সুওয়াল জাওয়াব:
, ০১ যিলহজ্জ শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ১০ আউওয়াল, ১৩৯২ শামসী সন , ০৮ জুন, ২০২৪ খ্রি:, ২৫ জৈষ্ঠ্য, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) মহিলাদের পাতা
সুওয়াল: দুধ সম্পর্কীয় সন্তান দুধ মা-বাবার সম্পদের ওয়ারিছ হবে কি-না? অনুরূপ পালক সন্তান পালক পিতা-মাতার ওয়ারিছ হবে কি-না?
জাওয়াব: ওয়ারিছ হবে না। দুধ সন্তান ওয়ারিছ হয় না। আর দুধ সম্পর্ক সেটা হলো দুধ সম্পর্কের সন্তান-সন্ততি। তারা ওয়ারিছ হবে না। অন্যান্য যারা আছে ঐ রকম সর্ম্পকের যেমন পালক সন্তান, সর্ম্পকের দিক থেকে সম্পর্ক ঠিক থাকবে কিন্তু ওয়ারিছ হবে না। এই সম্পর্ক ওয়ারিছ হয় না। কেউই যদি না থাকে তখন পাবে। যে মূল মালিক সে যদি বলে, সে আমার অমুক তখন হয়তো পাবে। কেউ না থাকলে আর কি করার। এমনিতে কেউ যদি না থাকে সেটা বাইতুল মালে জমা হবে। আর যদি কোনো তার আত্মীয় সম্পর্ক থাকে, অন্য রকম নিছবত থাকে ঐ হিসেবে দুধ সর্ম্পক থাকলে, তখন সে পাবে। এটা ওয়ারিছ হিসেবে না। কেউ যদি না থাকে তখন সে যদি স্বীকার করে তার আত্মীয় এবং সম্পর্ক আছে ঐ হিসেবে সম্পদ যদি থাকে তাহলে তাকে সম্পত্তি দিয়ে দিবে। আর এরপর যদি খিলাফত থাকে তাহলে খলীফা অবস্থা অনুযায়ী ব্যবস্থা করতে পারেন। এখন সম্পত্তি কম আছে, না বেশী আছে, কত আছে সেটা দেখতে হবে। যদি অনেক সম্পত্তি থাকে তাহলে তাকে সব অংশ না দিয়ে একটা অংশ দিয়ে বাকী অংশ বাইতুল মালে দিয়ে দিবে। যাতে অন্য নেক কাজে ব্যবহার করা যেতে পারে। সবটা তাকে দিতে হবে সেটা শর্ত না। সাধারণভাবে কেউ যদি না থাকে, শেষ পর্যন্ত সে সেটা পাবে। এটা নির্দিষ্ট নাই, অনির্দিষ্ট। কোন রকম ওয়ারিছ হয়, কোন সম্পর্ক আছে, নিছবত আছে সেই হিসেবে। আর যার ওয়ারিছসত্ব নাই তাকে ওয়াছিয়ত করতে পারবে। আর যার ওয়ারিছসত্ব আছে তাকে করতে পারবে না। যারা ওয়ারিছ হয় না তাদেরেকে ওয়াছিয়ত করতে পারবে। আর যারা ওয়ারিছ তাদেরটা মহান আল্লাহ পাক তিনিই বণ্টন করে দিয়েছেন। যাদেরকে মহান আল্লাহ পাক তিনি বণ্টন করে দিয়েছেন তারাতো আর ওয়াছিয়তের হক্বদার না। ওয়াছিয়তের হক্বদার হচ্ছে যারা ওয়ারিছ না। কেউ ইচ্ছা করলে তাদেরকে কাজের জন্য তিন ভাগের এক ভাগ ওয়াছিয়ত করতে পারে, দিয়ে দিতে পারে। নেক কাজে দিয়ে গেলে বা কাউকে সে দিয়ে গেল, তার কোন গরীব আত্মীয়কে দিয়ে গেল, তিন ভাগের এক ভাগ দিতে পারে। এর বেশী না।
মূলকথা হচ্ছে, দুধ সন্তান দুধ মা-বাবার এবং পালক সন্তান পালক পিতা-মাতার সম্পত্তির ওয়ারিছ হয় না। ওয়াছিয়াতের ভিত্তিতে তারা সম্পদ পেতে পারে। (তাফসীরে কুরতুবী, তাফসীরে আহকামুল কুরআন, তাফসীরে রূহুল মায়ানী, তাফসীরে রূহুল বয়ান, তাফসীরে মাযহারী, ফতওয়ায়ে আলমগীরী ইত্যাদি)
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
হুব্বে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সর্বক্ষেত্রে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে প্রাধান্য দিতে হবে
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সৃষ্টির শুরুতেই মহান আল্লাহ পাক উনার কুদরত মুবারক উনার মধ্যে ছিলেন, আছেন এবং অনন্তকাল থাকবেন
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
মহান আল্লাহ পাক তিনি তওবাকারীকে পছন্দ করেন (২)
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ক্বলবী যিকির জারী না থাকলে শয়তানের ওয়াসওয়াসা থেকে বেঁচে থাকা সম্ভব নয়
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
দোযখে বেপর্দা হওয়া নারীদের শাস্তির বর্ণনা (৯)
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
জামায়াতের জন্য মহিলাদের মসজিদে ও ঈদগাহে যাওয়া হারাম ও কুফরী (৩)
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সম্বোধন মুবারক করার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ আদব-শরাফত বজায় রাখতে হবে
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথেই হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের বিষয় উল্লেখ থাকা উচিত
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
মহাসম্মানিত সুন্নত মুবারক ছেড়ে দেয়া মানেই পথভ্রষ্ট হওয়া। নাউযুবিল্লাহ!
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
পিতা-মাতার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব-কর্তব্য
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
খছম বা ঝগড়া কু-স্বভাবটি পরিহার করা অপরিহার্য কর্তব্য
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)












