রাজারবাগ শরীফ উনার পরিচিতি (১৭)
হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম এবং হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারাসহ সফর
, ০১ আগস্ট, ২০২৩ ১২:০০:০০ এএম ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
![হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম এবং হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারাসহ সফর](https://www.al-ihsan.net/uploads/1690833691_রাজারবাগ দরবার শরীফ.jpg)
সম্মানিত ওলীআল্লাহগণ উনারা বিভিন্ন কারণেই সফর করে থাকেন, জাহিরিভাবে কিছু বোঝা গেলেও বাতিনি অনেক কারণ থাকেন, যা সাধারণের উপলব্ধির বাইরে। উনাদের সফর করার কারণে সফরকৃত অঞ্চলসমূহের মধ্যে বিশেষ রহমত নাযিল হয় এবং যাদের নছীবে হিদায়েত লেখা থাকে উনারা সেই নিয়ামত লাভে ধন্য হন। সুবহানাল্লাহ! বিভিন্ন দিক লক্ষ্য রেখেই ১৪২১ হিজরী সনের ১২ই রবীউছ ছানী শরীফ থেকে ১৯শে রবীউছ ছানী (২০০০ সালে ১৫ জুলাই থেকে ২২ জুলাই) পর্যন্ত হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি চট্টগ্রাম সফর করেন। এই সফরই ছিল প্রথম বিশেষ সফর অর্থাৎ যে সফরে হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার সফরসঙ্গী হন উম্মুল উমাম সাইয়্যদাতুনা হযরত আম্মাজী ক্বিবলা আলাইহাস সালাম এবং হযরত আহলে বাইত শীফ আলাইহিমুস সালাম উনারা। শুরু হয় তাজদীদ মুবারকের এক নবদিগন্ত। বিশেষ সফর উপলক্ষে পবিত্র দরবার শরীফ এবং প্রতিটি জেলায় সাজ সাজ রব পড়ে যায়। সবাই অধীর সাগ্রহে অপেক্ষা করতে থাকেন কবে কোনো জেলায় বিশেষ সফর হবে সেই আশায়। উল্লেখ্য, তখন যে সফরে উম্মুল উমাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত আম্মাজী ক্বিবলা আলাইহাস সালাম এবং হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারা যেতেন সেই সফরকে বিশেষ সফর বলা হতো। সেই সফর উপলক্ষে গাড়ির সংখ্যা এবং খাদিম-খাদিমার সংখ্যা বাড়ানো হয়। এভাবে হিজরী ১৪২১ সাল থেকে ১৪২৯ হিজরী সাল পর্যন্ত (২০০০-২০০৮ খৃঃ) উম্মুল উমাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত আম্মাজী ক্বিবলা আলাইহাস সালাম এবং হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারা সারা দেশব্যাপী মানুষকে হিদায়েতের আলো দানের উদ্দেশ্যে অবর্ণনীয় পরিশ্রম করে সফর করেন। এই বিশেষ সফরে বিভিন্ন জেলায় জেলায় অনেক মহিলা আনজুমান গঠিত হয়, যাঁরা আজো নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। সুবহানাল্লাহ!
দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে মাহফিলের আয়োজন (উলামা আনজুমানের সফর)
দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠিত মাদরাসা থেকে উচ্চতর ডিগ্রি নেয়া এবং প্রথম শ্রেণীতে পাস করা অনেক আল্লামা ও মুফতী সাহেব রয়েছেন, যাঁরা যামানার সুমহান মুজাদ্দিদ, সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার মুরীদ হবার সৌভাগ্য অর্জন করেছেন। যেহেতু উনারা মাদরাসায় শুধু জাহিরী ইলম অর্জন করেছেন, তাই উনাদের অনেকেই তালাশ করছিলেন একজন কামিল শায়েখ। আবার কেউ কেউ ছিলেন ইলমে তাসাউফের ব্যাপারে বিরুপ ধারণার অধিকারী। কিন্তু যামানার সুমহান মুজাদ্দিদ, হযরত মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি যখন বিভিন্ন জেলায় সফর করেন, তখন উনার বয়ান মুবারক শুনে মাদরাসা পাস করা অনেক আল্লামা/মুফতী সাহেবরা জীবনের সব ভুল ধারণা ভেঙ্গে উনার হাত মুবারকে বয়াত হয়ে নিজের জীবনকে হিদেয়েতের দিকে পরিবর্তন করে ফেলেন।
মাদরাসা পাস করা এরকম আল্লামা/মুফতী সাহেব উনাদের সংখ্যা লক্ষাধিক হবে। কিন্তু তারপরেও উনাদের মধ্য থেকে যারা যামানার সুমহান মুজাদ্দিদ, সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার খাছ ছোহবত মুবারক ইখতিয়ার করার সৌভাগ্য অর্জন করেছেন, আহলে সুন্নাতুল জামায়াত উনার আক্বীদা অনুযায়ী নিজেদের আক্বীদা বিশুদ্ধ করতে পেরেছেন উনারা হিদায়েতের কাজের আঞ্জাম দেবার লক্ষ্যে মুবারক অনুমতি সাপেক্ষে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সফর করে থাকেন। তারপরেও সাধারণভাবে পবিত্র ছফর মাস এবং শাহরুল আ’যম পবিত্র রবীউল আউওয়াল মাসে এরকম আল্লামা/মুফতী সাহেবগণ উনারা কোনো মাহফিলে অংশগ্রহণ করে না; বরং এই দুই মাস উনারা নিজেরাই তা’লীম গ্রহণ ও পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করার জন্য সুমহান দরবার শরীফেই অবস্থান করেন।
এ সকল আল্লামা সাহেব উনাদের অনেকেই পবিত্র দরবার শরীফের গবেষণা কেন্দ্রে, কেউ মাদরাসায় তা’লীম দেয়ার কাজে নিয়োজিত রয়েছেন। সাধারণভাবে কোথাও মাহফিল করাতে চাইলে সেই এলাকার আয়োজক প্রতিনিধিগণকে মুবারক দফতর শরীফ উনার সমীপে আবেদন করতে হয় এবং বিশেষ কোনো আল্লামা সাহেবকে মাহফিলে অতিথি হিসেবে নিয়ে যাওয়ার প্রয়োজন হলে আবেদনপত্রে উনার নাম উল্লেখ করতে হয়। অতঃপর মুবারক অনুমতি হলে আয়োজকরা পোস্টার, হ্যান্ডবিল, ব্যানার ছাপিয়ে মাহফিলের আয়োজন করেন। সুমহান দরবার শরীফে কোনো বিশেষ অনুষ্ঠান থাকলে সে সময় বাইরে কোনো মাহফিল বা আনজুমান অনুষ্ঠান করাও নিষেধ; তবে বিশেষ মুবারক অনুমতি সাপেক্ষে যেকোনো সময়ই আয়োজন করা যেতে পারে।
এযাবৎ উলামা আনজুমানের সদস্যগণ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে মাহফিল করে, বাহাসে অংশগ্রহণ করে দলীলসমৃদ্ধ জবাব দিয়ে ওহাবী-খারিজিদের ভ্রান্ত মতবাদ ও বিভ্রান্তির সমুচিত জবাব দিয়ে হক্বকে প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
ছবি তোলা শক্ত হারাম, রয়েছে কঠিন শাস্তি
২৭ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
তরজমাতুল মুজাদ্দিদিল আ’যম আলাইহিস সালাম
২৭ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
২৭ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
২৭ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
কাফির-মুশরিক, বেদ্বীন-বদদ্বীনদের সঙ্গে কখনই মুহব্বত করা ও সাদৃশ্য রাখা যাবে না
২৬ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
অন্যায়কে ঘৃণা না করলে ঈমানদার থাকা যায় না
২৬ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
তা’বীয ও ঝাড় ফুঁক সম্পর্কে শরয়ী ফায়সালা (৪)
২৬ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
২৬ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
২৬ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
২৬ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
২৬ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
২৬ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার)