সুন্নতী মুবারক তা’লীম
সুন্নতী খাবার সম্পর্কিত হাদীছ শরীফ
, ২৭ ছফর শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ০৫ রবি , ১৩৯২ শামসী সন , ০২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রি:, ১৮ ভাদ্র , ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) সুন্নত মুবারক তা’লীম
তালবীনাহ
হযরত উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছা ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম উনার থেকে বর্ণিত। নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি তালবীনা খেতে আদেশ মুবারক করতেন এবং ইরশাদ মুবারক করতেন, এটি হল অপছন্দনীয়, তবে উপকারী। ” (বুখারী শরীফ: কিতাবুত ত্বিব: বাবুত তালবীনাতি লিল মারীদ্ব: হাদীছ শরীফ নং ৫৬৯০)
হযরত উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছা হযরত ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম তিনি কোন রোগীকে এবং কারো মৃত্যুজনিত শোকাহত ব্যক্তিকে তালবীনা খাওয়ানোর আদেশ করতেন। তিনি বলতেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে আমি বলতে শুনেছি যে, ‘তালবীনাহ’ রোগীর হৃদপিন্ডকে শক্তিশালী করে এবং নানাবিধ দুশ্চিন্তা দূর করে। ” (বুখারী শরীফ: কিতাবুত ত্বিব: বাবুত তালবীনাতি লিল মারীদ্ব: হাদীছ শরীফ নং ৫৬৮৯)
উম্মুল মু’মিনীন হযরত ছিদ্দীকা আলাইহাস সালাম তিনি আরো ইরশাদ মুবারক করেন, “যখন নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমাস সালাম উনাদের কেহ মারিদ্বী শান মুবারক গ্রহণ করতেন তখন তিনি তালবীনা বানানোর নির্দেশ মুবারক দিতেন। তিনি ইরশাদ মুবারক করতেন, এটি অসুস্থ্য ব্যক্তির হৃদপি-কে শক্তিশালী করে এবং হৃদপিন্ডের অসুস্থ্যতাকে এমনভাবে সুস্থ্য করে, যেমনিভাবে পানি দ্বারা মুখ ধোয়ার পর ময়লা দূর হয়ে যায়। ” (ইবনে মাজাহ শরীফ)
তালবীনা হালুয়া প্রস্তুত প্রণালী:
উপাদান: ১. দুধ, ২. বার্লি, ৩. মধু (বা চিনি), ৪. খেজুর কুচি
প্রথম পদ্ধতি:
একটি পাত্রে চার টেবিল চামচ পরিমাণ বার্লি গুড়া নিতে হবে। এরমধ্যে এক কাপ দুধ ঢেলে দিতে হবে এবং ভালভাবে নাড়তে হবে যেন ভালোভাবে মিশে যায়। ৩ মিনিট চুলায় দিয়ে নাড়তে হবে যেন জমাট না হয়ে যায়। মিশ্রণটি কিছুটা ঘন হওয়ার পর মিষ্টি স্বাদের জন্য হালকা মধু দেয়া যেতে পারে সবশেষে খেজুর কুচি করে কেটে উপরে ছিটিয়ে দিলেই তালবীনা প্রস্তুত।
দ্বিতীয় পদ্ধতি:
১-২ টেবিল চামচ বার্লি ২ কাপ দুধের মধ্যে ছেড়ে দিতে হবে। চুলায় অল্প তাপে নাড়তে হবে ১০-১৫মিনিট অথবা ঘনত্ব না আসা পর্যন্ত নাড়তে হবে। মিষ্টি স্বাদের জন্য পরিমাণ মতো মধু দিতে হবে।
তৃতীয় পদ্ধতি: কুসুম গরম পানিতে দুধ ঢেলে যবের গুড়া ও গুড় মিশ্রণ করুন। যব দুধের সাথে মিশে যাওয়া পর্যন্ত জাল দিন। মিশ্রণটি হালুয়া হয়ে গেলে নামিয়ে ফেলুন। গরম অথবা ফ্রীজের ঠান্ডা উভয় অবস্থায় পরিবেশনযোগ্য।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
ওযূ করার খাছ সুন্নতী তারতীব মুবারক ও মাসয়ালা-মাসায়িল (১)
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ইস্তিঞ্জার আদব ও ঢিলা-কুলুখ ব্যবহার করা সম্পর্কে (২)
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
ইস্তিঞ্জার আদব ও ঢিলা-কুলুখ ব্যবহার করা সম্পর্কে (১)
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
প্রয়োজনে ছুরি এবং চাকু দিয়ে খাবার কেটে খাওয়াও মহাসম্মানিত সুন্নত মুবারক
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
জুতা-মোজা ঝেড়ে পরিস্কার করে পরিধান করা খাছ সুন্নত মুবারক
০১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
চামড়ার মোজা পরিধান করা খাছ সুন্নত মুবারক
৩০ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
খাছ সুন্নতী না’লাইন বা স্যান্ডেলের বর্ণনা (০৩)
২৯ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
খাছ সুন্নতী না’লাইন বা স্যান্ডেলের বর্ণনা (০২)
২৮ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
খাছ সুন্নতী না’লাইন বা স্যান্ডেলের বর্ণনা (০২)
২৮ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
আন্তর্জাতিক পবিত্র সুন্নত মুবারক প্রচার কেন্দ্র’ থেকে সংগ্রহ করুন সুন্নতী খাবার ‘পনির’
২৮ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
খাছ সুন্নতী না’লাইন বা স্যান্ডেলের বর্ণনা (০১)
২৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
মহাসম্মানিত খাছ সুন্নতী বিছানা মুবারক উনার বর্ণনা
২৬ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)












