আপনাদের মতামত
সম্মানিত শরীয়ত অনুযায়ী এক মিনিট ‘নিরবতা’ পালন কেবলি প্রহসন
, ১২ ছফর শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ২০ ছালিছ, ১৩৯২ শামসী সন , ১৮ আগষ্ট, ২০২৪ খ্রি:, ০৩ ভাদ্র , ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) আপনাদের মতামত

ইতিহাসে যতটুকু পাওয়া যায় তা হচ্ছে কোয়াকার-রা প্রায় ৩৫০ বছর ধরে এই মিনিট নিরবতা পালনের অনুষ্ঠান করে আসছে। এটি একটি খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী সম্প্রদায়। তাদের ধর্মীয় বিশ্বাস হিসেবে এটি পালন করে থাকে।
এছাড়া যা জানা যায় তা হচ্ছে- প্রথম বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে (জার্মানির সাথে যুদ্ধ বিরতিতে যাওয়ার আগ পর্যন্ত) ব্রিটিশদের যেসব যোদ্ধারা মারা যেত তাদের স্মরণে সাউথ আফ্রিকার কেপ টাউনে ১ মিনিট নিরবতা পালন করা হতো। এই নিরবতা পালনের বিষয়টি রয়টার্সের একজন সাংবাদিক লেখালেখির মাধ্যমে কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে ছড়িয়ে দেয় এবং যা পরে কালচারে প্রবেশ করে যায়।
এছাড়া আরো জানা যায়- একজন অস্ট্রেলীয় সাংবাদিক এডওয়ার্ড জর্জ হানি ব্রিটেনের “লন্ডন ইভিনিং নিউজ” পত্রিকায় ১৯১৯ সালে একটি চিঠিতে লেখে, “১৯১৮ সালের নভেম্বরে শেষ হওয়া প্রথম বিশ্ব যুদ্ধে মারা যাওয়া সৈনিকদের জন্য যেন ৫ মিনিট নিরবতা পালন করা হয়”।
পরবর্তীতে রাজনীতিবিদ পার্সি ফিতযপ্যাট্রিক ব্রিটেনের প্রধান সপ্তম জর্জের কাছে এই বিষয়টি পেশ করলে এটি প্রশাসনিকভাবে গৃহীত হয়।
এখন আমার কথা হচ্ছে- ১ মিনিট নিরবতা পালনের বিষয়টি নিশ্চিতভাবে মুসলমানদের কোনো ধর্মীয় অনুষঙ্গ নয়; এটি খ্রিস্টানদের কেবলি একটি বানানো অনুষ্ঠান এতে মুসলমান মৃত ব্যক্তির কোনো লাভ হয় না। কিন্তু আমরা মুসলমানগণ বিশ্বাস করি সওয়াব রেসানীর মাধ্যমে বা মীলাদ শরীফ পাঠে দোয়া করলে তার আমল নামায় সওয়াব লেখা হয় যা তার নাজাতের উসিলা হতে পারে। তাহলে কেন এসব অযৌক্তিক অনুষ্ঠান?
দুঃখের বিষয় হচ্ছে- যেখানে আজকাল নিরবতা পালন করা হয় সেখানে অনেক তথাকথিত ধার্মিক ব্যক্তিও থাকে, কিন্তু তাদের অনেকে বাধ্য হয়, অনেকে মেনে নেয় আর অনেকে বিষয়টিকে সামাজিক অনুষ্ঠান মনে করে। কিন্তু প্রতিবাদ কেউ করছে না। যারা এটাকে মেনে নিচ্ছে তাদের আক্বীদায় সমস্যা হচ্ছে। কারণ এই হারাম অনুষ্ঠানকে হালাল মনে করা কুফরী। আর যারা মেনে নিচ্ছে কিন্তু প্রতিবাদ করছে না, এমনকি অন্তর থেকে ঘৃণাও করছে না, তারা সম্মানিত হাদীছ শরীফ অনুযায়ী ঈমানদারের অন্তর্ভুক্ত নয়। কমপক্ষে ঘৃণা করে সরে আসলে দুর্বল ঈমানের পরিচয় হলেও দেয়া যেতে পারতো। অধিকাংশ মানুষ গড্ডালিকা প্রবাহে গা ভাসিয়ে দিয়েছে। কিন্তু আমাদের এইসব অযাচিত আচার অনুষ্ঠানের বিষয়ে এখনই প্রতিবাদ করতে হবে এবং বাদ দিতে হবে এবং প্রতিবাদের মাধ্যমে নিজের ঈমান বাঁচাতে হবে। আসলে কি জানেন? মুসলমানদের মধ্যে যারা ১ মিনিট নিরবতা পালন করে তারাই আবার পবিত্র মীলাদ শরীফ পাঠকে বিদয়াত বলে চিৎকার করছে। এদের জন্যই মুসলিম সমাজের আজকের এই করুণ পরিস্থিতি।
-আল হিলাল।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
পবিত্র দ্বীন ইসলাম নিয়ে কটূক্তির জবাব দেয়া ঈমানের দাবি
১৬ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ফিরে আসো... ফিরে আসো...
১৫ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
যুগের সাথে তাল মিলানো, নাকি শয়তানের সাথে তাল মিলানো?
১৪ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
গণমাধ্যমে খবরে হেডিং হয়েছে, “রমাদ্বান শরীফে বাংলাদেশি পর্যটক না থাকায় কলকাতার ব্যবসায়ীদের মাথায় হাত” “বাংলাদেশিরা না যাওয়ায় হাহাকার আধপেটা থাকছে কলকাতার ব্যবসায়ীরা” “নেই বাংলাদেশি পর্যটক, কলকাতায় মানবেতর পরিস্থিতিতে রিকশাচালকরা”
১৩ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
ব্যক্তির জন্যই রাষ্ট্র, কিন্তু রাষ্ট্রের জন্য ব্যক্তি নয়; আর দ্বীনদার ব্যক্তির জন্য দ্বীন ইসলামই সবচেয়ে বড়
১২ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
ছি! অমুসলিম-বিধর্মীরা কতবেশি দুর্গন্ধময়!!
১০ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
দ্বীনি জ্ঞানশূন্য একজন চিকিৎসকের দ্বীনি বিষয়ে ফতওয়া দেয়া অনধিকার চর্চা, যা জিহালতির শামিল
০৯ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
পাড়ার বখাটে ছেলে.....!
০৮ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
বিজাতীয় শব্দ ব্যবহারে সতর্কতা অবলম্বন করা মুসলমানদের জন্য জরুরী
০৭ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
পবিত্র যাকাত: যা সমস্ত ইবাদত-বন্দেগীকে পূর্ণতা দান করে
০৬ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সর্বশেষ গবেষণায় প্রমাণিত হল- নারিকেল দ্বীপ- আসলে প্রবাল দ্বীপ নয় প্রবাল দ্বীপের নামে পর্যটক বন্ধকরণ নেহায়েত ষড়যন্ত্র
০৫ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
অমুসলিম-বিধর্মীদের যারা ‘বন্ধু বা ভাই’ বলতে চায়, তারা কি করে ঈমানদার হতে পারে?
০৪ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার)