মন্তব্য কলাম
সময় চেয়েও চার মাসে প্রধান উপদেষ্টার সাক্ষাৎ পাননি, বিজিএমইএ সভাপতি ২৭ বছর ধরে ব্যবসা করি, এমন ধস বাংলাদেশের ইতিহাসে হয়নি- গার্মেন্টস ব্যবসায়ী ইকবাল পোশাকশিল্পে মহা বিপর্যয়
, ০৭ জুমাদাল ঊলা শরীফ, ১৪৪৭ হিজরী সন, ০১ সাদিস, ১৩৯৩ শামসী সন , ৩০ অক্টোবর, ২০২৫ খ্রি:, ১৪ কার্তিক, ১৪৩২ ফসলী সন, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) মন্তব্য কলাম
একের পর এক কারখানা বন্ধ, চট্টগ্রামেই কর্মহীন ৬০ হাজার শ্রমিক
এক বছরে ২৫৮টি রফতানিমুখী তৈরি পোশাক কারখানা বন্ধ
রপ্তানি সহায়তা কমিয়েছে সরকার।
এমন একটা সময়ে এই সহায়তা কমানো হলো যখন উদ্যোক্তারা কঠিন সময় পার করছেন।
সরকারের মধ্যে ঘাপটি মেরে থাকা ভারত-মার্কিনী এজেন্টদের ষড়যন্ত্রে
মুখ থুবরে পড়তে যাচ্ছে রপ্তানী মুখী গার্মেন্টস থেকে দেশীয় বস্ত্রখাত।
বেকার হচ্ছে লাখ লাখ শ্রমিক
সব মিলিয়ে যেন দুর্যোগ আর দুর্ভিক্ষের ঘনঘটা আসছে। (নাউযুবিল্লাহ)
রাজনৈতিক নেতারা যেনো চেয়ে চেয়ে দেখছেন।
দেশের মালিক জনগণকেই জনস্বার্থে জেগে উঠতে হবে ইনশাআল্লাহ
বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পের বর্তমান সংকট ও নীতিগত বিষয় নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকের জন্য চার মাস ধরে সময় চেয়েও সাক্ষাৎ পাননি বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বাবু।
মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) রাজধানীর উত্তরায় বিজিএমইএ কমপ্লেক্স ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই অভিযোগ করেন।
বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, “কারও সঙ্গে আলোচনায় বসে সমাধান খোঁজা প্রয়োজন। কিন্তু আমরা চার মাস ধরে বারবার সময় চেয়েও প্রধান উপদেষ্টার সাক্ষাৎ পাইনি।
অথচ স্পেসএক্সের ভাইস প্রেসিডেন্ট দেশে এলে তার সঙ্গে বৈঠক হয়- যে কোম্পানি ১০০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করতে চায়। কিন্তু ৪০ বিলিয়ন ডলারের তৈরি পোশাক খাতের প্রতিনিধিদের সঙ্গে দেখা করার সময় পাওয়া যায় না। ”
অভিজ্ঞমহল মন্তব্য করেছেন, সরকারের মধ্যে ঘাপটি মেরে থাকা আমেরিকা-ভারতের এজেন্টদের কারণে তৈরি পোশাকসহ দেশের সামগ্রিক উৎপাদনমুখী শিল্প এখন নজিরবিহীন ধ্বংসের মুখে।
উল্লেখ্য, “টিসিসি ও ওয়ার্কিং কমিটির দীর্ঘ আলোচনার পর ট্রেড ইউনিয়ন গঠনের ক্ষেত্রে ধাপে ধাপে শ্রমিকসংখ্যা নির্ধারণে একটি ভারসাম্যপূর্ণ প্রস্তাব গৃহীত হয়েছিল। প্রথম ধাপে ৫০ থেকে ৫০০ শ্রমিকের কারখানায় ন্যূনতম ৫০ জন শ্রমিকের সম্মতিতে ইউনিয়ন গঠনের সুযোগ রাখা হয়। কিন্তু বর্তমানে উপদেষ্টা পরিষদের সভায় একতরফাভাবে সেটি পরিবর্তন করে ২০-৩০০ শ্রমিক করা হয়েছে এবং ধাপ করা হয়েছে পাঁচটি। ”
বিজিএমইএ সভাপতির মতে, এই সিদ্ধান্ত বাস্তবতা বিবর্জিত ও অযৌক্তিক। তিনি বলেন, “মাত্র ২০ জন শ্রমিক দিয়ে একটি ইউনিয়ন গঠন করা হলে তাতে এমন ব্যক্তিরা যুক্ত হতে পারেন, যারা কারখানার সঙ্গে সরাসরি সংশ্লিষ্ট নন। এতে শ্রমিকদের মধ্যে অন্তঃদ্বন্দ্ব, শিল্পে অস্থিতিশীলতা এবং উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হবে। শ্রমিকদের কল্যাণে নেয়া ভবিষ্যৎ তহবিল ও সার্বজনীন পেনশন- দুইটি স্কিমই নেয়ার সুযোগ প্রশাসনিক জটিলতা, কারখানার ব্যয় বাড়ানো ও তহবিল ব্যবস্থাপনায় বিশৃঙ্খলা তৈরি করবে।
পাশাপাশি বিনিয়োগকারীদের আস্থা কমবে ও উদ্যোক্তারা নতুন প্রতিষ্ঠান স্থাপন বা পরিচালনায় নিরুৎসাহিত হবেন। ”
পর্যবেক্ষক মহল মনে করেন কার্যত তাই হচ্ছে।
২৭ বছর ধরে ব্যবসা করি,
এমন ধস বাংলাদেশের ইতিহাসে হয়নি- গার্মেন্টস ব্যবসায়ী ইকবাল
আমার কয়েকটা বায়ারের সাথে কথা হয়েছে। তারা বাংলাদেশের ব্যবসা অন্য জায়গায় ঘুরিয়ে নেওয়ার জন্য চিন্তা করতেছে। আমি সাতাশ বছর ধরে বিজনেস করছি। এমন কখনোই হয় নাই বাংলাদেশের ইতিহাসে।
বর্তমান অবস্থা যদি থাকে তাহলে বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের মেরুদন্ড ভেঙে পড়বে। বহিঃবিশ্বের অনেক অর্ডার আমাদের সুইটা যাচ্ছে এবং বিদেশি বায়ারেরা মনখন্য করছে। বর্তমান প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য তেমন একটা ভালো যাচ্ছে না। যে বাংলাদেশে বারবার আগুন লাগছে।
এই কারণে বহিঃবিশ্বের অনেক অর্ডার আমাদের সুইটে যাচ্ছে এবং বিদেশি বায়ারেরা মনখন্য করছে এবং বাংলাদেশের অনেক অর্ডারই ভিয়েতনাম এবং চায়নার দিকে ওরা নিয়ে যাচ্ছে।
আমি গত সপ্তাহে ইউরোপে ভিজিট করে আসছি। স্পেন, ডেনমার্ক, সুইডেন সেখানে আমার কয়েকটা বায়ারের সাথে কথা হয়েছে। তারা বাংলাদেশের ব্যবসা অন্য জায়গায় ঘুরিয়ে নেওয়ার জন্য চিন্তা করতেছে। শুধুমাত্র ব্যবসায়িক পরিবেশের জন্যে।
বর্তমান অবস্থা যদি থাকে তাহলে বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের মেরুদন্ড ভেঙ্গে পড়বে এবং এবডিসিসিআই বর্তমানে কোন কার্যক্রমে নাই। প্রশাসক নিয়োগ দেয়া আছে। কিন্তু তারা কোন কাজ করতে পারতেছে না।
এবডিসিসিআইকে এগিয়ে নিতে হলে বিজনেস সেক্টরে এগিয়ে নিতে হলে একজন ব্যবসায়ী প্রতিনিধিকে এফডিসিসিআই প্রেসিডেন্ট করতে হবে।
আমি ২৭ বছর ধরে বিজনেস করছি। এমন কখনো হয় নাই বাংলাদেশের ইতিহাসে, আমি জানি না এবং আমি ২০ সাল থেকে এই ২৫ বছর যে ব্যবসা করছি।
একনাগাড়ে ব্যবসা করছি কিন্তু এমন আমাদের এখন যে পরিস্থিতি চলছে এই পরিস্থিতি আমাদের কখনই আসে নাই।
চট্টগ্রামেও একের পর এক কারখানা বন্ধ, কর্মহীন ৬০ হাজার শ্রমিক
এদিকে সংঘর্ষ ও অগ্নিকা-ের ঘটনায় দিশাহারা হয়ে পড়েছে চট্টগ্রাম রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলের (সিইপিজেড) শিল্পপরিবেশ। ধারাবাহিকভাবে কারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বেকার শ্রমিকের সংখ্যা বাড়ছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত এক বছরে চট্টগ্রামে অর্ধশতাধিক ছোট-বড় পোশাক কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। চাকরি হারিয়েছেন অন্তত ৬০ হাজার শ্রমিক। এর মধ্যে চলতি অক্টোবর মাসেই বেকার হয়েছেন প্রায় ৪০ হাজার শ্রমিক।
গত ১৭ অক্টোবর শ্রমিক অসন্তোষের জেরে দেশের বৃহত্তম তৈরি পোশাক রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান প্যাসিফিক জিন্স গ্রুপের আটটি কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এসব কারখানায় কাজ করা ৩৫ হাজার শ্রমিক এখন বেকার। এর ঠিক এক দিন আগে সিইপিজেডের অ্যাডামস ক্যাপস ও জিহং মেডিক্যাল প্রোডাক্টসের আটতলা ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকা- ঘটে। ১৭ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে আগুন জ্বলতে থাকে। এতে হাজার কোটি টাকার সম্পদ পুড়ে যায় এবং প্রায় ৩ হাজার শ্রমিকের কর্মসংস্থান অনিশ্চিত হয়ে পড়ে।
চট্টগ্রাম শিল্প পুলিশ-৩ এর তথ্যমতে, চট্টগ্রাম অঞ্চলে বিজিএমইএ, বিকেএমইএ ও বিটিএমই এর আওতাধীন মোট পোশাক কারখানার সংখ্যা ৫৮০টি। এর মধ্যে বর্তমানে চালু রয়েছে ৫২৮টি। কার্যাদেশ না থাকায় গত এক বছরে অর্ধশতাধিক কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। কারখানা সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ, অর্ডার না থাকা, অর্থের অভাব, ব্যাংক ঋণের জটিলতা এবং শ্রমিক অসন্তোষসহ নানা কারণে তাদের উৎপাদন কার্যক্রম চালু রাখা সম্ভব হচ্ছে না।
এমন পরিস্থতি পোশাকশিল্পে অস্থিরতার নতুন ইঙ্গিত বলে মনে করছেন শিল্প বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, বহু বছর ধরে সফলভাবে রপ্তানি করা প্যাসিফিক জিনসের মতো গ্রুপে বারবার অস্থিরতা দেখা দিলে তা দেশের সামগ্রিক পোশাকশিল্পের ওপর আঘাত আসতে পারে। নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে রপ্তানি আয়ের ওপর।
কার্যাদেশ কমে যাওয়ার পাশাপাশি রাজনৈতিক অস্থিরতা ও ব্যাংকিং জটিলতার কারণেও অনেক কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম বেড়ে যাওয়ায় উৎপাদন খরচ মারাত্মকভাবে বেড়েছে। ট্রেড ইউনিয়ন সক্রিয় থাকায় শ্রমিকরা অনেক সময় যৌক্তিক আবার কখনো অযৌক্তিক আন্দোলন করছে। আবার রাজনৈতিক নেতারা এসব আন্দোলনে ইন্ধন দিচ্ছেন।
সরকারের কাছ থেকেও আমরা প্রত্যাশিত সহযোগিতা পাওয়া যাচ্ছে না।
বিজিএমইএ নেতাদের সঙ্গে সরকারের একাধিক বৈঠক হলেও বাস্তবে কোনো সুফল মেলেনি।
বিনিয়োগ কমে গেছে, ব্যাংকগুলো ঋণ দিতে অনাগ্রহী। দিলেও নানা শর্ত আরোপ করছে। তার ওপর বিভিন্ন দলের নেতারা এসে চাঁদা দাবি করছেন। লোকসান দিয়ে কারখানা চালানোই কঠিন, তার ওপর আবার চাঁদা- এভাবে শিল্প টিকিয়ে রাখা অসম্ভব।
এক বছরে ২৫৮টি রফতানিমুখী তৈরি পোশাক কারখানা বন্ধ হয়েছে: বিজিএমইএ সভাপতি
গত এক বছরে দেশে ২৫৮টি রফতানিমুখী তৈরি পোশাক কারখানা বন্ধ হয়েছে বলে গতকাল জানিয়েছেন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বাবু।
এলডিসি গ্রাজুয়েশন প্রসঙ্গে বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, নিরবচ্ছিন্ন জ্বালানি সরবরাহ-সহ ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিতের আগেই আগামী বছরই এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন হলে পিছিয়ে পড়বে দেশ, কমবে বিনিয়োগ ও রফতানি আয়।
এসময় চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা না বাড়িয়ে মাশুল ৪১ শতাংশ করা অযৌক্তিক বলেও মন্তব্য করেন মাহমুদ হাসান খান বাবু। তিনি বলেন, একলাফে ৪১ শতাংশ মাশুল বাড়ানোর সিদ্ধান্ত বিপর্যয় ডেকে আনবে রফতানি বাণিজ্যে।
এসময় শিল্পবান্ধব নীতিকৌশল সাজাতে অবশ্যই শিল্প নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত নেয়ার তাগিদ আসে বিজিএমইএর জরুরি সংবাদ সম্মেলন থেকে। রফতানিমুখী তৈরি পোশাক শিল্পের নেতাদের দাবি, বর্তমান সরকার বিদেশিদের কথা মতো চলতে বেশি পছন্দ করে, তাই ব্যাবসা-বাণিজ্যে নতুন নতুন সমস্যা দেখা দিচ্ছে। মাহমুদ হাসান খান বাবু বলেন, দেশীয় উদ্যোক্তাদের সময় না দিয়ে বিদেশিদের সময় দিলে রফতানি বাণিজ্য যে ক্ষতি হবে তার দায় প্রধান উপদেষ্টাকেই নিতে হবে।
অন্যদিকে শিল্প পুলিশের তথ্য আরও ভিন্ন বাস্তবতা তুলে ধরছে। তাদের হিসাবে, গত এক বছরে পোশাক কারখানাসহ ২৫৮টি কারখানা স্থায়ীভাবে বন্ধ হয়েছে, যেখানে কর্মরত ছিলেন প্রায় এক লাখ চার হাজার শ্রমিক। এর মধ্যে ৫৭টি কারখানা সরাসরি রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের কারণে বন্ধ হয়েছে, যেগুলোর মালিক আওয়ামীপন্থী ব্যবসায়ী ছিলেন।
২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর থেকে কারখানা বন্ধের প্রবণতা তীব্র হয়ে ওঠে। অনেক মালিক বিদেশে অবস্থান করায় কারখানা কার্যক্রম ব্যাহত হয়। ব্যবসায়ীরা জানাচ্ছেন, রাজনৈতিক অস্থিরতায় বিদেশি ক্রেতাদের আস্থা নষ্ট হচ্ছে। অনেকেই অর্ডার অন্য দেশে সরিয়ে নিচ্ছেন, যার ফলে কার্যাদেশ সংকটে পড়েছে কারখানাগুলো।
বিজিএমইএ সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বাবু লেন বলেন, “কারখানা খোলা এবং বন্ধ হওয়া একটি চলমান প্রক্রিয়া। তবে রাজনৈতিক অস্থিরতা এই প্রক্রিয়াকে আরও জটিল করেছে। অনেক মালিক দেশে না থাকায় ব্যবসা বাধাগ্রস্ত হয়েছে। ফলে কিছু কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। যদিও নতুন কারখানাও চালু হচ্ছে, কিন্তু বন্ধ হয়ে যাওয়া কারখানার শ্রমিকদের অর্ধেকেরও বেশি নতুন কর্মসংস্থান পাচ্ছেন না। ”
ব্যবসায়ীরা বলছেন, কারখানা চালু রাখতে ব্যাংক ঋণ এখন অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ। ব্যাংক ঋণের সুদের হার বেড়ে যাওয়া, ডলার সংকট এবং এলসি জটিলতার কারণে প্রয়োজনীয় কাঁচামাল আমদানি কঠিন হয়ে পড়েছে। আবার বৈদেশিক ক্রেতারা নানা শর্ত আরোপ করে অর্ডার দিচ্ছেন, যা পূরণ করা অনেক কারখানার পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না।
“বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত দীর্ঘদিন ধরে রপ্তানির মেরুদ-। কিন্তু বর্তমানে বহুমাত্রিক সংকটে পড়ে এই খাত অচল হয়ে পড়ছে। ব্যাংকঋণের জটিলতা, ডলার সংকট ও রাজনৈতিক অস্থিরতা একসঙ্গে খাতটিকে দুর্বল করে দিয়েছে। সরকার যদি জরুরি ভিত্তিতে উদ্যোগ না নেয়, তবে এর প্রভাব জাতীয় অর্থনীতিতে ভয়াবহ হবে। ”
“বাংলাদেশের পোশাক খাতে একটি স্থায়ী অস্থিরতা চলছে। অথচ বৈশ্বিক বাজারে বাংলাদেশের জন্য সুযোগ তৈরি হচ্ছে-মার্কিন শুল্কযুদ্ধ বাংলাদেশের রপ্তানিকে বাড়তি সুবিধা দিতে পারে। যদি আমরা এই সুযোগ কাজে লাগাতে না পারি, বরং কারখানা বন্ধ হতে থাকে, তাহলে জাতীয় অর্থনীতি ভয়াবহ আঘাত পাবে। কর্মসংস্থান সঙ্কুচিত হবে, দারিদ্র্য বাড়বে, আর বিদেশি ক্রেতারা ধীরে ধীরে বাংলাদেশ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে। ”
রপ্তানি সহায়তা কমিয়েছে সরকার।
অপরদিকে সরকারের নতুন নির্দেশনায় বলা হয়েছে, চলতি (২০২৪) সালের ১ জানুয়ারি থেকে আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত জাহাজি করা পণ্যের ক্ষেত্রে বিদ্যমান ৪৩টি খাতে রপ্তানিতে প্রণোদনা বা নগদ সহায়তা দেওয়া হবে। এখন দশমিক ৫০ শতাংশ থেকে সর্বোচ্চ ১৫ শতাংশ হারে এ নগদ সহায়তা পাবেন রপ্তানিকারক। এর আগে যেটা ছিল ১ শতাংশ থেকে সর্বোচ্চ ২০ শতাংশ পর্যন্ত।
রপ্তানি সহায়তা কমিয়েছে সরকার। যেটা চলতি মাস থেকে কার্যকর হবে। কয়েকটি ক্যাটাগরির রপ্তানিতে পণ্য সহায়তা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। এ সিদ্ধান্তের ফলে টি-শার্টসহ পোশাক রপ্তানির বড় পণ্যে সুবিধা থাকছে না। নতুন বাজারে সহায়তা কমানো হয়েছে। এতে আরও চাপ তৈরি করবে, বাধাগ্রস্ত হবে অর্থনীতি।
দেশীয় বস্ত্র খাতে শুল্ক বন্ড ও ডিউটি ড্র-ব্যাকের পরিবর্তে বিকল্প নগদ সহায়তা ৩ শতাংশ করা হয়েছে, আগে যেটা ছিল ৪ শতাংশ। ইউরো অঞ্চলে বস্ত্র খাতের প্রণোদনার হার ৩ শতাংশের অতিরিক্ত বিশেষ সহায়তাও ২ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১ শতাংশ করা হয়েছে। তবে রপ্তানিকারকদের জন্য নিট, ওভেন ও সোয়েটারসহ তৈরি পোশাক খাতের সব ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প অতিরিক্ত ৪ শতাংশ বহাল আছে। নতুন পণ্য বা নতুন বাজারে রপ্তানিতে ৪ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৩ শতাংশ করা হয়েছে। তৈরি পোশাক খাতে রপ্তানিতে বিশেষ নগদ সহায়তা ১ শতাংশ থেকে কমিয়ে শূন্য দশমিক ৫০ শতাংশ করা হয়েছে। নতুন এ নির্দেশনার ফলে এসব খাতে নির্ধারিত পাঁচটি এইচএস কোডের রপ্তানির বিপরীতে কোনো নগদ সহায়তা মিলবে না।
এমন একটা সময়ে প্রণোদনা তথা রপ্তানি সহায়তা কমানো হলো যখন উদ্যোক্তারা কঠিন সময় পার করছেন।
এমন একটা সময়ে প্রণোদনা কমানো হলো যখন উদ্যোক্তারা কঠিন সময় পার করছেন। কোনো স্টেকহোল্ডারের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলা হয়নি, আলোচনা করা হয়নি। আমরা পাঁচ-ছয় মাস আগে বায়ারকে প্রাইস দিয়েছি, সুতা কিনেছি বেশি দাম দিয়েছি। এ অবস্থায় প্রণোদনা কমানোর সিদ্ধান্ত জানুয়ারি থেকে কার্যকর হলে বিপদে পড়ে যাবেন ছোট ও মাঝারি শিল্প মালিকরা। মুখ থুবড়ে পড়তে পারে, বন্ধ হতে পারে সেগুলো।
গার্মেন্টস ব্যবসায়ীরা বলেছেন, অনেক বিপদের সম্মুখীন হতে হচ্ছে আমাদের, উৎপাদন বেড়েছে, ব্যাংক ঋণের সুদহার বেড়েছে। গ্যাস-ইলেকট্রিসিটির বিল দ্বিগুণ বেড়েছে, ওয়েস্ট বেড়েছে ৫৬ শতাংশ। এ অবস্থার মধ্যে প্রণোদনা কমানোর ফলো অনেক কারখানা বন্ধ হতে পারে, অনেক বড় বড় কারখানাও বেতন দিতে পারবে না। আমরা গ্রো করছিলাম সেই সময়ে ইউরোপ-আমেরিকায় রপ্তানি কমে গেছে। আমরা নতুন বাজারে রপ্তানি করছি, যেটা ভালো করছে তবে সহায়তা বন্ধের ফলে সেটাও বাধাগ্রস্ত হবে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য ইউনুস রাষ্ট্রীয় খরচে ইতালী গিয়ে একজন পৌর মেয়রের সাথে সাক্ষাত করার জন্য উদগ্রীব হয়ে থাকে। আর দেশের ৪০ বিলিয়ন ডলার বানিজ্যের মুখপাত্রদের সে সময় দিতে চায় না-
এটাই প্রমাণের জন্য যথেষ্ট যে
এদেশ,
এদেশবাসী,
এ দেশের অর্থনীতি
এদেশের গার্মেন্টস শিল্পের উন্নতি এসবের জন্য-
তার দরদবোধ,
দায় বোধ,
মমত্ববোধ
বলতে কিছুই নেই।
বরং উল্টো এদেশে বিপর্যয় তথা দুর্ভিক্ষ ডেকে আনার কারিশমাই যেনো সে দেখাচ্ছে- সমালোচক মহল এমনটাই মনে করছেন। নাউযুবিল্লাহ।
-আল্লামা মুহম্মদ ওয়ালীউর রহমান আরিফ।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
সন্ত্রাসবাদ নয়; জিহাদী যোগ্যতা অর্জন করা পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ অনুযায়ী ফরয। ৯৮ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত দেশে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় সব নাগরিকের জন্য সামরিক প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক করতে হবে। উন্নত প্রশিক্ষন, যুদ্ধকৌশল, সামরিক সক্ষমতা এবং আন্তর্জাতিক র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এখন সাফল্যের শীর্ষে। সরকারের উচিত- দেশের মর্যাদা বুলন্দ ও দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ত্বকে সমুন্নত রাখতে সেনাবাহিনীর প্রতি সকল প্রকার পৃষ্ঠপোষকতা নিশ্চিত করা।
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম এর তথ্যানুযায়ী বেনিয়া বৃটিশগুলো মুসলিম ভারত থেকে লুট করেছে ১২ হাজার লক্ষ কোটি টাকা প্রকৃতপক্ষে তারা লুট করেছে লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
রামপাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র এখনও বন্ধ করলে যা লাভ হবে চালু রাখলে তার চেয়ে অনেক বেশী ক্ষতি হবে ৫৩টি পরিবেশবাদী সংগঠনের দাবী অবিলম্বে রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ করে সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্র করা হোক কিন্তু তাদের উপেক্ষা করে পরিবেশ উপদেষ্টা প্রমাণ করছে তার পরিবেশবাদী তৎপরতা অন্য পরিবেশবাদীদের সাথে সাংঘর্ষিক এবং তার পরিবেশবাদী প্রচারণা কার্যকলাপ আসলে দেশ ও দেশের মানুষের জন্য নয় বরং বিশেষ প্রভুর নির্দেশনায় (প্রথম পর্ব)
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
জুয়ার নেশায় বুদ হচ্ছে শিশু-কিশোররা-শিক্ষার্থীরা অধিকাংশ সাইটই পরিচালিত হয় দেশের বাইরে থেকে অনলাইনে জুয়ায় ছোট ছোট বাজির টাকা দিন শেষে একটি বড় অঙ্কের অর্থ হয়ে দেশ থেকে ডলারের মাধ্যমে পাচার হচ্ছে প্রতিদিন এসব খেলা স্বাভাবিক গেমের মতো হওয়ায় প্রকাশ্যে খেলা হলেও আশপাশের মানুষ তা বুঝতে পারেন না কেবলমাত্র ইসলামী মূল্যবোধের উজ্জীবনেই জুয়া বন্ধ সম্ভব ইনশাআল্লাহ
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
গার্মেন্টসের চেয়েও বড় অবস্থানে তথা বিশ্বের শীর্ষ অবস্থানে অধিষ্ঠান হতে পারে বাংলাদেশের জাহাজ নির্মাণ শিল্প। যথাযথ পৃষ্ঠপোষকতা করলে শুধু মাত্র এ খাত থেকেই বছরে ১১ লাখ কোটি টাকা অর্জন সম্ভব ইনশাআল্লাহ। যা বর্তমান বাজেটের প্রায় দেড়গুণ আর শুধু অনিয়ম এবং সরকারের অবহেলা, অসহযোগীতা দূর করলে বর্তমানেই সম্ভব প্রায় ২ লাখ কোটি টাকা অর্জন জাহাজ নির্মাণ শিল্পের সমৃদ্ধি সম্পর্কে সচেতন হওয়া এবং সরকারের গাফলতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা জনগণের জন্যও জরুরী। (২য় পর্ব)
০১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আ’যম সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার রোবে, দোয়ার বরকতে- কুদরতীভাবে কমে যাচ্ছে ডলারের আধিপত্য বাংলাদেশের রিজার্ভ ডলারে রাখা উচিৎ নয়- এতে লাভ আমেরিকার মুসলিম বিশ্বে অভিন্ন মুদ্রা ব্যবস্থা বিশেষত মূল্যহীন কাগজী মুদ্রা বাদ দিয়ে সুন্নতী দিনার-দিরহাম মুদ্রা চালু করা আবশ্যক ইনশাআল্লাহ (দ্বিতীয় পর্ব)
৩০ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
বিদেশি হাইব্রিড বীজের ফাঁদে দেশের কৃষি। হারিয়ে যাচ্ছে দেশীয় ফসলের জাত, ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে জীববৈচিত্র্য। ফুলে-ফেঁপে উঠছে বীজ কোম্পানিগুলো।
২৯ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
মুশরিক ভারতের প্রতি লা’নত ওদের জনসংখ্যা দিন দিন নিম্নমুখী পক্ষান্তরে ৯৮ ভাগ জনগোষ্ঠী মুসলমানের দেশ বাংলাদেশে খোদায়ী রহমত। (সুবহানাল্লাহ) বাংলাদেশে জনসংখ্যার এখন ৬৫ ভাগই কর্মক্ষম এবং জনসংখ্যার বৃদ্ধির হার উর্ধ্বগামী বাংলাদেশ ভোগ করছে ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ডের নিয়ামত। সুবহানাল্লাহ!
২৮ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
প্রসঙ্গ: মধ্যম আয়ের ফাঁদ এড়াতে সতর্কতা তথা মধ্যম আয়ের স্থবিরতা তাওয়াক্কুল আর তাকওয়া অবলম্বনে সব সমস্যা দূর হয়ে অচিরেই বাংলাদেশ হতে পারবে শীর্ষ সমৃদ্ধশালী দেশ ইনশাআল্লাহ
২৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
রিজওয়ানার পরিবেশবাদী প্রচারণার বিপরীতে রবি ঠগ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস স্থাপনে ইতিবাচক বার্তা এবং ইউনুসের পানি ও প্রকৃতি প্রেমের বানীর পরিবর্তে আপত্তি সত্ত্বেও একনেকে রবি ঠগ বিশ্ববিদ্যালয় প্রকল্প অনুমোদনে জনগণ তথা নেটিজনের মূল্যায়নটা কী?
২৬ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
যখন কোনো দেশ যুক্তরাষ্ট্র থেকে যুদ্ধবিমান কিনে, তখন তা শুধু একটি বিমান কেনার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে না। এর সাথে যুক্ত হয় একাধিক শর্ত, নিষেধাজ্ঞা এবং জটিল টার্মস অ্যান্ড কন্ডিশনস
২৫ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
লাগামহীন ব্যর্থতার পর মাদক নিয়ন্ত্রণেও সরকার চরমভাবে ব্যর্থ। আইন শৃঙ্খলা বাহিনী নিজস্ব দুর্বলতার কারণে মাদক নিয়ন্ত্রণে নজরই দিতে পারছে না। উল্টো আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর অনেক সদস্য নিজেরাও জড়িয়ে পড়ছে মাদক ব্যবসায়।
২৪ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার)












