মন্তব্য কলাম
সমতলে প্রতি বিঘা জমিতে ভুট্টা হয় ২৫ থেকে ৩০ মন। চরাঞ্চলে উৎপন্ন হয় ৩৫ থেকে ৪০ মন। প্রতি বিঘা জমির ভুট্টা বিক্রি করে কৃষক পান ৩০ হাজার থেকে ৪৫ হাজার টাকা। বর্তমানে দেশের ফিড খাতের বাজারমূল্য দাঁড়িয়েছে প্রায় ৮০ হাজার কোটি টাকায়। দেশে ভুট্টার বাজার মূলতঃ প্রাণিখাদ্য বা ফিডশিল্প ঘিরেই গড়ে উঠেছে।
, ১৭ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:০০:০০ এএম ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) মন্তব্য কলাম
বিশ্বে ভুট্টা চাষের সর্বোচ্চ ফলন পাওয়া দেশগুলোর মধ্যে ইনশাআল্লাহ বাংলাদেশ হতে পারে প্রথম।
পর্যাপ্ত পৃষ্ঠপোষকতা করলে দেশে ৭৫ লাখ হেক্টরের চেয়ে বেশি জমিতে ভুট্টা আবাদ সম্ভব।
সম্ভব দেশীয় চাহিদার ১৬ লাখ ভোজ্যতেলের পুরোটাই ভুট্টা থেকে উৎপাদন।
৬০ হাজার কোটি টাকার ভোজ্যতেলের চাহিদা পূরণের পর বিদেশে রপ্তানী করে আরো সমৃদ্ধি আনার জন্য ভুট্টা চাষে সর্বাত্মক পৃষ্ঠপোষকতা করতে সরকারের সক্রিয়তা ছিল একান্তভাবে কাম্য।
কিন্তু মার্কিনী এজেন্টরা এদেশের পাকা ভুট্টার ক্ষেতে মই দিতে চায়।
তারা ভুট্টা চাষ বাধাগ্রস্থ করতে চায়।
নীলকরদের মত ভুট্টা চাষ বাদ দিয়ে উদ্যোক্তার নামে ক্ষুদ্র ঋণের ফাঁদে জর্জরিত করতে চায়।
দেশে দুর্ভিক্ষ আনতে চায়। দেশে গৃহযুদ্ধ লাগাতে চায়।
দেশকে সিরিয়া, লিবিয়া, ইরাক বানাতে চায়।
ঈমানদার মুসলমান সব বেঈমানদের হাত থেকে বাঁচতে চায়।
ভুট্টা এখন বাংলাদেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অর্থকরী ফসলে পরিণত হয়েছে। দিন দিন এই ফসলের চাষ বাড়ছে এবং এর উৎপাদনেও এসেছে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে দেশে প্রায় ৫ লাখ হেক্টর জমিতে ভুট্টা চাষ হয়েছিল এবং উৎপাদন হয়েছিল ৪৭ লাখ টনের মতো। সেখানে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে এসে ভুট্টার আবাদি জমি ২৬ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৪২ হাজার হেক্টরে, আর উৎপাদন পৌঁছেছে ৬৮ লাখ ৮৪ হাজার টনে। এসব সরকারী হিসেবে প্রকৃত হিসেব আরো বেশী।
সরকার ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য ভুট্টা চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে ৬ লাখ ৫১ হাজার হেক্টর জমিতে এবং উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৭১ লাখ ৬০ হাজার টন। দেশে এখন বছরে ভুট্টার চাহিদা ৭০ থেকে ৭৫ লাখ টনের মতো, যার একটি বড় অংশ ব্যবহৃত হয় পোলট্রি, গবাদিপশু ও মাছের খাদ্য তৈরিতে। ফলে ভুট্টা খাদ্য নিরাপত্তা এবং প্রাণিখাদ্য শিল্প এই দুই ক্ষেত্রেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
ভুট্টা চাষ বাড়ার মূল কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে এর লাভজনকতা, সহজ চাষপদ্ধতি এবং উচ্চ ফলনশীলতা। ধানের তুলনায় ভুট্টা চাষে পানির প্রয়োজন কম, পরিচর্যা সহজ, আর ফলনও বেশি। সেই সঙ্গে দেশে পোলট্রি ও পশুপালন শিল্পের ক্রমবর্ধমান চাহিদা কৃষকদের ভুট্টা চাষে আরও আগ্রহী করে তুলেছে।
সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, গত এক দশকে দেশে ভুট্টার উৎপাদন দ্বিগুণেরও বেশি বেড়েছে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায় ২০১৫-১৬ অর্থবছরে যেখানে উৎপাদন ছিল ২৭ লাখ ৫৯ হাজার টন, সেখানে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৮ লাখ ৮৪ হাজার টনে। এমনকি ২০২০-২১ অর্থবছরেও উৎপাদন ছিল ৫৬ লাখ ২৭ হাজার টন। তবে চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বৈরী আবহাওয়ার প্রভাবে উৎপাদন কিছুটা কমে ৬৬ লাখ টনের আশেপাশে দাঁড়িয়েছে।
উৎপাদনের পাশাপাশি আবাদি জমির পরিমাণও ধারাবাহিকভাবে বেড়েছে। ২০১১-১২ অর্থবছরে যেখানে ভুট্টার আবাদ হতো ২ দশমিক ৮৩ লাখ হেক্টরে, এখন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫ দশমিক ৭৮ লাখ হেক্টরে।
ভুট্টার আমদানির দিকেও নজর দিলে ইতিবাচক পরিবর্তন চোখে পড়ে। এক সময় আমদানির উপর অনেকটাই নির্ভর করতে হতো। ২০২০-২১ অর্থবছরে আমদানি ছিল ২১ লাখ ১৪ হাজার টন। অথচ ২০২৩-২৪ অর্থবছরে তা কমে হয়েছে সাড়ে ৪ লাখ টনের মতো।
দেশে ভুট্টার বাজার মূলতঃ প্রাণিখাদ্য বা ফিডশিল্প ঘিরেই গড়ে উঠেছে। গত দেড় দশকে দেশে পোলট্রি ও পশুপালন শিল্পে ব্যাপক উন্নয়ন ঘটেছে। ফিড কারখানাগুলো খামারিদের বাকিতে খাদ্য সরবরাহ করে এই শিল্পকে প্রসারিত করতে সাহায্য করছে। বর্তমানে দেশের ফিড খাতের বাজারমূল্য দাঁড়িয়েছে প্রায় ৮০ হাজার কোটি টাকায়। সব মিলিয়ে বলা যায়, ভুট্টা এখন শুধু একটি ফসল নয় বরং এটি দেশের কৃষি, শিল্প ও অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ চালিকাশক্তি হয়ে উঠেছে।
ভুট্টা চাষ এখন বাংলাদেশের কৃষকদের জন্য একটি লাভজনক ও টেকসই কৃষি উদ্যোগ হিসেবে প্রতিষ্ঠা পাচ্ছে। ধান বা গমের তুলনায় ভুট্টার গড় ফলন অনেক বেশি। বর্তমানে প্রতি হেক্টরে ভুট্টার গড় ফলন দাঁড়িয়েছে প্রায় ১০ থেকে ১২ টন, যা অন্যান্য খাদ্যশস্যের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি। তবে ভালো ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে এই ফলন আরও বাড়ানো সম্ভব। শুধু ফলনেই নয়, উৎপাদন ব্যয় এবং আয়ের তুলনাতেও ভুট্টা চাষ অধিক সুবিধাজনক।
অর্থনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে বিচার করলে, ভুট্টা চাষে আয় ও বিনিয়োগের অনুপাত বা বেনিফিট-কস্ট রেশিও (ইঈজ) এখন প্রায় ১ দশমিক ২৯। যা প্রমাণ করে যে, এটি কৃষকদের জন্য অর্থনৈতিকভাবে অত্যন্ত লাভজনক। একর প্রতি আয়ের হার উৎপাদন খরচের তুলনায় বেশি হওয়ায় কৃষকেরা আগের চেয়ে বেশি মুনাফা পাচ্ছে।
সমতলে প্রতি বিঘা জমিতে ভুট্টা হয় ২৫ থেকে ৩০ মন। চরাঞ্চলে উৎপন্ন হয় ৩৫ থেকে ৪০ মন। প্রতি বিঘায় ভুট্টা উৎপাদনে খরচ হয় ১২ হাজার থেকে ১৫ হাজার টাকা। প্রতি বিঘা জমির ভুট্টা বিক্রি করে কৃষক পায় ৩০ হাজার থেকে ৪৫ হাজার টাকা।
ভুট্টার চাষে শ্রম ও সময়ের প্রয়োজনও কম। এটি একটি স্বল্পকালীন ফসল, ফলে কৃষকরা একই বছরে একাধিক ফসল ঘুরিয়ে নিতে পারে। একই জমিতে ধান, আলু বা সরিষা ফসলের সঙ্গে ঘুরিয়ে ভুট্টা চাষ করা যায়, যা জমির উর্বরতা রক্ষায় সাহায্য করে এবং ফসলের বৈচিত্র্য আনে।
এটির আরেকটি বড় দিক হলো এর বহুমুখী ব্যবহার। শুধু পশুখাদ্য নয়, এটি থেকে স্টার্চ, ভুট্টার তেল, সিরাপ, পানীয়, বিস্কুট, সুজি, নুডলসসহ নানা ধরনের খাদ্যপণ্য তৈরি হয়। শিল্প খাতেও এর ব্যবহার বাড়ছে যেমন: বায়োফুয়েল, কাগজ, প্লাস্টিক, ওষুধ ও রঙ তৈরির কাজে।
ভুট্টা উৎপাদন বৃদ্ধি পাওয়ায় দেশে এর আমদানি নির্ভরতা কমে এসেছে, যা বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয়ে ভূমিকা রাখছে। একদিকে কৃষকরা লাভবান হচ্ছে, অন্যদিকে দেশীয় শিল্পের কাঁচামাল ঘাটতি পূরণ হচ্ছে। সবদিক বিবেচনায় বলা যায়, বর্তমান কৃষি ব্যবস্থায় ভুট্টা চাষ একটি কার্যকর ও লাভজনক সিদ্ধান্ত। কৃষক, ব্যবসায়ী ও শিল্প-তিন পক্ষেরই লাভ নিশ্চিত হচ্ছে এই ফসলে। যথাযথ সরকারি সহায়তা, মানসম্পন্ন বীজ সরবরাহ এবং বাজার ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন ঘটলে ভুট্টা বাংলাদেশের খাদ্য নিরাপত্তা ও কৃষি অর্থনীতিতে আরও বড় ভূমিকা রাখতে পারবে।
কৃষকেরা এখন ভুট্টা উৎপাদনকে ব্যবসা হিসেবে দেখছে। তাই উত্তরাঞ্চলে গমের জমিতে ভুট্টা চাষ বাড়ছে। দেশে আমদানি করা উচ্চফলনশীল ভুট্টার জাতগুলো বেশি জনপ্রিয়। আমাদের নিজস্ব দুটি জাত থাকলেও সীমাবদ্ধতার কারণে আমরা যথেষ্ট বীজ সরবরাহ করতে পারছি না।
আবদুল্লাহ আল মামুন, প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, গবেষণা বিভাগ, বিডব্লিউএমআরআই।
এ খাতের উদ্যোক্তারা বলছেন, নগদ অর্থে বাজার থেকে শতভাগ ভুট্টা কিনে নিচ্ছে ফিড কারখানাগুলো। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের হিসাবে, দেশে এখন নিবন্ধিত ফিড মিল বা প্রাণিখাদ্য প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা প্রায় ৩০০। এ খাতের সংগঠন ফিড ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি বলেন, ‘আমরা এখন শতভাগ ভুট্টা নগদ টাকায় কিনে নিচ্ছি।
মূলত ধান, সবজি ও মাছের মতো বাংলাদেশে ভুট্টা উৎপাদনে ঘটেছে এক নীরব বিপ্লব।
দেশে প্রাণিখাদ্যের বাজার বছরে ১৫ শতাংশ হারে বাড়ছে। মাছ, গবাদি পশু ও হাঁস-মুরগির উৎপাদন বাড়ায় ভুট্টার চাহিদাও বাড়ছে। প্রাণিখাদ্য তৈরির বড় অংশই আসে ভুট্টা থেকে। এর মধ্যে মুরগির খাদ্য তৈরিতে ৫৫ শতাংশ ভুট্টার দরকার হয়। এ হার গবাদি পশুর খাদ্যে ৩০ শতাংশ এবং মাছের ক্ষেত্রে ১২ থেকে ১৫ শতাংশ। এ তিন খাতে বছরে ৫০ থেকে ৫৫ লাখ টন ভুট্টার চাহিদা রয়েছে।
বিদেশেও ভুট্টা রফতানির সুযোগ রয়েছে বাংলাদেশের। গত অর্থবছরে নেপালে ১ কোটি ৭২ লাখ ডলার বা ১৪৬ কোটি টাকা মূল্যের ভুট্টা রফতানি হয়েছে বাংলাদেশ থেকে। ভুট্টা রফতানির জন্য আর্দ্রতা নিয়ন্ত্রণ, প্যাকেজিং কৌশলসহ বেশ কিছু পদক্ষেপ নিতে হয়। এসব কর্মকান্ড সঠিকভাবে করা সম্ভব হলে বৈশ্বিক বাজারে বাংলাদেশের ভুট্টার চাহিদা ও রফতানি বাড়বে। কৃষকও পণ্যটির ন্যায্যমূল্য পেয়ে লাভবান হবেন।
গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউটের তথ্যে জানা যায়, উন্নত বিশ্বে ভুট্টা থেকে স্টার্চ, ইথানল, জৈব জ্বালানি, তেল উৎপাদনসহ রয়েছে আরও বহুমুখী ব্যবহার। বর্তমানে পৃথিবীর প্রায় ৫২টি দেশে ভুট্টা থেকে উৎকৃষ্ট মানের ভোজ্যতেল উৎপাদিত ও ব্যবহৃত হয়। ভুট্টার তেল স্বাস্থ্যসম্মত ও পুষ্টিসমৃদ্ধ। এতে কোনো আমিষ বা শর্করা নেই, শতকরা ১০০ ভাগই চর্বি বিদ্যমান যার পুষ্টিমান অন্যান্য তেলের চেয়ে তুলনামূলকভাবে বেশি।
জানা গেছে, ভুট্টা তেলে বিদ্যমান সম্পৃক্ত ফ্যাটি এসিড ও অসম্পৃক্ত ফ্যাটি এসিড সয়াবিন ও সূর্যমুখী তেলের সমপরিমাণ। ভুট্টা তেলে ভিটামিন ই (টোকোফেরল)-এর পরিমাণ সূর্যমুখী তেলের চেয়ে বেশি। বিশেষত ভুট্টার তেলে ভিটামিন কে (১.৯ মাইক্রো গ্রাম) রয়েছে যেখানে সয়াবিন ও সূর্যমুখী তেলে তা অনুপস্থিত।
সরকারী হিসেবে, ভুট্টার উৎপাদন ক্রমশ বাড়ছে। বর্তমানে দেশে ভুট্টা চাষের মোট আবাদি জমি প্রায় ৬ লাখ হেক্টর। কিন্তু দৈনিক আল ইহসানের গবেষণা মতে দেশে ভুট্টা চাষের মোট আবাদী জমি খুব সহজেই ৭৫ লাখ হেক্টর জমিতে উন্নীত করা সম্ভব। ইনশাআল্লাহ!
বর্তমানে বছরে দেশে উৎপাদিত প্রায় ৭০ লাখ টন ভুট্টা থেকে প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার টন ভুট্টার তেল আহরণ করা সম্ভব। যার বাজার মূল্য প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা। সে হিসেবে ৭৫ লাখ হেক্টর জমিতে ভুট্টা চাষ থেকেই দেশের প্রয়োজনীয় ১৬ লাখ ভোজ্য তেল উৎপাদন সম্ভব। ইনশাআল্লাহ! যার মূল্যমান ৬০ হাজার কোটি টাকা।
সঙ্গতকারণেই সরকারের জন্য উচিত ছিলো- ভুট্টা চাষের আধুনিক প্রযুক্তি, পোকামাকড় ও রোগবালাই দমন, ফসল সংগ্রহ ও সংরক্ষণের উপর আরও বেশি করে কৃষক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা। বিশেষ করে বাংলাদেশ গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউট কর্তৃক উদ্ভাবিত উচ্চ ফলনশীল হাইব্রিড জাতের বীজ ব্যবহারে কৃষকদের সহায়তায় বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন ও বেসরকারি বীজ বিপণনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে জোরালো ভূমিকা রাখা। দেশের ভুট্টা উৎপাদন এলাকাগুলোতে ভুট্টা থেকে তেল, স্টার্চ, প্রাণিখাদ্য ও মাছের খাবার তৈরির প্রক্রিয়াকরণ শিল্প গড়ে তোলা। উৎপাদন মৌসুমে বিদেশ থেকে ভুট্টা আমদানি বন্ধ রেখে কৃষকদের স্বার্থ সংরক্ষণ করা। দেশের চরাঞ্চল ও পাহাড়ি এলাকার পতিত জমিতে ভুট্টা চাষ সম্প্রসারণ করা। আর এতে করে দেশের প্রয়োজনীয় ৬০ হাজার কোটি টাকার ভুট্টার তেলই নয় বরং লাখ লাখ কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা দেশের জাতীয় অর্থনীতিতে যুক্ত হতো। ইনশাআল্লাহ!
কিন্তু তা না করে মার্কিনীদের এজেন্ট তাবেদার অন্তর্বর্তী সরকার পাকা ধানে মই দেয়ার মতই পাকা ভুট্টায় মই দেয়া শুরু করেছে
দেশের কৃষক ও কৃষি যদি সমৃদ্ধ হয়
তাহলে তাদের ক্ষুদ্র ঋণ ব্যবসা চলবে না।
দেশে কৃষক ও কৃষি যদি সমৃদ্ধ হয়
তাহলে দেশে দুর্ভিক্ষ আনা যাবে না। দুর্ভিক্ষ না আনলে
মার্কিনী এজেন্ডা সহজে বাস্তবায়ন হবে না।
তাই মার্কিন তাবেদার সরকার
বার বার চাইছে
বিভিন্ন ভাবে চাইছে
নানা ষড়যন্ত্র করছে
দুর্ভিক্ষ আনার।
দেশের সমৃদ্ধি কৃষকের হাসি
তাদের ভালো লাগে না।
ভুট্টায় কৃষক ও দেশের ভাগ্যবদল
তাদের সহ্য হয় না।
তাই ভুট্টার উপর আঘাত।
সরকারের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের সংশ্লিষ্টরা বলেছে কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে এ বছর থেকে ভুট্টাচাষে প্রণোদনা বন্ধ করে দিতে বলা হয়েছে।
কৃষককে ভুট্টাচাষে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের চর উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক জানায়, গত বছর প্রায় ১৪ হাজার বিঘায় ভুট্টা চাষের প্রদর্শনী ছিল তাদের। চলতি বছর ভুট্টায় কোনো প্রদর্শনী দেয়া হয়নি। ভুট্টার পরিবর্তে তার প্রকল্প থেকে এবার প্রায় দেড় হাজার বিঘায় চীনাবাদাম চাষে প্রদর্শনী ধরা হয়েছে।
জানা যায়, শুধু চর প্রকল্প নয়, ডিএইর আরো প্রকল্প থেকে ভুট্টা চাষে প্রদর্শনী দেয়া হতো। কিন্তু এবার সব বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
ভুট্টা চাষে নিরুৎসাহিত কর্মসূচী মূলত তেমনই যেমনটি করেছিলো ইংরেজ নীলকররা।
দেশের সোনালী কৃষি বাদ দিয়ে নীল চাষে বাধ্য করা।
ইষ্ট-ইন্ডিয়া কোম্পানীর নতুন বংশাবদরা
তেমনি ভুট্টা চাষ বাদ দিয়ে চাচ্ছে
কৃষি বাদ দিয়ে
কৃষকদের উদ্যোক্তার নামে ক্ষুদ্র ঋণের ফাদে জর্জরিত করা।
জনগণের উচিৎ এখনি সজাগ ও সক্রিয় হওয়া ইনশাআল্লাহ।
-আল্লামা মুহম্মদ ওয়ালীউর রহমান আরিফ।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
সন্ত্রাসবাদ নয়; জিহাদী যোগ্যতা অর্জন করা পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ অনুযায়ী ফরয। ৯৮ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত দেশে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় সব নাগরিকের জন্য সামরিক প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক করতে হবে। উন্নত প্রশিক্ষন, যুদ্ধকৌশল, সামরিক সক্ষমতা এবং আন্তর্জাতিক র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এখন সাফল্যের শীর্ষে। সরকারের উচিত- দেশের মর্যাদা বুলন্দ ও দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ত্বকে সমুন্নত রাখতে সেনাবাহিনীর প্রতি সকল প্রকার পৃষ্ঠপোষকতা নিশ্চিত করা।
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম এর তথ্যানুযায়ী বেনিয়া বৃটিশগুলো মুসলিম ভারত থেকে লুট করেছে ১২ হাজার লক্ষ কোটি টাকা প্রকৃতপক্ষে তারা লুট করেছে লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
রামপাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র এখনও বন্ধ করলে যা লাভ হবে চালু রাখলে তার চেয়ে অনেক বেশী ক্ষতি হবে ৫৩টি পরিবেশবাদী সংগঠনের দাবী অবিলম্বে রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ করে সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্র করা হোক কিন্তু তাদের উপেক্ষা করে পরিবেশ উপদেষ্টা প্রমাণ করছে তার পরিবেশবাদী তৎপরতা অন্য পরিবেশবাদীদের সাথে সাংঘর্ষিক এবং তার পরিবেশবাদী প্রচারণা কার্যকলাপ আসলে দেশ ও দেশের মানুষের জন্য নয় বরং বিশেষ প্রভুর নির্দেশনায় (প্রথম পর্ব)
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
জুয়ার নেশায় বুদ হচ্ছে শিশু-কিশোররা-শিক্ষার্থীরা অধিকাংশ সাইটই পরিচালিত হয় দেশের বাইরে থেকে অনলাইনে জুয়ায় ছোট ছোট বাজির টাকা দিন শেষে একটি বড় অঙ্কের অর্থ হয়ে দেশ থেকে ডলারের মাধ্যমে পাচার হচ্ছে প্রতিদিন এসব খেলা স্বাভাবিক গেমের মতো হওয়ায় প্রকাশ্যে খেলা হলেও আশপাশের মানুষ তা বুঝতে পারেন না কেবলমাত্র ইসলামী মূল্যবোধের উজ্জীবনেই জুয়া বন্ধ সম্ভব ইনশাআল্লাহ
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
গার্মেন্টসের চেয়েও বড় অবস্থানে তথা বিশ্বের শীর্ষ অবস্থানে অধিষ্ঠান হতে পারে বাংলাদেশের জাহাজ নির্মাণ শিল্প। যথাযথ পৃষ্ঠপোষকতা করলে শুধু মাত্র এ খাত থেকেই বছরে ১১ লাখ কোটি টাকা অর্জন সম্ভব ইনশাআল্লাহ। যা বর্তমান বাজেটের প্রায় দেড়গুণ আর শুধু অনিয়ম এবং সরকারের অবহেলা, অসহযোগীতা দূর করলে বর্তমানেই সম্ভব প্রায় ২ লাখ কোটি টাকা অর্জন জাহাজ নির্মাণ শিল্পের সমৃদ্ধি সম্পর্কে সচেতন হওয়া এবং সরকারের গাফলতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা জনগণের জন্যও জরুরী। (২য় পর্ব)
০১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আ’যম সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার রোবে, দোয়ার বরকতে- কুদরতীভাবে কমে যাচ্ছে ডলারের আধিপত্য বাংলাদেশের রিজার্ভ ডলারে রাখা উচিৎ নয়- এতে লাভ আমেরিকার মুসলিম বিশ্বে অভিন্ন মুদ্রা ব্যবস্থা বিশেষত মূল্যহীন কাগজী মুদ্রা বাদ দিয়ে সুন্নতী দিনার-দিরহাম মুদ্রা চালু করা আবশ্যক ইনশাআল্লাহ (দ্বিতীয় পর্ব)
৩০ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
বিদেশি হাইব্রিড বীজের ফাঁদে দেশের কৃষি। হারিয়ে যাচ্ছে দেশীয় ফসলের জাত, ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে জীববৈচিত্র্য। ফুলে-ফেঁপে উঠছে বীজ কোম্পানিগুলো।
২৯ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
মুশরিক ভারতের প্রতি লা’নত ওদের জনসংখ্যা দিন দিন নিম্নমুখী পক্ষান্তরে ৯৮ ভাগ জনগোষ্ঠী মুসলমানের দেশ বাংলাদেশে খোদায়ী রহমত। (সুবহানাল্লাহ) বাংলাদেশে জনসংখ্যার এখন ৬৫ ভাগই কর্মক্ষম এবং জনসংখ্যার বৃদ্ধির হার উর্ধ্বগামী বাংলাদেশ ভোগ করছে ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ডের নিয়ামত। সুবহানাল্লাহ!
২৮ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
প্রসঙ্গ: মধ্যম আয়ের ফাঁদ এড়াতে সতর্কতা তথা মধ্যম আয়ের স্থবিরতা তাওয়াক্কুল আর তাকওয়া অবলম্বনে সব সমস্যা দূর হয়ে অচিরেই বাংলাদেশ হতে পারবে শীর্ষ সমৃদ্ধশালী দেশ ইনশাআল্লাহ
২৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
রিজওয়ানার পরিবেশবাদী প্রচারণার বিপরীতে রবি ঠগ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস স্থাপনে ইতিবাচক বার্তা এবং ইউনুসের পানি ও প্রকৃতি প্রেমের বানীর পরিবর্তে আপত্তি সত্ত্বেও একনেকে রবি ঠগ বিশ্ববিদ্যালয় প্রকল্প অনুমোদনে জনগণ তথা নেটিজনের মূল্যায়নটা কী?
২৬ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
যখন কোনো দেশ যুক্তরাষ্ট্র থেকে যুদ্ধবিমান কিনে, তখন তা শুধু একটি বিমান কেনার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে না। এর সাথে যুক্ত হয় একাধিক শর্ত, নিষেধাজ্ঞা এবং জটিল টার্মস অ্যান্ড কন্ডিশনস
২৫ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
লাগামহীন ব্যর্থতার পর মাদক নিয়ন্ত্রণেও সরকার চরমভাবে ব্যর্থ। আইন শৃঙ্খলা বাহিনী নিজস্ব দুর্বলতার কারণে মাদক নিয়ন্ত্রণে নজরই দিতে পারছে না। উল্টো আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর অনেক সদস্য নিজেরাও জড়িয়ে পড়ছে মাদক ব্যবসায়।
২৪ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার)












