সারাদেশে চলছে ভুয়া প্রকল্প ও ভুয়া বিলের ছড়াছড়ি তথা সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে হাজার রকমের দুর্নীতি (৪৩৭)
, ০৯ যিলক্বদ শরীফ, ১৪৪৪ হিজরী সন, ৩০ ছানী ‘আশার, ১৩৯০ শামসী সন , ৩০ মে, ২০২৩ খ্রি:, ১৭ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) মন্তব্য কলাম
অভিযোগের কাঠগড়ায় নগর গণপূর্ত বিভাগ
সংস্কার কাজে ভয়াবহ দুর্নীতি লুটপাট (১)
সংস্কার কাজের নামে নয়ছয় বা দুর্নীতির অভিযোগ নতুন নয়। শুরু থেকেই ছিল। কার্যকর মনিটরিং ও জবাবদিহি না থাকায় নগর গণপূর্ত বিভাগের আওতাধীন এলাকায় সংস্কারের নামে রীতিমতো ডাকাতি কারবার চলছে। প্রাপ্ত অভিযোগ ও সরেজমিন তথ্যানুসন্ধানে যার বেশকিছু প্রমাণও মিলেছে।
তিন মাস অপেক্ষার পর গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী জানান, নগর গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী স্বর্ণেন্দু শেখর মন্ডলকে এ বিষয়ে দাপ্তরিক চিঠি দেওয়া হলেও তিনি জবাব দেননি। এজন্য দিতে পারছেন না। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কিছু অভিযোগ পাওয়ার পর আমরা সংস্কার কাজসংশ্লিষ্ট প্রতিটি এলাকার কাজ মনিটরিং করার জন্য টিম ভাগ করে দিয়েছি।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে গৃহায়ন ও পূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব কাজী ওয়াছি উদ্দিন নিজ দপ্তরে প্রতিবেদককে বলেন, ‘আমি যখন এর আগে পূর্ত মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ছিলাম, তখন মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত এক মিটিংয়ে বলেছিলাম, বেশির ভাগ সংস্কার কাজ ঠিকমতো হচ্ছে না। সংস্কার কাজের নামে ১০ লাখ টাকা বিল করা হলে বাস্তবে কাজ হয় ৩ লাখ টাকার। ৫ লাখ টাকা ঠিকাদারের কাছ থেকে অগ্রিম তুলে নেওয়া হয়। এছাড়া প্রকল্পের কাজে প্রাক্কলিত দর ২৫-৩০ শতাংশ বাড়িয়ে কৌশলে বড় ধরনের দুর্নীতি করা হচ্ছে। এগুলো এখন শক্ত হাতে দমন করা হবে।’
তিনি বলেন, ‘সংস্কার কাজে অনিয়ম-দুর্নীতির বিষয়ে আমার কাছে অনেক অভিযোগ আসে। এখন আমি মন্ত্রণালয় থেকে এলাকা ভাগ করে মনিটরিং কমিটি করে দিচ্ছি। এসব কমিটি বাস্তব কাজ যাচাই-বাছাই করে দেখবে। আগের কাজও আমরা যাচাই করব। প্রয়োজনে আমি নিজেও সারপ্রাইজ ভিজিট করব।’
কাজী ওয়াছি উদ্দিন আরও বলেন, একটা বিশেষ সফটওয়্যার জুলাই থেকে কার্যকর করতে যাচ্ছি। এটা অতিরিক্ত প্রাক্কলনের চুরি ঠেকাবে। ইতোমধ্যে পরীক্ষামূলকভাবে এটি সফল হয়েছে। অর্থাৎ কোনো প্রকল্পের জন্য প্রয়োজনের অতিরিক্ত ব্যয় ধরা হলে তা সফটওয়্যার ধরে ফেলবে। এই সফটওয়্যার দিয়ে যে কটা প্রকল্পের দর যাচাই করা হয়েছে, সেখানে দেখা গেছে কমপক্ষে ২৫ শতাংশ বাড়তি দর দেখানো হয়েছে। কিন্তু এই কারচুপি আর চলবে না। সচিব মনে করেন, প্রকল্পের শুরুতেই এটা হলো সবচেয়ে বড় দুর্নীতি। ফলে যে কোনো মূল্যে এ দুরভিসন্ধী প্রতিরোধ করা হবে।
সংস্কার কাজের নামে বেশির ভাগ অর্থ লুটপাট হয়। যে কোনো সংস্কার কাজের ক্ষেত্রে কমবেশি লাগামহীন এ দুর্নীতি চলে আসছে। কিন্তু এর মধ্যে নগর গণপূর্ত বিভাগ একেবারে শীর্ষে অবস্থান করছে। এখানে প্রতি অর্থবছরে আবাসিক ও অনাবাসিক মিলে সর্বনিম্ন ৪০ কোটি টাকার বরাদ্দ থাকে। কাজ দেখিয়ে বিল তুলে নেওয়া হয়। মিন্টো রোড, হেয়ার রোড, বেইলি রোড, সচিব নিবাস, বঙ্গভবনসহ এসব ভিআইপি এলাকায় সংস্কার কাজ করে থাকে নগর গণপূর্ত বিভাগ। এখানে দোতলা বাংলো আছে ৪৫টি। বাংলোগুলোয় প্রতিবছর গড়ে বিপুল অঙ্কের সংস্কার কাজ দেখানো হয়। কোনো কোনো ভবনে এর পরিমাণ কোটি টাকার কাছাকাছি। প্রতি অর্থবছরে একই বাসার নামে দুই-তিনবার সংস্কার কাজ দেখানো হয়। অথচ নিয়মানুযায়ী যে বাসায় একবার সংস্কার কাজ হবে, পরের বছর সেখানে আর কোনো সংস্কার কাজ করা যাবে না।
আবার এসব কাজও করে ঘুরেফিরে কয়েকটি প্রভাবশালী ঠিকাদার। কাগজেকলমে ভুয়া কাজ দেখিয়ে বিল তুলে নেওয়ার সংখ্যাও কম নয়। অনেক সময় ঠিকাদারের কাছ থেকে অগ্রিম ৫০ শতাংশ টাকা নিয়ে বাকি টাকার মধ্যে ৩০ শতাংশ কাজ করে বাকি ২০ শতাংশ টাকা ঠিকাদারকে লাভ হিসাবে দেওয়া হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন প্রকৌশলী, ঠিকাদার ও মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছে, প্রতিবছর নগর গণপূর্ত বিভাগে বরাদ্দ থাকে প্রায় ৪০ কোটি টাকা। এছাড়া থোক বরাদ্দ থেকে আরও নেওয়া হয় প্রায় ২০ কোটি টাকা।
সব মিলিয়ে প্রায় ৬০ কোটি টাকার সংস্কার কাজ করা হয়। তবে প্রতিটি কাজ ধরে যদি দুর্নীতি দমন কমিশনের কর্মকর্তারা সরেজমিন অনুসন্ধান করেন, তাহলে সব জারিজুরি ফাঁস হয়ে যাবে। এগুলো তো ভৌত কাজ। ফলে আড়াল করার কোনো সুযোগ নেই। চলতি অর্থবছরে গণপূর্ত বিভাগের সারা দেশে সংস্কার কাজের জন্য বরাদ্দ আছে ৮৫০ কোটি টাকা। পুরো বরাদ্দ নিয়ে দুদকের তদন্ত করা উচিত। এছাড়া শুধু গণপূর্ত বিভাগ নয়, সরকারি প্রতিটি দপ্তরের সংস্কার কাজে ব্যাপক লুটপাট হচ্ছে।
সরেজমিন অনুসন্ধান ও কেস স্টাডি : অভিযোগ পাওয়ার পর প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী প্রতিবেদক সরেজমিন তিন দিন এসব এলাকার বিভিন্ন বাংলোয় অনুসন্ধান চালান। ভবনের কেয়ারটেকার ও নিরাপত্তা প্রহরীদের সঙ্গে কথা বলে এবং স্বচক্ষে কিছু কাজের নমুনা দেখে অনিয়ম-দুর্নীতির বিষয়ে অনেকটা নিশ্চিত হওয়া গেছে।
২৫ বেইলি রোডে একজন প্রতিমন্ত্রীর বাসায় দুই দফায় কাজ দেখিয়ে বিল তুলে নেওয়া হয় প্রায় ৪০ লাখ টাকা। চলতি অর্থবছরের (২০২২-২০২৩) বার্ষিক ক্রয় পরিকল্পনার ৪নং সিরিয়ালে এ বাসভবনের সুয়ারেজ লাইন মেরামত/নবায়ন, এসবি কোয়ার্টার ও রিসিপশন কক্ষ মেরামতের জন্য ১৫ লাখ এবং ৪৮নং সিরিয়ালে একই বাসার জন্য পুলিশ ব্যারাক, এসবি কোয়ার্টার ও রিসিপশন কক্ষের মেরামতের জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ১২ লাখ ৫৮ হাজার। এর মধ্যে একই কাজের কথা দুবার বলা হয়েছে। এছাড়া গত অর্থবছরের (২০২১-২০২২) সংশোধিত বার্ষিক ক্রয় পরিকল্পনার ৭নং সিরিয়ালে ২৫ বেইলি রোডের একই বাসভবনে পুলিশ ব্যারাক, এসবি কোয়ার্টার ও রিসিপশন কক্ষের মেরামত কাজের জন্য ১৪ লাখ ৪৯ হাজার টাকা বিল তুলে নেওয়া হয়। আবার ৮নং সিরিয়ালে একই বাসার অভ্যন্তরে মূল ভবনের ভেতর ও বাইরে রং করার জন্য খরচ দেখানো হয় ২৫ লাখ ৫৯ হাজার টাকা। এখানেই শেষ নয়, এর আগের অর্থবছরেও (২০২০-২০২১) খরচ করা হয়েছে ১১ লাখ ৬০ হাজার টাকা ভবনের অভ্যন্তরে ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তার কার্পেটিংয়ের জন্য।
এ বাসায় থাকেন একজন প্রতিমন্ত্রী। বাসার কেয়ারটেকার বলে, এত টাকার কাজ করছে কি না বলতে পারব না। মাঝেমধ্যে দেখি টুকটাক কাজ করে। কিন্তু এসব নিয়ে কিছু বলতে পারব না। ছোট চাকরি করি। সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলা নিষেধ।
চলতি অর্থবছরের বার্ষিক ক্রয় পরিকল্পনাপত্রের ২৬নং সিরিয়ালে অ্যাটর্নি জোনারেল আবু মোহাম্মদ আমিন উদ্দিনের বাসায় (ম-১ তটিনী, হেয়ার রোড) বিশেষ নবায়ন কাজের জন্য বরাদ্দ রয়েছে ৬৪ লাখ এবং ৪৩নং সিরিয়ালে মূল ভবনের ভেতর ও বাইরে বিশেষ মেরামতের জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ২৭ লাখ ৯৮ হাজার টাকা। অথচ অর্থবছরের বাকি আছে মাত্র ৩২ দিন। ৩০ জুনের মধ্যে কাজ শেষ করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
এ বছর বাসায় কোনো সংস্কার কাজ করা হয়েছে কি না জানতে চাইলে কর্তব্যরত কেয়ারটেকার ও সিকিউরিটি গার্ডরা কিছুই বলতে পারেননি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন পুলিশ কনস্টেবল বলেন, ‘কিছুদিন আগে সামনের সীমানা প্রাচীর একটু উঁচু করার কাজ হয়েছে। এছাড়া আর কোনো কাজ করতে দেখিনি।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের থাকার ঘরে তো অনেক সমস্যা। অনেক বলার পরও মেরামত করে দেয়নি।’
এখানেই শেষ নয়, একই বাসায় এর আগের অর্থবছরে (২০২১-২০২২) বার্ষিক ক্রয় পরিকল্পনাপত্রের ৩৩নং সিরিয়ালে স্যানিটারি ফিটিংস পরিবর্তনসহ ভবনের ভেতর ও বাইরের মেরামত কাজের জন্য ৬০ লাখ টাকার বিল তুলে নেওয়া হয়। এমনকি এই একই বাসায় এর আগের অর্থবছরে (২০২০-২০২১) মূল ভবনের ভেতর ও বাইরে সংস্কার কাজ করা হয় ১১ লাখ ২১ হাজার টাকার।
এসব কাজের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য-উপাত্ত পাঠিয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল আবু মোহাম্মদ আমিন উদ্দিনের বক্তব্য জানতে চাওয়া হয়। তিনি বলেন, ‘আমি যখন বাসায় উঠেছি, তখন টাইলস ও ওয়ালের কিছু কাজ হয়েছে। কিন্তু এত টাকার কাজ কোথায় কীভাবে করেছে, সেটা আমি ওদের ডেকে এনে জানতে চাইব।’
প্রধানমন্ত্রী যে তন্ত্রের উপর নির্ভর করে, যে প্রশাসনের উপর নির্ভর করে, যে আর্থ-সামাজিক আবহের উপর নির্ভর করে দুর্নীতি বন্ধ করতে চায় তাতে রয়েছে গলদ, অপূর্ণতা ও ভ্রান্তি।
পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “যমীনে এবং পানিতে যা ফিতনা-ফাসাদ রয়েছে সবই মানুষের হাতের কামাই।” অপরদিকে সবকিছুর সমাধান সম্পর্কে মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন, “নিশ্চয়ই এই পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে আমি সবকিছু বর্ণনা করেছি।”
অর্থাৎ কেবলমাত্র পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের মধ্যস্থিত হুকুম-আহকাম মুতাবিক চললেই দেশ থেকে দুর্নীতি নির্মূল সম্পূর্ণ সম্ভব। কিন্তু দেশের সরকার তা কবে বুঝবে? জনগণই বা কবে উপলব্ধি করবে? (ইনশাআল্লাহ চলবে)
-আল্লামা মুহম্মদ ওয়ালীউর রহমান।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
সম্মানিত দ্বীন ইসলামে কী প্রকৃতির মুহব্বত ও ঋতু প্রিয়তার কথা নেই? নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কাছে শীতকাল যে কত প্রিয় তা অনেকেরই অজানা। শীতে আছে গণীমত (পর্ব -১)
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সন্ত্রাসবাদ নয়; জিহাদী যোগ্যতা অর্জন করা পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ অনুযায়ী ফরয। ৯৮ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত দেশে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় সব নাগরিকের জন্য সামরিক প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক করতে হবে। উন্নত প্রশিক্ষন, যুদ্ধকৌশল, সামরিক সক্ষমতা এবং আন্তর্জাতিক র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এখন সাফল্যের শীর্ষে। সরকারের উচিত- দেশের মর্যাদা বুলন্দ ও দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ত্বকে সমুন্নত রাখতে সেনাবাহিনীর প্রতি সকল প্রকার পৃষ্ঠপোষকতা নিশ্চিত করা।
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম এর তথ্যানুযায়ী বেনিয়া বৃটিশগুলো মুসলিম ভারত থেকে লুট করেছে ১২ হাজার লক্ষ কোটি টাকা প্রকৃতপক্ষে তারা লুট করেছে লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
রামপাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র এখনও বন্ধ করলে যা লাভ হবে চালু রাখলে তার চেয়ে অনেক বেশী ক্ষতি হবে ৫৩টি পরিবেশবাদী সংগঠনের দাবী অবিলম্বে রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ করে সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্র করা হোক কিন্তু তাদের উপেক্ষা করে পরিবেশ উপদেষ্টা প্রমাণ করছে তার পরিবেশবাদী তৎপরতা অন্য পরিবেশবাদীদের সাথে সাংঘর্ষিক এবং তার পরিবেশবাদী প্রচারণা কার্যকলাপ আসলে দেশ ও দেশের মানুষের জন্য নয় বরং বিশেষ প্রভুর নির্দেশনায় (প্রথম পর্ব)
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
জুয়ার নেশায় বুদ হচ্ছে শিশু-কিশোররা-শিক্ষার্থীরা অধিকাংশ সাইটই পরিচালিত হয় দেশের বাইরে থেকে অনলাইনে জুয়ায় ছোট ছোট বাজির টাকা দিন শেষে একটি বড় অঙ্কের অর্থ হয়ে দেশ থেকে ডলারের মাধ্যমে পাচার হচ্ছে প্রতিদিন এসব খেলা স্বাভাবিক গেমের মতো হওয়ায় প্রকাশ্যে খেলা হলেও আশপাশের মানুষ তা বুঝতে পারেন না কেবলমাত্র ইসলামী মূল্যবোধের উজ্জীবনেই জুয়া বন্ধ সম্ভব ইনশাআল্লাহ
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
গার্মেন্টসের চেয়েও বড় অবস্থানে তথা বিশ্বের শীর্ষ অবস্থানে অধিষ্ঠান হতে পারে বাংলাদেশের জাহাজ নির্মাণ শিল্প। যথাযথ পৃষ্ঠপোষকতা করলে শুধু মাত্র এ খাত থেকেই বছরে ১১ লাখ কোটি টাকা অর্জন সম্ভব ইনশাআল্লাহ। যা বর্তমান বাজেটের প্রায় দেড়গুণ আর শুধু অনিয়ম এবং সরকারের অবহেলা, অসহযোগীতা দূর করলে বর্তমানেই সম্ভব প্রায় ২ লাখ কোটি টাকা অর্জন জাহাজ নির্মাণ শিল্পের সমৃদ্ধি সম্পর্কে সচেতন হওয়া এবং সরকারের গাফলতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা জনগণের জন্যও জরুরী। (২য় পর্ব)
০১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আ’যম সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার রোবে, দোয়ার বরকতে- কুদরতীভাবে কমে যাচ্ছে ডলারের আধিপত্য বাংলাদেশের রিজার্ভ ডলারে রাখা উচিৎ নয়- এতে লাভ আমেরিকার মুসলিম বিশ্বে অভিন্ন মুদ্রা ব্যবস্থা বিশেষত মূল্যহীন কাগজী মুদ্রা বাদ দিয়ে সুন্নতী দিনার-দিরহাম মুদ্রা চালু করা আবশ্যক ইনশাআল্লাহ (দ্বিতীয় পর্ব)
৩০ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
বিদেশি হাইব্রিড বীজের ফাঁদে দেশের কৃষি। হারিয়ে যাচ্ছে দেশীয় ফসলের জাত, ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে জীববৈচিত্র্য। ফুলে-ফেঁপে উঠছে বীজ কোম্পানিগুলো।
২৯ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
মুশরিক ভারতের প্রতি লা’নত ওদের জনসংখ্যা দিন দিন নিম্নমুখী পক্ষান্তরে ৯৮ ভাগ জনগোষ্ঠী মুসলমানের দেশ বাংলাদেশে খোদায়ী রহমত। (সুবহানাল্লাহ) বাংলাদেশে জনসংখ্যার এখন ৬৫ ভাগই কর্মক্ষম এবং জনসংখ্যার বৃদ্ধির হার উর্ধ্বগামী বাংলাদেশ ভোগ করছে ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ডের নিয়ামত। সুবহানাল্লাহ!
২৮ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
প্রসঙ্গ: মধ্যম আয়ের ফাঁদ এড়াতে সতর্কতা তথা মধ্যম আয়ের স্থবিরতা তাওয়াক্কুল আর তাকওয়া অবলম্বনে সব সমস্যা দূর হয়ে অচিরেই বাংলাদেশ হতে পারবে শীর্ষ সমৃদ্ধশালী দেশ ইনশাআল্লাহ
২৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
রিজওয়ানার পরিবেশবাদী প্রচারণার বিপরীতে রবি ঠগ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস স্থাপনে ইতিবাচক বার্তা এবং ইউনুসের পানি ও প্রকৃতি প্রেমের বানীর পরিবর্তে আপত্তি সত্ত্বেও একনেকে রবি ঠগ বিশ্ববিদ্যালয় প্রকল্প অনুমোদনে জনগণ তথা নেটিজনের মূল্যায়নটা কী?
২৬ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
যখন কোনো দেশ যুক্তরাষ্ট্র থেকে যুদ্ধবিমান কিনে, তখন তা শুধু একটি বিমান কেনার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে না। এর সাথে যুক্ত হয় একাধিক শর্ত, নিষেধাজ্ঞা এবং জটিল টার্মস অ্যান্ড কন্ডিশনস
২৫ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার)












