সারাবিশ্বে একই দিনে ঈদ পালন ও রোযা শুরু করার কথা বলার উদ্দেশ্য পবিত্র ঈদ ও পবিত্র রোযাকে নষ্ট করা,যা মূলত মুনাফিকদের একটি ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত (৭)
, ০৩ শাবান শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ১৬ তাসি’, ১৩৯১ শামসী সন , ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ খ্রি:, ৩০ মাঘ, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
(সময়ের ভিন্নতার কারণে যদি ভিন্ন ভিন্ন সময়ে পবিত্র ঈদ ও পবিত্র রোযা শুরু করতে হয়, তাহলে অবশ্যই দিনের পার্থক্যের কারণেও ভিন্ন ভিন্ন দিনে পবিত্র ঈদ ও পবিত্র রোযা শুরু করতে হবে)
সারাবিশ্বে একই দিনে পবিত্র রোযা শুরু করতে হবে এবং পবিত্র ঈদ পালন করতে হবে। এমন কথা পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার কোথাও বলা হয় নাই। এমনকি হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম, তাবেয়ীন, তাবে-তাবেয়ীন রহমতুল্লাহি আলাইহিমসহ সম্মানিত চার মাযহাব উনার এমন একজন ইমাম মুজতাহিদ কেউই এমন কথা বলেন নাই যে, “সারাবিশ্বে একই দিনে পবিত্র ঈদ পালন করতে হবে ও পবিত্র রোযা শুরু করতে হবে”।
কেউ কেউ নতুন চন্দ্রের উদয়স্থলের ভিন্নতাকে গ্রহণযোগ্য নয়, এ কথা বললেও তারও ব্যাখ্যা রয়েছে। কিন্তু উক্ত বিষয়কে কেন্দ্র করে, কোন ইমাম-মুজতাহিদ উনারা কখনো এমন ফতওয়া দেন নাই যে, সারাবিশ্বে একই দিনে পবিত্র রোযা শুরু করতে হবে ও পবিত্র ঈদ পালন করতে হবে। এমনকি উনারাও আজীবন উদয়স্থলের ভিন্নতানুযায়ী সারাবিশে^ ভিন্ন ভিন্ন দিনেই পবিত্র রোযা শুরু করেছেন ও পবিত্র ঈদ পালন করেছেন। বরং এটা এমন এক শ্রেণীর বিদয়াতী ও গোমরাহ লোকদের গোমরাহী ও কুফরী বক্তব্য, যারা উদ্দেশ্যমূলকভাবে মুসলমানদের ইবাদত বন্দেগীসমূহ নষ্ট করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। এবং এরা পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার বিভ্রান্তিকর অর্থ ও অপব্যাখ্যা করে সর্বদা মুসলমানগণ উনাদের মাঝে ফেৎনা করে ও বিভ্রান্তি ছড়ায়।
মূলত: তিনটি কারণে একই দিনে সারাবিশ্বে পবিত্র রোযা শুরু করা ও পবিত্র ঈদ পালন করা একেবারেই অসম্ভব তা হলো:
(১) اِخْتِلَافُ الْاَوْقَاتِ: সময়ের পার্থক্য।
(২) اِخْتِلَافُ الْمَطَالِعِ: নতুন চাঁদ উদয় স্থলের পার্থক্য।
(৩) اَلْمَسَافَاتُ الْجِغْرَافِيَّةُ: ভৌগলিক দূরত্ব।
(১) সময়ের পার্থক্য:
পূর্বে প্রকাশিতের পর.........
কম দূরবর্তী স্থানে অল্প সময়ের পার্থক্যের কারণেই একই সময়ে পবিত্র ছলাত, পবিত্র রোযা শুরু শেষ করা জায়িয নয়, তাহলে বেশি দূরবর্তীস্থানে দীর্ঘ সময় তথা দিনের পার্থক্যের কারণে একই দিনে পবিত্র রোযা ও ঈদ শুরু করা অবশ্যই জায়িয নয় এবং সম্ভবও নয়।
পবিত্র মাগরিব নামায উনার শুরু হলেই আরেকটি নতুন রাত ও দিবস তথা তারিখ শুরু হয়ে যায়, কারণ পবিত্র হিজরী সনে আগে রাত আসে ও পরে দিবস আসে। সে অনুযায়ী যে দিন আমাদের বাংলাদেশে পবিত্র ঈদ উনার ছলাত আদায়ের ওয়াক্ত শেষ হয়ে পবিত্র মাগরিব উনার ওয়াক্ত শুরু হয়, পৃথিবীর অনেক দেশেই তখন দিন চলতে থাকে। ফলে এক দেশের দিন ও রাতের সাথে অন্য দেশের দিন ও রাত মিলিয়ে পবিত্র ঈদ পালন করা ও রোযা রাখা একেবারেই অসম্ভব। সারাবিশ্বে যারা একই দিনে পবিত্র রোযা শুরু করতে ও পবিত্র ঈদ উদযাপন করতে চায়, তাদেরকে সর্বাগ্রে প্রমাণ করতে হবে যে, সারাবিশ্বে সকল অঞ্চলে পাঁচ ওয়াক্ত ছলাত একই দিনে ও একই সাথে আদায় করা যায়।
মূলত: তা যেমন একেবারেই অসম্ভব ও অবান্তর, তেমনিভাবে একই দিনে একই সাথে সারাবিশ্বে পবিত্র রোযা শুরু করা ও পবিত্র ঈদ উদযাপন করাও অসম্ভব ও অবান্তর।
পবিত্র ছলাতুল আছর উনার ছলাতও সারাবিশ্বে একই দিনে আদায় করা সম্ভব নয়:
পবিত্র ছলাতুল আছর উনার ছলাতও সারাবিশ্বে একই দিনে আদায় করা সম্ভব নয়। কেননা, বাংলাদেশে পবিত্র ছলাতুল আছর উনার পর থেকে ছলাতুল মাগরিব উনার ওয়াক্ত শুরু হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত পবিত্র ছলাতুল আছর আদায় করার সর্বমোট সময় যদি সর্বোচ্চ ২ঘন্টা ২০ মিনিট ধরাও হয়, তাহলেও বাংলাদেশের সাথে যে সমস্ত দেশ বা অঞ্চলের উক্ত ২ঘন্টা ২০ মিনিটের চেয়ে কম বা বেশি সময়ের পার্থক্য রয়েছে, উক্ত দেশ বা অঞ্চলসমূহের লোকেরা বাংলাদেশের লোকদের উক্ত ২ঘন্টা ২০ মিনিট পরে অথবা আগে পবিত্র ছলাতুল আছর আদায় করবেন। ফলে একই দিনে কখনো পবিত্র ছলাতুল আছর আদায় করতে পারতেছে না। তাহলে যে সমস্ত দেশ বা অঞ্চলের সাথে অন্য দেশ বা অঞ্চলের ২ ঘন্টা ২০ মিনিট থেকে শুরু করে ১৪ ঘন্টা পর্যন্ত পার্থক্য রয়েছে, তারা কখনো একই দিনে ঈদ পালন করার ও রোযা শুরু করার কল্পনাও করতে পারবে না।
পবিত্র হাদীছ শরীফে নতুন চাঁদ দেখে রোযা শুরু ও রোযা শেষ করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সারাবিশ্বে যদি একই সময়ে চাঁদ দেখা সম্ভব হতো অথবা একই দিনে পাঁচ ওয়াক্ত ছলাত আদায় করা সম্ভব হতো, তাহলে একই দিনে রোযা রাখা ও ঈদ করাও সম্ভব হতো। অথচ দূরবর্তী অঞ্চলসমূহে বেশি দূরত্বের কারণে একই সময়ে যেমনিভাবে সারাবিশ্বে কখনো নতুন চাঁদ দেখা সম্ভব নয়, তেমনিভাবে সারাবিশ্বে একই দিনে পাঁচ ওয়াক্ত ছলাত আদায় করা, রোযা রাখা ও ঈদ করার কথা বলাও অসম্ভব কাজ ও অবান্তর কথা।
পবিত্র ছলাতুল মাগরিব উনার ওয়াক্ত শুরু হওয়ার সাথে সাথেই নতুন দিন, তারিখ এবং বার শুরু হয়ে যায়। তাই, পবিত্র ঈদ উনার ছলাত আদায়ের সময় হলো সূর্য উদয়ের পর (অর্থাৎ পবিত্র ছলাতুল ইশরাক্ব শুরু) থেকে পবিত্র যুহর ছলাত উনার ওয়াক্ত শুরু হওয়ার প্রায় একঘন্টা পূর্ব পর্যন্ত। তাহলে ১২ ঘন্টা দিনের মধ্যে, সূর্য উদয় থেকে যোহরের মাকরূহ ওয়াক্ত শুরু হওয়া পর্যন্ত পবিত্র ঈদ উনার ছলাত আদায়ের সময় সর্বোচ্চ ৫ ঘন্টা ধরা হলেও, আর সময় বাকী থাকে ১২-৫=৭ঘন্টা।
যে সকল দেশে পবিত্র ছলাতুল ঈদ আদায় করলো ঠিক ৭ ঘন্টা পরেই তাদের নতুন দিন, তারিখ এবং বারের শুরু হয়ে যায়। তাহলে যে সমস্ত দেশ বা অঞ্চলের সাথে, অন্য দেশ বা অঞ্চলের উক্ত ৭ ঘন্টা থেকে শুরু করে ১৪ বা ১৫ ঘন্টা পর্যন্ত পার্থক্য রয়েছে, তাদের সাথে পরস্পরে রাত দিনের পার্থক্য হয়ে যাবে। ফলে কখনো একই দিনে ঈদ পালন করার ও রোযা শুরু করার কল্পনাও করতে পারে না।
রাতের শুরু থেকেই নতুন করে দিন, তারিখ ও বার শুরু হয়। তাই রাত থেকেই হিসেব ধরে, নিম্নে কয়েকটি দেশের সময়ের তুলনামূলক পার্থক্য তুলে ধরা হলো:
দেশের নাম যখন পবিত্র ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ মাগরিব শুরু হয়
দেশের নাম তখন ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) সময় সময়ের পার্থক্য
বাংলাদেশ ৫টা ৪০ মিনিটে উত্তর জর্জিয়া সকাল ৯টা ৪০ মিনিট ৮ ঘন্টা
বাংলাদেশ ৫টা ৪০ মিনিটে আমেরিকা (নিউইয়র্ক) সকাল ৬টা ৪০মিনিট ১১ ঘন্টা
বাংলাদেশ ৫টা ৪০ মিনিটে ব্রাজিল সকাল ৮টা ৪০ মিনিট ৯ঘন্টা
বাংলাদেশ ৫টা ৪০ মিনিটে অষ্ট্রেলিয়া সকাল ৯টা ৪০ মিনিট ৮ ঘন্টা
বাংলাদেশ ৫টা ৪০ মিনিটে জামাইকা সকাল ৬টা ৪০মিনিট ১১ ঘন্টা
বাংলাদেশ ৫টা ৪০ মিনিটে হংকং ৭টা ৪০ মিনিট ১০ ঘন্টা
বাংলাদেশ ৫টা ৪০ মিনিটে আলাস্কা রাত ২টা ৪০ মিনিট ১৫ ঘন্টা
আরবী মাসের হিসেব হয় হিজরী সন অনুযায়ী, আর উক্ত হিজরী সনে সূর্যাস্তের পর পরই রাতের শুরুতে নতুন দিন, নতুন বার ও নতুন তারিখ গণনা করা হয়। সেই হিসেবে সৌদি আরবে যে দিন পবিত্র ঈদ করবে ঐদিন যে সকল দেশ বা অঞ্চলে সূর্যাস্ত হয় বা রাত চলতে থাকে, ঐ দেশ বা অঞ্চলের দিন, বার ও তারিখের সাথে সৌদি আরবের দিন, বার ও তারিখের অবশ্যই মিল থাকবে না।
যেহেতু সূর্যাস্তের পর পরই উক্ত দেশগুলির দিন, বার, ও তারিখের পরিবর্তন হয়ে গিয়েছে, সেহেতু সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে সারাবিশ্বে একই দিনে পবিত্র ঈদ ও পবিত্র রোযা রাখা কোন দিনই সম্ভব না।
যেমন: নতুন চাঁদ প্রত্যক্ষ করার পর সৌদি আরবে যখন বা’দ মাগরিব ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ (সোমবার) ১লা রমাদ্বান শরীফ/১লা শাওওয়াল শরীফ ৭টায় শুরু হয়, তখন একই সময়ে আমেরিকার আলাস্কায় হয়, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) সকাল ৭টা অর্থাৎ ১২ ঘন্টা পর আলাস্কার লোকেরা ইছনাইনিল আযীম শরীফ (সোমবার) ১লা রমাদ্বান শরীফ পাবে। যদি আলাস্কার মুসলমানগণ সৌদি আরবের সাথে একই দিনে রোযা রাখতে চান, তাহলে ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) দিন রোযা রাখলে বা ঈদ করলে যেমন একই দিন হচ্ছেনা, তেমনি পরদিন রোযা রাখতে বা পবিত্র ঈদ করতে গেলেও তখন সৌদি আরবের হয়ে যাবে মঙ্গলবার এবং আলাস্কার হয়ে যাবে পবিত্র ইছনাইনিল আযীম শরীফ (সোমবার)। অর্থাৎ আলাস্কার লোকেরা যখন ইছনাইনিল আযীম শরীফ (সোমবার) সকাল ৮টা অথবা ১০টায় পবিত্র ঈদ উনার ছলাত আদায় করবেন, তখন সৌদি আরবে আর ইছনাইনিল আযীম শরীফ সোমবার থাকবেনা বরং ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) ২রা রমাদ্বান শরীফ অথবা ২রা শাওওয়াল শরীফ হয়ে যাবে। অর্থাৎ একই দিন, বার ও একই তারিখ মিল রাখা সম্ভব নয়।
তদ্রুপ নিউজিল্যান্ডের পিট আইল্যান্ড হলো চ্যাথাম দ্বীপ পুঞ্জের দ্বিতীয় বৃহত্তম দ্বীপ, যা ভারত মহাসাগরে অ্যান্টার্কটিকার কাছাকাছি অবস্থিত। এই দ্বীপটিতে জাপানের চার ঘণ্টা আগে সূর্যোদয় হয়। আবার প্রশান্ত মহাসাগরে অবস্থিত ছোট্ট একটি দেশ, যার নাম রিপাবলিক অফ কিরিবাতি রাজধানী হলো তারাওয়া। এই দ্বীপটি প্রশান্ত মহাসাগরের সবচেয়ে পূর্বের দেশ হওয়াতে সেখানেই সূর্য সর্ব প্রথম উদিত হয়। তাই জাপানকে সূর্য উদয়ের দেশ বলা সঠিক নয়।
মূলতঃ রিপাবলিক অফ কিরিবাতিই হলো সূর্য উদয়ের সর্ব প্রথম প্রত্যক্ষকারী দেশ। এবং দিনের শুরু উক্ত দেশ থেকে হয়ে থাকে। উক্ত দেশের কিরিটিমাটি শহরের স্থানীয় সময় সৌদি আরবের সময়ের অগ্রিম পার্থক্য ১১ ঘন্টা। তাহলে সৌদি আরবে সকাল ৮টা বা ১০টা ইছনাইনিল আযীম শরীফ (সোমবার) হলে, উক্ত কিরিটিমাটি শহরে তখন থাকে ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) দিন পার হয়ে রাত ৭টা বা ৯টা। আর কিরিটিমাটিতে ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) ঈদ উনার দিন হলে, সৌদিতে তখন ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) শুরু হবে। ফলে এক দেশের দিন, বার, ও তারিখের সাথে অন্য দেশের দিন তারিখ ও বারের কোন মিল থাকলো না।
অর্থাৎ একই দিন, বার ও তারিখ কোনটাই মিল রাখা সম্ভব নয়। তাই একই দিন বা বার অথবা তারিখের মিলের কথা বলে ঐক্যতার দাবি করা এটা মুসলমান উনাদের ইবাদত নষ্ট করারই একটি ষড়যন্ত্র।
আমেরিকায় (জিএমটি-৬) চাঁদ উঠেছে কিনা তা জানতে কোরিয়ার (জিএমটি+৯) মুসলমানগণ উনাদের অপেক্ষা করতে হবে অন্তত ১৫ ঘণ্টা। অর্থাৎ আমেরিকায় সন্ধ্যা ৬টায় উদিত হওয়া চাঁদের সংবাদ কোরিয়ার মুসলমানগণ উনারা পাবেন স্থানীয় সময় পরদিন বেলা ১১টায়। আরও পূর্বের দেশ নিউজিল্যান্ডের সাথে আমেরিকার সর্ব পশ্চিমে তথা আলাস্কার সময়ের পার্থক্য প্রায় ২৪ ঘণ্টা। অর্থাৎ সৌদি আরবে ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ (সোমবার) পবিত্র রোযা শুরু করলে অথবা পবিত্র ঈদ উদযাপন করলে উক্ত অলাস্কায় তখন মঙ্গলবার হয়ে যায়।
বিশেষ দ্রষ্টব্য: আর একটি দেশ রয়েছে তার নাম নরওয়ে উক্ত দেশে ৬ মাস রাত ও ৬ মাস দিন থাকে। তাহলে উক্ত দেশের লোকেরা কি রাতের অন্ধকারে ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে ঈদের আনন্দ করবে বা ঈদ উদযাপন করবে, যখন তাদের ৬ মাস রাত থাকে? নাউযুবিল্লাহ! মূলত মুনাফিকরা হক্ব বা ছিরাতুল মুস্তাক্বীম উনার বিরোধিতা করতে সর্বদা মিথ্যা ও ধোকাবাজিকেই যে গ্রহণ করে, তা সারাবিশ্বে একই দিনে ঈদ উদযাপন ও রোযা শুরু করতে হবে’ এরূপ প্রতারণামূলক কথাই তার একটি বড় প্রমাণ।
-মুহম্মদ মুফীদ্বুর রহমান।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত আব্বাস ইবনে আবদুল মুত্তালিব আলাইহিস সালাম (১)
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ফুটবল-ক্রিকেটসহ সর্বপ্রকার খেলাধুলা করা, সমর্থন করা হারাম ও নাজায়িয (১)
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
প্রাণীর ছবি তোলা শক্ত হারাম, রয়েছে কঠিন শাস্তি
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
মহাসম্মানিত তিন যাত পাক উনাদেরকে মুহব্বত করা সমস্ত মাখলূক্বাতের জন্য ফরয
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
আসমাউর রিজাল, জারাহ ওয়াত তা’দীল, উছুলে হাদীছ শরীফ উনার অপব্যাখ্যা করে অসংখ্য ছহীহ হাদীছ শরীফ উনাকে জাল বলছে ওহাবী সালাফীরা (২)
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
আখেরী রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
১২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
পবিত্র ছোহবত মুবারক গ্রহণের ফাযায়িল-ফযীলত, গুরুত্ব-তাৎপর্য ও আবশ্যকতা:
১২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
১২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
যে নিজে পর্দা করে না ও অধীনস্থদের পর্দা করায় না সে দাইয়ূছ
১২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
হাক্বীক্বী মৃত্যুকে স্মরণ করার মধ্যেই শহীদী দরজা মিলে
১২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার)












