ছহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, আস সাফফাহ, আল জাব্বারিউল আউওয়াল, আল ক্বউইউল আউওয়াল, হাবীবুল্লাহ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মাওলানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
ইসলামী আক্বীদার গুরুত্ব, প্রয়োজনীয়তা ও আহকাম (৪২)
, ০৬ যিলহজ্জ শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ১৫ আউওয়াল, ১৩৯২ শামসী সন , ১৩ জুন, ২০২৪ খ্রি:, ৩০ জৈষ্ঠ্য, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, সমস্ত মানুষ যদি কাফির হয়ে যাওয়ার ভয় না থাকতো, আশঙ্কা না থাকতো আমি কাফিরদেরকে মুশরিকদেরকে বেদ্বীনদেরকে নাস্তিকদেরকে তাদের ঘর-বাড়ীগুলি, ছাদ, সিঁড়ি, খাট-পালং, চেয়ার-টেবিল, দরজা-জানালা সম্পূর্ণ বাড়ীটা রৌপ্য এবং স্বর্ণের দ্বারা আমি নির্মাণ করে দিতাম।
وَّإِن ْكُلُّ ذٰلِكَ لَمَّا مَتَاعُ الْحَيَاةِ الدُّنْيَا
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, এগুলো সব দুনিয়াবী সম্পদ, এটা সম্পূর্ণই দুনিয়াবী সম্পদ আমি তাদেরকে দিয়ে দিতাম। কারণ তাদের তো পরকালে কিছুই নেই।
وَالْآخِرَةُ عِنْدَ رَبِّكَ لِلْمُتَّقِيْنَ
মুত্তাক্বীন যারা উনাদের জন্য তো পরকাল অর্থাৎ জান্নাত রয়েছে। আমি কাফিরদেরকে দুনিয়াবী সম্পদ বেশী করে দিয়ে দিতাম। অনেক দেয়া হয়েছে কাফিরদেরকে। মানুষ মনে করে থাকে কাফিরেরা তো কুফরী করার পরও অনেক কিছু পাচ্ছে। হ্যাঁ, তাদের দুনিয়াবী জিন্দিগীতেই শেষ, পরকালে তাদের কিছুই থাকবে না।
الدنيا سجن الـمؤمن وجنة الكافر
দুনিয়া ঈমানদারদের জন্য কয়েদখানা আর কাফিরদের জন্য জান্নাত। অর্থাৎ কাফিরদের জন্য দুনিয়া হচ্ছে বালাখানা, এখানে তারা সব পাবে। মহান আল্লাহ পাক তিনি যা দেয়ার সবই দিয়ে দিয়েছেন আরো দিতেন যদি ঈমানদারগণ বিভ্রান্ত হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা না থাকতো। তাহলে কাফিরদেরকে স্বর্ণ, মনি, মুক্তা, হীরা, জহরত দিয়ে বাড়ী-ঘর, দালান-কোঠা, চেয়ার-টেবিল, খাট-পালং সব করে দিতেন।
মহান আল্লাহ পাক তিনি বলেন, এগুলো সমস্ত কিছু দুনিয়াবী সম্পদ। তোমরা এর মোহে আকৃষ্ট হয়ো না। ঈমানদার উনাদের জন্য পরকাল রয়েছে। সুবহানাল্লাহ!
এরপর মহান আল্লাহ পাক তিনি নিজেই ইরশাদ মুবারক করেন-
وَمَن يَعْشُ عَن ذِكْرِ الرَّحْمَنِ نُقَيِّضْ لَهُ شَيْطَانًا فَهُوَ لَهُ قَرِينٌ
ঈমানদারগণ! সাবধান থাকো সতর্ক থাকো, যারা মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের থেকে গাফিল হয়ে যাবে তাদের জন্য একটা শয়তান নির্দিষ্ট হয়ে যাবে। নাউযুবিল্লাহ! ঐ শয়তানটা তাদের সঙ্গী হয়ে যাবে।
وَإِنَّهُمْ لَيَصُدُّونَهُمْ عَنِ السَّبِيلِ وَيَحْسَبُونَ أَنَّهُم مُّهْتَدُونَ
ঐ শয়তানটা তাদেরকে বিভ্রান্ত করতে থাকবে গোমরাহ করতে থাকবে, নেক কাজে বাধা দিবে তারা ধারণা করবে, তারা হিদায়েত লাভ করেছে অর্থাৎ হিদায়েত প্রাপ্ত। নাউযুবিল্লাহ!
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
কাফির মুশরিকদের থেকে দূরে থাকতে এবং তাদেরকেও দূরে রাখার ব্যাপারে নির্দেশ মুবারক
২০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে- ফুটবল-ক্রিকেটসহ সর্বপ্রকার খেলাধুলা করা, সমর্থন করা হারাম ও নাজায়িয (২)
২০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
যেখানে প্রাণীর ছবি থাকে, সেখানে রহমতের ফেরেশতা প্রবেশ করেন না
২০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
২০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের সম্মানিত ৩টি স্তর
২০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
আসমাউর রিজাল, জারাহ ওয়াত তা’দীল, উছুলে হাদীছ শরীফ উনার অপব্যাখ্যা করে অসংখ্য ছহীহ হাদীছ শরীফ উনাকে জাল বলছে ওহাবী সালাফীরা (৩)
২০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
পর্দা করা ফরজ, বেপর্দা হওয়া কবীরা গুনাহ
১৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
১৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
হযরত আব্বাস ইবনে মিরদাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
যাকাত সম্পর্কিত আহকাম, মাসায়িল ও ফাযায়িল (৪)
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
প্রাণীর ছবি তোলা হারাম ও নাফরমানীমূলক কাজ
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার)












