সুন্নত মুবারক তা’লীম
সাহরী হলো বরকতময় খাদ্য। রোযাদারদের জন্য প্রতিদিন সাহরী খাওয়া খাছ সুন্নত মুবারক (১)
, ৬ই রমাদ্বান শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ৮ আশির, ১৩৯২ শামসী সন , ৭ মার্চ, ২০২৫ খ্রি:, ২০ ফালগুন, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) সুন্নত মুবারক তা’লীম
সম্মানিত রমাদ্বান শরীফ উনার রোযা মু’মিন-মুসলমান উনাদের উপর ফরয। মহান আল্লাহ পাক তিনি মুসলমানদেরকে পুরো রমাদ্বান শরীফ মাস রোযা পালন করার ব্যাপারে সম্মানিত নির্দেশ মুবারক দিয়েছেন। যুগে যুগে হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের উম্মতের উপরও পবিত্র রোযা পালন করা ফরয ছিল। সে ধারাবাহিকতায় মহান আল্লাহ পাক তিনি আখিরী উম্মতের প্রতিও সম্মানিত রমাদ্বান শরীফ উনার রোযা ফরয করেছেন। মহান আল্লাহ পাক তিনি মহাসম্মানিত মহাপবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন-
ياأَيُّهَا الَّذِينَ ءَامَنُوا كُتِبَ عَلَيْكُمُ الصِّيَامُ كَمَا كُتِبَ عَلَى الَّذِينَ مِن قَبْلِكُمْ لَعَلَّكُمْ تَتَّقُوْنَ.
অর্থ:- ‘হে ঈমানদারগণ! তোমাদের উপর রোযা ফরয করা হয়েছে, যেমনিভাবে তোমাদের পূর্ববর্তীদের উপর ফরয করা হয়েছিল, যাতে করে তোমরা তাক্বওয়া হাছিল করতে পারো। ’ (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা বাক্বারা শরীফ, সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ- ১৮৩)
উল্লেখ্য, সাহরী করার মাধ্যমে রোযা শুরু করা হয় এবং ইফতারের মাধ্যমে রোযা ভঙ্গ করা হয়।
সাহরী শব্দটি আরবী سحر (সাহার) বা سحور (সাহুর) থেকে উদগত। সাহরী শব্দের অর্থ হচ্ছে শেষ রাত বা ভোর রাতের খাবার।
সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার পরিভাষায়: রোযা রাখার নিয়তে ভোর রাতে যে খাবার খাওয়া হয় তাকে সাহরী বলে।
রোযা রাখার নিয়তে সাহরী খাওয়া নূরে মুজাসসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আখাচ্ছুল খাছ সুন্নত মুবারক। অর্থাৎ সাহরী খেয়ে রোযা রাখাই মহাসম্মানিত সুন্নত মুবারক।
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সাধারণতঃ সাহরী মুবারক খেয়েই রোযা রাখতেন এবং মুসলমানদেরকে সাহরী খেয়ে রোযা রাখার ব্যাপারে উৎসাহিত ও নির্দেশ মুবারক করেছেন।
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ قَتَادَةَ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِ عَنْ حَضْرَتْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالى عَنْهُ عَنْ حَضْرَتْ زَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ قَالَ تَسَحَّرْنَا مَعَ رَسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثُمَّ قُمْنَا إِلَى الصَّلَاةِ.
অর্থ:- হযরত ক্বতাদাহ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার থেকে বর্ণিত। তিনি হযরত আনাস বিন মালিক রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণনা করেন, আর তিনি হযরত যায়িদ বিন ছাবিত রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, আমরা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সঙ্গে সাহরী খেলাম, এরপর নামাযে দাঁড়ালাম। (বুখারী শরীফ ৫৭৫, ১৯২১, মুসলিম শরীফ ১০৯৭, তিরমিযী শরীফ ৭০৩, নাসায়ী শরীফ ২১৫৫, ২১৫৬, আহমাদ শরীফ ২১০৮৫, দারেমী শরীফ ১৬৯৫)
-আহমদ হুসাইন
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
ওযূ করার খাছ সুন্নতী তারতীব মুবারক ও মাসয়ালা-মাসায়িল (২)
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ওযূ করার খাছ সুন্নতী তারতীব মুবারক ও মাসয়ালা-মাসায়িল (১)
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ইস্তিঞ্জার আদব ও ঢিলা-কুলুখ ব্যবহার করা সম্পর্কে (২)
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
ইস্তিঞ্জার আদব ও ঢিলা-কুলুখ ব্যবহার করা সম্পর্কে (১)
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
প্রয়োজনে ছুরি এবং চাকু দিয়ে খাবার কেটে খাওয়াও মহাসম্মানিত সুন্নত মুবারক
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
জুতা-মোজা ঝেড়ে পরিস্কার করে পরিধান করা খাছ সুন্নত মুবারক
০১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
চামড়ার মোজা পরিধান করা খাছ সুন্নত মুবারক
৩০ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
খাছ সুন্নতী না’লাইন বা স্যান্ডেলের বর্ণনা (০৩)
২৯ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
খাছ সুন্নতী না’লাইন বা স্যান্ডেলের বর্ণনা (০২)
২৮ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
খাছ সুন্নতী না’লাইন বা স্যান্ডেলের বর্ণনা (০২)
২৮ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
আন্তর্জাতিক পবিত্র সুন্নত মুবারক প্রচার কেন্দ্র’ থেকে সংগ্রহ করুন সুন্নতী খাবার ‘পনির’
২৮ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
খাছ সুন্নতী না’লাইন বা স্যান্ডেলের বর্ণনা (০১)
২৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার)












