সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, রহমাতুল্লিল আলামীন, ক্বয়িদুল মুরসালীন, রউফুর রহীম, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র জীবনী মুবারক (২২৮৪)
, ১৬ যিলহজ্জ শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ১৩ আউওয়াল, ১৩৯৩ শামসী সন , ১২ জুন, ২০২৫ খ্রি:, ৩০ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ ফসলী সন, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) বরকতময় জিবনী মুবারক
সাইয়্যিদুনা হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম কর্তৃক কাট্টা কাফির আমর ইবনে আব্দকে হত্যা:
এই পরিখা খনন ও তার আশপাশে মুসলিম সেনাদের কড়া প্রহরার ফলে বহু দিন ধরে অবরোধ চালিয়ে যেতে হয়েছিলো সকল কাফির বাহিনীকে। তীব্র শীত শুরু হওয়ায় এবং খাদ্য-দ্রব্য ও রসদ ফুরিয়ে আসায় পরিস্থিতি ক্রমেই কাফিরদের জন্য হতাশাজনক হয়ে পড়ছিলো। তাই কাফির নেতারা যে কোনোভাবে পরিখা অতিক্রম করে মুসলমানদের উপর হামলা চালানোর সিদ্ধান্ত নেয়। আর মহাপবিত্র মদীনা শরীফের ভিতর থেকে ইহুদী গোত্র বনু কুরাইজা কাফিরদের জন্য পথ খুলে দেবে ও শহরের ভিতরে আকস্মিক লুটপাটের মাধ্যমে মুসলমানদের বিরুদ্ধে তারাও আগ্রাসন শুরু করবে বলে গোপনে ষড়যন্ত্র পাকাতে থাকে।
কুরাইশ কাফির-মুশরিকদের প্রধান যোদ্ধা আমর ইবনে আবদে উদ ছাড়াও হযরত ইকরামা ইবনে আবী জাহল রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু, হুবাইরা ইবনে ওয়াহাব, নওফেল ইবনে আবদুল্লাহ্ এবং যিরার ইবনে খাত্তাব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু (উনারা তখনও ঈমান প্রকাশ করেননি) পাঁচজন ভয়ানক সেনাদল যুদ্ধের পোশাক পড়ে দর্পভরে বনু কিনানার সৈন্যদের সামনে দাঁড়িয়ে বলেছিলো, ‘তোমরা যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হয়ে যাও। আজ তোমরা বুঝতে পারবে, কারা আরব বাহিনীর প্রকৃত বীর যোদ্ধা। ’ এরপর অশ্ব চালনা করে পরিখার যে অংশটির প্রস্থ কম ছিলো, সেখান দিয়ে ঘোড়াসহ লাফ দিয়ে এ পাঁচ কুখ্যাত কাফির যোদ্ধা সেখানে প্রহরারত মুসলিম তীরন্দাজ সৈন্যদের নাগালের বাইরে চলে যায়। তবে তাৎক্ষণিকভাবে পরিখা পার হবার স্থান ঘেরাও করে ফেলা হয় এবং অন্যদের তা অতিক্রম করার ক্ষেত্রে বাঁধা দান করা হয়।
মল্ল (দ্বৈত) যুদ্ধ করার উদ্দেশ্যে আসা অত্যন্ত শক্তিশালী এ পাঁচ যোদ্ধা পরিখা ও সালা পাহাড়ের (মুসলমান সেনাবাহিনীর কেন্দ্রীয় তাবুর) মাঝখানে এসে দাঁড়ালো। তারা সেখানে অহংকারবশত নিজেদের অশ্বগুলোর সাথে ক্রীড়ায় লিপ্ত হলো এবং ইশারায় তাদের প্রতিপক্ষকে মল্লযুদ্ধের আহ্বান জানাতে লাগলো।
এ পাঁচ জনের মধ্যে সাহস ও কৌশলের দিক থেকে বেশি কুখ্যাত দুর্ধর্ষ যোদ্ধা মুসলমানদের সামনে এসে দ্বৈত যুদ্ধে লিপ্ত হবার আহবান জানালো। সে মুহূর্তের পর মুহূর্ত ধরে নিজের কণ্ঠ উচ্চকিত করতে লাগলো এবং মাতলামিপূর্ণ হুঙ্কার-ধ্বনি দিয়ে বলতে লাগলো।
هل من مبارز؟
অর্থ: “তোমাদের মধ্যে কি কোন যোদ্ধা আছে?” তার এ আস্ফালন সমগ্র যুদ্ধক্ষেত্র জুড়ে প্রতিধ্বনিত হচ্ছিলো এবং হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের দেহ মুবারকে জজবা প্রকাশিত হলো। মুসলমানদের নীরবতা তার স্পর্ধা আরো বাড়িয়ে দিয়েছিলো। সে (ব্যঙ্গচ্ছলে) বলছিলো, “বেহেশতের দাবিদাররা কোথায়? আপনারা মুসলমান! কি বলেন না যে, আপনাদের মধ্যে ইন্তেকাল ব্যক্তিরা বেহেশতে এবং আমাদের নিহতরা জাহান্নামে যাবে? আপনাদের মধ্য থেকে কি একজনও আমাকে দোযখে পাঠানোর জন্য বা আমার পক্ষ থেকে তাকে বেহেশতে পাঠিয়ে দেয়ার জন্য প্রস্তুত নয়?” আর সে তার এ কথাগুলো বীরত্ব-গাঁথায় এভাবে বলছিলো-
و لقد بححت من النّداء بجمعکم هل من مبارز
‘উচ্চস্বরে কথা বলার জন্য এবং মল্লযোদ্ধাকে আহ্বান জানাতে জানাতে আমার গলা বসে গেছে। ’
মুসলমান বাহিনীর সমাবেশ কেন্দ্রে আমর ইবনে আব্দের আস্ফালন ও দম্ভোক্তির বিপরীতে সুনসান নীরবতা বিরাজ করছিলো। তখন সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, রহমতুল্লিল আলামীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করলেন, মুসলমানদের মধ্য থেকে একজন বের হয়ে এ লোকের অনিষ্ট থেকে মুসলমানদের মুক্তি দিক। কিন্তু সর্বপ্রথম আমিরুল মু’মিনীন, খলীফাতুল মুসলিমীন, ইমামুল আউওয়াল হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম তিনিই তার সাথে মল্ল জিহাদের জন্য এগিয়ে গেলেন।
স্বয়ং সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, রহমতুল্লিল আলামীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অপরাজেয় ও অমর খোলা তরবারি মুবারক (জুলফিকার) সাইয়্যিদুনা হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম উনার হাত মুবারকে তুলে দিলেন এবং উনার বিশেষ পাগড়ী মুবারক উনার মাথা মুবারকে বেঁধে দিয়ে উনার জন্য দোয়া মুবারক করলেন- “আয় মহান আল্লাহ পাক! আপনি হযরত আলী আলাইহিস সালাম উনাকে সব ধরনের অনিষ্ট থেকে রক্ষা করুন।
-আল্লামা সাইয়্যিদ শাবীব আহমদ।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীন, রহমাতুল্লিল আলামীন, ক্বয়িদুল মুরসালীন, রউফুর রহীম, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত মহাপবিত্র জীবনী মুবারক (২২৯৭)
১০ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীন, রহমাতুল্লিল আলামীন, ক্বয়িদুল মুরসালীন, রউফুর রহীম, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত মহাপবিত্র জীবনী মুবারক (২২৯৬)
০৩ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীন, রহমাতুল্লিল আলামীন, ক্বয়িদুল মুরসালীন, রউফুর রহীম, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত মহাপবিত্র জীবনী মুবারক (২২৯৫)
২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীন, রহমাতুল্লিল আলামীন, ক্বয়িদুল মুরসালীন, রউফুর রহীম, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত মহাপবিত্র জীবনী মুবারক (২২৯৪)
১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীন, রহমাতুল্লিল আলামীন, ক্বয়িদুল মুরসালীন, রউফুর রহীম, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত মহাপবিত্র জীবনী মুবারক (২২৯৩)
১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীন, রহমাতুল্লিল আলামীন, ক্বয়িদুল মুরসালীন, রউফুর রহীম, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত মহাপবিত্র জীবনী মুবারক (২২৯২)
২২ আগস্ট, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীন, রহমাতুল্লিল আলামীন, ক্বয়িদুল মুরসালীন, রউফুর রহীম, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত মহাপবিত্র জীবনী মুবারক (২২৯১)
১৫ আগস্ট, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীন, রহমাতুল্লিল আলামীন, ক্বয়িদুল মুরসালীন, রউফুর রহীম, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত মহাপবিত্র জীবনী মুবারক (২২৯০)
০৮ আগস্ট, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, রহমাতুল্লিল আলামীন, ক্বয়িদুল মুরসালীন, রউফুর রহীম, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র জীবনী মুবারক (২২৮৮)
২৫ জুলাই, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, রহমাতুল্লিল আলামীন, ক্বয়িদুল মুরসালীন, রউফুর রহীম, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র জীবনী মুবারক (২২৮৭)
০৪ জুলাই, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম কর্তৃক কাট্টা কাফির আমর ইবনে আব্দকে হত্যা:
২৭ জুন, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ আশার আলাইহাস সালাম উনার সংক্ষিপ্ত সাওয়ানেহ উমরী মুবারক
২০ জানুয়ারি, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার)












