সাইয়্যিদুল আওলিয়া, মাহবূবে সুবহানী, কুতুবে রব্বানী, গাউছুল আ’যম, মুজাদ্দিদুয যামান, সুলত্বানুল আরিফীন, মুহিউদ্দীন, আওলাদে রসূল,
সাইয়্যিদুনা হযরত বড়পীর ছাহিব রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার সাওয়ানেহ উমরী মুবারক (১৭)
, ১৪ মে, ২০২৫ ১২:০০:০০ এএম ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
উনার নিজের ভাষায় উনার মযার্দা-মতবা মুবারক:
সাইয়্যিদুল আউলিয়া, মাহবূবে সুবহানী, কুতুবে রব্বানী, গাউছুল আ’যম, মুজাদ্দিদুয যামান, ইমামুর রাসিখীন, সুলত্বানুল আরিফীন, মুহিউদ্দীন, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা হযরত বড়পীর ছাহিব রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, আমি এমন এক খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার বান্দা; আমার তলোয়ার উন্মুক্ত, আমার কামান লক্ষ্যবস্তুর প্রতি তাক করা আছে। আমার তীর মুবারক যথাস্থানে সুরক্ষিত এবং আমার বর্শা মুবারক সঠিক জায়গায় আঘাত হানে। আমার ঘোড়া মুবারক সুসজ্জিত। আমি মহান আল্লাহ পাক উনার আগুন। আমি লোকদের আধ্যাত্মিক অবস্থাদি ছিনিয়ে নিতে পারি। আমি ইলিম ও হিকমতের এমন অথৈ সাগর, যার কোন কূল-কিনারা নেই। আমি নিজের সাথে নিজে অস্বাভাবিক কথা বলি। মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাকে উনার বিশেষ নজর-করম মুবারক-এ রেখেছেন। সুবহানাল্লাহ!
হে রোযাদারগণ! হে রাত-জাগরণকারীগণ!! হে পাহাড়বাসীগণ!!! তোমাদের ইবাদতখানাগুলো ধুলিস্যাৎ হয়ে যাবে। আমার হুকুম যা খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার পক্ষ থেকে প্রদত্ত সেটা কবুল করো। হে বর্তমান যুগের আবদাল ও শিশুগণ! এসো এবং সেই কুল-কিনারাবিহীন মহাসাগর দেখে যাও। মহান আল্লাহ পাক উনার কসম! নেককার ও বদকারকে আমার সামনে পেশ করা হয়।
মহান আল্লাহ পাক উনার কসম! লাওহে মাহফুজ আমার চোখ মুবারক উনার সামনে। আমি জ্ঞান সাগরের ডুবুরী, আমার মুশাহিদাই হলো মুহব্বতে ইলাহী। আমি লোকদের জন্য মহান আল্লাহ পাক উনার দলীল। আমি নায়িবে রসূল। আমি এ পৃথিবীতে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার উত্তরসূরী। মানুষ, জিন, এমনকি হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনাদেরও মাশায়িখ আছে। কিন্তু আমি সব মাশায়িখ উনাদের শিরোমণি। আমার বিছাল শরীফ আর তোমাদের বিছাল শরীফ উনার মধ্যে আসমান-যমীন পার্থক্য। অন্যদের সাথে আমার তুলনা করো না।
হে পূর্ব-পশ্চিমের অধিবাসীগণ! হে আসমান-যমীনের অধিবাসীগণ!! আমাকে মহান আল্লাহ তায়ালা তিনি বলেছেন যে, আমি এমন বিষয়সমূহ জানি, যা তোমাদের মধ্যে কেউ জানে না। আমাকে প্রতি দিন সত্তরবার নির্দেশ দেয়া হয় যে, “এ কাজ করুন, এ রকম করুন। হে বড়পীর ছাহিব রহমতুল্লাহি আলাইহি! আপনার প্রতি আমার কসম! এ জিনিস পান করুন; এ জিনিস আহার করুন। আমি আপনার সাথে কথা বলি এবং আপনাকে নিরাপদে রাখি। ”
সাইয়্যিদুনা হযরত বড়পীর ছাহিব রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি আরো বলেন, যখন আমি কোন বিষয়ে কথা বলি, তখন মহান আল্লাহ পাক তিনি স্বীয় জাত পাক মুবারক উনার কসম করে বলেন, কথাটি পুনরায় বলুন। কেননা আপনি সত্য বলেছেন। আমি ঐ সময় পর্যন্ত কোন কথা বলি না, যতক্ষণ আমাকে নিশ্চিত করা না হয়। আমার কথায় কোন সন্দেহ-সংশয় থাকে না। আমি ঐসব বিষয় বণ্টন করতে থাকি, যেসব বিষয়ে আমাকে ইখতিয়ার দেয়া হয়। যখন আমাকে হুকুম দেয়া হয়, তখন আমি সেটা পালন করি। আমার হুকুমদাতা হলেন খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি স্বয়ং। যদি তোমরা আমাকে অস্বীকার করো, তাহলে এটা তোমাদের জন্য প্রাণনাশক বিষতুল্য হবে। তোমাদের এ নাফরমানী আচরণ তোমাদেরকে মুহূর্তের মধ্যে ধ্বংস করে দিবে। আমি তোমাদের দুনিয়া-আখিরাতকে এক মুহূর্তের মধ্যে ধ্বংস করার ক্ষমতা রাখি। মহান আল্লাহ পাক তিনি তোমাদেরকে ভয় প্রদর্শন করেন। যদি আমার মুখে ইসলামী শরীয়ত উনার লাগাম না থাকতো, তাহলে আমি তোমাদেরকে ঐসব বিষয়েও খবর দিতাম, যা তোমরা খাও, পান করো এবং ঘরের মধ্যে লুকিয়ে রাখো। মোটকথা মনের সব কথা প্রকাশ করে দিতাম। কিন্তু যেহেতু জ্ঞানী উনার আস্তিনে জ্ঞান আশ্রয় লাভ করে এবং এর গোপন বিষয়সমূহ জ্ঞানী প্রকাশ করেন না। তিনি আরও বলেন, আমি তোমাদের বাহ্যিক ও আভ্যন্তরীণ সব বিষয়ে খবর রাখি। আমার দৃষ্টি মুবারক উনার সামনে তোমরা স্বচ্ছ আয়নার মত।
মহান আল্লাহ পাক উনার সকল বান্দাগণ যখন মাক্বামে কদরে (অদৃষ্ট বণ্টনের স্থান) পৌঁছে, তখন তাদের প্রতি সজাগ দৃষ্টি রাখা হয়। কিন্তু আমার জন্য বিনা বাধায় অনুমতি রয়েছে বরং অদৃষ্ট জগতে আমার জন্য একটি জানালা খুলে দেয়া হয়েছে, সেটা দিয়ে আমাকে ভিতরে প্রবেশ করানো হয়েছে। মহান আল্লাহ পাক উনার হুকুমে আমি তাকদীর এদিক-সেদিক করেছি। ঐ ব্যক্তি কামিল, যিনি তাকদীরের সামনে মাথা নত করে থাকেন না বরং তাকদীর নিয়ে দেন-দরবার করেন। তিনি আরও বলেন, যখন হযরত মুনকার নাকীর ফেরেশতা আলাইহিমাস সালাম উনারা কবরে তোমাদের কাছে আমার সম্পর্কে কোন প্রশ্ন করেন তখন তোমরা উনাদের কাছে জিজ্ঞেস করো আমার অবস্থান কোথায়? সুবহানাল্লাহ! (যুবদাতুল আছার, গাউছুল অরা-৪৯) (অসমাপ্ত)
-আল্লামা মুফতী সাইয়্যিদ মুহম্মদ আব্দুল হালীম।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
ইলিম অর্জন করার পর সে অনুযায়ী যে আমল করে না, তার তিনটি অবস্থার যে কোনো একটি হবেই-
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে সালাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু (৪)
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ঢিলা-কুলুখের বিধান
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
বেপর্দা হওয়া শয়তানের ওয়াসওয়াসাকে সহজ করার মাধ্যম
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
মহান আল্লাহ পাক উনার রাস্তায় খরচ করলে তা দ্বিগুণ-বহুগুনে বৃদ্ধি করে ফিরিয়ে দেয়া হয়
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
আসমাউর রিজাল, জারাহ ওয়াত তা’দীল, উছুলে হাদীছ শরীফ উনার অপব্যাখ্যা করে অসংখ্য ছহীহ হাদীছ শরীফ উনাকে জাল বলছে ওহাবী সালাফীরা (১)
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে সালাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু (৩)
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
পবিত্র হাদীছ শরীফে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ইসলামী শরীয়ত মুতাবিক- ছবি তোলা হারাম
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পবিত্র হাদীছ শরীফে ইরশাদ মুবারক করেন-
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার)












