হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের বেমেছাল ফাযায়িল-ফযীলত মুবারক সম্পর্কে ছাহিবু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, আস সাফফাহ, আল জাব্বারিউল আউওয়াল, আল ক্বউইউল আউওয়াল, হাবীবুল্লাহ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মাওলানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
, ০৮ই রজবুল হারাম শরীফ, ১৪৪৪ হিজরী সন, ০২ তাসি, ১৩৯০ শামসী সন, ৩১শে জানুয়ারি, ২০২৩ খ্রি:, ১৭ই মাঘ, ১৪২৯ ফসলী সন, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
যিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বললেন-
قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّم يَا رَبِّ اَنْتَ وَمَا اَنَا وَمَا سِوَاكَ تَرَكْتُ لِاَجْلِكْ.
মহাসম্মানিত হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বললেন, হে বারী ইলাহী! একমাত্র আপনি আমিও না। আমিতো আপনার প্রতি ফানা-বাঁকা। আপনার জন্য আমি সব তরক করে দিয়েছি। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! তাহলে বিষয়টা এখানে ফিকির করতে হবে, এটা ফিকির না করলে বুঝা সম্ভব না। এটা সূক্ষ্ম বিষয়। পবিত্র কুরআন শরীফ ইহা কল্প লোকের গল্প কাহিনী না। এখানে ফিতনা ফাসাদ বর্ণনা করার কোন বিষয় না, এখানে চূ-চেরা কিল ও কাল করার সুযোগ নাই, এখানে সমালোচনার বিষয় না, এখানে দোষারোপ করার বিষয় না, কাউকে লাঞ্চিত করার বিষয় না। ইহা হচ্ছে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং মহাসম্মানিত হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের শান-মান মুবারক প্রকাশ করা। যেটা মানুষ যেনে শুনে উনাদের অনুসরণ করে তারা আল্লাহওয়ালা এবং আল্লাহওয়ালী হবে। যেটা পবিত্র কুরআন শরীফে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
كُونُواْ رَبَّانِيِّينَ
তোমরা সকলে আল্লাহওয়ালা আল্লাহওয়ালী হয়ে যাও। এই আল্লাহওয়ালা এবং আল্লাহওয়ালী হওয়ার জন্যই নাযিল করা হয়েছে। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! এজন্য শুরুতে বলা হয়েছে পবিত্র সূরা বাক্বারা শরীফ, নাযিল হয়েছে পবিত্র মদীনা শরীফে। কিন্তু পবিত্র সূরা ফাতিহা শরীফ উনার পরে দেয়া হলো। এখানে স্পষ্ট বলে দেয়া হয়েছে-
ذَلِكَ الْكِتَابُ لاَ رَيْبَ فِيهِ هُدًى لِّلْمُتَّقِينَ
এমন কিতাব যার মধ্যে কোন সন্দেহ নাই। কাদেরকে হিদায়েত দিবে, যারা মুত্তাক্বী তাদেরকে। বিষয়টাতো ফিকির করতে হবে। পবিত্র কুরআন শরীফ পড়ে কেউ হিদায়াত কখনও লাভ করতে পারবে না। আবূ জাহিল, আবূ লাহাব পারে নাই, উতবা, শাইবা পারে নাই। কাজেই হাদীছ, তাফসীর, ফিক্বাহ বিশারদ দাবি করে মুফাসসীর, মুহাদ্দিছ ব্যাখ্যা তাফসীর করে থাকে। এরাতো সবাই হিদায়াত লাভ করতে পারবে না।
هُدًى لِّلْمُتَّقِينَ
একমাত্র যারা মুত্তাক্বী হবে তারাই হিদায়াত লাভ করতে পারবে। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!
সংকলনে-সাইয়্যিদ শাবীব আহমদ।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে সালাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু (২)
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
যাকাত সম্পর্কিত আহকাম, মাসায়িল ও ফাযায়িল (২)
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পর্দা পালন করা পুরুষ-মহিলা সবার জন্য ফরজ
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
মহাসম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে মুহব্বত মুবারক করা সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসীর জন্য ফরযে আইন
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের আলোকে ছিরাতুল মুস্তাক্বীম উনার ছহীহ তাফসীর- ০১
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
যেখানে প্রাণীর ছবি থাকে, সেখানে রহমতের ফেরেশতা প্রবেশ করেন না
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
যা খাওয়া হারাম করা হয়েছে
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
ইবলিসের পরে দ্বিতীয় উলামায়ে সূ হলো বালয়াম বিন বাউরা
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
পবিত্র ক্বাবলাল জুমুআহ্, বা’দাল জুমুআহ্ এবং সুন্নাতুল ওয়াক্ত নামায উনার শরঈ আহকাম (৪)
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার)












