মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “যে ব্যক্তি সম্মানিত দ্বীন ইসলাম ব্যতিত অন্যকোন নিয়ম-নীতি, তর্জ-তরীক্বা, আইন-কানুন তালাশ করবে বা আমল করবে, তার থেকে সেটা কবুল করা হবে না। আর সে পরকালে অর্থাৎ ইহ ও পর উভয়কালে ক্ষতিগ্রস্থদের অন্তর্ভুক্ত হবে।”
সম্মানিত শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে মুসলমান উনাদের জন্য- কোনো অবস্থাতেই সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনাকে বাদ দিয়ে সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার খেলাফ বেদ্বীনী-বদদ্বীনী, নিয়ম-নীতি, তর্জ-তরীকা, আইন-কানুন, গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, রাজতন্ত্র ইত্যাদি তালাশ করা, গ্রহণ করা, আমল করা, অনুসরণ করা জায়িয নেই; বরং সম্পূর্ণরূপে হারাম ও কুফরী।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশে শতকরা ৯৮ ভাগ মুসলমান। তাই, বাংলাদেশে প্রশাসনসহ সকলের জন্য ফরয হচ্ছে- সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনাকেই পরিপুর্ণরূপে অনুসরণ, অনুকরণ করা ও করানোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা। কারণ, প্রশাসনের সকলের জন্য এ বিষয়টা ভালভাবে জেনে রাখা দরকার যে, বাংলাদেশের শতকরা ৯৮ ভাগ মুসলমানগণ কখনোই পবিত্র দ্বীন ইসলাম ব্যতিত অন্য কোন তর্জ-তরীকা গ্রহণ করবেনা।
, ১০ ছফর শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ১৮ ছালিছ, ১৩৯২ শামসী সন , ১৬ আগষ্ট, ২০২৪ খ্রি:, ০১ ভাদ্র , ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) মহাপবিত্র ক্বওল শরীফ-১

রহমাতুল্লিল ‘আলামীন, ছাহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, ইমামুল আইম্মাহ্, মুজাদ্দিদুয যামান, কুতুবুল আলম, মুহইউস সুন্নাহ, মাহিউল বিদয়াহ, গাউছুল আ’যম, আযীযুয যামান, ক্বইউমুজ জামান, আল জাব্বারিউল আউওয়াল, আল ক্বউইউল আউওয়াল, আস সাফফাহ, হাবীবুল্লাহ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মাওলানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, সম্মানিত শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে মুসলমান উনাদের জন্য কোনো অবস্থাতেই সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনাকে বাদ দিয়ে সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার খেলাফ বেদ্বীনী-বদদ্বীনী, নিয়ম-নীতি, তর্জ-তরীকা, আইন-কানুন, গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, রাজতন্ত্র ইত্যাদি তালাশ করা, গ্রহণ করা, আমল করা, অনুসরণ করা জায়িয নেই; বরং সম্পূর্ণরূপে হারাম ও কুফরী।
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, এ প্রসঙ্গে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি একদা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিকট আসলেন এবং বললেন ইয়া রসূল্লাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমরা ইহুদীদের কাছ থেকে অনেক সুন্দর সুন্দর কথা শুনি, আমরা কি তা লিখে রাখব। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ইহুদী-নাছারারা যেভাবে বিভ্রান্ত হয়েছে আপনারা ও কি সেভাবে বিভ্রান্ত হতে চান। অথচ আমি আপনাদের জন্য উত্তম এবং পরিপূর্ণ দ্বীন নিয়ে এসেছি। ইহুদীদের যিনি নবী ও রসূল হযরত কালীমুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি যদি আজকে হায়াতে থাকতেন তবে উনার জন্যও ফরয হয়ে যেত আমাকে অনুস্বরণ করা। সুবহানাল্লাহ!
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, যদি তাই হয়ে থাকে তবে মুসলমানদের জন্য কাফির-মুশরিকদের নিয়মনীতি তর্জ-তরীক্বা অনুসরণ করা কি করে জায়িয হতে পারে। তাই মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, যে ব্যক্তি সম্মানিত দ্বীন ইসলাম ব্যতিত অন্যকোন নিয়ম-নীতি, তর্জ-তরীক্বা, আইন-কানুন তালাশ করবে বা আমল করবে, তার থেকে সেটা কবুল করা হবে না। আর সে পরকালে অর্থাৎ ইহ ও পর উভয়কালে ক্ষতিগ্রস্থদের অন্তর্ভুক্ত হবে।
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, উল্লেখ্য, বাংলাদেশে শতকরা ৯৮ ভাগ মুসলমান। তাই, বাংলাদেশে প্রশাসনসহ সকলের জন্য ফরয হচ্ছে- সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনাকেই পরিপুর্ণরূপে অনুসরণ, অনুকরণ করা ও করানোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা। কারণ, প্রশাসনের সকলের জন্য এ বিষয়টা ভালভাবে জেনে রাখা দরকার যে, বাংলাদেশের শতকরা ৯৮ ভাগ মুসলমানগণ কখনোই পবিত্র দ্বীন ইসলাম ব্যতিত অন্য কোন তর্জ-তরীকা গ্রহণ করবেনা।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
আজ সুমহান বরকতময় মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ২৬শে যিলহজ্জ শরীফ। সুবহানাল্লাহ! নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আল খ্বামিসাহ আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নিসবতে আযীমাহ শরীফ সম্পন্ন হওয়ার দিবস। সুবহানাল্লাহ!
২৩ জুন, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
আজ সুমহান বরকতময় ঐতিহাসিক মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ২৫শে যিলহজ্জ শরীফ। সুবহানাল্লাহ! আমীরুল মু’মিনীন, খলীফাতুল মুসলিমীন, সাইয়্যিদুনা হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম উনার মহাসম্মানিত খিলাফত মুবারক উনার দায়িত্ব গ্রহণের সুমহান দিবস। সুবহানাল্লাহ! পাশাপাশি আওলাদে রসূল, ত্বহিরা, ত্বইয়্যিবা, সাইয়্যিদাতুনা হযরত শাহ নাওয়াদী আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত আক্বীক্বা মুবারক উনার দিবস। সুবহানাল্লাহ!
২২ জুন, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
বাংলাদেশে ১৪৪৭ হিজরী সনের পবিত্র মুহররমুল হারাম শরীফ মাসের চাঁদ তালাশ করতে হবে- আগামী ২৯শে যিলহজ্জ শরীফ ১৪৪৬ হিজরী, ২৭শে আউওয়াল ১৩৯৩ শামসী, ২৬শে জুন ২০২৫ খৃঃ. ইয়াওমুল খমীস (বৃহস্পতিবার) দিবাগত সন্ধ্যায়। এ মহাসম্মানিত মাসে মহাপবিত্র আশুরা শরীফসহ অসংখ্য মহাসম্মানিত আইয়্যামুল্লাহ শরীফ রয়েছেন। সুবহানাল্লাহ!
২১ জুন, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
৯৮ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত দেশের সরকারের জন্য ফরয- পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের দ্বারা নিষিদ্ধ বা হারাম প্রমাণিত ছবির ব্যবহার এবং ছবি সংশ্লিষ্ট সমস্ত বিষয় বন্ধ করে দেয়া এবং এ ব্যাপারে দৃঢ় পদক্ষেপ নেয়া। দেশী ও বিদেশী সিনেমা, টিভি চ্যানেলে ও বিলবোর্ডে প্রদর্শিত অশ্লীল ছবি, অশ্লীল প্রিন্ট ছবিই নারী নির্যাতনসহ সকল প্রকার অপকর্মের আসল কারণ। অর্থাৎ প্রাণীর ছবিই সকল ফিৎনার মূল।
২০ জুন, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
পুরুষদের জন্য গুটলীযুক্ত, গোল, কোণাবন্ধ ও নিসফুস সাক্ব ক্বমীছ, ইযার বা লুঙ্গি, ইমামাহ বা পাগড়ী, টুপি, রুমাল পবিত্র সুন্নতী পোশাক। মহিলাদের জন্য সেলোয়ার ক্বামীছ, ওড়না, বোরকা ইত্যাদি খাছ ইসলামী ও পবিত্র সুন্নতী পোশাক। এর খেলাফ সমস্ত পোশাকই বিধর্মীদের পোশাক। যা পরিধান করা হারাম।
১৯ জুন, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
প্রত্যেক মুসলমানের জন্য ফরজ হলো- নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহান শান মুবারক সম্পর্কে কটূক্তির বিরুদ্ধে শক্ত প্রতিবাদ করা।
১৮ জুন, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
মহাসম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার ফতওয়া অনুযায়ী- মুসলমানদের জন্য কোনো অবস্থাতেই বিধর্মীদেরকে অনুসরণ-অনুকরণ করা, তাদের সাথে মিল-মুহব্বত রাখা, বন্ধুত্ব করা জায়িয নেই বরং কাট্টা হারাম ও কুফরী।
১৭ জুন, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
প্রত্যেক ব্যক্তি বা সম্প্রদায়ের জন্য ফরয হচ্ছে- মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার সম্মানিত রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের প্রতি বিশুদ্ধ আক্বীদা রেখে উনাদের প্রতিটি আদেশ-নিষেধ মুবারক পরিপূর্ণরূপে পালন করা।
১৫ জুন, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
আজ সুমহান বেমেছাল বরকতময় মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১৯শে যিলহজ্জ শরীফ। সুবহানাল্লাহ! সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ আ’শার আলাইহাস সালাম উনার মহাপবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ! তাই সকলের জন্য দায়িত্ব ও কর্তব্য হচ্ছে- এ মহান দিবস উপলক্ষে মাহফিল করার পাশাপাশি উনাকে মুহব্বত করা, অনুসরণ-অনুকরণ করা ও উনার যথাযথ খিদমত মুবারক উনার আঞ্জাম দেয়া।
১৫ জুন, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
আজ খলীফায়ে ছালিছ, আমীরুল মু’মিনীন সাইয়্যিদুনা হযরত যুন নূরাইন আলাইহিস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র শাহাদাতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস- সুমহান বরকতময় মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১৮ই যিলহজ্জ শরীফ। সুবহানাল্লাহ! এই মহাসম্মানিত দিবস উপলক্ষে সকলের দায়িত্ব ও কর্তব্য হচ্ছে- উনার মহাপবিত্র সাওয়ানেহ উমরী মুবারক আলোচনা করার লক্ষ্যে মাহফিল করা এবং পবিত্র মীলাদ শরীফ পাঠ করা।
১৫ জুন, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার ঘোষণা অনুযায়ী- নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার খাছ খলীফা হিসেবে মনোনীত “পবিত্র সুন্নত মুবারক প্রচার-প্রসারকারীগণ”। আর সে লক্ষ্যেই প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে ‘আন্তর্জাতিক পবিত্র সুন্নত মুবারক প্রচার কেন্দ্র’।
১৪ জুন, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
পবিত্র কুরবানী উনার মূল বিষয়ই হচ্ছে তাক্বওয়া বা খুলূছিয়াত। যারা তাক্বওয়া বা খুলূছিয়াতের সাথে পবিত্র কুরবানী করেছেন, তারাই মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের সন্তুষ্টি-রেযামন্দি মুবারক হাছিল করেছেন।
১৩ জুন, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার)