সন্ত্রাসী ইসরাইলের বর্বরতার ছোয়া থেকে মিশর নিজেকে পুরো রক্ষা করতে পারবে না কখনই পূর্ণ সামরিক সক্ষমতা ধারণের পাশাপাশি মিশর ইসরাইলের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপের ঘোষণাও দিয়েছে গাজাবাসীর সাথে সহ মুজাহিদ হওয়ার বিরল সম্মান মিশর লাভ করুক- এটাই মুসলিম বিশ্বের গভীর প্রত্যাশা
, ২৬ যিলক্বদ শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ০৬ আউওয়াল, ১৩৯২ শামসী সন , ০৪ জুন, ২০২৪ খ্রি:, ২১ জৈষ্ঠ্য, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) মন্তব্য কলাম
বর্তমানে মিশরের ক্ষয়িষ্ণু অর্থনীতি ক্রমবর্ধমান ঋণে জর্জরিত। দেশটির সরকারের ঋণ এখন মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ৯০ শতাংশেরও বেশি। অন্যদিকে, দেশটির মুদ্রা মিশরীয় পাউন্ড দাম হারাচ্ছে, বৈদেশিক মুদ্রার মজুত ফুরিয়ে যাচ্ছে, আর বাড়ছে মূল্যস্ফীতি।
গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধের কারণে ২০২৪ সালে মিশরের পর্যটন আয় ৩০ শতাংশ কমে যেতে পারে।
বিশ্লেষকদের মতে, গাজার বিরুদ্ধে ইসরায়েলের যুদ্ধ এবং লোহিত সাগরে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার কারণে আগে থেকেই মিশরের ভঙ্গুর অর্থনীতি আরও গভীর সংকটের মুখোমুখি হতে চলেছে।
এসব চ্যালেঞ্জ চলমান যুদ্ধের কারণে আরও জটিল হয়ে উঠছে। কারণ মিশরের সঙ্গে গাজা ও ইসরায়েল উভয়ের সীমান্ত রয়েছে। ইসরায়েলের অবিরাম আক্রমণের ফলে গাজার জনসংখ্যার একটি বড় অংশ রাফায় আশ্রয় নিয়েছে।
অন্যদিকে, পর্যটন ও সুয়েজ খাল মিশরের বৈদেশিক মুদ্রার দুটি প্রধান উৎস। যুদ্ধের প্রভাবে এই দুই খাত থেকেও আয় উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমেছে।
মিশরীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসের তুলনায় এই বছরের শুরু থেকে জানুয়ারিতে সুয়েজ খাল থেকে রাজস্ব ৫০ শতাংশ কমেছে।
গতবছরের ৭ অক্টোবরের পর থেকে মিসরের গ্যাস অর্থনীতিও ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে হামাসের হামলার দুইদিন পরই ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা সংস্থা তামার গ্যাসক্ষেত্র থেকে উত্তোলন সাময়িকভাবে বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে। এটি ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলীয় উপকূলীয় শহর আশদোদ থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।
মিশরে দুটি গ্যাস তরলীকরণ কারখানা রয়েছে। ইসরায়েল তামার থেকে মিশরে গ্যাস রপ্তানি করে, সেখানে এটি এলএনজিতে রূপান্তরিত হয়। এরপর সেই গ্যাস ইউরোপ ও অন্যান্য বাজারে রপ্তানি করা হয়।
যুদ্ধের কারণে ২০২২ সালের একই সময়ের তুলনায় ২০২৩ সালের চতুর্থ প্রান্তিকে মিসরের গ্যাসের পুনঃরপ্তানি ৫০ শতাংশের বেশি কমেছে।
সন্ত্রাসবাদী ইসরাইলের সাথে জিহাদে যে শুধু হামাস জড়িয়ে গেছে বিষয়টি তা নয়। ইসরাইলের বিরুদ্ধে সরাসরি জিহাদে শামিল না হলেও ক্ষতি স্বীকার করতে হচ্ছে অনেক দেশকেই। বিশেষ করে পার্শ্ববর্তী মুসলিম দেশ মিশরে সরাসরি প্রভাব পড়েছে অনেকটাই।
এর আগে চলতি সপ্তাহে রাফাহর কাছে সীমান্ত এলাকায় মিশর ও ইসরায়েলি সেনাদের মধ্যে দাঙ্গায় এক মিশরীয় সৈন্যের মৃত্যু হয়েছে।
এখানে প্রাসঙ্গিকভাবে উল্লেখ্য গাজা প্রশ্নে মিশর কিন্তু ইসরাইলের সাথে তার অবস্থান অনেকটাই পরিবর্তন করেছে।
মিসরের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গত ১২ মে বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনী গাজা উপত্যকায় বেসামরিক ফিলিস্তিনিদের হত্যা, বেসামরিক অবকাঠামো ধ্বংস করছে, আইসিজের অন্তর্বর্তী আদেশ অমান্য করছে। এ কারণে কায়রো আইসিজেতে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে অবস্থান নিচ্ছে।
অনেকেই বলছেন মিসরের এই ঘোষণা ১৯৭৯ সালে ইসরায়েলের সঙ্গে স্বাক্ষরিত ক্যাম্পডেভিড শান্তি চুক্তি থেকে বেরিয়ে আসার আভাস!
১৯৭৯ সালে মিশরের সঙ্গে হওয়া ক্যাম্পডেভিড শান্তি চুক্তির মাধ্যমে ইসরায়েল প্রথম কোনো আরব দেশের সঙ্গে কূটনীতিক সম্পর্ক গড়ে তোলার সুযোগ পায়। এছাড়া মধ্যপ্রাচ্য তথা উত্তর আফ্রিকার মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ জনসংখ্যার যে দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলেছে, তার যোগসূত্র বলা হয়ে থাকে মিসরকে।
সম্প্রতি মিশর খোলামেলাভাবে জানিয়েছে যে তারা আর মধ্যস্থাকারী ভূমিকায় নেই। উল্টো মিশর এখন ইসরাইলের বিরুদ্ধে সরাসরি সামরিক পদক্ষেপের কথাও ব্যক্ত করেছে।
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার সীমান্তবর্তী একটি স্পর্শকাতর করিডর ইহুদিবাদী ইসরাইলের সেনারা দখল করার পর সামরিক পন্থায় জবাব দেয়ার হুমকি দিয়েছে মিশর। ইসরাইলি সেনাদের দখল করা অঞ্চলটি বাফার জোন হিসেবে পরিচিত।
মার্কিন প্রভাবশালী দৈনিক ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল জানিয়েছে, তেল আবিব এবং কায়রোর মধ্যে বর্তমানে সম্পর্ক একেবারে বিপর্যস্ত অবস্থায় রয়েছে। বাফার জোন দখল করার পর মিশর বলেছে, যদি তারা মনে করে তাদের নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়েছে তাহলে ইসরাইলের বিরুদ্ধে সামরিক পন্থায় জবাব দিতে মোটেই দ্বিধা করবে না।
এর আগে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, তারা গাজা-মিশর সীমান্তে ১৪ কিলোমিটার দীর্ঘ করিডরের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। গাজার প্রতিরোধকামী সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে অভিযান চালানোর জন্য তারা এই নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে বলে দাবি করছে।
ইসরাইলের বর্বর সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র ড্যানিয়েল হ্যাগারি বলেছেন, ফিলাডেলফি করিডোর হামাসের ‘অক্সিজেন লাইন’ হিসেবে কাজ করছে যাকে তারা নিয়মিতভাবে অস্ত্র চোরাচালানের জন্য ব্যবহার করে থাকে। ইসরাইল দাবি করছে, এই করিডরে হামাসের অন্তত ২০টি টানেল রয়েছে কিন্তু মিশর এই দাবি নাকচ করেছে।
মিশর সরকারের একটি উচ্চ পর্যায়ের সূত্র থেকে বলা হয়েছে, “ফিলিস্তিনের রাফাহ শহরে ইহুদিবাদী ইসরাইলের আগ্রাসন অব্যাহত রাখার যৌক্তিকতা প্রমাণ এবং যুদ্ধকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহারের জন্য ইসরাইল এই অজুহাত তুলেছে।
তিন সপ্তাহ আগে ইসরায়েলি সেনারা হামাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের অংশ হিসেবে রাফাহ ক্রসিংয়ের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার পর মিশর ও ইসরায়েলের মধ্যে উত্তেজনা বাড়তে থাকে।
উল্লেখ্য সন্ত্রাসী ইসরাইলকে ধ্বংস করে দেয়ার জন্য মিশরের যথেষ্ট সামরিক সক্ষমতা রয়েছে। সামরিকভাবে শক্তিশালী মিসর প্রতিরক্ষা ট্যাংকসহ মাঝারি আকারের অস্ত্রশস্ত্র নির্মাণ করে। যুদ্ধের চেয়ে প্রতিরক্ষা বিষয়ে দেশটির আগ্রহী বেশি। গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার র্যাংকিংয়ে সামরিক শক্তিতে মিসরের অবস্থান দশম। মিসরের সশস্ত্র বাহিনী ১৮২০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। দেশটির মোট জনসংখ্যা প্রায় সাড়ে ৯ কোটি। সক্রিয় সেনাসদস্যের সংখ্যা চার লাখ ৫৪ হাজার ২৫০ জন এবং রিজার্ভ সৈন্যের সংখ্যা আট লাখ ৭৫ হাজার জন।
মিসরের সামরিকবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত আছে মেইন ব্যাটল ট্যাংক, লাইট ট্যাংক, ট্যাংক ডেস্ট্রয়ার, আরমার্ড পার্সোনাল ক্যারিয়ার এবং ইনফেন্ট্রি ফাইটিং ভেহিক্যাল। মিসরের প্রধান যুদ্ধ ট্যাংক আছে চার হাজার ১১০টি, আরমার্ড ফাইটিং ভেহিক্যাল ১৩ হাজার ৯৪৯টি, স্ব-চালিত বন্দুক আছে ৮৮৯টি, টাওয়েড আর্টিলারি দুই হাজার ৩৬০টি, মাল্টিপল লঞ্চ রকেট সিস্টেম রয়েছে এক হাজার ৪৮১টি। মিসরের বিমানবাহিনী হচ্ছে আফ্রিকা মহাদেশের সবচেয়ে শক্তিশালী বিমানবাহিনী। মিসরের বিমানবাহিনীতে রাশিয়ান, আমেরিকান ও ফ্রেঞ্চসহ অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান অন্তর্ভুক্ত। তাদের মোট বিমান সংখ্যা এক হাজার ১৩২টি, ফাইটার ৩৩৭টি, ফিক্সড উইং এটাক ৪২৭টি, পরিবহন বিমান ২৬০টি, প্রশিক্ষণ বিমান ৩৮৪টি, হেলিকপ্টার ২৫৭টি, অ্যাটাক হেলিকপ্টার ৪৬টি।
মিসরের সেনাবাহিনী ও বিমানবাহিনীর পাশাপাশি নৌবাহিনীও বেশ শক্তিশালী। মিসরের নৌবাহিনীতে ২টি হেলিকপ্টারবাহী যুদ্ধজাহাজ আছে। এ ছাড়াও অত্যাধুনিক ফ্রিগেট রয়েছে। করভেট আছে ২টি, সাবমেরিন ৫টি, কোস্টাল ডিফেন্স ক্রাফট ২২৭টি, মাইন ওয়ারফেয়ার আছে ২৩টি।
প্রসঙ্গত ইসলামী বিশেষজ্ঞগণ মনে করেন সে ক্ষত ঘা বাচানোর চেষ্টা করলেও ইসরাইলের বর্বরতার প্রতিক্রিয়া থেকে মিশর নিজেকে পুরো রক্ষা করতে পারবে না আদৌ। বরং গাজার অবস্থা দুর্বল হলে সন্ত্রাসী ইসরাইল এরপর মিশরের দিকেই আগ্রাসী হবে।
এক্ষেত্রে মিশর যদি এখনই সরাসরি সন্ত্রাসী ইসরাইলের বিরুদ্ধে জিহাদে শামিল হয় তবে গাজাবাসীর সাথে সহ মুজাহিদ হয়ে জিহাদে অবতীর্ণ হওয়ার বিরল সম্মান পাবে। পাশাপাশি খোদায়ী মদদে দুনিয়াবীও দীর্ঘ উভয়ক্ষেত্রে যাবে। সমৃদ্ধ হওয়ার সুযোগ পাবে ইনশাআল্লাহ।
-আল্লামা মুহম্মদ ওয়ালীউর রহমান।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩ লাখ ৬৮ হাজার ৩৫২ কোটি টাকা ‘আইএমএফের চাপে’ নতুন করের বোঝা বাড়ছে ৫৫ হাজার কোটি টাকা আইএমএফের শর্ত মানতে গিয়ে সরকারকে জ্বালানি, সার, বিদ্যুৎ এবং সামাজিক খাতে ভর্তুকি কমাতে হয়। এতে সমাজের নিচের স্তরের মানুষের ওপর চাপ বাড়ে।
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সম্মানিত দ্বীন ইসলামে কী প্রকৃতির মুহব্বত ও ঋতু প্রিয়তার কথা নেই? নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কাছে শীতকাল যে কত প্রিয় তা অনেকেরই অজানা। শীতে আছে গণীমত (পর্ব -২)
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সম্মানিত দ্বীন ইসলামে কী প্রকৃতির মুহব্বত ও ঋতু প্রিয়তার কথা নেই? নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কাছে শীতকাল যে কত প্রিয় তা অনেকেরই অজানা। শীতে আছে গণীমত (পর্ব -১)
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সন্ত্রাসবাদ নয়; জিহাদী যোগ্যতা অর্জন করা পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ অনুযায়ী ফরয। ৯৮ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত দেশে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় সব নাগরিকের জন্য সামরিক প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক করতে হবে। উন্নত প্রশিক্ষন, যুদ্ধকৌশল, সামরিক সক্ষমতা এবং আন্তর্জাতিক র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এখন সাফল্যের শীর্ষে। সরকারের উচিত- দেশের মর্যাদা বুলন্দ ও দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ত্বকে সমুন্নত রাখতে সেনাবাহিনীর প্রতি সকল প্রকার পৃষ্ঠপোষকতা নিশ্চিত করা।
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম এর তথ্যানুযায়ী বেনিয়া বৃটিশগুলো মুসলিম ভারত থেকে লুট করেছে ১২ হাজার লক্ষ কোটি টাকা প্রকৃতপক্ষে তারা লুট করেছে লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
রামপাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র এখনও বন্ধ করলে যা লাভ হবে চালু রাখলে তার চেয়ে অনেক বেশী ক্ষতি হবে ৫৩টি পরিবেশবাদী সংগঠনের দাবী অবিলম্বে রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ করে সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্র করা হোক কিন্তু তাদের উপেক্ষা করে পরিবেশ উপদেষ্টা প্রমাণ করছে তার পরিবেশবাদী তৎপরতা অন্য পরিবেশবাদীদের সাথে সাংঘর্ষিক এবং তার পরিবেশবাদী প্রচারণা কার্যকলাপ আসলে দেশ ও দেশের মানুষের জন্য নয় বরং বিশেষ প্রভুর নির্দেশনায় (প্রথম পর্ব)
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
জুয়ার নেশায় বুদ হচ্ছে শিশু-কিশোররা-শিক্ষার্থীরা অধিকাংশ সাইটই পরিচালিত হয় দেশের বাইরে থেকে অনলাইনে জুয়ায় ছোট ছোট বাজির টাকা দিন শেষে একটি বড় অঙ্কের অর্থ হয়ে দেশ থেকে ডলারের মাধ্যমে পাচার হচ্ছে প্রতিদিন এসব খেলা স্বাভাবিক গেমের মতো হওয়ায় প্রকাশ্যে খেলা হলেও আশপাশের মানুষ তা বুঝতে পারেন না কেবলমাত্র ইসলামী মূল্যবোধের উজ্জীবনেই জুয়া বন্ধ সম্ভব ইনশাআল্লাহ
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
গার্মেন্টসের চেয়েও বড় অবস্থানে তথা বিশ্বের শীর্ষ অবস্থানে অধিষ্ঠান হতে পারে বাংলাদেশের জাহাজ নির্মাণ শিল্প। যথাযথ পৃষ্ঠপোষকতা করলে শুধু মাত্র এ খাত থেকেই বছরে ১১ লাখ কোটি টাকা অর্জন সম্ভব ইনশাআল্লাহ। যা বর্তমান বাজেটের প্রায় দেড়গুণ আর শুধু অনিয়ম এবং সরকারের অবহেলা, অসহযোগীতা দূর করলে বর্তমানেই সম্ভব প্রায় ২ লাখ কোটি টাকা অর্জন জাহাজ নির্মাণ শিল্পের সমৃদ্ধি সম্পর্কে সচেতন হওয়া এবং সরকারের গাফলতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা জনগণের জন্যও জরুরী। (২য় পর্ব)
০১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আ’যম সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার রোবে, দোয়ার বরকতে- কুদরতীভাবে কমে যাচ্ছে ডলারের আধিপত্য বাংলাদেশের রিজার্ভ ডলারে রাখা উচিৎ নয়- এতে লাভ আমেরিকার মুসলিম বিশ্বে অভিন্ন মুদ্রা ব্যবস্থা বিশেষত মূল্যহীন কাগজী মুদ্রা বাদ দিয়ে সুন্নতী দিনার-দিরহাম মুদ্রা চালু করা আবশ্যক ইনশাআল্লাহ (দ্বিতীয় পর্ব)
৩০ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
বিদেশি হাইব্রিড বীজের ফাঁদে দেশের কৃষি। হারিয়ে যাচ্ছে দেশীয় ফসলের জাত, ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে জীববৈচিত্র্য। ফুলে-ফেঁপে উঠছে বীজ কোম্পানিগুলো।
২৯ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
মুশরিক ভারতের প্রতি লা’নত ওদের জনসংখ্যা দিন দিন নিম্নমুখী পক্ষান্তরে ৯৮ ভাগ জনগোষ্ঠী মুসলমানের দেশ বাংলাদেশে খোদায়ী রহমত। (সুবহানাল্লাহ) বাংলাদেশে জনসংখ্যার এখন ৬৫ ভাগই কর্মক্ষম এবং জনসংখ্যার বৃদ্ধির হার উর্ধ্বগামী বাংলাদেশ ভোগ করছে ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ডের নিয়ামত। সুবহানাল্লাহ!
২৮ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
প্রসঙ্গ: মধ্যম আয়ের ফাঁদ এড়াতে সতর্কতা তথা মধ্যম আয়ের স্থবিরতা তাওয়াক্কুল আর তাকওয়া অবলম্বনে সব সমস্যা দূর হয়ে অচিরেই বাংলাদেশ হতে পারবে শীর্ষ সমৃদ্ধশালী দেশ ইনশাআল্লাহ
২৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার)












