মহিলা ছাহাবী উনাদের জীবনী মুবারক:
হযরত উম্মে সুলাইম বিনতু মিলহান বিন খালিদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা (১)
, ০৮ রমাদ্বান শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ২০ আশির, ১৩৯১ শামসী সন , ১৯ মার্চ, ২০২৪ খ্রি:, ০৫ চৈত্র, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) মহিলাদের পাতা
হযরত উম্মে সুলাইম বিনতু মিলহান রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা তিনি মদীনা শরীফের বনু নাজ্জার গোত্রের মহিলা ছাহাবী। একই গোত্রের মালিক ইবনে নদ্বর নামে এক ব্যক্তি ছিলো উনার আহাল বা স্বামী। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিখ্যাত খাদিম হযরত আনাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু ছিলেন উনারই পুত্র। হযরত উম্মে সুলাইম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা তিনি অন্যান্য আনছারী ছাহাবী উনাদের সঙ্গে প্রথম দিকেই ইসলাম গ্রহণ করেন। এজন্য উনার আহাল বা স্বামী রাগান্বিত হয়ে শামে (সিরিয়া) চলে যায় এবং সেখানে কুফরী অবস্থায় মৃত্যুবরণ করে। উনার আহাল বা স্বামী চলে যাওয়ার পর নাজ্জার গোত্রীয় হযরত আবু তালহা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি উনাকে বিবাহ করার প্রস্তাব দেন। কিন্তু তিনি তখনও ইসলাম গ্রহণ না করায় হযরত উম্মে সুলাইম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা সম্মতি দেননি। হযরত উম্মে সুলাইম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা তিনি উনাকে ইসলাম গ্রহণের শর্ত আরোপ করেন ও বলেন, আপনি যে উপাস্যের পূজা বা উপাসনা করেন উহা তো মৃত্তিকা হতে উৎপন্ন কাষ্ঠ দ্বারা নির্মিত। সুতরাং বৃক্ষের পূজা করতে আপনার কি লজ্জা করে না?
উনাদের বিবাহের ঘটনা এক বর্ণনা মতে এইরূপ বর্ণিত আছে: হযরত উম্মে সুলাইম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা উনার বিধবা হওয়ার পর, হযরত আবু তালহা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি উনার নিকট বিবাহের প্রস্তাব দেন। তখনও হযরত আবু তালহা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু ইসলাম গ্রহণ করেননি। হযরত উম্মে সুলাইম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা বললেন, আপনার মত লোকের বিবাহের প্রস্তাব অস্বীকার করা যায় না। কিন্তু আপনি হলেন কাফির, আর আমি একজন মুসলিম রমণী। আপনার সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়া আমার জন্য হালাল নয়। যদি আপনি ইসলাম গ্রহণ করেন, তবে তাই আমার মোহরানা হিসাবে গণ্য হবে (অর্থাৎ মোহরানার জন্য আর কোন টাকা পয়সা দিতে হবে না)। আমি আপনার নিকট ইহা ব্যতীত আর কিছুই চাইব না। অতঃপর হযরত আবু তালহা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি দ্বীন ইসলাম গ্রহণ করলেন এবং উনাদের বিবাহ সংঘটিত হয়ে গেল। বিবাহে অতিরিক্ত কোন মোহরানা ধার্য হলো না। ঘটনার বর্ণনাকারী বলেন, অতঃপর আমি হযরত উম্মে সুলাইম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা উনার মোহরানা অপেক্ষা মর্যাদাকর কোন মোহরানার নাম কখনও শুনিনি।
-আল্লামা সাঈদ আহমদ গজনভী।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
সর্বক্ষেত্রে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে প্রাধান্য দিতে হবে
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সৃষ্টির শুরুতেই মহান আল্লাহ পাক উনার কুদরত মুবারক উনার মধ্যে ছিলেন, আছেন এবং অনন্তকাল থাকবেন
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
মহান আল্লাহ পাক তিনি তওবাকারীকে পছন্দ করেন (৩)
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ক্বলবী যিকির জারী না থাকলে শয়তানের ওয়াসওয়াসা থেকে বেঁচে থাকা সম্ভব নয়
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
দোযখে বেপর্দা হওয়া নারীদের শাস্তির বর্ণনা (১০)
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
জামায়াতের জন্য মহিলাদের মসজিদে ও ঈদগাহে যাওয়া হারাম ও কুফরী (৪)
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সম্বোধন মুবারক করার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ আদব-শরাফত বজায় রাখতে হবে
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
পিতা-মাতার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব-কর্তব্য
১১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
তিন ধরনের লোক বেহেশতে প্রবেশ করবে না
১১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সর্বাবস্থায় আজল বা তাড়াহুড়া না করে সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত
১০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
যে ৪ শ্রেণীর লোকদের জন্য ক্বিয়ামতের দিন সুপারিশ ওয়াজিব হবে
১০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
হাশরের ময়দানে যে ৫টি প্রশ্নের উত্তর প্রত্যেককেই দিতে হবে
০৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার)












