ছহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, আস সাফফাহ, আল জাব্বারিউল আউওয়াল, আল ক্বউইউল আউওয়াল, হাবীবুল্লাহ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মাওলানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
তাক্বওয়া হাছিল করার গুরুত্ব-ফযীলত (৪৩)
, ১৬ জুমাদাল ঊলা শরীফ, ১৪৪৭ হিজরী সন, ১০ সাদিস, ১৩৯৩ শামসী সন , ০৮ নভেম্বর, ২০২৫ খ্রি:, ২৩ কার্তিক, ১৪৩২ ফসলী সন, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
কাজেই যে ওয়াকেয়াগুলো বলা হচ্ছে, সেগুলো ফিকির করে শুনতে হবে।
فِكْرُ سَاعَةٍ خَيْرٌ مِّنْ عِبَادَةِ سِتِّيْنَ سَنَةٍ
অর্থ: কিছুক্ষণ সময় ফিকির করা ষাট বৎসর ইবাদত থেকে উত্তম।
কাজেই প্রত্যেকেরই এটা ফিকিরের বিষয় রয়ে গেছে, চিন্তার বিষয় রয়ে গেছে। কাজেই যেটা বলা হচ্ছে, খুব মনোযোগ দিয়ে শুনবেন, তাহলে বুঝতে সোজা হবে। আর ফিকির না করলে সেটা বুঝা কঠিন ব্যাপার হয়ে দাঁড়াবে। হযরত আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিমগণ উনারা মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি বা হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের প্রতি কতটুকু তাকওয়া অবলম্বন করেছেন, উনাদের তাকওয়া কি? তাকওয়ার কি হাল অবস্থা, সেটা আমরা একটা ঘটনা শুনলে বুঝতে পারবো।
হযরত সাররী সাখতী রহমতুল্লাহি আলাইহি যিনি ইমামুশ শরীয়ত, ইমামুত তরীকত যিনি হযরত মারূফ কারখী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার মুরীদ ও যিনি হযরত জুনাইদ বাগদাদী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার পীর ছাহেব ছিলেন।
উনার একটা ওয়াকেয়া উল্লেখ করা হয় যে, হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালামগণ উনাদের প্রতি কতটুকু তাকওয়া রাখতে হবে। কতটুকু পরহেযগারী রাখতে হবে। হযরত সাররী সাখতী রহমতুল্লাহি আলাইহি একদিন স্বপ্নে দেখলেন হযরত ইয়াকুব আলাইহিমুস সালাম উনাকে। স্বপ্নে দেখে বললেন, হে হযরত ইয়াকুব আলাইহিস সালাম! আপনি তো মহান আল্লাহ পাক উনার নবী, আপনার মধ্যে মহান আল্লাহ পাক উনার মহব্বত পরিপূর্ণ রয়ে গেছে, এটা সত্য কথা। তবে কি কারণে আপনি হযরত ইউসুফ আলাইহিস সালাম উনার জন্য কেঁদে কেঁদে আপনার চক্ষুটা নষ্ট করেছিলেন?
শুধু এতটুকু কথা উনি বললেন। যখন উনি এ কথাটা বললেন, সাথে সাথে একটা গায়েবী আওয়াজ হলো, হে সাররী সাখতী! মুখ সামলিয়ে কথা বলুন। যাঁরা মহান আল্লাহ পাক উনার নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম, যাঁরা মহান আল্লাহ পাক উনার খাছ বান্দা উনাদের সম্পর্কে সতর্ক হয়ে কথা বলতে হয়।
এই আওয়াজ হওয়ার সাথে সাথে হযরত ইউসুফ আলাইহিস সালাম উনাকে হযরত সাররী সাখতী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার নিকট পেশ করা হলো। উনি উনাকে দেখলেন। দেখার সাথে সাথে উনি বেহুঁশ হয়ে গেলেন। তের দিন, তের রাত্র উনি বেহুঁশ হয়ে রইলেন।
যখন উনার হুঁশ আসল তখন গায়েবী আওয়াজ হল, দেখ! যাঁরা মহান আল্লাহ পাক উনার আশেক, যাঁরা মহান আল্লাহ পাক উনার খাছ বান্দা, যাঁরা মহান আল্লাহ পাক উনার নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম, উনাদের সাথে এলোমেলো কথা বললে, তাদের এ অবস্থাই হয়ে থাকে।
এখন চিন্তা ফিকির করেন, হযরত সাররী সাখতী রহমতুল্লাহি আলাইহি যিনি ইমামুশ শরীয়ত ওয়াত তরীকত, বড় বুযুর্গ, মহান আল্লাহ পাক উনার মশহূর ওলী ছিলেন। উনার জীবনী দেখবেন।
‘তাযকেরাতুল আওলিয়া’ কিতাবে উল্লেখ করা হয়েছে, উনার অনেক আলোচনা করা হয়েছে। সেই সাররী সাখতী রহমতুল্লাহি আলাইহি এতটুকু বলেছিলেন, আপনার দিলের মধ্যে মহান আল্লাহ পাক উনার মহব্বত আছে সত্যি, তবে কেন হযরত ইউসুফ আলাইহিস সালাম উনার মহব্বতে আপনি কাঁদলেন এবং চক্ষু নষ্ট করলেন?
এতটুকু কথা মহান আল্লাহ পাক উনার বরদাস্ত হলোনা। মহান আল্লাহ পাক তিনি বললেন, এটা আদবের খেলাফ, তাকওয়ার খেলাফ, তাকওয়ার সাথে কথা বলতে হবে হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালামগণ উনাদের সাথে। তাকওয়ার খেলাফ করা যাবে না, বিন্দুমাত্র ব্যতিক্রম করা যাবে না। এক মুর্হূতের জন্য বা একটা শব্দের জন্যও না। কারণ,
مَا يَلْفِظُ مِنْ قَوْلٍ إِلَّا لَدَيْهِ رَقِيبٌ عَتِيدٌ
অর্থ : এমন কোন কথা নেই যেটা মানুষের জবান দিয়ে বের হয়, মানুষের জবান দিয়ে যে কথাটা বের হয়, সে কথাটা লিখে রাখা হয়, রকিব অর্থাৎ ফেরেস্তা রয়ে গেছেন, যাঁরা সেটা লিখে রাখেন।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে সালাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু (২)
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
যাকাত সম্পর্কিত আহকাম, মাসায়িল ও ফাযায়িল (২)
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পর্দা পালন করা পুরুষ-মহিলা সবার জন্য ফরজ
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
মহাসম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে মুহব্বত মুবারক করা সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসীর জন্য ফরযে আইন
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের আলোকে ছিরাতুল মুস্তাক্বীম উনার ছহীহ তাফসীর- ০১
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
যেখানে প্রাণীর ছবি থাকে, সেখানে রহমতের ফেরেশতা প্রবেশ করেন না
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
যা খাওয়া হারাম করা হয়েছে
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
ইবলিসের পরে দ্বিতীয় উলামায়ে সূ হলো বালয়াম বিন বাউরা
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
পবিত্র ক্বাবলাল জুমুআহ্, বা’দাল জুমুআহ্ এবং সুন্নাতুল ওয়াক্ত নামায উনার শরঈ আহকাম (৪)
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার)












