সব জায়গায় নারী-পুরুষ এক সাথে, কিন্তু খেলায় নেই কেনো?
, ২৯ জুমাদাল ঊখরা শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ১৪ সামিন, ১৩৯১ শামসী সন , ১২ জানুয়ারি, ২০২৪ খ্রি:, ২৮ পৌষ, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) আপনাদের মতামত
নারী-পুরুষ যে প্রতিযোগী হয়ে খেলা সম্ভব না, এ সম্পর্কে নারী টেনিস খেলোয়াড় সেরেনার একটা বক্তব্য আছে। এক সাক্ষাৎকারে সে বলেছিলো, তাকে যদি কোন পুরুষ টেনিস খেলোয়ারের বিপক্ষে খেলতে দেয়া হয়, তাহলে সে হেরে যাবে। পুরুষেরা নারীর তুলনায় অনেক ক্ষিপ্র, তারা অনেক জোরে সার্ভ করে, তারা অনেক জোরে বলে আঘাত করে।
অর্থাৎ সব সেক্টরে নারীকে পুরুষের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে দেয়া হলেও খেলাধূলায় নারীকে সরাসরি পুরুষের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে দেয়া হয় না। কারণ শারীরিক সক্ষমতায় নারীরা পুরুষের তুলনায় বেশ পিছিয়ে থাকে, যা খেলাধূলার মধ্যে সরাসরি দৃশ্যমান হয়।
আসলে সব সেক্টরেই নারী-পুরুষের মধ্যে পৃথকীকরণ দরকার। কারণ যখনই নারী-পুরুষ একত্রীকরণ হয়, তখনই নারী পুরুষের থেকে পিছিয়ে পড়ে।
হয়ত বলতে পারেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে তো মেয়েরা অনেক সময় ছেলেদের থেকে ভালো ফলাফল করে।
হতে পারে। কিন্তু সেটা থিউরীটিকাল। যখন প্রফেশনাল বা প্র্যাকটিকাল জীবন আসে, তখন ঠিকই সম্মিলিত হিসেব করলে নারী তার শারীরিক সক্ষমতার জন্য পিছিয়ে যায়।
এজন্য আসলে সর্বক্ষেত্রে নারী-পুরুষের পৃথক সেক্টর দরকার। যেখানে নারী-নারী থাকবে, পুরুষ-পুরুষ থাকবে। নারী-পুরুষের একত্রিত সেক্টর দরকার নাই। প্রফেশনাল সেক্টরে নারী-পুরুষ একত্রিত হলেই অটোমেটিক পুরুষ নারীর উপর কর্তৃত্ব লাভ করবে।
এখানে একটি বিষয় বুঝতে হবে, জনসংখ্যার দিক থেকে পুরুষ ও মহিলার জনসংখ্যা প্রায় সমান। অর্থাৎ পুরুষের জন্য যে পরিমাণ কর্মক্ষেত্র দরকার, ঠিক তেমনি মহিলাদের জন্য সমপরিমাণ কর্মক্ষেত্র দরকার। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে, যখন আপনি পুরুষ-মহিলা একত্রিত করে দিচ্ছেন, তখন নিচের দিকে পুরুষ-মহিলা সমান শুরু করলেও, একটা পর্যায়ে গিয়ে মহিলার সংখ্যা কমছে, পুরুষের সংখ্যা বাড়ছে। অর্থাৎ কর্মক্ষেত্রে উপরের পদগুলোতে পুরুষের সংখ্যা বাড়ছে, কিন্তু নারীর সংখ্যা কমছে। অপরদিকে নিচের দিকে নারীর সংখ্যা বেশি, কিন্তু পুরুষের সংখ্যা কম।
কিন্তু নারী-পুরুষ যদি আলাদা সেক্টর হতো, তবে নারী সংশ্লিষ্ট কর্মক্ষেত্রে উপরের পদগুলো নারীদেরই দখলে থাকতো। এতে পেশাগত জীবনে মহিলাদের সম্মানও বাড়তো, বেতনও বাড়তো। কিন্তু এখন নারীরা বেশি শ্রমিক হচ্ছে, ফলে তাদের দিয়ে কমমূল্যের শ্রম করানো যাচ্ছে। নারী-পুরুষ একত্রিতকরণের মূলে আসলে নারীকে কম মজুরী দিয়ে শ্রম আদায় করিয়ে নেয়া।
-রাফসানজানি।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
খ্রিস্টানদের অনুষ্ঠানকে ‘বড়দিন’ বলা যাবে না
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
স্বাধীন আরাকান চাই!
২৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
দেশের সার্বভৌমত্বের সংকটে- দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীকে এগিয়ে আসতেই হবে
১৬ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
পৃথিবীর সবচাইতে কুখ্যাত কিছু নৌদস্যুর অপকীর্তি
২৫ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ফসলের একটি অংশ যায় রাজাকার ত্রিদিবের সন্তান দেবাশীষের ঘরে! -এদেশে উপজাতি চৌকিদারকে কেন ‘রাজা’ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হচ্ছে?
২৪ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
উলামায়ে ছু’দের বদ আমলই কি এর জন্য দায়ী নয়?
২২ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
বাংলাদেশে জিএম ফুড প্রচলনের সকল ষড়যন্ত্র বন্ধ করতে হবে
১৯ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
জান্নাতী এবং জাহান্নামী ব্যক্তিদের কিছু আলামত
১৮ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে ঔ পনিবেশিক-ব্রাক্ষণ্যবাদী আগ্রাসন ও ষড়যন্ত্র পরিভাষা, শব্দ ও বানান আগ্রাসন (১)
১৫ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
প্রকাশ্য অপ্রকাশ্য সমস্ত প্রকার অশ্লীলতাই হারাম
১২ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ইলিশ ধরায় বাংলাদেশ-ভারতের নিষেধাজ্ঞার সময়ে বড় পার্থক্য নিষেধাজ্ঞার নামে ভিনদেশী জেলেদের জামাই আদরে সাগর থেকে ইলিশ নিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দেয়া হয় আর দেশীয় জেলেদের জেলে পুরা হয় জেলেদের প্রতি এ নির্মম জুলুম আর কতকাল?
১১ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
আধুনিকতা নাম দিয়ে হারাম ‘ছবি’ তোলা থেকে বিরত থাকুন
২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার)












