সুওয়াল-জাওয়াব: প্রসঙ্গ গণতন্ত্র বিষয়ে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি মনগড়া মিথ্যা অপবাদ (৬)
, ২০ রবিউছ ছানী শরীফ, ১৪৪৭ হিজরী সন, ১৪ খমীছ, ১৩৯৩ শামসী সন , ১৩ অক্টোবর, ২০২৫ খ্রি:, ২৯ আশ্বিন, ১৪৩২ ফসলী সন, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
সুওয়ালে উল্লেখিত লেখা থেকে যেসব প্রশ্ন উত্থাপিত হয় তা হচ্ছে-
১. নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি কি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন? ২. তিনি কি রাজনৈতিক নেতৃত্বের অসাধারণ দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিলেন? ৩. তিনি কি রাষ্ট্র পরিচালনা করেছিলেন? ৪. তিনি কি গণতান্ত্রিক নীতি অনুসরণ করেছিলেন? ৫. পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে কি গণতান্ত্রিক নীতি সম্পর্কে বর্ণিত রয়েছে? ৬. তিনি কি জনগণের মতামতের স্বীকৃতি দিয়েছিলেন? নাউযুবিল্লাহ!
জাওয়াব:
(পূর্বে প্রকাশিতের পর)
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার গুরুত্ব সম্পর্কে আরো বর্ণিত হয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ مَالِكِ بْنِ اَنَسٍ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ تَرَكْتُ فِيكُمْ أَمْرَيْنِ لَنْ تَضِلُّوا مَا تَمَسَّكْتُمْ بِهِمَا كِتَابَ اللهِ عَزَّ وَجَلَّ وَسُنَّةَ رَسُولِهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
অর্থ : “হযরত মালিক ইবনে আনাস রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বর্ণনা করেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, আমি তোমাদের মাঝে দু’টি নিয়ামত রেখে যাচ্ছি। যতক্ষণ পর্যন্ত উক্ত নিয়ামত দু’টি আকড়ে ধরে থাকবে ততক্ষণ পর্যন্ত তোমরা গুমরাহ বা পথভ্রষ্ট হবে না। এক- মহান আল্লাহ পাক উনার কিতাব কুরআন শরীফ, দুই- মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সুন্নাহ শরীফ বা হাদীছ শরীফ।” (মুয়াত্তা মালিক শরীফ, মিশকাত শরীফ)
মোট কথা, পবিত্র হাদীছ শরীফ ব্যতীত সম্মানিত দ্বীন ইসলাম বোঝা, উপলব্ধি করা, সম্মানিত দ্বীন উনার উপর চলা কখনোই সম্ভব নয়। পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাকে অস্বীকার করা ঐরূপ কুফরী এবং কাফির ও জাহান্নামী হওয়ার কারণ যেরূপ পবিত্র কুরআন শরীফ উনাকে অস্বীকার করলে কাফির ও জাহান্নামী হতে হয়।
উল্লেখ্য, ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা বোর্ড কর্তৃপক্ষের লোকগুলি তারা যেহেতু ইহুদী ও খৃষ্টানদের প্রবর্তিত ও সংস্কারকৃত কুফরী গণতন্ত্র বা গণতান্ত্রিক নিয়ম-নীতির অনুসরণ করে থাকে সেজন্য সেই কুফরী আমলকে জায়িয করার জন্যেই তারা সম্পূর্ণরূপে মিথ্যা ও মনগড়াভাবে লিখেছে যে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি গণতান্ত্রিক নীতি অনুসরণ করেন। নাউযুবিল্লাহ!
অথচ পবিত্র কুরআন শরীফ উনার সাথে, পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার সাথে, পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার সাথে সর্বোপরি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে গণতন্ত্র বা গণতান্ত্রিক নিয়ম-নীতির আদৌ কোন সম্পর্ক নেই। কেননা গণতন্ত্র হচ্ছে- মানব রচিত শাসন ব্যবস্থা, যার আইন-কানুন, নিয়ম-নীতি, তর্জ তরীক্বা মানুষের দ্বারা রচিত। মূলতঃ গণতন্ত্র শুধু মানব দ্বারাই রচিত নয় বরং তা বিধর্মীদের দ্বারা বিশেষ করে ইহুদীদের দ্বারা উদ্ভাবিত ও প্রবর্তিত, আর খৃষ্টানদের দ্বারা সংস্কারকৃত শাসন পদ্ধতি। যা পূর্ববর্তী যামানায় মহান আল্লাহ পাক উনার তরফ থেকে নাযিলকৃত আসমানী কিতাব বিকৃত হওয়ার অথবা নফসানিয়াতের দরুন উক্ত কিতাব বিকৃতি বা পরিত্যাগ করার পর বিধর্মীরা তাদের দেশ পরিচালনা করার জন্য, মহান আল্লাহ পাক উনার বিধান বা আইনের পরিবর্তে নিজেরা যেসব আইন প্রণয়ণ করেছিল, পরবর্তী সময় সেগুলো বিভিন্ন নামে পরিচিতি লাভ করে। তারমধ্যে অন্যতম হচ্ছে গণতন্ত্র, যা খ্রীষ্টপূর্ব পঞ্চম শতাব্দীতে গ্রীসে উৎপত্তি লাভ করেছে এবং বর্তমান বিশ্বে ব্যাপক প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে। নাউযুবিল্লাহ!
তাই গণতন্ত্রে সার্বভৌমত্ব ক্ষমতার মালিক বা সকল ক্ষমতার উৎস হচ্ছে একমাত্র জনগণ। আর এই সার্বভৌম ক্ষমতা বা সমস্ত ক্ষমতার মালিক হওয়ার কারণেই গণতন্ত্রীরা নিজেরাই নিজেদের জন্য আইন-কানুন, তর্জ-তরীকা, নিয়ম-নীতি ইত্যাদি প্রণয়ন করে থাকে। অর্থাৎ গণতন্ত্রে জনপ্রতিনিধিরা একমাত্র আইন প্রণেতা। তাই গণতান্ত্রিক আইন সভায় যদি পবিত্র কুরআন শরীফ-পবিত্র সুন্নাহ শরীফ অর্থাৎ শরয়ী কোন আইন পেশ করা হয় আর যদি সেটা তাদের গণতান্ত্রিক ধ্যান-ধারণার খিলাফ হয় বা মনোপুত না হয় তাহলে সে সমস্ত শরয়ী আইন সেখানে উপেক্ষিত হয় বা আদৌ গৃহীত হয়না। নাউযুবিল্লাহ! কারণ গণতান্ত্রিক বিধিঅনুযায়ী তাদের অধিকাংশ আইন প্রণেতা যে বিষয় একমত পোষণ করবে সেটাই আইন হিসেবে গৃহীত হবে। নাউযুবিল্লাহ!
অতএব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে ইহুদী-খৃষ্টান যারা গযবপ্রাপ্ত ও বিভ্রান্ত সম্প্রদায় তাদের প্রবর্তিত গণতান্ত্রিক নীতির অনুসারী হিসেবে উল্লেখ করে বোর্ড কর্তৃপক্ষ নিজেদেরকে কাট্টা কাফির ও চিরজাহান্নামী প্রমাণিত করেছে। নাউযুবিল্লাহ!
যেমন বুখারী শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
مَنْ كَذَبَ عَلَيَّ مُتَعَمِّدًا فَلْيَتَبَوَّأْ مَقْعَدَهُ مِنَ النَّارِ
অর্থ: “যে ব্যক্তি স্বেচ্ছায় আমার প্রতি মিথ্যারোপ করে, সে যেন দুনিয়ায় থাকতেই তার স্থান জাহান্নামে নির্ধারণ করে নিলো।
অতএব, বোর্ড কর্তৃপক্ষের জন্য ফরয হচ্ছে, উক্ত কুফরী বক্তব্যটি সংশোধন করে অতিসত্বর সঠিক লেখা প্রকাশ করা।
পবিত্র সুন্নত মুবারক উনার ইত্তিবা” তথা অনুসরণ-অনুকরণ করার গুরুত্ব-তাৎপর্য এবং বেমেছাল ফযীলত মুবারক (৩)
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
اَلْقُرْاٰنُ صَعْبٌ عُسَرٌ عَلـٰى مَنْ كَرِهَهٗ مُيَسَّرٌ عَلـٰى مَنْ تَبِعَهٗ وَحَدِيْثِىْ صَعْبٌ مُّسْتَصْعَبٌ وَهُوَ الْـحِكْمَةُ فَمَنِ اسْتَمْسَكَ بِـحَدِيْثِـىْ وَحَفِظَهٗ كَانَ مَعَ الْقُرْاٰنِ وَمَنْ تَـهَاوَنَ بِـحَدِيْثِىْ خَسِرَ الدُّنْيَا وَالْاٰخِرَةَ وَاُمِرْتُـمْ اَنْ تَاْخُذُوْا بِقَوْلِـىْ وَتَتَّبِعُوْا سُنَّتِـىْ فَمَنْ رَضِىَ بِقَوْلِـىْ فَقَدْ رَضِىَ بِالْقُرْاٰنِ وَمَنِ اسْتَهْزَاَ بِقَوْلِـىْ فَقَدِ اسْتَهْزَاَ بِالْقُرْاٰنِ قَالَ اللهُ تَعَالـٰى وَمَاۤ اٰتٰىكُمُ الرَّسُوْلُ فَخُذُوْهُ وَمَا نَـهٰىكُمْ عَنْهُ فَانْتَهُوْا.
অর্থ: “পবিত্র কুরআন শরীফ (বুঝা, উপলব্ধি করা) ঐ সমস্ত ব্যক্তিদের জন্য অত্যন্ত কঠিন হবে, যারা পবিত্র কুরআন শরীফ উনাকে ইহানত করে, তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করে। নাঊযুবিল্লাহ! আর তাদের জন্য অত্যন্ত সহজসাধ্য হবে, যাঁরা পবিত্র কুরআন শরীফ উনাকে ইত্তিবা’ তথা অনুসরণ-অনুকরণ করে। সুবহানাল্লাহ! আর আমার পবিত্র হাদীছ শরীফ (বুঝা, উপলব্ধি করা) অত্যন্ত কঠিন। কারণ পবিত্র হাদীছ শরীফ হচ্ছেন মহাসম্মানিত হিকমত মুবারক। সুতরাং যাঁরা আমার হাদীছ শরীফ দৃঢ়তার সাথে আঁকড়িয়ে ধরে থাকবে এবং হিফাযত করবে, তারা পবিত্র কুরআন শরীফ উনার সাথেই থাকবে। সুবহানাল্লাহ! আর যারা আমার পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাকে অবজ্ঞা করবে, তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করবে, তারা দুনিয়া এবং আখিরাতে ক্ষতিগ্রস্ত হবে, লা’নতগ্রস্ত হবে, কঠিন আযব-গযবে গ্রেপ্তার হবে। নাঊযুবিল্লাহ!
আমার পবিত্র হাদীছ শরীফ শক্তভাবে আঁকড়ে ধরে থাকার জন্য এবং আমার পবিত্র সুন্নত মুবারক ইত্তিবা’ তথা অনুসরণ-অনুকরণ করার জন্য তোমাদেরকে আদেশ মুবারক করা হচ্ছে। কাজেই যে ব্যক্তি আমার হাদীছ শরীফ পেয়ে সন্তুষ্ট হবে, সে অবশ্যই পবিত্র কুরআন শরীফ পেয়েও সন্তুষ্ট হবে। সুবহানাল্লাহ! আর যে ব্যক্তি আমার পবিত্র হাদীছ শরীফ নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রুপ করবে, সে অবশ্যই পবিত্র কুরআন শরীফ নিয়েও ঠাট্টা-বিদ্রুপ করবে। নাঊযুবিল্লাহ! (অতঃপর নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নিজেই মহান আল্লাহ পাক উনার সম্মানিত কালাম মুবারক তিলাওয়াত মুবারক করে দলীল পেশ করেন,) মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, মহাসম্মানিত রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি তোমাদের নিকট যা নিয়ে এসেছেন, তা আকড়িয়ে ধরো এবং তিনি তোমাদেরকে যা থেকে বিরত থাকতে বলেছেন, তা থেকে বিরত থাকো।” সুবহানাল্লাহ! (তাফসীরে রূহুল বয়ান ৯/৩৪৯)
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সুন্নত মুবারক ইত্তিবা’ তথা অনুসরণ-অনুকরণ না করলে যদি কঠিন যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি দেয়া হয়, তাহলে যারা সুন্নত মুবারক ইত্তিবা’ তথা অনুসরণ-অনুকরণ করবে, তাদের ফায়ছালা কি হবে? অবশ্যই তাদেরকে ইহ্কাল-পরকালের কঠিন যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি থেকে কুদরতময়ভাবে হিফাযত রাখা হবে। সুবহানাল্লাহ!
যে একখানা সুন্নত মুবারক ইত্তিবা’ তথা অনুসরণ-অনুকরণ করবে, সে একটি বিদয়াত প্রতিহত করার ফযীলত হাছিল করবে এবং তার জন্য জান্নাত ওয়াজিব করে দেয়া হয়:
এ সম্পর্কে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ غَضِيْفِ بْنِ الْـحَارِثِ الثُّمَالِـىِّ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا اَحْدَثَ قَوْمٌ بِدْعَةً اِلَّا رُفِعَ مِثْلُهَا مِنَ السُّنَّةِ فَتَمَسُّكٌ بِسُنَّةٍ خَيْـرٌ مِّنْ اِحْدَاثِ بِدْعَةٍ.
অর্থ: “হযরত গদ্বীফ ইবনে হারিছ ছুমালী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, যখন কোনো ক্বওম বা সম্প্রদায় একটি বিদয়াত উদ্ভাবন করে, প্রচলন করে, তখন সমপরিমাণ একখানা সুন্নত মুবারক বিলুপ্ত হয়ে যায়। নাঊযুবিল্লাহ! কাজেই একখানা পবিত্র সুন্নত মুবারক আকড়ে ধরে থাকা একটি বিদয়াত উদ্ভাবন করা থেকে, প্রচলন করা থেকে অতি উত্তম।” সুবহানাল্লাহ! (মুসনাদে আহমদ ৪/১০৫, মিশকাত শরীফ, ফাইযুল ক্বাদির ৫/৫২৬, জামি‘উল ‘উলূম ওয়াল হিকাম ১/২৬৬, মাজমা‘উয্ যাওয়ায়িদ ১/২৩০, তাহহীরুল খ¦ওয়াছ্ছ ১/২০৩, গায়াতুল মাক্বছাদ ১/২৬২, আত্ তারগীব ওয়াত্ তারহীব ১/৪৫, তারীখুল ইসলাম লিয যাহাবী ৫/৫০৮, মুখতাছরু তারীখে দিমাশক্ব ৬/২৪৮ ইত্যাদি)
পবিত্র হাদীছ শরীফে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
كَانَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُوْلُ فِـىْ خُطْبَتِهٖ اِنَّ اَصْدَقَ الْـحَدِيْثِ كَلَامُ اللهِ وَخَيْـرُ الْـهَدْىِ هَدْىُ سَيِّدِنَا مَوْلـٰـنَا مُـحَمَّدٍ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَشَرُّ الْاُمُوْرِ مُـحْدَثَاتُـهَا وَكُلُّ مُـحْدَثَةٍ بِدْعَةٌ وَكُلُّ بِدْعَةٍ ضَلَالَةٌ وَكُلُّ ضَلَالَةٍ فِـى النَّارِ.
অর্থ: “নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনার খুতবা মুবারকে প্রায়ই ইরশাদ মুবারক করতেন, নিশ্চয়ই সবচেয়ে সত্য কালাম মুবারক হচ্ছেন মহান আল্লাহ পাক উনার কালাম মুবারক। সুবহানাল্লাহ! আর সর্বোত্তম হিদায়েত মুবারক হচ্ছেন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত হিদায়েত মুবারক অর্থাৎ তিনি যাকে হিদায়াত মুবারক দান করবেন, ঐ ব্যক্তি সর্বোত্তম হাদী হবেন। সুবহানাল্লাহ! আর সবচেয়ে নিকৃষ্ট কাজ হচ্ছে (শরীয়ত উনার খিলাফ) যে কাজগুলো নতুন উদ্ভাবন করা হয়। নাঊযুবিল্লাহ! (শরীয়ত উনার খিলাফ) প্রত্যেক নবোদ্ভাবিত কাজই বিদয়াত। প্রত্যেক বিদয়াতই হচ্ছে গোমরাহী বা পথভ্রষ্টতা। আর প্রত্যেক গোমরাহ বা পথভ্রষ্ট ব্যক্তিই হচ্ছে জাহান্নামী।” নাঊযুবিল্লাহ! (নাসায়ী শরীফ, সুনানুল কুবরা লিন নাসায়ী ২/৩০৮, আল মু’জামুল কাবীর লিত্ ত্ববারানী ৭/৪৯৩, জাম‘উল জাওয়ামি’ ১/৫৫৬৪, জামি‘উল আহাদীছ ৬/৩১৫, জামি‘উল উছূল লি ইবনে আছীর ৫/৩৯৭৪, কানযুল ‘উম্মাল ১১/১০, আস সুন্নাহ লিল মুরূযী ১/২৯, ছহীহ ইবনে খুযায়মাহ্ ৩/১৪৩, আল গরাইব লিন নাসায়ী ১/৫৭, আল আসমা’ ওয়াছ ছিফাত লিল বাইহাক্বী ১/৪৪৮, আয্ যাহ্রুন নাদ্বর লি ইবনে হাজার আসক্বালানী ১/১, তাফসীরে ইবনে কাছীর ২/৪১৬, হিলয়াতুল আউলিয়া’ লি আবী না‘ঈম ৩/১৮৯, আদ্ দীবাজ লিস সুয়ূত্বী ১/৫, আল ফাতহুল কাবীর লিস সুয়ূত্বী ১/২৩৭, শরহু ‘আক্বীদাতুত্ ত্বহাবী ৪/২২৯, কাশফুল খফা ১/১৯৪, আর রওদ্বুল বাসিম ১/৫, যাম্মুল কালাম ৩/৪৯, দুররুল মানছূর ৬/৬৮১, ফাতহুল ক্বাদীর লিশ শাওক্বানী ৩/১২২, তাফসীরুস সাম‘আনী ২/১৬০ ইত্যাদি) (অসমাপ্ত)
-০-
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে সালাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু (২)
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
যাকাত সম্পর্কিত আহকাম, মাসায়িল ও ফাযায়িল (২)
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পর্দা পালন করা পুরুষ-মহিলা সবার জন্য ফরজ
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
মহাসম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে মুহব্বত মুবারক করা সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসীর জন্য ফরযে আইন
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের আলোকে ছিরাতুল মুস্তাক্বীম উনার ছহীহ তাফসীর- ০১
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
যেখানে প্রাণীর ছবি থাকে, সেখানে রহমতের ফেরেশতা প্রবেশ করেন না
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
যা খাওয়া হারাম করা হয়েছে
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
ইবলিসের পরে দ্বিতীয় উলামায়ে সূ হলো বালয়াম বিন বাউরা
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
পবিত্র ক্বাবলাল জুমুআহ্, বা’দাল জুমুআহ্ এবং সুন্নাতুল ওয়াক্ত নামায উনার শরঈ আহকাম (৪)
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার)












