সম্মানিত শরীয়ত অনুযায়ী এক মিনিট ‘নিরবতা’ পালন কেবলি প্রহসন
, ২৯ রবীউছ ছানী শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ১৬ সাদিস ১৩৯১ শামসী সন , ১৪ নভেম্বর, ২০২৩ খ্রি:, ২৯ কার্তিক, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) আপনাদের মতামত
ইতিহাসে যতটুকু পাওয়া যায় তা হচ্ছে ছঁধশবৎ-রা প্রায় ৩৫০ বছর ধরে এই মিনিট নিরবতা পালনের অনুষ্ঠান করে আসছে। এটি একটি খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী সম্প্রদায়। তাদের ধর্মীয় বিশ্বাস হিসেবে এটি পালন করে থাকে।
এছাড়া যা জানা যায় তা হচ্ছে- প্রথম বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে ( জার্মানির সাথে যুদ্ধ বিরিতিতে যাওয়ার আগ পর্যন্ত) ব্রিটিশদের যেসব যোদ্ধারা মারা যেত তাদের স্মরণে সাউথ আফ্রিকার কেপ টাউনে ১ মিনিট নিরবতা পালন করা হতো। এই নিরবতা পালনের বিষয়টি রয়টার্সের একজন সাংবাদিক লেখালেখির মাধ্যমে কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে ছড়িয়ে দেয় এবং যা পরে কালচারে প্রবেশ করে যায়।
এছাড়া আরো জানা যায়- একজন অস্ট্রেলীয় সাংবাদিক ঊফধিৎফ এবড়ৎমব ঐড়হবু ব্রিটেনের "খড়হফড়হ ঊাবহরহম ঘবংি" পত্রিকায় ১৯১৯ সালে একটি চিঠিতে লেখে, “১৯১৮ সালের নভেম্বরে শেষ হওয়া প্রথম বিশ্ব যুদ্ধে মারা যাওয়া সৈনিকদের জন্য যেন ৫ মিনিট নিরবতা পালন করা হয়”।
পরবর্তীতে রাজনীতিবিদ পার্সি ফিতযপ্যাট্রিক ব্রিটেনের প্রধান সপ্তম জর্জের কাছে এই বিষয়টি পেশ করলে এটি প্রশাসনিকভাবে গৃহীত হয়।
এখন আমার কথা হচ্ছে- ১ মিনিট নিরবতা পালনের বিষয়টি নিশ্চিতভাবে মুসলমানদের কোনো ধর্মীয় অনুষঙ্গ নয়; এটি খ্রিস্টানদের কেবলি একটি বানানো অনুষ্ঠান এতে মুসলমান মৃত ব্যক্তির কোনো লাভ হয় না। কিন্তু আমরা মুসলমানগণ বিশ্বাস করি সওয়াব রেসানীর মাধ্যমে বা মীলাদ শরীফ পাঠে দোয়া করলে তার আমল নামায় সওয়াব লেখা হয় যা তার নাজাতের উসিলা হতে পারে। তাহলে কেন এসব ফালতু অনুষ্ঠান?
দুঃখের বিষয় হচ্ছে- যেখানে আজকাল নিরবতা পালন করা হয় সেখানে অনেক ধার্মিক ব্যাক্তিও থাকেন কিন্তু তাদের অনেকে বাধ্য হন, অনেকে মেনে নেন আর অনেকে বিষয়টিকে সামাজিক অনুষ্ঠান মনে করেন। কিন্তু প্রতিবাদ কেউ করছেন না। যারা এটাকে মেনে নিচ্ছেন তাদের আক্বীদায় সমস্যা হচ্ছে। কারণ এই হারাম অনুষ্ঠানকে হালাল মনে করা কুফরী। আর যারা মেনে নিচ্ছে কিন্তু প্রতিবাদ করছেন না, এমনকি অন্তর থেকে ঘৃণাও করছেন না, তারা সম্মানিত হাদীছ শরীফ অনুযায়ী ঈমানদারের অন্তর্ভুক্ত নয়। কমপক্ষে ঘৃণা করে সরে আসলে দুর্বল ঈমানের পরিচয় হলেও দেয়া যেতে পারতো। অধিকাংশ মানুষ গড্ডালিকা প্রবাহে গা ভাসিয়ে দিয়েছে। কিন্তু আমাদের এইসব ফালতু আচার অনুষ্ঠানের বিষয়ে এখনই প্রতিবাদ করতে হবে এবং বাদ দিতে হবে এবং প্রতিবাদের মাধ্যমে নিজের ঈমান বাঁচাতে হবে। আসলে কি জানেন? মুসলমানদের মধ্যে যারা ১ মিনিট নিরবতা পালন করে তারাই আবার পবিত্র মীলাদ শরীফ পাঠকে বিদায়াত বলে চিৎকার করছে। এদের জন্যই মুসলিম সমাজের আজকের এই করুণ পরিস্থিতি।
-মুহম্মদ আল হিলাল
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
খ্রিস্টানদের অনুষ্ঠানকে ‘বড়দিন’ বলা যাবে না
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
স্বাধীন আরাকান চাই!
২৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
দেশের সার্বভৌমত্বের সংকটে- দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীকে এগিয়ে আসতেই হবে
১৬ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
পৃথিবীর সবচাইতে কুখ্যাত কিছু নৌদস্যুর অপকীর্তি
২৫ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ফসলের একটি অংশ যায় রাজাকার ত্রিদিবের সন্তান দেবাশীষের ঘরে! -এদেশে উপজাতি চৌকিদারকে কেন ‘রাজা’ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হচ্ছে?
২৪ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
উলামায়ে ছু’দের বদ আমলই কি এর জন্য দায়ী নয়?
২২ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
বাংলাদেশে জিএম ফুড প্রচলনের সকল ষড়যন্ত্র বন্ধ করতে হবে
১৯ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
জান্নাতী এবং জাহান্নামী ব্যক্তিদের কিছু আলামত
১৮ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে ঔ পনিবেশিক-ব্রাক্ষণ্যবাদী আগ্রাসন ও ষড়যন্ত্র পরিভাষা, শব্দ ও বানান আগ্রাসন (১)
১৫ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
প্রকাশ্য অপ্রকাশ্য সমস্ত প্রকার অশ্লীলতাই হারাম
১২ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ইলিশ ধরায় বাংলাদেশ-ভারতের নিষেধাজ্ঞার সময়ে বড় পার্থক্য নিষেধাজ্ঞার নামে ভিনদেশী জেলেদের জামাই আদরে সাগর থেকে ইলিশ নিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দেয়া হয় আর দেশীয় জেলেদের জেলে পুরা হয় জেলেদের প্রতি এ নির্মম জুলুম আর কতকাল?
১১ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
আধুনিকতা নাম দিয়ে হারাম ‘ছবি’ তোলা থেকে বিরত থাকুন
২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার)












