সাইয়্যিদুল আওলিয়া, মাহবূবে সুবহানী, কুতুবে রব্বানী, গাউছুল আ’যম, মুজাদ্দিদুয যামান, সুলত্বানুল আরিফীন, মুহিউদ্দীন, আওলাদে রসূল,
সাইয়্যিদুনা হযরত বড়পীর ছাহিব রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার সাওয়ানেহ উমরী মুবারক (১৬)
, ০৭ মে, ২০২৫ ১২:০০:০০ এএম ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
বুযুর্গী-সম্মান:
হযরত শায়েখ আব্দুল্লাহ মুহম্মদ বিন খিযির মুসেলী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বর্ণনা করেন, আমার পিতা তিনি বলতেন, গাউছুল আ’যম, সাইয়্যিদুনা হযরত বড়পীর ছাহিব রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার মজলিসে ইলিম ও হিকমত সম্পর্কীয় বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হতো। উনার বুযূর্গী ও সম্মান উনার কারণে কেউ মজলিসে গলা পরিষ্কার বা কোনো প্রকার শব্দ পর্যন্ত করতেন না। যখন গাউছুল আ’যম, হযরত বড়পীর ছাহিব রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলতেন, কালের অনেক (কথা) হয়ে গেছে এবার হালের দিকে চলো। সাথে সাথে লোকেরা অস্থির হয়ে পড়তো এবং উনাদের মধ্যে হাল ও অজ্দ এসে যেতো।
গাউছুল আ’যম, হযরত বড়পীর ছাহিব রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার মজলিসে উপস্থিত কাছের ও দূরের সবাই একই রকম উনার ওয়াজ শরীফ শুনতে পেতেন। উনার দৃষ্টি মুবারক মজলিসে সমবেত লোকদের অন্তরের দিকে নিবদ্ধ থাকতো। তিনি কাশফের সাহায্যে সকলের অন্তরগুলো আলোকিত করতেন। যখন তিনি মিম্বর শরীফ-এ দাঁড়াতেন তখন উপস্থিত শ্রোতারাও দাঁড়িয়ে যেতেন। যখন তিনি বলতেন চুপ হয়ে যান, তখন এমন এক নীরবতা বিরাজ করতো যে, কেবল শ্বাস-প্রশ্বাসের আওয়াজ ছাড়া আর কিছু শোনা যেতো না। মজলিসের কোনো কোনো শ্রোতা যখন নিজের হাত নিচে রাখতে যেতো, তখন এমন লোকদের শরীরের সাথে লাগতো, যাদেরকে বাহ্যিকভাবে দেখা যেতো না।
কোনো কোনো দিন গাউছুল আ’যম, হযরত বড়পীর ছাহিব রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার ওয়াজ শরীফের সময় আকাশের দিক থেকে কান্নার আওয়াজ ভেসে আসতো। তিনি ওয়াজ শরীফ চলাকালীন কোনো কোনো লোককে বলতেন, আমার কাছে বসিও না। কেননা, এটা বেলায়েতের স্থান, এটা পদোন্নতির স্থান। হে তওবা প্রত্যাশীগণ! তোমরা সামনের দিকে এগিয়ে এসো। হে ক্ষমা প্রার্থীরা! মহান আল্লাহ পাক উনার নাম মুবারক নিয়ে এগিয়ে আসো। হে সফলতাকামীগণ, মহান আল্লাহ পাক উনার নাম মুবারক নিয়ে এগিয়ে আসো। প্রতি মাসে বা প্রতি বছরে বা জীবনে একবার হলেও আমার মজলিসে উপস্থিত হও এবং অগণিত ধনরাজি নিয়ে যাও। হে সুদীর্ঘ পথ পরিভ্রমণকারী পথিক! আমার কাছে এসো, কমপক্ষে একটি কথা হলেও শুনে যাও। যখন তোমরা আমার কাছে আসবে, হিংসা-বিদ্বেষ ও ইবাদত-বন্দেগীর অহঙ্কার অন্তর থেকে বের করে দিবে। আর যা কিছু আমার কাছে আছে, নিজেদের জন্য তা গ্রহণ করবে। আমার মজলিসে মহান আল্লাহ পাক উনার বিশিষ্ট বান্দা, ওলীআল্লাহ ও রেজালুল গাইব বা অদৃশ্যজনেরা আগমন করেন এবং আমার কাছ থেকে মহান আল্লাহ পাক উনার দরবার শরীফ উনার জন্য বিনয়ের শিক্ষা গ্রহণ করেন। মহান আল্লাহ পাক তিনি আজ পর্যন্ত যত হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম ও হযরত আওলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের সৃষ্টি করেছেন, উনারা সশরীরে জীবিতাবস্থায় এবং রূহানীভাবে আমার মজলিসে আগমন করেন। সুবহানাল্লাহ! (যুবদাতুল আছার, গাউছুল অরা-৪১)
গাউছে পাক উনার মজলিসে হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের আগমন:
হযরত শায়েখ আবূ সাঈদ কয়লুভী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেছেন, আমি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ও অন্যান্য কয়েকজন হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে গাউছুল আ’যম, মাহবূবে সুবহানী, হযরত বড়পীর ছাহিব রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার মজলিসে কয়েকবার দেখেছি। যেভাবে খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি স্বীয় প্রিয় বান্দাকে ধন্য করেন, সেভাবে হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালামগণ উনারা মাহবূবে সুবহানী, কুতুবে রব্বানী, হযরত বড়পীর ছাহিব রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার মজলিসের উপরে আকাশে চক্কর দিয়ে অনুপ্রাণিত করেন। আমি দেখেছি যে, হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনারা দলের পর দল মজলিসে উপস্থিত হন। জিন ও রেজালুল গাইব বা অদৃশ্যজনেরাও উনার মজলিসে আগমন করেন। হযরত খিজির আলাইহিস সালাম উনাকেও উনার মজলিসে দেখেছি। তিনি আমাকে বলেছেন যে, সাফল্য ও কামিয়াবীর জন্য এ মজলিসে আসা বড় প্রয়োজন। হযরত শায়েখ শরীফ আবুল আব্বাস রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, একবার আমি গাউছুল আ’যম, হযরত বড়পীর ছাহিব রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার মজলিসে হাজির হলাম, তখন উনার মজলিসে প্রায় দশ হাজার লোক উপস্থিত ছিলো। (অসমাপ্ত)
-আল্লামা মুফতী সাইয়্যিদ মুহম্মদ আব্দুল হালীম।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
ইলিম অর্জন করার পর সে অনুযায়ী যে আমল করে না, তার তিনটি অবস্থার যে কোনো একটি হবেই-
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে সালাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু (৪)
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ঢিলা-কুলুখের বিধান
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
বেপর্দা হওয়া শয়তানের ওয়াসওয়াসাকে সহজ করার মাধ্যম
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
মহান আল্লাহ পাক উনার রাস্তায় খরচ করলে তা দ্বিগুণ-বহুগুনে বৃদ্ধি করে ফিরিয়ে দেয়া হয়
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
আসমাউর রিজাল, জারাহ ওয়াত তা’দীল, উছুলে হাদীছ শরীফ উনার অপব্যাখ্যা করে অসংখ্য ছহীহ হাদীছ শরীফ উনাকে জাল বলছে ওহাবী সালাফীরা (১)
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে সালাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু (৩)
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
পবিত্র হাদীছ শরীফে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ইসলামী শরীয়ত মুতাবিক- ছবি তোলা হারাম
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পবিত্র হাদীছ শরীফে ইরশাদ মুবারক করেন-
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার)












