ছহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, আস সাফফাহ, আল জাব্বারিউল আউওয়াল, আল ক্বউইউল আউওয়াল, হাবীবুল্লাহ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মাওলানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
দুনিয়ার বুরায়ী বা খারাবী (৪১)
, ২০ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০:০০ এএম ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
সে বুযুর্গ ব্যক্তির কথামত হযরত মোল্লা জামী রহমতুল্লাহি আলাইহি অনেক দূর থেকে সফর করে ক্লান্ত-শ্রান্ত হয়ে এসে উপস্থিত হলেন উনার বাড়ীতে। বাড়ীতে এসে দেখেন, উনার বাড়ীটা খুব বড় বাড়ী, সামনে অনেক বড় উঠান, বাড়ীটা খুব বড়, সামনে বড় উঠান। অর্থাৎ মাঠের মত জায়গা, সে মাঠে স্তূপ করা রয়েছে- ধান, চাল, গম, নানা প্রকার শস্য, ফল-ফলাদি।
সেটা দেখে মোল্লা জামী রহমতুল্লাহি আলাইহি মনে মনে চিন্তা করলেন, এটা আবার কোনটা? আমাকে পাঠানো হলো, উনি খুব বড় মহান আল্লাহ পাক উনার ওলী, বুযুর্গ অথচ এত বড় বাড়ী, এত সম্পদ! কি করে উনার পক্ষে বুযুর্গ হওয়া সম্ভব! উনি মনে মনে চিন্তা করলেন।
যেহেতু উনি ফারসী কবিও ছিলেন, উনি মনে মনে চিন্তা করে বললেন, আপছে আপ কথাটা বের হয়ে গেল যে-
مر دست كه دنيا دوست داردانكه نه
অর্থাৎ এত কষ্ট করে এলাম, এত বড় বুযুর্গ ব্যক্তি শুনে, এসে দেখি- এত বড় শান-শওকত?
مر دست كه دنيا دوست داردانكه نه
হাক্বীক্বত যে দুনিয়াকে মুহব্বত করে, সে তো মহান আল্লাহ পাক উনার ওলী হতে পারে না। উনি কি করে মহান আল্লাহ পাক উনার ওলী হবেন?
এটা ফিকির করে উনি এ কথা বলে, উনি সাক্ষাতই করলেন না। উনি সাক্ষাত করার প্রয়োজনই মনে করলেন না। উনি মনে মনে চিন্তা করলেন, উনি কি করে মহান আল্লাহ পাক উনার ওলী হতে পারেন? যেখানে উনার এত সম্পদ রয়েছে। এটা বলে উনি ফিরে গেলেন।
ফিরে যাবেন কোথায়? যেহেতু উনি অনেক দূর থেকে এসেছেন, ক্লান্ত-শ্রান্ত। উনি সেই হযরত খাজা উবায়দুল্লাহ আহরার রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার বাড়ীর কাছে একটা মসজিদ ছিল, তখনো নামাযের ওয়াক্ত হয়নি, যোহর নামাযের সময়, ওয়াক্ত হতে অনেক সময় বাকী রয়েছে। উনি সেই মসজিদে উপস্থিত হয়ে মনে মনে চিন্তা করলেন, এখানেই একটু বিশ্রাম নিয়ে নেই, ঘুমায়ে নেই। কোথায় আর জায়গা পাওয়া যাবে, সব জায়গায়তো আগেরকার যুগে হোটেল ছিলনা, সরাইখানা ছিলনা, লঙ্গরখানাও ছিলনা বিশ্রাম নেয়ার মতো। আর যেহেতু খাজা উবায়দুল্লাহ আহরার রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার বাড়ীতেই ছিল সেই খানক্বা শরীফ, বিশ্রাম নেয়ার মতো জায়গা, কিন্তু উনি সেখানে উঠেননি। উনি উঠলেন গিয়ে মসজিদে, উনি মসজিদে গিয়ে বিশ্রাম নিয়েছেন অর্থাৎ শুয়েছেন। এত ক্লান্ত, এত শ্রান্ত যে, উনি শোয়ার সাথে সাথেই উনি ঘুমায়ে গেলেন।
উনি ঘুমে স্বপ্ন দেখতে লাগলেন যে, অর্থাৎ হযরত মোল্লা জামী রহমতুল্লাহি আলাইহি ঘুমায়ে ঘুমায়ে স্বপ্ন দেখতে লাগলেন যে, ক্বিয়ামত কায়েম হয়ে গিয়েছে। ক্বিয়ামত কায়েম হয়ে গিয়েছে। সমস্ত লোক ইয়া নফসী, ইয়া নফসী বলতেছে, অস্থির হয়ে হৈ চৈ করে দৌড়া-দৌড়ি করতেছে, নাযাতের জন্য একেকজন অস্থির হয়ে গিয়েছে, পেরেশান হয়ে গিয়েছে।
হঠাৎ কিছু লোক কোথা থেকে এসে মোল্লা জামী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাকে পাকড়াও করলো যে, হে মোল্লা জামী! তুমি দেখ, ক্বিয়ামত কায়েম হয়ে গিয়েছে, তোমার কাছে আমরা কিছু পাওনা ছিলাম, কিছু টাকা-পয়সা, মাল-সামানা পাওনা ছিলাম। তুমি তো দিলে না, এখনতো ক্বিয়ামত কায়েম হয়ে গেল, এখন তুমি কি করে দিবে, হয় তুমি আমাদের সম্পদ ফিরিয়ে দাও, নতুবা আমরা মহান আল্লাহ পাক উনার কাছে তোমার বিরুদ্ধে নালিশ করবো। নালিশ করে তোমার যত নেকী রয়েছে, তা আমরা নিয়ে নিব। হয় তুমি আমাদের মাল-সামানা দিয়ে দাও, সম্পদ দিয়ে দাও, অন্যথায় তোমার নেকী আমরা নিয়ে নিব, তুমি কি করবে করো। সমস্ত লোক ঘেরাও করে ধরেছে সেই মোল্লা জামী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাকে, উনি অস্থির, পেরেশান।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত আব্বাস ইবনে আবদুল মুত্তালিব আলাইহিস সালাম (১)
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ফুটবল-ক্রিকেটসহ সর্বপ্রকার খেলাধুলা করা, সমর্থন করা হারাম ও নাজায়িয (১)
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
প্রাণীর ছবি তোলা শক্ত হারাম, রয়েছে কঠিন শাস্তি
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
মহাসম্মানিত তিন যাত পাক উনাদেরকে মুহব্বত করা সমস্ত মাখলূক্বাতের জন্য ফরয
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
আসমাউর রিজাল, জারাহ ওয়াত তা’দীল, উছুলে হাদীছ শরীফ উনার অপব্যাখ্যা করে অসংখ্য ছহীহ হাদীছ শরীফ উনাকে জাল বলছে ওহাবী সালাফীরা (২)
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
আখেরী রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
১২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
পবিত্র ছোহবত মুবারক গ্রহণের ফাযায়িল-ফযীলত, গুরুত্ব-তাৎপর্য ও আবশ্যকতা:
১২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
১২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
যে নিজে পর্দা করে না ও অধীনস্থদের পর্দা করায় না সে দাইয়ূছ
১২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
হাক্বীক্বী মৃত্যুকে স্মরণ করার মধ্যেই শহীদী দরজা মিলে
১২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার)












