রহমাতুল্লিল ‘আলামীন, ছাহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, ইমামুল আইম্মাহ্, মুজাদ্দিদুয যামান, কুতুবুল আলম, মুহইউস সুন্নাহ, মাহিউল বিদয়াহ, গাউছুল আ’যম, আযীযুয যামান, ক্বইউমুয যামান, আল জাব্বারিউল আউওয়াল, আল ক্বউইউল আউওয়াল, আস সাফফাহ, হাবীবুল্লাহ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মাওলানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, আমাদের দেশে ‘ইসলামী’ অনৈসলামী’ যত ব্যাংক, বীমা, ইনশিওরেন্স কোম্পানি, মাল্টিপারপাস ব্যাংক, সমবায় সমিতি, এনজিও রয়েছে- তারা সকলেই সুদভিত্তিক লেনদেন করে থাকে। নাউযুবিল্লাহ! অথচ মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং উনার মহাসম্মানিত রসূল নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারা পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদের মধ্যে স্পষ্টভাবে সুদকে হারাম ঘোষণা করেছেন। যেমন এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, আমি তোমাদের জন্য ব্যবসাকে হালাল করেছি, আর রিবা বা সুদকে হারাম করেছি। (সম্মানিত সূরা বাক্বারা শরীফ: সম্মানিত আয়াত শরীফ ২৭৫)

আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি ছহীহ মুসলিম শরীফ উনার বরাত দিয়ে বলেন, হযরত জাবির রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি লা’নত বা অভিসম্পাত করেন যে সুদ খায় তার প্রতি, যে সুদ দেয় তার প্রতি, যে সুদের দলীল লিখে তার প্রতি এবং যে দুই জন সুদের সাক্ষী হয় তাদের প্রতি। তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, গুনাহগার সাব্যস্ত হওয়ার ব্যাপারে তারা সকলেই সমান। নাউযুবিল্লাহ!

আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি মসনদে আহমদ শরীফ, দারে কুতনী শরীফ, বায়হাক্ব শরীফ উনাদের বরাত দিয়ে বলেন, হযরত আবদুল্লাহ ইবনে হানযালা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমা উনার থেকে বর্ণিত, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, যে ব্যক্তি জেনে-শুনে এক দিরহাম সুদ খায়, তার গুনাহ ছত্রিশবার ব্যাভিচারের চেয়েও বেশি। নাউযুবিল্লাহ!

আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মূল কথা হলো- সম্মানিত শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে- রিবা বা সুদ দেয়া-নেয়া ও খাওয়া সম্পূর্ণরূপে হারাম ও কঠিন কবীরা গুনাহ। রিবা বা সুদ খোরের কোনো ইবাদত মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট কবুল হয় না। তাই প্রত্যেক মুসলমান পুরুষ-মহিলা সকলের জন্য ফরয হচ্ছে- রিবা বা সুদ দেয়া-নেয়া ও খাওয়া অর্থাৎ সুদ সংশ্লিষ্ট সকল বিষয় থেকে দূরে থাকা। আর ৯৮ ভাগ মুসলমান ও রাষ্ট্রদ্বীন ইসলাম উনার দেশের সরকারে জন্যও ফরয হচ্ছে- ব্যাংক, বীমা, অফিস-আদালতসহ সকল ক্ষেত্রে সুদভিত্তিক লেনদেন সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করে দেয়া।