সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামে আ’যম রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের ছোহবত মুবারক ইখতিয়ার করেছেন
, ০৪ যিলহজ্জ শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ১৩ আউওয়াল, ১৩৯২ শামসী সন , ১১ জুন, ২০২৪ খ্রি:, ২৮ জৈষ্ঠ্য, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
(পূর্বে প্রকাশিতের পর)
ইমামুল আদিলীন, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম যায়িদ আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ছোহবত মুবারক ইখতিয়ার:
ইমামুল মুসলিমীন, মুজাদ্দিদে মিল্লাত ওয়াদ দ্বীন, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামে আ’যম রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন-
شَاهَدْتُّ حَضْرَتْ زَيْدَ بْنَ حَضْرَتْ عَلِىٍّ زَيْنِ الْعَابِدِيْنَ عَلَيْهِ السَّلَامُ كَمَا شَاهَدْتُّ اَهْلَهٗ فَمَا رَأَيْتُ فِـىْ زَمَانِهٖ اَفْقَهُ مِنْهُ وَلَا اَعْلَمُ وَلَا اَسْرَعُ جَوَابًا وَلَا اَبْيَنُ قَوْلًا
অর্থ: আমি সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম যায়িদ ইবনে ইমামুর রবি’ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্রতম ছোহবত মুবারক ইখতিয়ার করেছি যেমনভাবে উনার মহাসম্মানিত পরিবার-পরিজন উনাদের পবিত্রতম ছোহবত মুবারক ইখতিয়ার করেছি। আমি উনার যুগে উনার চেয়ে বড় ফক্বীহ, উনার চেয়ে বড় আলিম, উত্তরদানে উনার চেয়ে বেশি দ্রুততম এবং সুস্পষ্টভাষী আর কাউকে দেখিনি। সুবহানাল্লাহ! (ইমাম আবূ হানীফা হাদীছ শাস্ত্রের প্রধান ইমাম-৩১০)
সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুস সাদিস মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্রতম ছোহবত মুবারক ইখতিয়ার:
ইমামুল মুসলিমীন সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামে আ’যম রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি ইমামুছ ছিদ্দীক্বীন, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুস সাদিস মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারও পবিত্র ছোহবত মুবারক ইখতিয়ার করেছেন। সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামে আ’যম রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি একবার জিজ্ঞাসিত হলেন, আপনি কাকে সর্বাপেক্ষা বড় ফক্বীহ হিসেবে পেয়েছেন? তিনি বলেন-
مَا رَاَيْتُ اَفْقَهُ مِنْ حَضْرَتْ اَلْاِمَامِ جَعْفَرَ بْنِ مُـحَمَّدٍ الصَّادِقِ عَلَيْهِ السَّلَامُ
অর্থ: আমি সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম জা’ফর ইবনে মুহম্মদ ছাদিক্ব আলাইহিস সালাম উনার চেয়ে বড় ফক্বীহ আর কাউকে দেখিনি। সুবহানাল্লাহ! (তাহযীবুল কামাল-৫/৭৯, তাযকিরাতুল হুফফাজ-১/১৬, ইমাম আবূ হানীফা হাদীছ শাস্ত্রের প্রধান ইমাম-৩১৩)
সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামে আ’যম রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার দ্বিতীয় সম্মানিত শায়েখ সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুস সাদিস মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র ছোহবত মুবারকের গুরুত্ব ও তাৎপর্য সম্পর্কে বলেছেন যে-
لَوْلَا سَنَتَانِ لَـهَلَكَ اَبُوْ نُعْمَانَ.
অর্থ: যদি (সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুস সাদিস আলাইহিস সালাম উনার পবিত্রতম ছোহবত মুবারক ইখতিয়ারের) দু’বছর না হতো তাহলে আবু নু’মান ইমামে আ’যম রহমতুল্লাহি আলাইহি ধ্বংস হয়ে যেতেন। (তুহফাতুল ইছনাই আশারিয়া-৮, ইমাম আবূ হানীফা হাদীছ শাস্ত্রের প্রধান ইমাম-৩১৩)
সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামে আ’যম রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার ফতওয়ার স্বীকৃতি প্রদান:
ইমামুল মুসলিমীন, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামে আ’যম রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার বিশিষ্ট ছাত্র সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম আবূ ইউসুফ রহমতুল্লাহি আলাইহি। তিনি বলেন, একবার সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামে আ’যম রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি পবিত্র মসজিদে হারাম শরীফে বসে ফতওয়া দিচ্ছিলেন। সে সময় সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুস সাদিস মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উপস্থিত হলেন। মানুষের মধ্যে দাঁড়িয়ে রইলেন। সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামে আ’যম রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি (উনার অবস্থান) জানামাত্র দাঁড়িয়ে আরয করলেন-
يَا اِبْنَ رَسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ! لَوْ عَلِمْتُ اَوَّلَ مَا وَقَفْتُ لَـمَا قَعَدْتُ وَاَنْتَ قَائِمٌ فَقَالَ اِجْلِسْ فَافْتِ النَّاسَ، فَعَلٰى هٰذَا اَدْرَكْتُ اٰبَائِىْ.
অর্থ: হে আওলাদে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! বেয়াদবী ক্ষমা চাচ্ছি, যদি আপনার এখানে দাঁড়ানোর কথা আমি জানতাম তাহলে আমি কখনো বসতাম না। কাউকে ফতওয়াও দিতাম না। তখন সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুস সাদিস মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বললেন, আপনি বসুন। মানুষদেরকে ফতওয়া দিন।
কেননা, আমি আমার সম্মানিত পিতা-পিতামহ উনাদেরকে এ পদ্ধতির উপর পেয়েছিলাম অর্থাৎ আপনি উনাদের ক্বায়িম-মাক্বাম তথা স্থলাভিষিক্তরূপে আমল করছেন। সুবহানাল্লাহ! (মানাকিবুল ইমামিল আ’যম-১/১১৬, ইমাম আবূ হানীফা হাদীছ শাস্ত্রের প্রধান ইমাম-৩১৪)
উল্লেখ্য যে, হক্কানী-রব্বানী আলিম উনার উপস্থিতিতে সাধারণ লোকের কথা-বার্তা বলা, ফতওয়া দেয়া জায়িয নেই। সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামে আ’যম রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বিনয় প্রদর্শনার্থে সেটাই বলেছেন। (চলবে)
-০-
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
কাফির মুশরিকদের থেকে দূরে থাকতে এবং তাদেরকেও দূরে রাখার ব্যাপারে নির্দেশ মুবারক
২০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে- ফুটবল-ক্রিকেটসহ সর্বপ্রকার খেলাধুলা করা, সমর্থন করা হারাম ও নাজায়িয (২)
২০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
যেখানে প্রাণীর ছবি থাকে, সেখানে রহমতের ফেরেশতা প্রবেশ করেন না
২০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
২০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের সম্মানিত ৩টি স্তর
২০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
আসমাউর রিজাল, জারাহ ওয়াত তা’দীল, উছুলে হাদীছ শরীফ উনার অপব্যাখ্যা করে অসংখ্য ছহীহ হাদীছ শরীফ উনাকে জাল বলছে ওহাবী সালাফীরা (৩)
২০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
পর্দা করা ফরজ, বেপর্দা হওয়া কবীরা গুনাহ
১৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
১৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
হযরত আব্বাস ইবনে মিরদাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
যাকাত সম্পর্কিত আহকাম, মাসায়িল ও ফাযায়িল (৪)
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
প্রাণীর ছবি তোলা হারাম ও নাফরমানীমূলক কাজ
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার)












