মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র সূরা আনআম শরীফ উনার ১৪১নং পবিত্র আয়াত শরীফে ইরশাদ মুবারক করেন, “ফসল কাটার সময় তার হক (উশর) আদায় করো। ”
সম্মানিত হানাফী মাযহাব উনার ফতওয়া মুতাবিক- উৎপাদিত শস্য ও ফলমূল অল্প হোক বা বেশি হোক সব ফসলের উশর তথা ফসলের যাকাত আদায় করা ফরয।
তাই, প্রত্যেকের জন্য দায়িত্ব-কর্তব্য হলো- সম্মানিত শরীয়ত উনার নির্দেশ মুবারক অনুযায়ী যথাযথভাবে উশর বা ফসলের যাকাত আদায় করা।
, ০৪ রজবুল হারাম শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ১৯ সামিন, ১৩৯১ শামসী সন , ১৭ জানুয়ারি, ২০২৪ খ্রি:, ০২ মাঘ, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) মহাপবিত্র ক্বওল শরীফ-১
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, উশর সম্পর্কে পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে একাধিক পবিত্র আয়াত শরীফ বর্ণিত হয়েছে। এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র সূরা বাক্বারা শরীফ উনার ২৭৬নং পবিত্র আয়াত শরীফে ইরশাদ মুবারক করেন, “তোমরা তোমাদের উপার্জিত হালাল সম্পদ হতে এবং যা আমি তোমাদের জন্যে যমীন হতে উৎপন্ন করেছি তা হতে দান করো। ”
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র সূরা আনআম শরীফ ১৪১নং পবিত্র আয়াত শরীফে আরো ইরশাদ মুবারক করেন, “ফসল কাটার সময় তার হক (উশর) আদায় করো। ” অর্থাৎ যমীন থেকে উৎপাদিত ফল ও ফসলের যাকাতকে উশর বলে। ফল ও ফসলের ১০ ভাগের ১ ভাগ সম্মানিত যাকাত হিসেবে আদায় করাকে উশর বলে। আর ফল ও ফসলের ২০ ভাগের ১ ভাগ সম্মানিত যাকাত হিসেবে আদায় করাকে নিছফু উশর বলে।
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে উল্লেখ রয়েছে, “হযরত সালিম ইবনে আব্দুল্লাহ রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার পিতা থেকে বর্ণনা করেন। নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, বৃষ্টির পানি, প্রবাহিত ঝর্ণার পানি বা মাটির স্বাভাবিক আর্দ্রতা থেকে (কোন সেচ ব্যবস্থা ছাড়া) আপসে আপ যে ফল বা ফসলাদি উৎপাদিত হয়, সে ফল ও ফসলের এক দশমাংশ (১০ ভাগের এক ভাগ বা ১০%) সম্মানিত যাকাত হিসেবে প্রদান করতে হবে (আরবীতে যাকে উশর বলে)। আর সেচের মাধ্যমে যে ফল বা ফসল উৎপন্ন হয় তা থেকে এক-দশমাংশের অর্ধেক (২০ ভাগের এক ভাগ বা ৫%) সম্মানিত যাকাত আদায় করতে হবে (আরবীতে যাকে নিছফু উশর বলে)। ”
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, অপর এক বর্ণনায় বর্ণিত রয়েছে, “হযরত আবূ হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, বৃষ্টির পানি অথবা ঝর্ণার পানি দ্বারা সিক্ত যমীনের উৎপন্ন ফসলের এক-দশমাংশ এবং সেচের পানি দ্বারা সিক্ত যমীনের উৎপন্ন ফসলের এক-বিংশ অংশ যাকাত দিতে হবে। ”
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদের নির্দেশ অনুযায়ী সম্মানিত হানাফী মাযহাব উনার ফতওয়া মুতাবিক ধান, গম, যব, খেজুর ও আঙ্গুর প্রভৃতি শস্য ও ফলমূল বিনা সেচে বৃষ্টির পানিতে উৎপন্ন হলে- অল্প হোক বা বেশি হোক সেই ফসলের ১০ ভাগের ১ ভাগ যাকাত হিসেবে দিতে হয়। ইহাকে সাধারণতঃ ‘উশর’ বলে। এই সকল ফসল সেচ বা পরিশ্রম দ্বারা উৎপন্ন হলে উহার نصف العشر বা ২০ ভাগের ১ ভাগ সম্মানিত যাকাত হিসেবে দিতে হয়। উদাহরণস্বরূপ কারো যমীনে পরিশ্রমের মাধ্যমে ৫০ মণ ধান উৎপন্ন হলো তাকে নিছফু উশর অর্থাৎ বিশ ভাগের ১ ভাগ উশর প্রদান করতে হবে, অর্থাৎ ২.৫ মণ ধান উশর হিসেবে দিতে হবে। আর যদি বিনা পরিশ্রমে উৎপন্ন হয় তাহলে উশর তথা দশ ভাগের একভাগ ধান দিতে হবে, অর্থাৎ ৫ মণ ধান উশর হিসেবে দিতে হবে।
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মূলকথা হলো- সম্মানিত হানাফী মাযহাব উনার ফতওয়া মুতাবিক- উৎপাদিত শস্য ও ফলমূল অল্প হোক বা বেশি হোক সব ফসলের উশর তথা ফসলের যাকাত আদায় করা ফরয। তাই, প্রত্যেকের জন্য দায়িত্ব-কর্তব্য হলো- সম্মানিত শরীয়ত উনার নির্দেশ মুবারক অনুযায়ী যথাযথভাবে উশর বা ফসলের যাকাত আদায় করা।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার শতকরা ৯৮ ভাগই মুসলমান আর রাষ্ট্রদ্বীন হচ্ছেন সম্মানিত দ্বীন ইসলাম। তাই সর্বক্ষেত্রেই পবিত্র দ্বীন ইসলাম ও মুসলমানদের একক আধিপত্য ও প্রাধান্য থাকবে। সুবহানাল্লাহ! তথাকথিত সংখ্যালঘুর দোহাই দিয়ে মাত্র দু’ভাগ বিধর্মীকে প্রাধান্য দেয়া সংখ্যাগুরু মুসলমানদেরকে অধিকার বঞ্চিত করার শামিল। যা মুসলমানদের জন্য কখনোই বরদাশ্ত করা সম্ভব নয়।
০৭ মে, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা হচ্ছেন- একমাত্র মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অর্থাৎ উনারা ব্যতীত সমস্ত হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনারাসহ সমস্ত জিন-ইনসান, সমস্ত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালামসহ তামাম কায়িনাতবাসী সকলেরই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মাতা আলাইহিন্নাস সালাম। সুবহানাল্লাহ!
০৬ মে, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
আজ সুমহান বরকতময় মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ২৫শে শাওওয়াল শরীফ। সুবহানাল্লাহ! আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদাতুন নিসা সাইয়্যিদাতুনা হযরত জাদ্দাতু খলীফাতিল উমাম আলাইহাস সালাম উনার পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ! হযরত আউলিয়ায়ে কিরাম উনারা পুরুষ হোন বা মহিলা হোন; উনাদের পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ দিবস সকলের জন্যই রহমত, বরকত, সাকীনা ও নাজাত লাভের অন্যতম উসীলা। সুবহানাল্লাহ!
০৫ মে, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
আজ বেমেছাল বরকতময় মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ২৪শে শাওওয়াল শরীফ। সুবহানাল্লাহ! নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে সাইয়্যিদাতুন নিসা, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আস সাদিসাহ আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত নিসবতে আযীমাহ মুবারক দিবস। সুবহানাল্লাহ!
০৪ মে, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
বাংলাদেশে পবিত্র যিলক্বদ শরীফ মাস উনার চাঁদ তালাশ করতে হবে আগামী ২৯শে শাওওয়াল শরীফ ১৪৪৫ হিজরী, ১০ই ছানী আশার ১৩৯১ শামসী, ৯ই মে ২০২৪ খৃঃ, ইয়াওমুল খমীস (বৃহস্পতিবার) দিবাগত সন্ধ্যায়। সউদী ওহাবী ইহুদী সরকার বিগত আরবী মাসগুলো যেভাবে শুরু করেছে তাতে এটা নিশ্চিত যে, এ বছরেও পবিত্র হজ্জ বাতিল করার গভীর ষড়যন্ত্র হচ্ছে। নাউযুবিল্লাহ!
০৩ মে, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
আজ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ২১শে শাওওয়াল শরীফ। যা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বিশ্ব বাল্যবিবাহ দিবস হিসেবে মশহূর। সুবহানাল্লাহ! এই মহাসম্মানিত দিবসে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম উনার ৬ বৎসর বয়স মুবারকে আক্বদ মুবারক ও ৯ বৎসর বয়স মুবারকে পবিত্র নিসবাতুল আযীমাহ মুবারক সম্পন্ন হয়।
০১ মে, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
আজ সুমহান বরকতময় মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ২০শে শাওওয়াল শরীফ। সুবহানাল্লাহ! যা সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, উম্মুল মাসাকীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আল খ¦মিসাহ আলাইহাস সালাম উনার মহাপবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ! এ মহান দিবস উপলক্ষে সকলের জন্য দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে- উনার মহাপবিত্র সাওয়ানেহ উমরী মুবারক আলোচনা করার লক্ষ্যে মাহফিল করা এবং পবিত্র মীলাদ শরীফ পাঠ করা।
৩০ এপ্রিল, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
আজ সুমহান বরকতময় মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১৯শে শাওওয়াল শরীফ। সুবহানাল্লাহ! যেই বিশেষ দিনটি হলো আখাছ্ছুল খাছ হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নিসবাতুল আযীমাহ মুবারক উনার বরকতময় দিন। যা সকলের জন্যই ঈদ বা খুশির দিনও বটে। সুবহানাল্লাহ!
২৯ এপ্রিল, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
আজ সুমহান ও বরকতময় মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১৮ই শাওওয়াল শরীফ। সুবহানাল্লাহ! সাইয়্যিদু শাবাবি আহলিল জান্নাহ, ইবনু খইরি বানাতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম সিবতু রসূল আছ ছালিছ আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ অবস্থায় পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ! উনার পবিত্র শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত মুবারক আলোচনা করার লক্ষ্যে মাহফিল করা এবং পবিত্র মীলাদ শরীফ পাঠ করা সকলের জন্য দায়িত্ব ও কর্তব্য।
২৮ এপ্রিল, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
বাল্যবিবাহ সম্মানিত ওহী মুবারক দ্বারা পবিত্র সুন্নত হিসেবে সাব্যস্ত। সুবহানাল্লাহ! সম্মানিত দ্বীন ইসলাম বা মুসলিম পারিবারিক আইনে বিবাহের নির্দিষ্ট কোনো বয়স নেই। আইন করে বিবাহের বয়স নির্ধারণ করার অর্থ হচ্ছে সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার উপর হস্তক্ষেপ করা। যা কারো জন্যই জায়িয নেই বরং কুফরী। উল্লেখ্য, সরকার ওয়াদা করেছে যে, ‘পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ বিরোধী কোনো আইন পাস হবে না’।
২৭ এপ্রিল, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে কোনো কাফির বা বিধর্মী, বিদয়াতী ও ফাসিকদের প্রশংসা করা, সম্মান দেখানো, তাদের ক্ষেত্রে সম্মানসূচক শব্দ বা বাক্য ব্যবহার করা এবং সম্মানসূচক শব্দ দ্বারা সম্বোধন করাও হারাম এবং কুফরী।
২৬ এপ্রিল, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সুমহান মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ২১শে শাওওয়াল শরীফ হচ্ছেন- ‘আন্তর্জাতিক পবিত্র বাল্যবিবাহ দিবস’। সুবহানাল্লাহ! যা আসতে আর মাত্র ৫ দিন বাকী। সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার ফতওয়া অনুযায়ী- বাল্যবিবাহ জায়িয তো অবশ্যই বরং খাছ সুন্নত মুবারক। সুবহানাল্লাহ!
২৫ এপ্রিল, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার)