সম্মানিতা মহিলা আউলিয়া-ই কিরাম উনাদের পরিচিতি
, ০৮ জুমাদাল ঊখরা শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ১৩ সাবি’, ১৩৯২ শামসী সন , ১১ ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রি:, ২৬ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) মহিলাদের পাতা
হযরত বিবি ফাতেমা নিশাপুরী রহমতুল্লাহি আলাইহা
হযরত বিবি ফাতেমা নিশাপুরী রহমতুল্লাহি আলাইহা তিনি খুরাসানের অতি পুরাতন আরিফাহ মহিলাগণের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন। হযরত বায়েজিদ বোস্তামী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার অনেক প্রশংসা করেছেন।
হযরত যুুন নূন মিছরী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনাকে অনেক প্রশ্ন করেছিলেন। তিনি পবিত্র মক্কা শরীফে অনেক দিন বসবাস করেন। কিছু সময়ের জন্য তিনি বায়তুল মুকাদ্দাসে চলে গিয়েছিলেন, কিন্তু আবার পবিত্র মক্কা শরীফে ফিরে আসেন। ২৩২ হিজরী সনে উমরাহ করার উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলেন। রাস্তায় তিনি ইনতিকাল করেন।
হযরত বায়েজিদ বোস্তামী রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন, আমার সারা জীবনে একজন পুরুষ ও একজন মেয়ে লোক সম্পর্কে জেনেছি, আর সেই মেয়ে লোক হযরত ফাতেমা নিশাপুরী রহমতুল্লাহি আলাইহা। আমি উনাকে যেই মাকামের খবর দেই, আমার খবর দেয়ার পূর্বে তিনি ইহার উপর জাহির ছিলেন।
একজন শায়েখ হযরত যুন নূন মিছরী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাকে জিজ্ঞেস করেন, আপনি ছুফিয়ানে কিরামের মধ্যে কাকে সবচেয়ে বেশী বুযূর্গ পেয়েছেন। উত্তরে তিনি বলেন, পবিত্র মক্কা শরীফে একজন মেয়েলোক ছিলেন, যাঁকে ফাতেমা নিশাপুরী বলা হতো, তিনি পবিত্র কুরআন শরীফ উনার অর্থ এরূপভাবে বর্ণনা করতেন যে, আমি আশ্চর্যান্বিত হয়ে যেতাম।
হযরত বিবি ফাতেমা নিশাপুরী রহমতুল্লাহি আলাইহা তিনি বলেন, যে ব্যক্তি মহান আল্লাহ পাক উনাকে অন্তরে জাগ্রত না রাখে (উনার আজমত ও জালালত অন্তরে পোষণ না করে) তবে সে সব ময়দানে আসবে এবং সব যবানে কথা বলবে (হক্ব ও বাতিলের মধ্যে থাকবে)। আর যার অন্তরে মহান আল্লাহ পাক উনার আজমত ও জালালত জাগরিত থাকবে, তাকে মহান আল্লাহ পাক তিনি সত্য কথা বলা ব্যতীত বোবা বানিয়ে দিবেন (সত্য ব্যতীত তিনি আর কিছুই বলবেন না) এবং হায়া ও আখলাককে উনার জন্য জরুরী বানিয়ে দিবেন।
হযরত বিবি ফাতেমা নিশাপুরী রহমতুল্লাহি আলাইহা তিনি আরো বলেন, এই যামানায় সত্যিকারের মুত্তাক্বী এমন সমুদ্রে রয়েছেন যার তরঙ্গমালা তার উপর পড়ে এবং সে সমুদ্রের তরঙ্গের মধ্যে থাকে, আর তিনি নিজ মহান রব তায়ালা উনাকে এভাবে ডাকতে থাকেন, যেমন কোন সমুদ্রে ডুবন্ত ব্যক্তি নিজ রব তায়ালাকে মুক্তির ও নাজাতের জন্য ডেকে থাকে।
তিনি আরো বলেন, যিনি গোপনে মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য আমল করেন, তিনি আরিফ, আর যে এমনভাবে আমল করেন যে, মহান আল্লাহ পাক তিনি উনাকে দেখছেন, তিনি মুখলেছ ব্যক্তি। (নাফাহাতুল উন্স্, ৮৮৮ পৃষ্ঠা)
-আল্লামা সাঈদ আহমদ গজনভী।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথেই হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের বিষয় উল্লেখ থাকা উচিত
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
মহাসম্মানিত সুন্নত মুবারক ছেড়ে দেয়া মানেই পথভ্রষ্ট হওয়া। নাউযুবিল্লাহ!
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
পিতা-মাতার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব-কর্তব্য
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
খছম বা ঝগড়া কু-স্বভাবটি পরিহার করা অপরিহার্য কর্তব্য
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
যে ৪ শ্রেণীর লোকদের জন্য ক্বিয়ামতের দিন সুপারিশ ওয়াজিব হবে
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
মুসলমান পুরুষ ও মহিলা সকলের জন্যই ফরযে আইন হচ্ছে- যথাযথভাবে ৫ ওয়াক্ত নামায তারতীব অনুযায়ী যথাসময়ে আদায় করে নেয়া
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
মহাসম্মানিত মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারা বেমেছাল ফযীলত মুবারকের অধিকারী
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
হুব্বে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
০১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন-
০১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সৃষ্টির শুরুতেই মহান আল্লাহ পাক উনার কুদরত মুবারক উনার মধ্যে ছিলেন, আছেন এবং অনন্তকাল থাকবেন
০১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
মহান আল্লাহ পাক তিনি তওবাকারীকে পছন্দ করেন (১)
৩০ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ক্বলবী যিকির জারী না থাকলে শয়তানের ওয়াসওয়াসা থেকে বেঁচে থাকা সম্ভব নয়
৩০ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার)












