ছহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, আস সাফফাহ, আল জাব্বারিউল আউওয়াল, আল ক্বউইউল আউওয়াল, হাবীবুল্লাহ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মাওলানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
পর্দার গুরুত্ব-তাৎপর্য ও হুকুম-আহ্কাম (১১)
, ২৮ যিলক্বদ শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ২৮ ছানী আ’শার, ১৩৯২ শামসী সন , ২৭ মে, ২০২৫ খ্রি:, ১৪ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ ফসলী সন, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
এরপর মহান আল্লাহ পাক তিনি ঘোষণা করেন-
فَلَا تَخْضَعْنَ بِالْقَوْلِ
“আপনারা যখন কথা বলবেন তখন যদি কখনও বেগানা পুরুষের সাথে কথা বলতে হয় নরম সূরে কথা বলবেন না, মিষ্টি সূরে কথা বলবেন না। ” কেন?
فَيَطْمَعَ الَّذِي فِي قَلْبِهِ مَرَضٌ
“যার অন্তরে রোগ রয়েছে, বদ ওয়াসওয়াসা রয়েছে, কু-মন্ত্রনা রয়েছে, শয়তানের তাছীর রয়েছে সে দুশ্চিন্তা, কু-চিন্তা করতে পারে। তার সেই বদ খাছলত প্রবল হয়ে যেতে পারে। ”
وَقُلْنَ قَوْلًا مَّعْرُوفًا
“আপনারা তাদের সাথে স্পষ্টভাবে কথা বলবেন। ”
এই আয়াত শরীফ যখন নাযিল হয়ে গেল, তারপর হযরত উম্মুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের যদি কথা বলার দরকার হতো উনারা সাধারণতঃ অনেক সময় মুখে হাত দিয়ে কথা বলতেন। অর্থাৎ মুখে হাত দিয়ে কথা বললে, কথা শুনা যেত কিন্তু স্বরটা ধরা যেতো না, কে কথা বলছেন। যেহেতু পূর্বে হয়ত অনেকেই কথা শুনেছেন, আওয়াজ শুনলে উনারা চিনতে পারবেন, কে বলছেন।
যখন মুখের মধ্যে হাত দিয়ে কথা বলা হবে, কথা শুনা যাবে, কিন্তু আওয়াজটা বুঝা যাবেনা, কে বলছেন। যার জন্য পরবর্তীতে হযরত উম্মুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা যদি কখনও কথা বলার প্রয়োজন মনে করতেন তাহলে উনারা কথা বলতেন, কিন্তু মুখের মধ্যে হাত দিয়ে বা হাত রেখে এরপর কথা বলতেন যাতে যে কথা শুনছে তার পক্ষে বুঝা সম্ভব হতোনা, যিনি কথা বলছেন উনি কে? যেহেতু উনার স্বরটা, আওয়াজটা পরিবর্তন হয়ে যেতো।
কারণ হাদীছ শরীফে এসেছে-
صَوْتُهُنَّ عَوْرَةٌ
“মহিলাদের আওয়াজ যেটা রয়েছে সেটাও পর্দার অন্তর্ভুক্ত। ”
মহিলাদের যে আওয়াজ রয়েছে সেটাও পর্দার অন্তর্ভুক্ত। সেখানেও পর্দা করতে হবে। যেখানে সেখানে, যার তার সাথে কথা বলা যাবেনা। নেহায়েত জরুরত যদি থাকে তাহলে সে কথা বলতে পারবে। এছাড়া কারো পক্ষে কথা বলা যাবে না।
অর্থাৎ যদি যার তার সাথে, যেখানে সেখানে কথা বলে সেটাও তার পর্দার খিলাফ হয়ে যাবে। সেটাও তার পর্দার খিলাফ হয়ে যাবে। সেখানেও তাকে সর্তক থাকতে হবে। এতটুকু মহান আল্লাহ পাক তিনি শক্ত নির্দেশ করেছেন।
এরপর মহান আল্লাহ পাক তিনি উল্লেখ করেন যে, “কথা বলার সময় সাবধান থাকতে হবে যেন কথার কারণে কারো অন্তরে ওয়াসওয়াসা সৃষ্টি না হয়। ” সবচাইতে উত্তম হচ্ছে-
وَقَرْنَ فِي بُيُوتِكُنَّ
“আপনারা ঘরে আবদ্ধ হয়ে থাকুন, ঘর থেকে সাধারণতঃ বের হবেননা। ” মহান আল্লাহ পাক তিনি ঘরে অবস্থান করতে বলেছেন।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
কাফির মুশরিকদের থেকে দূরে থাকতে এবং তাদেরকেও দূরে রাখার ব্যাপারে নির্দেশ মুবারক
২০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে- ফুটবল-ক্রিকেটসহ সর্বপ্রকার খেলাধুলা করা, সমর্থন করা হারাম ও নাজায়িয (২)
২০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
যেখানে প্রাণীর ছবি থাকে, সেখানে রহমতের ফেরেশতা প্রবেশ করেন না
২০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
২০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের সম্মানিত ৩টি স্তর
২০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
আসমাউর রিজাল, জারাহ ওয়াত তা’দীল, উছুলে হাদীছ শরীফ উনার অপব্যাখ্যা করে অসংখ্য ছহীহ হাদীছ শরীফ উনাকে জাল বলছে ওহাবী সালাফীরা (৩)
২০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
পর্দা করা ফরজ, বেপর্দা হওয়া কবীরা গুনাহ
১৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
১৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
হযরত আব্বাস ইবনে মিরদাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
যাকাত সম্পর্কিত আহকাম, মাসায়িল ও ফাযায়িল (৪)
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
প্রাণীর ছবি তোলা হারাম ও নাফরমানীমূলক কাজ
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার)












