সাইয়্যিদুনা হযরত খলীফাতুল উমাম আলাইহিস সালাম উনার মুবারক পরিচিতি
, ৯ই রমাদ্বান শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ১১ আশির, ১৩৯২ শামসী সন , ১০ মার্চ, ২০২৫ খ্রি:, ২৩ ফালগুন, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) সুন্নত মুবারক তা’লীম

সাইয়্যিদুনা হযরত খলীফাতুল উমাম আলাইহিস সালাম তিনি কে?
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার এবং সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার অর্থাৎ উনাদের একমাত্র ইবনুন (ছেলে সন্তান) হলেন সাইয়্যিদুনা হযরত খলীফাতুল উমাম আলাইহিস সালাম তিনি।
তিনি উনার মহাসম্মানিত আব্বাজান আলাইহিস সালাম ও মহাসম্মানিতা আম্মাজান আলাইহাস সালাম উনাদের উভয়ের দিক থেকেই নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত আওলাদ বা বংশধর।
সাইয়্যিদুনা হযরত খলীফাতুল উমাম আলাইহিস সালাম তিনি কেমন?
সাইয়্যিদুনা হযরত খলীফাতুল উমাম আলাইহিস সালাম তিনি সবদিক হতেই মানানসই। উনাকে দেখলে শামায়েলে তিরমিযী শরীফে বর্ণিত নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার হুলিয়া মুবারক বা অবয়ব মুবারক চিত্রিত হয়।
স্বাভাবিক উচ্চতায় উনার মহাসম্মানিত জিসিম মুবারক মহান আল্লাহ পাক উনার বিশেষ সৃষ্টি মুবারক। উনার মহাসম্মানিত জিসিম মুবারক অতীব নূরানী অত্যধিক উজ্জ্বল গন্দম রঙ্গের। উনার মহাসম্মানিত চুল মুবারক কোকড়ানো নয় আবার পুরো সোজাও নয়।
কুচকুচে কালো উনার সিনাপোর (চাপ) দাড়ি মুবারক, উনার হাসোজ্জল মহাসম্মানিত চেহারা মুবারক, উনার গাড়ো কালো মহাসম্মানিত চক্ষু মুবারক, উনার দীর্ঘ নাসিকা মুবারক, উনার মহাসম্মানিত কর্ণ মুবারক সবই সাক্ষাতে ধন্য প্রত্যেককে বিমোহিত করে।
অতীব কোমল উনার মহাসম্মানিত হাত মুবারক ও মহাসম্মানিত ক্বদম মুবারক। কদমবুছীকারীকে আবেগে আপ্লুত করে। উনার গাম্ভীর্যতা মুবারক সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছানী আলাইহিস সালাম উনার স্মরণ করিয়ে দেয়। উনার দৃঢ়চিত্ততায় সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছালিছ আলাইহিস সালাম উনার জালালিয়াত মুবারক ফুটে উঠে।
মূলত, সাইয়্যিদুনা হযরত খলীফাতুল উমাম আলাইহিস সালাম তিনি কেমন তা এক কথায় বলতে হলে তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পরিপূর্ণ নক্শা মুবারক। উনার মেছাল তিনি নিজেই।
সাইয়্যিদুনা হযরত খলীফাতুল উমাম আলাইহিস সালাম উনার বাহ্যিক শিশুকাল কোথায় কাটে?
বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার প্রাণকেন্দ্র পবিত্র রাজারবাগ শরীফে পবিত্র ৯ই রমাদ্বান শরীফ রাত ৯টায় পবিত্র লাইলাতুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ তিনি মহাসম্মানিত বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেন।
পবিত্র রাজারবাগ শরীফেই উনার অবস্থান মুবারক। তবে বিষয়টি অন্যান্যদের মত নয়। মহাসম্মানিত আব্বাজান আলাইহিস সালাম ও মহাসম্মানিতা আম্মাজান আলাইহাস সালাম উনাদের একান্ত পৃষ্ঠপোষকতায় তিনি লালিত পালিত। মহাসম্মানিত বিলাদতী শান মুবারক গ্রহণ হতে অদ্যবধি মহাসম্মানিত সুন্নতী তারতীবেই চলছে উনার প্রতিটি ক্ষণ। দৃষ্টিকটু কাজ হতেও তিনি সংরক্ষিত, পুত-পবিত্র। তা’যীন, তাহনীক, আক্বীক্বাহ হতে শুরু করে সবই মহাসম্মানিত সুন্নতী তারতীবে সম্পাদিত হয়।
পবিত্র রাজারবাগ শরীফ উনার সুন্নতী জামে মসজিদ ঘেঁসে উনার মহাসম্মানিত হুজরা শরীফ। হাঁটা-চলা শুরু করার পর হতে পবিত্র জুমু‘য়াহ ও পবিত্র ঈদে প্রায়ই তিনি মহাসম্মানিত আব্বাজান আলাইহিস সালাম উনার সাথে পবিত্র মসজিদে আগমন করেন।
শিশুকালেই তিনি মহাপবিত্র কুরআন শরীফ উনার সবক নেন। অযথা সময় ক্ষেপন না করে করতেন জিহাদের অনুশীলন। তিলাওয়াত-মশ্ক, দৌড় প্রতিযোগিতা, নিশানা ঠিককরণ, দ্রুত হস্ত লিখন এগুলো উনার দৈনিক কাজ। আর মহাসম্মানিত সুন্নতী তারতীবে খাদিমদের পাগড়ী বেঁধে দেয়া ও দ্রুত পাগড়ী বাঁধার প্রতিযোগিতা উনার অত্যাধিক পছন্দ। শৈশবকালেই মুহম্মদিয়া জামিয়া শরীফ মাদরাসায় যাতায়াত করে তিনি এ মাদরাসাকে ধন্য করেন। মুবারক পদচারণায় উত্তরোত্তর বৃদ্ধি হয় এ মাদরাসার মান-সম্মান।
কবুতর আর খোরগোশ পালন ছিল উনার প্রশান্তির কারণ। উনার জন্য সংরক্ষিত এলাকায় খাদিমদের নিয়ে সাইকেল চালিয়ে পরিবেশ করতেন মুখরিত। বাহ্যিক শিশু বয়স মুবারকেই মহাসম্মানিত আব্বাজান আলাইহিস সালাম ও মহাসম্মানিতা আম্মাজান আলাইহাস সালাম উনাদের সাথে দ্বীনি সফরে তিনি যে দেশের অধিকাংশ জেলায় গমন করেছেন, তা বলাই বাহুল্য। যা দীর্ঘ আলোচনার অবকাশ রাখে। তবে হ্যাঁ, পরিচ্ছন্ন ও গুছানো ভাব আর লাজুকতা উনার আভিজাত্যকে বারবার প্রকাশ করতো। এ কথা দিবালোকের চেয়েও সুস্পষ্ট যে, কেউ কখনোই উনার শিশু সুলভ আচরণ দেখেনি।
সাইয়্যিদুনা হযরত খলীফাতুল উমাম আলাইহিস সালাম উনার কৈশোর কিভাবে অতিবাহিত হয়?
উনার কৈশোর কেটেছে ইলিম, তা’লীম, রিয়াযত-মাশাক্কাত আর দ্বীনি সফরে। ব-জামায়াত তাকবীরে উলার সাথে পবিত্র নামাজ আদায় করার ব্যাপারে তিনি ছিলেন অত্যাধিক সচেতন। এক্ষেত্রে বৃষ্টি বাদল, ঝড় তুফান, বিদ্যুৎ বিভ্রাট কোন কিছুতেই তিনি হাল ছেড়ে দেননি।
ইলমে তাছাউফের নির্ধারিত সবক্ব ও যিকির-ফিকির যথাসময়ে যথাযথভাবে যথেষ্ট পরিমাণে সম্পন্ন করা দৈনিক উনার অপরিহার্য কাজ। এতে কোন ব্যস্ততা ও অজুহাত বাঁধা হতে পারেনি। এমনকি শারীরিক অসুস্থতাও নয়।
রুটিন করে বিষয় ভিত্তিক দরস-তাদরীস ও ইলিম অনুশীলনে তিনি ব্যস্ত থাকতেন। এক্ষেত্রে কখনো কিতাব, কখনো খাতা আবার কখনো লাইব্রেরীতে সময় অতিবাহিত করতেন। মহাসম্মানিত আব্বাজান আলাইহিস সালাম উনার বিশাল লাইব্রেরীর কত কিতাব যে উনার রপ্ত, তার হিসাব অজানা। আবার কিতাবের গুরুত্বের বিবেচনায় তিনি নিজস্ব আলাদা লাইব্রেরীও গড়ে তুলেন। জাহেরী-বাতেনী ইলিমের কোন কিছুই উনার অজানা নয়।
উনার মহাসম্মানিত হায়াতে ত্বইয়্যিবা মুবারকে দ্বীনি সফর গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ঈসায়ী হিসাবে (২০০০) দুই হাজার সালে তিনি প্রথম সফরে বের হন। উনার সফরনামা লিখতে শুরু করলে মোটা মোটা কিতাব রচিত হবে।
তিনি দ্বীনি সফরে প্রথম গমন করেন চট্টগ্রামে। উনার মহাসম্মানিত নূরুদ দারাজাত মুবারক (মহাসম্মানিত ক্বদম মুবারক) উনার ধুলিতে ধন্য সেখানের বন্দর, নৌ ঘাঁটি, নোঙরকৃত জাহাজ, সমুদ্র সৈকত, চিড়িয়াখানা, লেক, পাহাড়। সেখানে ক্ষণে ক্ষণে উনার কারামত মুবারক দেখে অভিভূত অনেকেই। কক্সবাজার, খাগড়াছড়ি, রাঙ্গামাটি, বান্দরবন, কুমিল্লা, ফেনী, নূরপুর, আমানবাড়িয়া, চাঁদপুর এ সব জেলায় দ্বীনি সফরে তিনি অনেকবার গমন করেছেন।
তৎকালীন রাজশাহী বিভাগের বগুড়া, জয়পুরহাট, নওগাঁ, নাটোর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, পাবনা, রাজশাহী, সিরাজগঞ্জ, দিনাজপুর, গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, নীলফামারী, পঞ্চগড়, রংপুর ও নূরগাঁও এ জেলাগুলোতে টানা কয়েক বছর মহাসম্মানিত আব্বাজান আলাইহিস সালাম ও মহাসম্মানিতা আম্মাজান আলাইহাস সালাম উনাদের সাথে তিনি দ্বীনি সফরে গমন করেছেন।
উনার দ্বীনি সফরের তালিকায় ঢাকা বিভাগের কিশোরগঞ্জ, মাদারীপুর, মানিকগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, নূরানীবাদ জেলা, খুলনা বিভাগের যশোর, ঝিনাইদহ, খুলনা, কুষ্টিয়া, মেহেরপুর, চুয়াডাঙ্গা জেলাও আছে। এ ছাড়াও সিলেট বিভাগের সিলেট, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার, সুনামগঞ্জ জেলা আর বরিশাল বিভাগের ঝালকাঠি ও বরিশাল জেলাতেও তিনি সফর করেছেন।
এখানে একটা বিষয় উল্লেখ্য যে, উনার দ্বীনি সফরের উদ্বোধনী হয়েছে উনার শিশুকালেই। কিন্তু শিশু-কিশোর কোন বয়সের কোন ছাপ উনার মাঝে প্রতিফলিত হয়নি।
তাহাজ্জুদ নামাজের ব্যাপারে উনার যে একাগ্রতা তা বলার অপেক্ষা রাখেনা। মুকীম অবস্থায় তো অবশ্যই এমনকি সফরের সময়েও এ বিষয়ে তিনি ছিলেন সচেতন। শৈশবকাল থেকে সফরকালীন সময়ে তিনি খাছ সুন্নতী তারতীবে লাঠি ব্যবহার করে খুতবা মুবারক দিয়ে নিজে ইমামতি করে খাদিমদেরকে নিয়ে পবিত্র জুমু‘য়ার নামাজ আদায় করতেন।
সাইয়্যিদুনা হযরত খলীফাতুল উমাম আলাইহিস সালাম উনার বিচরণ কোথায়?
উনার জাহেরী বিচরণ যদিও পবিত্র রাজারবাগ শরীফে কিন্তু বাতেনী বিচরণ যে কোথায়, তা চিন্তার উর্দ্ধে। তবে বাতেনীভাবে তিনি যে মহান আল্লাহ পাক ও নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের সাথেই মিশে আছেন, তা বলার অপেক্ষাই রাখেনা।
বাহ্যিক শিশুকাল ও কৈশোরকালে সাদা কাপড়ের কোর্তা ও সেলোয়ার ব্যবহার করার পাশাপাশি সম্মানিত শরীয়ত সম্মত বিভিন্ন রঙ্গিন কাপড়ের কোর্তা ও সেলোয়ার তিনি পরিধান করতেন। এরপর একটা সময় থেকে তিনি রঙ্গিন পোশাক পরিধান করেননা। সাদাতেই তিনি সুশোভিত। তিনি রঙ্গিন কোর্তা পরিধান করেননা, বাবরী চুল মুবারক রেখেছেন, তাহলে এখনো কি তিনি শুধু সাদা পাগড়ী মুবারক-ই পরিধান করবেন!
নাকি মহাসম্মানিত আব্বাজান আলাইহিস সালাম উনার সাথে মিল রেখে কালো-সবুজ পাগড়ী মুবারকও পরিধান করবেন, এমনি বহু কল্পনার অবসান ঘটিয়ে ১৪৩৯ হিজরীর পবিত্র ৯ই রমাদ্বান শরীফ তিনি কালো রঙের পাগড়ী মুবারক পরিধান করেন।
একটা সময়ে যদিও দ্বীনি সফরে বছরের অনেক দিন অতিবাহিত করতেন কিন্তু প্রেক্ষাপটের ভিন্নতায় পবিত্র রাজারবাগ দরবার শরীফেই অবস্থান করতে থাকেন। সংযুক্ত হয় নতুন ব্যস্ততা। কিতাবাদী পাঠ, ইলমী অনুশীলন আর দরস-তাদরীসের সাথে সাথে গবেষণা ও তাজদীদী কাজেও তিনি ব্যাপক ভূমিকা রাখেন।
সংশোধন বা শুদ্ধকরণে উনার অভিযানে যেমন আছে সম্মানিত দ্বীনি বিষয়, তেমনি আছে দুনিয়াবী বিষয়। আছে যুগ যুগ ধরে চলে আসা অমিমাংসিত বিষয়গুলোর ফায়সালা।
ঈসায়ী ২০০৮ সালে “গণিত পরিক্রমা” নামক প্রকাশনায় “সমকোণ না লম্বকোণ” শিরোনামের প্রবন্ধে তিনি গণিতবিদদের মস্তিষ্কের জট খুলে দেন। জ্যামিতির বিষয়ে উনার এত সূক্ষ¥ ব্যাখ্যা পড়ে শুধু আশ্চর্যই নয় বরং নতুন সূত্র পায় গণিতে অত্যাধিক অভিজ্ঞ ও প্রসিদ্ধ গণিতবিদরা।
তিনি অবস্থান মুবারক করেন পবিত্র রাজারবাগ দরবার শরীফে কিন্তু আন্তর্জাতিক অনেক বিষয় এমনভাবে আলোচনা করেন, যেন তিনি প্রত্যেকটি বিষয়ের প্রত্যক্ষদর্শী।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জীববিজ্ঞানের প্রফেসর মুবারক খিদমতে মাত্র ৫ মিনিট অবস্থান করে জীববিজ্ঞান বিষয়ে উনার তাত্ত্বিক পর্যালোচনা শুনে বলেন, আমি উনার ছাত্র হওয়ারও যোগ্য নই। তিনি আমার চোখ কান খুলে দিলেন।
নিউইয়র্কে হাসপাতালের আইসিইউতে লাইফ সাপোর্টে থাকা রাশেদ ছাহেব উনাকে স্মরণ করেন। পরক্ষণেই উনাকে চিকিৎসকের পোশাকে দেখতে পান। স্বপ্ন নয়, বাস্তবেই তিনি রাশেদ ছাহেবের অপারেশন সম্পন্ন করেন, অল্প সময়েই রাশেদ ছাহেবকে সুস্থ করে দেন। মূলত, উনার বিচরণ যে কোথায় কোথায়, বোধগম্য নয়।
সাইয়্যিদুনা হযরত খলীফাতুল উমাম আলাইহিস সালাম উনার অবদান এই উম্মাহর জন্য কতটুকু?
উম্মাহর কল্যাণে উনার অবদান গাণিতিক হারে নয়, জ্যামিতিক হারেও নয়, কোনভাবেই তা হিসেবে আনা সম্ভব নয়। তা অতুলনীয় মহাসমুদ্র।
শত শত বছর যাবত মুসাফিরের যাওয়ার দূরত্ব ৪৮ মাইল ধরে হিসাব করা হতো, তিনি এ ক্ষেত্রে বিশুদ্ধ হিসাব বের করেন। তিনি বলেন, ৪৮ মাইল নয় বরং ৫৪ মাইল হবে। এতে মুসলিম উম্মাহ্র নামাজের বিষয়টি সংরক্ষিত হয়। মনে রাখতে হবে, পবিত্র নামাজ কিন্তু সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার ভিত্তি।
পবিত্র ছদক্বাতুল ফিতর আদায় না করলে রোযা আসমান ও যমীনের মাঝে ঝুলে থাকে। মানুষ ফিতরা নির্ধারণ করে ১৬৫০ গ্রাম আটার দামে। এখানেও হিসাবের গলদ তিনি ঠিক করেন। ১৬৫০ গ্রাম নয় বরং ১৬৫৭ গ্রাম আটার দামে তিনি ফিতরার বিশুদ্ধ হিসাব প্রকাশ করেন। এতে সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার আরেকটা ভিত্তি রোযা কবুলেরও নিশ্চয়তা আসে।
কাফিরদের গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার ব্যবহার করে মুসলমানরা নিজেদের ঈমানকে নড়বড়ে করছিল। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মহাসম্মানিত বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করার মাসের সাথে নিসবত করে সাইয়্যিদুনা হযরত খলীফাতুল উমাম আলাইহিস সালাম তিনি তাক্বউইমুশ শামসী বা মুসলমানদের জন্য সৌর পঞ্জিকা প্রণয়ন ও প্রচলন করেন। এতে মুসলমানদের ঈমান, আমল, আক্বীদাহ, স্বকীয়তা, তাহযীব-তামাদ্দুন সুরক্ষিত হয়। মুসলিম উম্মাহর জন্য এটা যে কত মহান উনার অবদান তা বলার অপেক্ষাই রাখেন।
“বিজ্ঞানে মুসলমানদের অবদান” এ কথাকে “বিজ্ঞানই মুসলমানদের অবদান” বাক্যে রুপান্তর করেন। এ রুপান্তরে মুসলমানদের আত্মিক অবস্থা যে কতটুকু রূপান্তরিত হয়েছে, তা হিসেবের উর্দ্ধে। উনার অবদান মুবারক লিপিবদ্ধ করা এ যেন মহাসমুদ্র হতে বিন্দু পরিমাণ পানি তুলে আনার প্রচেষ্টা।
সংকলনে: আহমদ হুসাইন
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
বিবাহ-শাদীর গুরুত্ব-ফযীলত, মাসয়ালা-মাসায়িল ও খাছ সুন্নতী তারতীব (৮)
২৫ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
‘আন্তর্জাতিক পবিত্র সুন্নত মুবারক প্রচার কেন্দ্র’ থেকে সংগ্রহ করুন সুন্নতী খাবার ‘কিস্সা’
২৫ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
বিবাহ-শাদীর গুরুত্ব-ফযীলত, মাসয়ালা-মাসায়িল ও খাছ সুন্নতী তারতীব (৭)
২৪ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
‘আন্তর্জাতিক পবিত্র সুন্নত মুবারক প্রচার কেন্দ্র’ থেকে সংগ্রহ করুন বিভিন্ন প্রকারের সুন্নতী খাবার ‘খেজুর’
২৪ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
বিবাহ-শাদীর গুরুত্ব-ফযীলত, মাসয়ালা-মাসায়িল ও খাছ সুন্নতী তারতীব (৬)
২৩ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
‘আন্তর্জাতিক পবিত্র সুন্নত মুবারক প্রচার কেন্দ্র’ থেকে সংগ্রহ করুন মাথায় ব্যবহার করার সুন্নতী ‘কেনায়া’
২৩ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
বিবাহ-শাদীর গুরুত্ব-ফযীলত, মাসয়ালা-মাসায়িল ও খাছ সুন্নতী তারতীব (৫)
২২ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
‘আন্তর্জাতিক পবিত্র সুন্নত মুবারক প্রচার কেন্দ্র’ থেকে সংগ্রহ করুন কালোজিরা ও কালোজিরার তেল
২২ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
বিবাহ-শাদীর গুরুত্ব-ফযীলত, মাসয়ালা-মাসায়িল ও খাছ সুন্নতী তারতীব (৪)
২১ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
আন্তর্জাতিক পবিত্র সুন্নত মুবারক প্রচার কেন্দ্র’ থেকে সংগ্রহ করুন সুন্নতী লিবাস ‘জুব্বা’
২১ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
বিবাহ-শাদীর গুরুত্ব-ফযীলত, মাসয়ালা-মাসায়িল ও খাছ সুন্নতী তারতীব (৩)
২০ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
‘আন্তর্জাতিক পবিত্র সুন্নত মুবারক প্রচার কেন্দ্র’ থেকে সংগ্রহ করুন সুন্নতী খাদ্য ‘যব’
২০ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার)