সরকারের তরফ থেকে কৃচ্ছতা সাধনের আদেশ দেওয়া হচ্ছে। বিপরীতে ডিসি-ইউএনওদের জন্য নতুন করে ৩৮২ কোটি টাকা দিয়ে গাড়ি কেনা হচ্ছে। যা অনেক ক্ষুব্ধ ও মর্মস্পর্শী প্রশ্নের জন্ম দিচ্ছে। উত্তর দিবে কে?
, ১৮ যিলক্বদ শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ২৮ ছানী আশার, ১৩৯১ শামসী সন , ২৭ মে, ২০২৪ খ্রি:, ১৩ জৈষ্ঠ্য, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) মন্তব্য কলাম
বাংলাদেশের গত দুই মাসের আমদানি বিল পরিশোধের পর ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভ ১৩ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে আসার খবরে পরিস্থিতি আরও সংকটময় হয়ে ওঠার আশঙ্কার মধ্যেও জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের জন্য ২৬১টি স্পোর্টস ইউটিলিটি ভেহিকেল (এসইউভি) কেনা হচ্ছে। যার প্রতিটির মূল্য প্রায় দেড় কোটি টাকা। এ জন্য সবমিলিয়ে খরচ ধরা হয়েছে ৩৮১ কোটি টাকা। সম্প্রতি টাকার অবমূল্যায়ন হওয়ায় এই খরচ আরও বাড়বে।
প্রশ্ন উঠেছে-অর্থনীতির এমন সংকটকালীন পরিস্থিতির ভেতর এই সিদ্ধান্ত কতটা যৌক্তিক?
একে অপ্রয়োজনীয় "গাড়িবিলাস” বলে অভিহিত করেছেন।
অভিজ্ঞমহল মনে করেন, তাদের সবারই তো গাড়ি আছে। আবার কেন এই দামি গাড়ি?
জানা গেছে, গাড়ি কেনার ব্যাপারে মন্ত্রণালয়ে আনুষ্ঠানিক চিঠি না এলেও প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর প্রস্তাবটি অনুমোদন করেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গিয়েছে, এখন ডিসিরা মিতসুবিসির পাজোরো স্পোর্টস কার ব্যবহার করেন। আর ইউএনও-রাও পাজোরো গাড়ি ব্যবহার করেন। ডিসিদের পরিবহনপুলে আরো গাড়ি আছে। কয়েকটি জেলা ও উপজেলায় কথা বলা জানা গেছে গাড়িগুলো ভালো অবস্থায় আছে এবং ডিসি বা ইউএনওরা তাদের জন্য নতুন গাড়ির কোনো ডিমান্ডও দেননি। আর নতুন গাড়ি কেনার প্রস্তাব দেয়ার আগে এখন যে গাড়িগুলো ব্যবহার করা হচ্ছে তার অবস্থা কেমন সে ব্যাপারে মাঠ পর্যায় থেকে কোনো প্রতিবেদনও নেয়া হয়নি। নতুন গাড়ি কেনা হলে পুরনো গাড়িগুলো কী কাজে লাগানো হবে তারও কোনো প্রস্তাব নেই।
পর্যবেক্ষক মহল মনে করেন, দুই কারণে এই গাড়ি কেনা বন্ধ করা উচিত। প্রথমত, দেশের মানুষের ট্যাক্সের পয়সায় সরকারি কর্মকর্তাদর জন্য বিলাসবহুল গাড়ি কেনা যায়না। আর এখন অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে সরকারই কৃচ্ছতাসাধনের কথা বলছে। সেখানে নতুন গাড়ি কেন?”
"এই গাড়িগুলো কিনতে বৈদেশিক মুদ্রা খরচ হবে। এখন এমনিতেই ডলার সংকট। সেই সংকটে এই গড়ি কেনা কেন?''
উল্লেখ্য কৃচ্ছ্রসাধনের কথা বলে নতুন গাড়ি কেনায় বিধিনিষেধ জারি করেছে অর্থ বিভাগই। গত বছরের ২ জুলাই সরকারি ব্যয়ে কৃচ্ছ্রসাধনের লক্ষ্যে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে পরিচালন ও উন্নয়ন বাজেটের আওতায় সব ধরনের যানবাহন ক্রয় (মোটরযান, পানিযান, আকাশযান) বন্ধ থাকবে বলে নির্দেশনা জারি করা হয়। আগের ২০২১-২২ ও ২০২২-২৩ অর্থবছরে সরকারি যানবাহন অধিদপ্তর নতুন কোনো গাড়ি কেনেনি।
একই সঙ্গে পরিচালন বাজেটের আওতায় মোটরযান, পানিযান, আকাশযান খাতে বরাদ্দ করা অর্থ ব্যয় বন্ধ থাকবে বলেও নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়। এ-ও বলা হয়, ‘১০ বছরের বেশি পুরোনো মোটরযান প্রতিস্থাপনের ক্ষেত্রে অর্থ বিভাগের অনুমোদন নিয়ে ব্যয় করার সুযোগ রয়েছে। ’ সেই সুযোগই কাজে লাগায় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। অর্থ বিভাগ নিজেই আবার গাড়ি কেনার ব্যয়সীমা গত বছরের ১ আগস্ট ৯৪ লাখ টাকার বদলে বাড়িয়ে ১ কোটি ৪৬ লাখ টাকা করেছে।
এ দিকে ১৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) ২০ কোটি টাকা চেয়ে আবেদন, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপজেলা প্রকৌশলীদের ৪৩৩টি গাড়ি চেয়ে আবেদন এবং পুলিশের গাড়ি কেনার জন্য ২২৬ কোটি টাকা চেয়ে আবেদন অর্থ বিভাগে পড়ে আছে।
সংকটের কারণেই গত নভেম্বরে এ প্রস্তাব আটকে দিয়েছিল প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। এ ছয় মাসে সংকট একটাও কাটেনি, বরং বেড়েছে।
অভিজ্ঞমহল বলেছেন, ডিসি-ইউএনওদের দামি গাড়ি দেওয়া রাষ্ট্রীয় অর্থের অপচয়। বর্তমানে আশঙ্কাজনকভাবে ঋণনির্ভরতা বাড়ছে। দেশে রিজার্ভের পরিমাণ যেভাবে কমে যাচ্ছে তা শঙ্কার কারণ হতে পারে।
বাংলাদেশের কিছু ব্যক্তি দুবাই-সিঙ্গাপুরসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে শতকোটিপতিদের (বিলিয়নিয়ারদের) তালিকায় নাম লিখিয়ে ফেলেছেন। তারা কোন দেশের নাগরিক হিসেবে তা করেছেন, সেটাও স্পষ্ট নয়। তারা কীভাবে টাকা আনা-নেওয়া করছেন, বাংলাদেশ ব্যাংক সে বিষয়ে সঠিক তথ্য দিতে পারছে না। সমালোচক মহল মনে করছেন ডিসি, ইউ.এন.ওরাও সে পথেই হাটছেন।
পর্যবেক্ষক মহল মনে করেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ধ্বংসের মুখে। রিজার্ভ প্রতিনিয়ত হুহু করে কমছে। অবস্থা এতোটাই খারাপ যে, জরুরি আমদানিসহ অনেক কার্যক্রমই ডলারের অভাবে বন্ধ হয়ে আছে। রাজস্ব আদায়ের অবস্থাও সুবিধাজনক না। এ কারণে সরকার বিদ্যুৎ ও সারের ভর্তুকির টাকা দিতে না পেরে ৮ থেকে ১০ বছর মেয়াদি বন্ড ছেড়েছে, যাতে আপাতত নগদ টাকা দিতে না হয়। সরকারের তরফ থেকে কৃচ্ছতা সাধনের আদেশ দেওয়া হচ্ছে। অথচ এই অবস্থাতেই ডিসি-ইউএনওদের জন্য নতুন করে ৩৮২ কোটি টাকা দিয়ে গাড়ি কেনার প্রস্তাব পাশ হয়েছে।
শুধু তাই নয়, এই গাড়ি কেনায় এতো তাড়াহুড়া যে, উন্মুক্ত দরপত্র ছাড়াই গাড়িগুলো কেনা হবে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে। জনপ্রশাসন সচিবের যুক্তি হচ্ছে, উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে কেনার প্রক্রিয়া সময়সাপেক্ষ হওয়ায় রাষ্ট্রীয় জরুরি প্রয়োজনে ও জনস্বার্থে প্রগতি ইন্ডাস্ট্রিজ থেকে দরপত্র ছাড়াই গাড়িগুলো কেনা দরকার। বলাই বাহুল্য, এই প্রক্রিয়াতেও দুর্নীতির সন্দেহ থাকবে।
সর্বত্র কৃচ্ছতা সাধন করেও ডিসি-ইউএনওদের ব্যাপারে এইরকম বিপুল খরচ কেন? এদেরকে জনগণের সেবক বলা হলেও কেন এদের ‘জাত’ রক্ষার জন্য জনগণের কষ্টের উপার্জনের এতো অপচয়? কেন রীতিমতো লুকোচুরি করে এই বিপুল অর্থ ব্যয়ের প্রকল্প পাস?
কারণ, গত তিন তিনটা নির্বাচন তারাই ইঞ্জিনিয়ারিং করেছেন। আওয়ামী আমলে শিল্প ধ্বংস করে দিয়ে বেসরকারি চাকরি খাতের বারোটা বাজানো হয়েছে। শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে এন্তার পরীক্ষানিরীক্ষার ফল, এ দেশের সেরা মেধাবীরা বিদেশ চলে যায় আর বিভিন্ন সেক্টরে ভারতীয়সহ বিদেশিদের দাপট। এসবের মধ্যে একমাত্র লোভনীয় চাকরি বিসিএস।
কয়েক কোটি তরুণের জন্য মাত্র কয়েকশো চাকরির সোনার হরিণ। যেকোনো ভাবে বিসিএস হতে পারলেই জমিদার। অর্থবিত্ত, সম্মান আর অসীম ক্ষমতা। তবে, এই বিসিএস কেবল মেধা থাকলেই হবে না, এর ভাইবা পাস করতে লাগবে আওয়ামী সার্টিফিকেট। তবেই নিয়োগ।
তাতেই শেষ না, পদে পদে দলীয় লেজুড়বৃত্তি এবং সরকারের তোষামোদ করলেই মিলবে পদোন্নতি। ফলে, যিনি ইউএনও বা ডিসি হবেন তিনি কতটা দক্ষ এর চেয়ে অনেক বেশি জরুরি তিনি কতটা তোষামুদি। জনগণের সেবা-টেবা এগুলো একেবারেই হাস্যকর। আর হবেই না বা কেন? যদিও জনগণের টাকায় কোটি টাকার গাড়ি, দামি বাংলো আর সমস্ত সুবিধা, কিন্তু এর জন্য জনগণের কাছে তো কোনো জবাবদিহিতা করতে হয় না।
রাজনীতিবিদদের নিয়ে অনেক সমালোচনা হয়। দুর্নীতিবাজ ব্যবসায়ীদের নিয়ে আলাপ হয়। কিন্তু, দেশের ক্রান্তিলগ্নে এসব ডিসি ইউএনওরা যেই ভূমিকা রাখছেন, তা নিয়ে জনগণের মাঝে খুব কম ক্ষোভই দেখা যায়।
'সরকার বলছে আগের বছরগুলোতে বাজেটের আকার যেভাবে বেড়েছে এবার সে হারে বাড়বে না। বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিও কাটছাঁট করার কথাবার্তা চলছে। বিদ্যমান অর্থনৈতিক অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে সরকারের পরিকল্পনার ভেতর যদি এগুলো থেকেই থাকে তাহলে গাড়ি কেনার এই সিদ্ধান্ত কেন?'
'মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ হয়নি, রিজার্ভ ফল করছে, রাজস্ব আদায়ের অবস্থা ভালো না। যে এসইউভিগুলো কেনা হবে সেগুলো ডেফিনিটলি আমদানি করা হবে। তার মানে এখানে বৈদেশিক মুদ্রা খরচ হবে। এ অবস্থায় এতগুলো বৈদেশিক মুদ্রা খরচ করার সক্ষমতা কি আমাদের আছে?'
অর্থনৈতিক সংকটের ভেতর বৈদেশিক মুদ্রা খরচ করে এতগুলো বিলাসবহুল গাড়ি কেনার অর্থ হলো জনগণের বোঝা বাড়ানো। এতে দেশ জনগণের নয় বরং দেশের সম্পদ ডিসি. ইউ.এন.ও তথা আমলাদের জন্য তা আরো একবার প্রমানিত হলো।
-আল্লামা মুহম্মদ ওয়ালীউর রহমান।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩ লাখ ৬৮ হাজার ৩৫২ কোটি টাকা ‘আইএমএফের চাপে’ নতুন করের বোঝা বাড়ছে ৫৫ হাজার কোটি টাকা আইএমএফের শর্ত মানতে গিয়ে সরকারকে জ্বালানি, সার, বিদ্যুৎ এবং সামাজিক খাতে ভর্তুকি কমাতে হয়। এতে সমাজের নিচের স্তরের মানুষের ওপর চাপ বাড়ে।
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সম্মানিত দ্বীন ইসলামে কী প্রকৃতির মুহব্বত ও ঋতু প্রিয়তার কথা নেই? নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কাছে শীতকাল যে কত প্রিয় তা অনেকেরই অজানা। শীতে আছে গণীমত (পর্ব -২)
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সম্মানিত দ্বীন ইসলামে কী প্রকৃতির মুহব্বত ও ঋতু প্রিয়তার কথা নেই? নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কাছে শীতকাল যে কত প্রিয় তা অনেকেরই অজানা। শীতে আছে গণীমত (পর্ব -১)
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সন্ত্রাসবাদ নয়; জিহাদী যোগ্যতা অর্জন করা পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ অনুযায়ী ফরয। ৯৮ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত দেশে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় সব নাগরিকের জন্য সামরিক প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক করতে হবে। উন্নত প্রশিক্ষন, যুদ্ধকৌশল, সামরিক সক্ষমতা এবং আন্তর্জাতিক র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এখন সাফল্যের শীর্ষে। সরকারের উচিত- দেশের মর্যাদা বুলন্দ ও দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ত্বকে সমুন্নত রাখতে সেনাবাহিনীর প্রতি সকল প্রকার পৃষ্ঠপোষকতা নিশ্চিত করা।
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম এর তথ্যানুযায়ী বেনিয়া বৃটিশগুলো মুসলিম ভারত থেকে লুট করেছে ১২ হাজার লক্ষ কোটি টাকা প্রকৃতপক্ষে তারা লুট করেছে লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
রামপাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র এখনও বন্ধ করলে যা লাভ হবে চালু রাখলে তার চেয়ে অনেক বেশী ক্ষতি হবে ৫৩টি পরিবেশবাদী সংগঠনের দাবী অবিলম্বে রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ করে সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্র করা হোক কিন্তু তাদের উপেক্ষা করে পরিবেশ উপদেষ্টা প্রমাণ করছে তার পরিবেশবাদী তৎপরতা অন্য পরিবেশবাদীদের সাথে সাংঘর্ষিক এবং তার পরিবেশবাদী প্রচারণা কার্যকলাপ আসলে দেশ ও দেশের মানুষের জন্য নয় বরং বিশেষ প্রভুর নির্দেশনায় (প্রথম পর্ব)
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
জুয়ার নেশায় বুদ হচ্ছে শিশু-কিশোররা-শিক্ষার্থীরা অধিকাংশ সাইটই পরিচালিত হয় দেশের বাইরে থেকে অনলাইনে জুয়ায় ছোট ছোট বাজির টাকা দিন শেষে একটি বড় অঙ্কের অর্থ হয়ে দেশ থেকে ডলারের মাধ্যমে পাচার হচ্ছে প্রতিদিন এসব খেলা স্বাভাবিক গেমের মতো হওয়ায় প্রকাশ্যে খেলা হলেও আশপাশের মানুষ তা বুঝতে পারেন না কেবলমাত্র ইসলামী মূল্যবোধের উজ্জীবনেই জুয়া বন্ধ সম্ভব ইনশাআল্লাহ
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
গার্মেন্টসের চেয়েও বড় অবস্থানে তথা বিশ্বের শীর্ষ অবস্থানে অধিষ্ঠান হতে পারে বাংলাদেশের জাহাজ নির্মাণ শিল্প। যথাযথ পৃষ্ঠপোষকতা করলে শুধু মাত্র এ খাত থেকেই বছরে ১১ লাখ কোটি টাকা অর্জন সম্ভব ইনশাআল্লাহ। যা বর্তমান বাজেটের প্রায় দেড়গুণ আর শুধু অনিয়ম এবং সরকারের অবহেলা, অসহযোগীতা দূর করলে বর্তমানেই সম্ভব প্রায় ২ লাখ কোটি টাকা অর্জন জাহাজ নির্মাণ শিল্পের সমৃদ্ধি সম্পর্কে সচেতন হওয়া এবং সরকারের গাফলতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা জনগণের জন্যও জরুরী। (২য় পর্ব)
০১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আ’যম সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার রোবে, দোয়ার বরকতে- কুদরতীভাবে কমে যাচ্ছে ডলারের আধিপত্য বাংলাদেশের রিজার্ভ ডলারে রাখা উচিৎ নয়- এতে লাভ আমেরিকার মুসলিম বিশ্বে অভিন্ন মুদ্রা ব্যবস্থা বিশেষত মূল্যহীন কাগজী মুদ্রা বাদ দিয়ে সুন্নতী দিনার-দিরহাম মুদ্রা চালু করা আবশ্যক ইনশাআল্লাহ (দ্বিতীয় পর্ব)
৩০ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
বিদেশি হাইব্রিড বীজের ফাঁদে দেশের কৃষি। হারিয়ে যাচ্ছে দেশীয় ফসলের জাত, ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে জীববৈচিত্র্য। ফুলে-ফেঁপে উঠছে বীজ কোম্পানিগুলো।
২৯ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
মুশরিক ভারতের প্রতি লা’নত ওদের জনসংখ্যা দিন দিন নিম্নমুখী পক্ষান্তরে ৯৮ ভাগ জনগোষ্ঠী মুসলমানের দেশ বাংলাদেশে খোদায়ী রহমত। (সুবহানাল্লাহ) বাংলাদেশে জনসংখ্যার এখন ৬৫ ভাগই কর্মক্ষম এবং জনসংখ্যার বৃদ্ধির হার উর্ধ্বগামী বাংলাদেশ ভোগ করছে ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ডের নিয়ামত। সুবহানাল্লাহ!
২৮ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
প্রসঙ্গ: মধ্যম আয়ের ফাঁদ এড়াতে সতর্কতা তথা মধ্যম আয়ের স্থবিরতা তাওয়াক্কুল আর তাকওয়া অবলম্বনে সব সমস্যা দূর হয়ে অচিরেই বাংলাদেশ হতে পারবে শীর্ষ সমৃদ্ধশালী দেশ ইনশাআল্লাহ
২৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার)












