ছহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, আস সাফফাহ, আল জাব্বারিউল আউওয়াল, আল ক্বউইউল আউওয়াল, হাবীবুল্লাহ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মাওলানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
পর্দার গুরুত্ব-তাৎপর্য ও হুকুম-আহ্কাম (৫৯)
, ২৬ মুহররমুল হারাম শরীফ, ১৪৪৭ হিজরী সন, ২৩ ছানী, ১৩৯৩ শামসী সন , ২২ জুলাই, ২০২৫ খ্রি:, ০৮ শ্রাবণ, ১৪৩২ ফসলী সন, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
কাজেই কেউ যদি কোন জরুরতে কাউকে ফিরিয়ে দেয় সেটা অসন্তুষ্ট হওয়ার কিছুই নেই। কারণ এটাই মহান আল্লাহ পাক উনার নির্দেশ। মানুষের সুবিধা অসুবিধা রয়েছে, কাজের ব্যস্ততা রয়েছে। যদি কাউকে ফিরিয়ে দেয় তাহলে তার পক্ষে যদি সম্ভব হয় তাহলে যেন সময়টা বলে দেয় যে, এখন তো সম্ভব হচ্ছে না, পরবর্তী সময় আপনি যোগাযোগ করুন বা অমুক সময় আসুন। এটা যেন বলে দেয়া হয়, সেটা মহান আল্লাহ পাক উনার নির্দেশ, মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নির্দেশ। কাজেই এটা হচ্ছে মানুষের পর্দার জন্য সহায়ক।
পর্দার যে সমস্ত আয়াত শরীফ নাযিল হয়েছে ‘সূরা আহযাব শরীফ’ এবং ‘সুরা নূর শরীফের’ মধ্যে। এখন যে আয়াত শরীফ আলোচনা করা হলো তা তৃতীয় নম্বর আয়াত শরীফের সঙ্গে তার আনুষাঙ্গিক আয়াত শরীফ আলোচনা করা হলো। মহান আল্লাহ পাক তিনি তাওফীক দান করলে আমরা আরো আলোচনা করব ইনশাআল্লাহ।
এর যেহেতু অনেক গুরুত্ব রয়েছে, তাৎপর্য রয়েছে।
আর পর্দা করা ফরয করে দেয়া হয়েছে মহান আল্লাহ পাক উনার তরফ থেকে, সেজন্য তার জরুরত আন্দাজ অর্থাৎ ফরয পরিমাণ ইলিম অর্জন করা প্রত্যেকের জন্যই ফরয। সে ফরয পরিমাণ ইলিম যাতে অর্জিত হয়, সেদিকে লক্ষ্য করে আমরা পর্যায়ক্রমে পর্দার হুকুম-আহ্কাম সম্পর্কে আলোচনা করছি।
মহান আল্লাহ পাক তিনি এই পর্দা সম্পর্কে অনেক আয়াত শরীফ নাযিল করেছেন এবং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অনেক হাদীছ শরীফে ইরশাদ মুবারক করেছেন।
এর গুরুত্ব-তাৎপর্য, হুকুম-আহকাম সম্পর্কে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন-
قُلْ لِلْمُؤْمِنِينَ يَغُضُّوا مِنْ أَبْصَارِهِمْ وَيَحْفَظُوا فُرُوجَهُمْ ذَلِكَ أَزْكَى لَهُمْ إِنَّ اللهَ خَبِيرٌ بِمَا يَصْنَعُونَ. وَقُلْ لِلْمُؤْمِنَاتِ يَغْضُضْنَ مِنْ أَبْصَارِهِنَّ وَيَحْفَظْنَ فُرُوجَهُنَّ وَلَا يُبْدِينَ زِينَتَهُنَّ إِلَّا مَا ظَهَرَ مِنْهَا وَلْيَضْرِبْنَ بِخُمُرِهِنَّ عَلَى جُيُوبِهِنَّ وَلَا يُبْدِينَ زِينَتَهُنَّ إِلَّا لِبُعُولَتِهِنَّ أَوْ آبَائِهِنَّ أَوْ آبَاءِ بُعُولَتِهِنَّ أَوْ أَبْنَائِهِنَّ أَوْ أَبْنَاءِ بُعُولَتِهِنَّ أَوْ إِخْوَانِهِنَّ أَوْ بَنِي إِخْوَانِهِنَّ أَوْ بَنِي أَخَوَاتِهِنَّ أَوْ نِسَائِهِنَّ أَوْ مَا مَلَكَتْ أَيْمَانُهُنَّ أَوِ التَّابِعِينَ غَيْرِ أُولِي الْإِرْبَةِ مِنَ الرِّجَالِ أَوِ الطِّفْلِ الَّذِينَ لَمْ يَظْهَرُوا عَلَى عَوْرَاتِ النِّسَاءِ وَلَا يَضْرِبْنَ بِأَرْجُلِهِنَّ لِيُعْلَمَ مَا يُخْفِينَ مِنْ زِينَتِهِنَّ وَتُوبُوا إِلَى اللَّهِ جَمِيعًا أَيُّهَ الْمُؤْمِنُونَ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُونَ
আয়াত শরীফের মধ্যে মহান আল্লাহ পাক তিনি অনেকগুলি হুকুম-আহকামের নির্দেশ করেছেন। এর পূর্বে আমরা এর পূর্ববর্তী আয়াত শরীফ সম্পর্কে আলোচনা করেছি। এখানে মহান আল্লাহ পাক তিনি পর্দার কিছু হুকুম-আহকাম, আদেশ-নিষেধ সম্পর্কে উল্লেখ করেছেন। পূর্বে যে সমস্ত আয়াত শরীফ আলোচনা করা হয়েছে সেটা পর্দা ফরয করা সম্পর্কে নাযিল করা হয়েছিল এবং তার আনুষাঙ্গিক বিষয় সম্পর্কে উল্লেখ করা হয়েছিল। এখানে পর্দার হুকুম- আহ্কাম সম্পর্কে উল্লেখ করা হয়েছে।
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন এর অর্থ হচ্ছে যে, মহান আল্লাহ পাক তিনি বলেন, “আমার সম্মানিত হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি বলে দিন-
قُلْ لِلْمُؤْمِنِينَ يَغُضُّوا مِنْ أَبْصَارِهِمْ وَيَحْفَظُوا فُرُوجَهُمْ
আপনি বলে দিন, হে মু’মিন-মুসলমানরা! যারা পূরুষ রয়েছ يَغُضُّوا مِنْ أَبْصَارِهِمْ তোমাদের দৃষ্টিকে তোমরা অবনত রাখ। وَيَحْفَظُوا فُرُوجَهُمْ তোমাদের লজ্জাস্থানকে হিফাযত করো। ذَلِكَ أَزْكَى لَهُمْ এটা তোমাদের জন্য পবিত্রতা।
إِنَّ اللهَ خَبِيرٌ بِمَا يَصْنَعُونَ নিশ্চয়ই তোমরা যা করে থাক সে সম্পর্কে মহান আল্লাহ পাক তিনি খবর রাখেন। ”
বেপর্দা হওয়া শয়তানের ওয়াসওয়াসাকে সহজ করার মাধ্যম
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ عُمَرَ عَلَيْهِ السَّلَامُ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَا يـَخْلُوَنَّ رَجُلٌ بِاَمْرَأَةٍ اِلَّا ثَالِثُهَا الشَّيْطَانُ
অর্থ: “সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি বর্ণনা করেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, (মহান আল্লাহ পাক উনার কসম!) কোনো পুরুষ কোনো নারীর সাথে একাকী হলেই শয়তান এসে তাদের তৃতীয় ব্যক্তি হয়। অর্থাৎ তাদের উভয়কেই গুনাহের কাজে লিপ্ত করার জন্য ওয়াসওয়াসা দিতে থাকে। ” নাউযুবিল্লাহ! (তিরমিযী শরীফ)
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
কাফির মুশরিকদের থেকে দূরে থাকতে এবং তাদেরকেও দূরে রাখার ব্যাপারে নির্দেশ মুবারক
২০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে- ফুটবল-ক্রিকেটসহ সর্বপ্রকার খেলাধুলা করা, সমর্থন করা হারাম ও নাজায়িয (২)
২০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
যেখানে প্রাণীর ছবি থাকে, সেখানে রহমতের ফেরেশতা প্রবেশ করেন না
২০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
২০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের সম্মানিত ৩টি স্তর
২০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
আসমাউর রিজাল, জারাহ ওয়াত তা’দীল, উছুলে হাদীছ শরীফ উনার অপব্যাখ্যা করে অসংখ্য ছহীহ হাদীছ শরীফ উনাকে জাল বলছে ওহাবী সালাফীরা (৩)
২০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
পর্দা করা ফরজ, বেপর্দা হওয়া কবীরা গুনাহ
১৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
১৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
হযরত আব্বাস ইবনে মিরদাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
যাকাত সম্পর্কিত আহকাম, মাসায়িল ও ফাযায়িল (৪)
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
প্রাণীর ছবি তোলা হারাম ও নাফরমানীমূলক কাজ
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার)












