সুমহান সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ সম্পর্কে জাতীয় পতাকা বিধিমালা- ১৯৭২ কি বলে?
, ১২ রমাদ্বান শরীফ, ১৪৪৪ হিজরী সন, ০৪ হাদি ‘আশির, ১৩৯০ শামসী সন , ০৪ এপ্রিল, ২০২৩ খ্রি:, ২১ চৈত্র, ১৪২৯ ফসলী সন, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) মহিলাদের পাতা
ক) মহানবীর বিলাদত শরীফ দিবস (ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
খ) ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস।
গ) ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস।
ঘ) সরকার কর্তৃক প্রজ্ঞাপিত অন্য যে কোন দিবস।
আবার অপর অংশে বর্ণিত আছে, নিম্নলিখিত দিবসমূহে পতাকা অর্ধনমিত থাকবে-
ক) ২১ ফেব্রুয়ারি শহীদ দিবস এবং জাতীয় দিবস এবং
খ) সরকার কর্তৃক প্রজ্ঞাপিত অন্য যে কোন দিবস।
পর্যালোচনা: ১ম অংশে বিশেষভাবে লক্ষণীয়-
(ক) আনন্দঘন, আনন্দমুখর, খুশি নির্দেশক দিবস এবং উপলক্ষসমূহে পতাকা পূর্ণভাবে উত্তোলন করতে হবে।
খ) সার্বিক দিক বিবেচনায় সবচেয়ে খুশির দিবস বা উপলক্ষ হলো- নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। এজন্য প্রথম বন্ধনীর মধ্যে ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দিবসের খুশি বা আনন্দ বা উনার জন্ম দিনের আনন্দ উল্লেখ করা হয়েছে।
গ) আনন্দঘন দিবসগুলোর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিবস বিবেচনায় সর্বাগ্রে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদতী শান মুবারক দিবসের উল্লেখ করা হয়েছে।
আবার ২য় অংশে বিশেষভাবে লক্ষণীয় যে,
(ক) বেদনাদায়ক ও শোকাবহ দিবসগুলোতে পতাকা অর্ধনমিত থাকবে।
খ) জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকা বেদনা ও শোকের নিদর্শন।
গ) আপাত শোক ও বেদনার বার্তাবহ দ্বিতীয় অংশে উল্লেখিত দিনগুলো প্রথম অংশে উল্লেখিত আনন্দ, খুশি প্রকাশক দিনগুলোকে এক অর্থে সমর্থন করে আবার বিপরীত অর্থে পরস্পর পরস্পরকে সমর্থন করে।
যা হোক, প্রথম অংশে উল্লেখিত নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নির্দেশ।
কিন্তু বলার বিষয় হলো- মহাগুরুত্বপূর্ণ সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ উনাকে কেবল কাগুজে বিষয় হিসেবে বিধিমালাতে রাখলেই হবে না। বরং এর বাস্তব প্রতিফলন ঘটাতে হবে। মুসলমানদের প্রত্যেকটি ঘরে সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ উনার আনন্দ ও খুশি পৌঁছে দিতে হবে। আর এই গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগটি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারকেই ২৬ মার্চ ও ১৬ ডিসেম্বরের মতোই নয় বরং এর চেয়ে ব্যাপক মহাসমারোহে করতে হবে। একথাই উল্লেখিত বিধিমালাতে ব্যক্ত হয়েছে। কেননা অত্র বিধিমালা গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা বিধিমালা, ১৯৭২ নামে গণ্য। মহান আল্লাহ পাক তিনি বিষয়টি বাংলাদেশ সরকারকে আমলে আনার তাওফীক দিন। আমীন!
-মুহম্মদ হাবীবুর রহমান, রাজশাহী।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
পিতা-মাতার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব-কর্তব্য
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
খছম বা ঝগড়া কু-স্বভাবটি পরিহার করা অপরিহার্য কর্তব্য
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
যে ৪ শ্রেণীর লোকদের জন্য ক্বিয়ামতের দিন সুপারিশ ওয়াজিব হবে
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
মুসলমান পুরুষ ও মহিলা সকলের জন্যই ফরযে আইন হচ্ছে- যথাযথভাবে ৫ ওয়াক্ত নামায তারতীব অনুযায়ী যথাসময়ে আদায় করে নেয়া
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
মহাসম্মানিত মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারা বেমেছাল ফযীলত মুবারকের অধিকারী
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
হুব্বে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
০১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন-
০১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সৃষ্টির শুরুতেই মহান আল্লাহ পাক উনার কুদরত মুবারক উনার মধ্যে ছিলেন, আছেন এবং অনন্তকাল থাকবেন
০১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
মহান আল্লাহ পাক তিনি তওবাকারীকে পছন্দ করেন (১)
৩০ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ক্বলবী যিকির জারী না থাকলে শয়তানের ওয়াসওয়াসা থেকে বেঁচে থাকা সম্ভব নয়
৩০ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
পিতা-মাতার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব-কর্তব্য
২৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ মেহমানদারী করার মাধ্যমে উদযাপনে শাফায়াত মুবারক লাভ
২৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার)












