে। তারা মিয়ানমারকে সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহ করে বাংলাদেশকে চাপে ফেলতে চাইছে। উদ্ভূত পরিস্থিতি বিবেচনা করে বাংলাদেশও সামরিক সামর্থ্য ব্যাপকভাবে বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অভিজ্ঞমহল মনে করেছে এই অঞ্চলের যুদ্ধংদেহী দেশগুলোকে মোকাবেলা করার এটাই একমাত্র কার্যকর সমাধান।
উল্লেখ্য, সামরিক শক্তির দিক থেকে ব্যাপক অগ্রগতি হয়েছে বাংলাদেশের। বিশ্বের ১৩৬টি দেশের মধ্যে ৪৫তম শক্তিশালী দেশে রূপান্তরিত হয়েছে বাংলাদেশ। বিশ্বব্যাপী সামরিক বিষয়ক গবেষণা গ্লোবাল ফায়ারের ২০১৯ সালের জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে। ২০১৮ সালে যেখানে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ৫৬তম। সেই হিসেবে এবারের পরিসংখ্যানে ১১ ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ। সংস্থাটির প্রকাশিত তথ্যে বলা হয়েছে, সার্বিক বিবেচনায় বিশ্বের ১৩৬টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীর অবস্থান এখন বিশ্বের ৪৫তম।
প্রতিবেদনে জানা গেছে, বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর সদস্য সংখ্যা বর্তমানে ২,২৫,০০০। এছাড়াও, বাংলাদেশের ১৭৩টি সামরিক বাহিনীর বিমান, ৬৪টি হেলিকপ্টার, ৫৩৪টি কমব্যাট ট্যাংক, ৯৪২টি সাঁজোয়া যান, ১৮টি সেলফ-প্রপেলড আর্টিলারি, ৩২টি রকেট প্রজেক্টর এবং ২টি সাবমেরিনসহ মোট ৮৯টি সামরিক নৌযান রয়েছে। গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ারের ২০১৮ সালের প্রতিবেদনে বাংলাদেশের সামরিক বাজেট ১৫৯ কোটি মার্কিন ডলার উল্লেখ করা হয়েছে। উল্লেখ্য, চলতি বছরের মে মাসে সুইডেনের স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস এন্ড রিসার্চ ইন্সটিটিউট কর্তৃক প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বিগত ১০ বছরে বাংলাদেশের সামরিক ব্যয় ১২৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়। ওই প্রতিবেদন থেকে প্রাপ্ত তথ্যে দেখা যায়, ২০০৭ সালে বাংলাদেশে সামরিক খাতে ব্যয় ছিল প্রায় ৬,৬০০ কোটি টাকা, যেখানে ২০২৪-২০২৫ সালে বাংলাদেশের সামরিক ব্যয় ৪০,৬৯৮ কোটি টাকা। তবে আমরা মনে করি এক্ষেত্রেও সরকারের সাফল্য যথাযথ নয়। কারণ গত ১৬ বছরে দেশ থেকে পাঁচার হয়েছে ১৬ লাখ কোটি টাকারও বেশি। কাজেই এ পাচারকৃত অর্থ যদি সামরিক খাতে ব্যয় হতে তাহলে বাংলাদেশই হতে পারতো সামরিক দিক থেকে বিশ্বের প্রথম শক্তিশালী দেশ।
এমনিতেই আন্তর্জাতিকভাবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রভাবশালী হয়ে উঠেছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে জাতিসংঘ কর্তৃক বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে পাঠানো হচ্ছে সেসব দেশের নিরাপত্তা বিধানের জন্য। বর্তমানে বিভিন্ন দেশে সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর ৬ হাজার ৫৪৯ জন শান্তিরক্ষী কাজ করছেন।
এদিকে, আন্তর্জাতিক সমীক্ষায় দেখা গেছে, বাংলাদেশের সেনাসংখ্যা পাশ্ববর্তী অন্যান্য দেশের চাইতে কম হলেও বাংলাদেশের সেনাবাহিনী পাশ্ববর্তী দেশগুলোর সেনাবাহিনী থেকে অনেক চৌকশ ও শক্তিশালী। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অধিকাংশ সদস্যই অতি অল্প সময়েই সমর কৌশল রপ্ত করেছেন। অর্থাৎ বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর প্রত্যেকজন সদস্যই অনেক মেধাবী, সাহসী এবং উন্নতমানের দক্ষ প্রশিক্ষণে উপযুক্ত ও স্ব-সক্ষমতা অর্জনকারী।
বলাবাহুল্য, বাংলাদেশ খুব দ্রুত সামরিক শক্তিতে শক্তিশালী হয়ে উঠলেও বাংলাদেশ বিরোধী স্বার্থান্বেষী আগ্রাসী ও ষড়যন্ত্রী মহল বাংলাদেশের সামরিক শক্তির উন্নয়ন চায় না। কারন বাংলাদেশ যদি সামরিক খাতে সুঠাম হয়ে ওঠে তাহলে তারা বাংলাদেশের উপর দাদাগিরি ও খবরদারি করতে পারবে না এবং বাংলাদেশকে আর শোষণ করতে পারবে না। এজন্য বাংলাদেশ সরকার যদি দেশের সেনাবাহিনী নিয়ে কোনো উন্নত পদক্ষেপ গ্রহণ করে তাহলে তড়িৎ তারা তার বিরোধীতা করে থাকে। কিন্তু যতই বিরোধীতা আসুক বা বাধা আসুক বাংলাদেশের সরকারের মনে রাখতে হবে যে, সঙ্গতকারণেই ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে পাকিস্তানের কাছ থেকে স্বাধীনতা অর্জন করলেও বাংলাদেশের প্রতি পাশ্ববর্তী দেশসহ বিভিন্ন অপশক্তির লোলুপ দৃষ্টি রয়েছে। যারা চায় সিকিমের মতো বাংলাদেশকেও তাদের কলোনীতে পরিণত করতে। আর এর কারনেই উগ্র হিন্দুত্ববাদী বিজেপি সরকারের মন্ত্রী এমপিরা কিছুদিন পর পর বাংলাদেশ দখলের হুমকি দেয়, অনুন্নত সেনাবাহিনী নিয়েও পাশ্ববর্তী দেশ মিয়ানমার বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করতে চায়। তাই সরকারকে এসব হুমকির বিষয়টি আমলে নিয়ে দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ত্ব এবং আত্মমর্যাদার দিক থেকে বাংলাদেশের সেনাবাহিনীকে পাশ্ববর্তী দেশগুলোর চাইতে উন্নতকরণ করতে হবে। কারন, শুধু অর্থনৈতিক উন্নয়ন দিয়েই নয় বরং একটি দেশের সক্ষমতা এবং প্রভাব-প্রতিপত্তি নির্ভর করে সেই দেশের সেনাবাহিনীর স্বক্ষমতার উপর।
আমাদের দেশেও দেশের প্রথম প্রতিরক্ষা নীতি বাস্তবায়নে যুবকদের সামরিক প্রশিক্ষণ দিয়ে সহযোগী হিসেবে গড়ে তোলার সুপারিশ করেছে সংসদীয় কমিটি। বেশি ক্যাডেট কলেজ স্থাপন করে সামরিক শিক্ষা ব্যবস্থাকে আরো শক্তিশালী এবং কখনো যুদ্ধ বা অন্য কোনো জরুরী প্রয়োজনে এসব ক্যাডেট ও সামরিক প্রশিক্ষণ নেয়া লোকজনকে কাজে লাগানোর সুপারিশ করা হয়েছে।
মূলত, দেশের সাধারণ মানুষকে সামরিক শিক্ষায় প্রশিক্ষিত করে গড়ে তুলতে পারলে দেশের উপকারের চেয়ে একজন সাধারণ নাগরিকের উপকারই আগে হবে। কারণ প্রশিক্ষিত লোকটি আগের মতো অলস বসে থাকবে না। তার অন্তরে সৃষ্টি হবে এক ধরনের দেশপ্রেম। দেশের এবং পরিবারের যেকোনো বিপদে সবার আগে হাত বাড়িয়ে দেবে প্রশিক্ষিত লোকটি। যত কঠিন কাজই তাকে দেয়া হোক না কেন, কখনো বিরক্তিবোধ করবে না।
সামরিক প্রশিক্ষণ পেলে সব ধরনের কাজই সে করতে পারবে। মনের ভেতর এক ধরনের সাহস তৈরি হবে। জাতির মেরুদ- সোজা হয়ে দাঁড়াবে। শত্রুরা ভীত সন্ত্রস্ত হবে। বিশেষতঃ সাম্রাজ্যবাদী অপশক্তির আস্ফালনের বিপরীতে ৯৮ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত দেশ- বাংলাদেশের সব নাগরিকের জন্য যুদ্ধ বিদ্যা শিক্ষা, শরীরচর্চা তথা প্রশিক্ষণ নেয়া আত্মরক্ষার্থেই প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। ১৯৭১ সালে আমাদের আত্মরক্ষার অনুশীলন ছিল না বলেই অনেক বিপাকে পড়তে হয়েছে। এখন মোদীর ভারতই যদি আমাদের আক্রমণ করে, তবে সে সম্পর্ক আমাদেরকে পূর্বেই সতর্ক হতে হবে?
কাজেই ১৯৭১ থেকে শিক্ষা নিয়ে সব মুসলমানেরই পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের নির্দেশ অনুযায়ী রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় সামরিক প্রশিক্ষণ নেয়া জরুরী। এ ব্যাপারে নাগরিক সচেতনতা তৈরিতে সরকারকেই এগিয়ে আসতে হবে।
-আল্লামা মুহম্মদ ওয়ালীউর রহমান আরিফ।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
সন্ত্রাসবাদ নয়; জিহাদী যোগ্যতা অর্জন করা পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ অনুযায়ী ফরয। ৯৮ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত দেশে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় সব নাগরিকের জন্য সামরিক প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক করতে হবে। উন্নত প্রশিক্ষন, যুদ্ধকৌশল, সামরিক সক্ষমতা এবং আন্তর্জাতিক র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এখন সাফল্যের শীর্ষে। সরকারের উচিত- দেশের মর্যাদা বুলন্দ ও দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ত্বকে সমুন্নত রাখতে সেনাবাহিনীর প্রতি সকল প্রকার পৃষ্ঠপোষকতা নিশ্চিত করা।
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম এর তথ্যানুযায়ী বেনিয়া বৃটিশগুলো মুসলিম ভারত থেকে লুট করেছে ১২ হাজার লক্ষ কোটি টাকা প্রকৃতপক্ষে তারা লুট করেছে লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
রামপাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র এখনও বন্ধ করলে যা লাভ হবে চালু রাখলে তার চেয়ে অনেক বেশী ক্ষতি হবে ৫৩টি পরিবেশবাদী সংগঠনের দাবী অবিলম্বে রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ করে সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্র করা হোক কিন্তু তাদের উপেক্ষা করে পরিবেশ উপদেষ্টা প্রমাণ করছে তার পরিবেশবাদী তৎপরতা অন্য পরিবেশবাদীদের সাথে সাংঘর্ষিক এবং তার পরিবেশবাদী প্রচারণা কার্যকলাপ আসলে দেশ ও দেশের মানুষের জন্য নয় বরং বিশেষ প্রভুর নির্দেশনায় (প্রথম পর্ব)
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
জুয়ার নেশায় বুদ হচ্ছে শিশু-কিশোররা-শিক্ষার্থীরা অধিকাংশ সাইটই পরিচালিত হয় দেশের বাইরে থেকে অনলাইনে জুয়ায় ছোট ছোট বাজির টাকা দিন শেষে একটি বড় অঙ্কের অর্থ হয়ে দেশ থেকে ডলারের মাধ্যমে পাচার হচ্ছে প্রতিদিন এসব খেলা স্বাভাবিক গেমের মতো হওয়ায় প্রকাশ্যে খেলা হলেও আশপাশের মানুষ তা বুঝতে পারেন না কেবলমাত্র ইসলামী মূল্যবোধের উজ্জীবনেই জুয়া বন্ধ সম্ভব ইনশাআল্লাহ
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
গার্মেন্টসের চেয়েও বড় অবস্থানে তথা বিশ্বের শীর্ষ অবস্থানে অধিষ্ঠান হতে পারে বাংলাদেশের জাহাজ নির্মাণ শিল্প। যথাযথ পৃষ্ঠপোষকতা করলে শুধু মাত্র এ খাত থেকেই বছরে ১১ লাখ কোটি টাকা অর্জন সম্ভব ইনশাআল্লাহ। যা বর্তমান বাজেটের প্রায় দেড়গুণ আর শুধু অনিয়ম এবং সরকারের অবহেলা, অসহযোগীতা দূর করলে বর্তমানেই সম্ভব প্রায় ২ লাখ কোটি টাকা অর্জন জাহাজ নির্মাণ শিল্পের সমৃদ্ধি সম্পর্কে সচেতন হওয়া এবং সরকারের গাফলতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা জনগণের জন্যও জরুরী। (২য় পর্ব)
০১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আ’যম সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার রোবে, দোয়ার বরকতে- কুদরতীভাবে কমে যাচ্ছে ডলারের আধিপত্য বাংলাদেশের রিজার্ভ ডলারে রাখা উচিৎ নয়- এতে লাভ আমেরিকার মুসলিম বিশ্বে অভিন্ন মুদ্রা ব্যবস্থা বিশেষত মূল্যহীন কাগজী মুদ্রা বাদ দিয়ে সুন্নতী দিনার-দিরহাম মুদ্রা চালু করা আবশ্যক ইনশাআল্লাহ (দ্বিতীয় পর্ব)
৩০ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
বিদেশি হাইব্রিড বীজের ফাঁদে দেশের কৃষি। হারিয়ে যাচ্ছে দেশীয় ফসলের জাত, ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে জীববৈচিত্র্য। ফুলে-ফেঁপে উঠছে বীজ কোম্পানিগুলো।
২৯ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
মুশরিক ভারতের প্রতি লা’নত ওদের জনসংখ্যা দিন দিন নিম্নমুখী পক্ষান্তরে ৯৮ ভাগ জনগোষ্ঠী মুসলমানের দেশ বাংলাদেশে খোদায়ী রহমত। (সুবহানাল্লাহ) বাংলাদেশে জনসংখ্যার এখন ৬৫ ভাগই কর্মক্ষম এবং জনসংখ্যার বৃদ্ধির হার উর্ধ্বগামী বাংলাদেশ ভোগ করছে ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ডের নিয়ামত। সুবহানাল্লাহ!
২৮ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
প্রসঙ্গ: মধ্যম আয়ের ফাঁদ এড়াতে সতর্কতা তথা মধ্যম আয়ের স্থবিরতা তাওয়াক্কুল আর তাকওয়া অবলম্বনে সব সমস্যা দূর হয়ে অচিরেই বাংলাদেশ হতে পারবে শীর্ষ সমৃদ্ধশালী দেশ ইনশাআল্লাহ
২৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
রিজওয়ানার পরিবেশবাদী প্রচারণার বিপরীতে রবি ঠগ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস স্থাপনে ইতিবাচক বার্তা এবং ইউনুসের পানি ও প্রকৃতি প্রেমের বানীর পরিবর্তে আপত্তি সত্ত্বেও একনেকে রবি ঠগ বিশ্ববিদ্যালয় প্রকল্প অনুমোদনে জনগণ তথা নেটিজনের মূল্যায়নটা কী?
২৬ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
যখন কোনো দেশ যুক্তরাষ্ট্র থেকে যুদ্ধবিমান কিনে, তখন তা শুধু একটি বিমান কেনার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে না। এর সাথে যুক্ত হয় একাধিক শর্ত, নিষেধাজ্ঞা এবং জটিল টার্মস অ্যান্ড কন্ডিশনস
২৫ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
লাগামহীন ব্যর্থতার পর মাদক নিয়ন্ত্রণেও সরকার চরমভাবে ব্যর্থ। আইন শৃঙ্খলা বাহিনী নিজস্ব দুর্বলতার কারণে মাদক নিয়ন্ত্রণে নজরই দিতে পারছে না। উল্টো আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর অনেক সদস্য নিজেরাও জড়িয়ে পড়ছে মাদক ব্যবসায়।
২৪ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার)












