পবিত্র কুরআন শরীফে বর্ণিত কারামতে আউলিয়া:
হযরত আসিফ বিন বারখিয়া রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার চোখের পলকে সিংহাসন আনয়ন
, ২৯ রবিউছ ছানী শরীফ, ১৪৪৭ হিজরী সন, ২৩ খমীছ, ১৩৯৩ শামসী সন , ২২ অক্টোবর, ২০২৫ খ্রি:, ০৬ কার্তিক, ১৪৩২ ফসলী সন, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
মহান আল্লাহ পাক উনার জলিলুল কদর ও সম্মানিত রসূল হযরত সুলাইমান আলাইহিস সালাম। মহান আল্লাহ পাক উনাকে সারা দুনিয়ার কর্তৃত্ব (শাসন ক্ষমতা) দিয়েছেন। তিনি সকল মাখলুকাতের ভাষা জানতেন। হযরত সুলায়মান আলাইহিস সালাম উনার প্রধান ও সভাসদগণের বিশেষ ব্যক্তিত্বের নাম মুবারক ছিল আসিফ বিন বারখিয়া রহমতুল্লাহি আলাইহি। যিনি সিদ্দীক তবকার ওলী আল্লাহ ছিলেন। উনার দ্বারা যে কারামত মুবারক প্রকাশ পেয়েছে তা মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফে বর্ণনা করেছেন। মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
وقَالَ الَّذِي عِندَهُ عِلْمٌ مِّنَ الْكِتَابِ أَنَا آتِيكَ بِهِ قَبْلَ أَن يَرْتَدَّ إِلَيْكَ طَرْفُكَ ۚ
অর্থ: আর (তাদের মধ্যে) যাঁর কিতাবের ইলিম ছিলো তথা যিনি ওলীআল্লাহ ছিলেন তিনি (সিংহাসন আনার ব্যাপারে) বললেন, আপনি চোখের পলক ফেলার পূর্বে আমি তা আপনাকে এনে দিবো। (পবিত্র সূরা নমল শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৪০)
হযরত সুলায়মান আলাইহিস সালাম তিনি উনার দৃঢ় চিত্ত কথা শুনে খুবই খুশী হলেন। তিনি উনাকে অনুমতি দিলেন। তিনি চোখের পলকে হযরত সুলায়মান আলাইহিস সালাম উনার কাছে তা উপস্থিত করলেন। সুবহানাল্লাহ! এটা দেখে হযরত সুলায়মান আলাইহিস সালাম তিনি অত্যন্ত খুশি হলেন। আর বললেন-
فَلَمَّا رَآهُ مُسْتَقِرًّا عِندَهُ قَالَ هَـٰذَا مِن فَضْلِ رَبِّي لِيَبْلُوَنِي اَاَشْكُرُ اَمْ اَكْفُرُ
অর্থ: হযরত সুলায়মান আলাইহিস সালাম তিনি যখন তা সামনে উপস্থিত বা রক্ষিত দেখলেন, তখন বললেন, ইহা আমার পালনকর্তা মহান রব তায়ালা উনার বিশেষ অনুগ্রহ। তিনি আমাকে পরীক্ষা করেন যে, আমি শুকরিয়া আদায় করি, অথবা না করি। ” (পবিত্র সূরা নমল শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ৪০)
সুলতানুল আরিফীন, ইমামুল মুহাদ্দিসীন, হযরত ইমাম জালালুদ্দীন সূয়ুতী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন- হযরত আসিফ বিন বারখিরা রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি হযরত সুলায়মান আলাইহিস সালাম উনাকে বললেন, আপনি আকাশ পানে দৃষ্টি নিক্ষেপ করুন। তিনি আকাশের দিকে তাকালেন। অতঃপর দৃষ্টি ফিরালেন। আর সাথে সাথে তিনি উনার সামনে সাবার রানী হযরত বিলকিস আলাইহাস সালাম উনার রাজ সিংহাসন স্থাপিত দেখতে পেলেন। সুবহানাল্লাহ! (তাফসীরে জালালাইন শরীফ)
বাইতুল মাকদাস থেকে ইয়ামানের সাবা শহরের দূরত্ব এক হাজার মাইলেরও বেশী। এতদূর থেকে এত বড় বিশাল সিংহাসন মুহূর্তের মধ্যে হাজির করা স্বাভাবিক নয়। তা অবশ্যই কারামত মুবারক উনার অন্তর্ভুক্ত। সুবহানাল্লাহ!
-০-
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে সালাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু (২)
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
যাকাত সম্পর্কিত আহকাম, মাসায়িল ও ফাযায়িল (২)
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পর্দা পালন করা পুরুষ-মহিলা সবার জন্য ফরজ
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
মহাসম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে মুহব্বত মুবারক করা সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসীর জন্য ফরযে আইন
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের আলোকে ছিরাতুল মুস্তাক্বীম উনার ছহীহ তাফসীর- ০১
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
যেখানে প্রাণীর ছবি থাকে, সেখানে রহমতের ফেরেশতা প্রবেশ করেন না
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
যা খাওয়া হারাম করা হয়েছে
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
ইবলিসের পরে দ্বিতীয় উলামায়ে সূ হলো বালয়াম বিন বাউরা
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
পবিত্র ক্বাবলাল জুমুআহ্, বা’দাল জুমুআহ্ এবং সুন্নাতুল ওয়াক্ত নামায উনার শরঈ আহকাম (৪)
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার)












