ছহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, আস সাফফাহ, আল জাব্বারিউল আউওয়াল, আল ক্বউইউল আউওয়াল, হাবীবুল্লাহ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মাওলানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
তাক্বওয়া হাছিল করার গুরুত্ব-ফযীলত (৩৪)
, ০৮ জুমাদাল ঊলা শরীফ, ১৪৪৭ হিজরী সন, ০২ সাদিস, ১৩৯৩ শামসী সন , ৩১ অক্টোবর, ২০২৫ খ্রি:, ১৫ কার্তিক, ১৪৩২ ফসলী সন, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
তাকওয়া পরহেযগারী কতটুকু থাকতে হবে, সেটা সম্বন্ধে মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে উল্লেখ করে বলেছেন-
يَاأَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تُقَدِّمُوا بَيْنَ يَدَيِ اللهِ وَرَسُولِهِ وَاتَّقُوا اللهَ إِنَّ اللهَ سَمِيعٌ عَلِيمٌ. يَاأَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تَرْفَعُوا أَصْوَاتَكُمْ فَوْقَ صَوْتِ النَّبِيِّ وَلَا تَجْهَرُوا لَهُ بِالْقَوْلِ كَجَهْرِ بَعْضِكُمْ لِبَعْضٍ أَنْ تَحْبَطَ أَعْمَالُكُمْ وَأَنْتُمْ لَا تَشْعُرُونَ
হে ঈমানদারগণ, তোমরা মহান আল্লাহ পাক ও উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অগ্রগামী হয়ো না এবং মহান আল্লাহ পাক উনাকে ভয় করো। নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি সবকিছু শুনেন ও জানেন। হে ঈমানদারগণ! তোমরা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আওয়াজের চেয়ে তোমাদের আওয়াজ উঁচু করোনা। তোমরা একে অপরের সাথে যেরূপ জোরে কথা বল, উনার সাথে ঐভাবে কথা বল না। এতে তোমাদের আমল নষ্ট হয়ে যাবে, যা তোমরা বুঝতেও পারবেনা। ”
মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে কি তাকওয়া? এখানে আমাদের একটা জিনিস মনে রাখতে হবে, একটা বান্দার সাথে মহান আল্লাহ পাক উনার কি তাকওয়া, একটা বান্দার সাথে মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে কি তাকওয়া, একটা বান্দার সাথে হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের সাথে কি তাকওয়া, একজন উম্মতের জন্য আউলিয়ায়ে কিরাম উনাদের প্রতি কি তাকওয়া অর্থাৎ একটা মানুষের সাথে একটা মানুষের কি তাকওয়া সেই তাকওয়াটা আমাদের বুঝতে হবে। প্রথম যেটা বুঝতে হবে মহান আল্লাহ পাক উনার সাথে কি তাকওয়া, মহান আল্লাহ পাক উনাকে কতটুকু ভয় করতে হবে, মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে কতটুকু ভয় করতে হবে। পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
يَاأَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تُقَدِّمُوا بَيْنَ يَدَيِ اللهِ وَرَسُولِهِ وَاتَّقُوا اللهَ إِنَّ اللهَ سَمِيعٌ عَلِيمٌ.
এ পবিত্র আয়াত শরীফ উনার শানে নুযূল এবং তার আহকাম সম্পর্কে যেটা বলা হয়, হযরত যুননূন মিছরী রহমতুল্লাহি আলাইহি যিনি বড় বুযূগর্, মহান আল্লাহ পাক উনার ওলী ছিলেন। উনি একদিন গিয়েছেন পবিত্র কা’বা শরীফ উনার মধ্যে হজ্জ করতে। হজ্জ শেষে উনি বসে রয়েছেন পবিত্র কা’বা শরীফ উনার সীমানার মধ্যে, পবিত্র কা’বা শরীফ উনার পাশে। হঠাৎ দেখলেন, একটা মেয়েলোক একটা বাচ্চাসহ সেখানে এসেছে। সে এসে বলছে, “মহান আল্লাহ পাক উনার সেই গোপন ওয়াদা। ” বার বার সেই মেয়েলোকটা একই কথা বলছে। যখন সে এই কথা বার বার বলছে, হযরত যুননূন মিছরী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি যেখানে বসা ছিলেন সেখান থেকে উঠে গিয়ে সেই মহিলার নিকটে গিয়ে বললেন, হে মহিলা! কিসের গোপন ওয়াদা? কোন গোপন ওয়াদা তোমার সাথে মহান আল্লাহ পাক উনার? মহিলা চুপ হয়ে গেল। সে বলল, হুযূর! সত্যি আমার সাথে মহান আল্লাহ পাক উনার কিছু গোপন ওয়াদা রয়েছে। যেহেতু আপনি মহান আল্লাহ পাক উনার ওলী, বুজুর্গ সেজন্য আপনাকে বলছি। অনেকদিন আগের কথা, আমি একদিন আমার এই বাচ্চা নিয়ে জাহাজে করে সফরে যাচ্ছিলাম। সফরে রওয়ানা হয়েছি, কিছুদূর যাবার পরে তুফান হলো সেই সমুদ্রের মধ্যে। তুফানে জাহাজ ভেঙে চৌচির হয়ে গেল। আমি একটা তক্তা ধরে ভাসতে লাগলাম। ভাসতে ভাসতে রাত্র কেটে সকাল হয়ে গেল। তখন সমুদ্রের মধ্যে আমি আমার বাচ্চাসহ ভাসমান ছিলাম। হঠাৎ দেখলাম একটা হাবসী লোক আসছে আমার দিকে। সেও একটা তক্তার মধ্যে ভাসছে। সে খারাপ কাজে আমাকে প্ররোচনা দিতে লাগল। আমি বললাম হে হাবশী ব্যক্তি, তুমি মহান আল্লাহ পাক উনাকে ভয় করো। এই সংকটময় অবস্থার মধ্যে কি করে তুমি খারাপ চিন্তা করতে পার? তুমি ইস্তেগফার করো, তওবা করো, মহান আল্লাহ পাক উনাকে ভয় করো। সে কোন মতে কথা শুনতে রাজী নয়। আমার বাচ্চা ছিল ঘুমন্ত। আমি তাকে চিমটি কেটে সজাগ করে দিলাম। বাচ্চাটা কেঁদে উঠল, আমি তাকে বললাম দেখ তুমি ধৈর্যধারণ করো, আমার বাচ্চাতো সজাগ হয়ে গেছে ঘুমাতে দাও।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে সালাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু (২)
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
যাকাত সম্পর্কিত আহকাম, মাসায়িল ও ফাযায়িল (২)
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পর্দা পালন করা পুরুষ-মহিলা সবার জন্য ফরজ
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
মহাসম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে মুহব্বত মুবারক করা সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসীর জন্য ফরযে আইন
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের আলোকে ছিরাতুল মুস্তাক্বীম উনার ছহীহ তাফসীর- ০১
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
যেখানে প্রাণীর ছবি থাকে, সেখানে রহমতের ফেরেশতা প্রবেশ করেন না
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
যা খাওয়া হারাম করা হয়েছে
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
ইবলিসের পরে দ্বিতীয় উলামায়ে সূ হলো বালয়াম বিন বাউরা
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
পবিত্র ক্বাবলাল জুমুআহ্, বা’দাল জুমুআহ্ এবং সুন্নাতুল ওয়াক্ত নামায উনার শরঈ আহকাম (৪)
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার)












