ছহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, আস সাফফাহ, আল জাব্বারিউল আউওয়াল, আল ক্বউইউল আউওয়াল, হাবীবুল্লাহ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মাওলানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
দুনিয়ার বুরায়ী বা খারাবী (১৪)
, ২১শে রজবুল হারাম শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ২৫ ছামিন, ১৩৯২ শামসী সন , ২২ জানুয়ারী, ২০২৫ খ্রি:, ০৮ মাঘ, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
যখন ঘটনাটা ঘটে গেলো, তখন ফেরেশ্তা আলাইহিমুস সালাম উনারা ব্যাপারটা লক্ষ্য করেছেন। উনারা জিজ্ঞেস করলেন যে, আয় মহান আল্লাহ পাক! আপনি তো খালিক, আপনি মালিক, আপনি রব্বুল আলামীন। আপনার কোন কাজের উপরে কারো কোন চু-চেরা, কী¡ল-ক্বাল চলবে না। তথাপিও আমাদের একটা প্রশ্ন রয়েছে। এ দু’জনের মৃত্যু দেখে একটা বিষয়ে আমাদের মনে প্রশ্ন জেগেছে। সেটা হচ্ছে- একটা লোক আপনার অনুগত, আপনার নবী আলাইহিস সালাম উনার অনুগত, সারাজীবন সে আপনার মতে মত রয়েছে, আপনার নবী আলাইহিস সালাম উনার পথে পথ রয়েছে, সে স্বেচ্ছায় কখনও কোন ত্রুটি করেনি। সে ব্যক্তি মৃত্যুর সময় এক ঢোক পানিও পেলো না, আফসোসের বিষয়।
আর একটা কাট্টা কাফির, সে সারা জীবন আপনার বিরোধিতা করেছে, কুফরী করেছে, শেরেকী করেছে, হারাম কাজ করেছে। সে স্বেচ্ছায় কোনদিন ভাল কাজ করেনি অনিচ্ছা ব্যতীত। এই লোকটা মৃত্যুর সময় আশা করেছিলো বড় মাছের কলিজা খাওয়ার। সেটা আপনি পুরা করে দিলেন সাতদিন সময় দিয়ে। অথচ সেই নেককার লোকটাকে আপনি পাঁচ মিনিটও সময় দিলেন না, যাতে সে পানি পান করতে পারে। আর তাকে সাত দিন সময় দিয়ে দেয়া হলো। তাতে বড় মাছ ধরে তাকে কলিজা ভেজে খাওয়ানো হলো, তারপর সে মারা গেলো। তার কি হাক্বীক্বত, এটা আমাদের জানার ইচ্ছা হচ্ছে।
মহান আল্লাহ পাক তিনি তখন বললেন, “হে হযরত ফেরেশ্তা আলাইহিমুস সালাম! আপনারা এক কাজ করুন, উপরের দিকে লক্ষ্য করুন। ” হযরত ফেরেশ্তা আলাইহিমুস সালাম উনারা উপরের দিকে লক্ষ্য করলেন। লক্ষ্য করে কি দেখলেন? উনারা দেখতে পেলেন যে, সেই নেককার লোকটা জান্নাতের মধ্যে ঘুরাঘুরি করতেছে। এরপর বললেন যে, “আপনারা নীচের দিকে লক্ষ্য করুন। ” উনারা নীচের দিকে লক্ষ্য করলেন, দেখলেন সেই কাফির লোকটা জাহান্নামের আগুনে দাউ দাউ করে জ্বলতেছে। যখন এটা দেখলেন, দেখার পর মহান আল্লাহ পাক তিনি জিজ্ঞেস করলেন- “আপনারা কি কিছু বুঝেছেন?” হযরত ফেরেশ্তা আলাইহিমুস সালাম উনারা বললেন- আয় মহান আল্লাহ পাক! কিছুই আমাদের আক্বলে বা বুঝে আসছে না। আমরা তো এটা জানি, একটা লোক নেক কাজ করে মারা গেলে জান্নাতে যাবে। তিনি তো আপনার প্রিয় ব্যক্তি, তিনি তো অবশ্যই জান্নাতে যাবেন। আর একটা লোক পাপ করে মারা গেলে সেতো জাহান্নামে যাবে। সেটাও আমাদের জানা রয়েছে। এখন এর মধ্যে কি হাক্বীক্বত সেটা আমাদের বুঝে আসতেছে না। যে নেককার লোকটা মারা গেছেন, তিনি জান্নাতে গিয়েছেন, এটাই আমরা দেখলাম। আর বদকার লোকটা মরেছে, সে জাহান্নামে গিয়েছে, সেটাও আমরা দেখলাম। এটাই তো স্বাভাবিক। তবে এটার হাক্বীক্বত কি? মূলতঃ এর মধ্যে হাক্বীক্বত রয়েছে এই যে, “নেককার লোকটা যে মারা গেছেন পানি পানি করে, পানি পাননি। উনাকে দু’এক মিনিট সময়ও দেয়া হয়নি পানি পান করার জন্য, এরমধ্যে তিনি ইন্তেকাল করেছেন। তার হাক্বীক্বত হচ্ছে- এই নেককার লোকটা আমার খুব মুহব্বতের ছিলেন, আমার প্রিয় এবং পছন্দনীয়। তিনি অবশ্যই আল্লাহওয়ালা ছিলেন। আর আমি পছন্দ করিনি, তিনি জাহান্নামের আগুনে পৌঁছুক অথবা জাহান্নামের আগুনের মধ্যে তিনি শাস্তি ভোগ করুক, সেটা আমার পছন্দনীয় নয়। তো মানুষ মাত্র কিছু ত্রুটি রয়েছে। উনারও কিছু ত্রুটি ছিলো, ইচ্ছায় হোক, অনিচ্ছায় হোক, সে ত্রুটির জন্য উনাকে হয়ত জাহান্নামে যেতে হবে। সেজন্য আমি মৃত্যুর সময় পানি পান না করায়ে, পানির যে কষ্টটা, সেই কষ্টটা দিয়ে উনার সমস্ত গুণাহখাতাগুলি ক্ষমা করে সরাসরি আমি উনাকে জান্নাতে পৌঁছিয়ে দিয়েছি। ” সুবহানাল্লাহ!
অর্থাৎ দুনিয়াবী জিন্দেগীতে আমি উনাকে যে কষ্টটা দিলাম, সে কষ্ট দেয়ার হাক্বীক্বত হচ্ছে যে, উনার কিছু ত্রুটি রয়েছে, সেজন্য তিনি কিছু কষ্ট ভোগ করবেন, এ কষ্ট ভোগ করে তিনি সরাসরি জান্নাতে চলে যাবেন এবং তাই গিয়েছেন। সুবহানাল্লাহ!
পর্দা পালন করা নারী-পুরুষ সকলের জন্যই শান্তি ও পবিত্রতা হাছিলের কারণ
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে সালাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু (২)
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
যাকাত সম্পর্কিত আহকাম, মাসায়িল ও ফাযায়িল (২)
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পর্দা পালন করা পুরুষ-মহিলা সবার জন্য ফরজ
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
মহাসম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে মুহব্বত মুবারক করা সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসীর জন্য ফরযে আইন
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের আলোকে ছিরাতুল মুস্তাক্বীম উনার ছহীহ তাফসীর- ০১
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
যেখানে প্রাণীর ছবি থাকে, সেখানে রহমতের ফেরেশতা প্রবেশ করেন না
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
যা খাওয়া হারাম করা হয়েছে
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
ইবলিসের পরে দ্বিতীয় উলামায়ে সূ হলো বালয়াম বিন বাউরা
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
পবিত্র ক্বাবলাল জুমুআহ্, বা’দাল জুমুআহ্ এবং সুন্নাতুল ওয়াক্ত নামায উনার শরঈ আহকাম (৪)
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার)












