সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার মহামূল্যবান নছীহত মুবারক:
হাক্বীক্বী মু’মিনের পরিচয় (৫)
, ২০ রবিউছ ছানী শরীফ, ১৪৪৭ হিজরী সন, ১৪ খমীছ, ১৩৯৩ শামসী সন , ১৩ অক্টোবর, ২০২৫ খ্রি:, ২৯ আশ্বিন, ১৪৩২ ফসলী সন, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) মহিলাদের পাতা
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, নামাজ শরীয়ত উনার অন্যতম এক ফরজ আমল, যা ঈমান ও কুফরীর মাঝে পার্থক্যকারী। নামাজ মানুষকে ফাহেশা, হারাম, নাযায়েজ ও নাফরমানীমূলক কাজ থেকে বিরত রাখে। অর্থাৎ মু’মিন ব্যক্তি তার নামাজের দ্বারা এই সমস্ত গুনাহের কাজ থেকে বিরত থাকবেন।
কিন্তু এখন দেখা যায়, নামাজ পড়া হয় কিন্তু গুনাহের কাজ থেকে বাঁচা সম্ভব হয়না। মূলত, হাক্বীক্বীভাবে নামাজ আদায় করা হয়নি, এই নামাজ হলো প্রাণহীন, মূল্যহীন। যেমন মানুষের দেহে প্রাণ না থাকলে ক্বদর বা মূল্য থাকেনা। তদ্রুপ প্রাণহীন নামাজ মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট কবুল হয়না এবং তা দ্বারা গুনাহের কাজ থেকে বেঁচে থাকা সম্ভব হয়না।
তাই জানা আবশ্যক, কার নামাজে প্রাণ রয়েছে। এ সম্পর্কে সাইয়্যিদুল মুরসালীন,ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন:
مَثَلُ الَّذِي يَذْكُرُ رَبَّهُ وَالَّذِي لا يَذْكُرُ رَبَّهُ مَثَلُ الحَيِّ وَالمَيِّتِ
অর্থ: “যারা মহান আল্লাহ পাক উনার যিকির করেন, আর যারা যিকির করেনা তাদের উদাহরণ হচ্ছে জীবিত এবং মৃত ব্যক্তির মত। (বুখারী শরীফ, মুসলিম শরীফ)
অর্থাৎ যে ব্যক্তির অন্তরে দায়েমীভাবে মহান আল্লাহ পাক উনার যিকির রয়েছে, উনার নামাজে প্রাণ রয়েছে। আর যে ব্যক্তির অন্তরে মহান আল্লাহ পাক উনার যিকির নেই, সেই ব্যক্তির নামাজ প্রাণহীন, মূল্যহীন। আর যে নামাজের দ্বারা দুনিয়াতে গুনাহ থেকে বেঁচে থাকা সম্ভব হয়না, সেই নামাজের দ্বারা পরকালেও নাজাত লাভ করা সম্ভব হবে না। যার কারণে, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আমাদেরকে দায়েমী যিকির মুবারক শিক্ষা দিয়েছেন।
এ প্রসঙ্গে মহাসম্মানিত হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে :
عَنْ حَضْرَتْ اُمِّ الْمُؤْمِنِيْنَ الثَّالِثَةِ الصِّدِّيْقَهِ عَلَيْهاَ السَّلاَمُ قَالَتْ: "كَانَ النَّبِيُّ صَلّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَذْكُرُ اللهَ عَلَى كُلِّ أَحْيَانِهِ". (رواه مسلم)
অর্থ: “হযরত উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছা আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সর্বাবস্থায় মহান আল্লাহ পাক উনার যিকির করতেন। ” সুবহানাল্লাহ!
তাই, হাক্বীক্বীভাবে নামাজ কায়েম করে মু’মিনে কামিল হতে হলে সর্বদা মহান আল্লাহ পাক উনার যিকিরে মশগুল থাকতে হবে।
উল্লেখ্য, যাদের মাঝে এই সমস্ত খুছুছিয়ত মুবারক পরিলক্ষিত হবে, তিনিই সদিক্বীন তথা প্রকৃত মু’মিন। উনারাই মহান আল্লাহ পাক উনার তরফ থেকে ক্ষমা, মর্যাদা এবং সম্মানজনক রিযিক লাভ করেন। (সুবহানাল্লাহ)
কাজেই, আমাদের প্রত্যেকের উচিত মৃত্যুর পূর্বেই এই সমস্ত খুছুছিয়ত মুবারক (বৈশিষ্ট) অর্জন করে হাক্বীক্বী মু’মিন হওয়া।
(মুহম্মদিয়া জামিয়া শরীফ বালিকা শাখা)
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
হুব্বে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
১০ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন-
১০ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
মহিলাদের ইজ্জত-সম্মান, পর্দা রক্ষা করার জন্য সুখবর!
০৯ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ক্বলবী যিকির জারী না থাকলে শয়তানের ওয়াসওয়াসা থেকে বেঁচে থাকা সম্ভব নয়
০৯ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
দোযখে বেপর্দা হওয়া নারীদের শাস্তির বর্ণনা (৫)
০৮ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ঘরে প্রবেশ করা সংক্রান্ত জরুরী মাসয়ালা (৫)
০৮ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ঘরে প্রবেশ করা সংক্রান্ত জরুরী মাসয়ালা (৫)
০৮ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
মহিলাদের জন্য মসজিদে গিয়ে জামায়াতে নামায আদায় করা জায়েয নেই
০৮ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
মেয়েদের জন্য সবচাইতে উত্তম আমল হচ্ছে- ‘কোন পুরুষকে সে দেখবে না, কোন পুরুষও তাকে দেখবে না’
০৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
মহাসম্মানিত মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের বেমেছাল দানশীলতা মুবারক (৯)
০৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
পিতা-মাতার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব-কর্তব্য
০৬ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
তিন ধরনের লোক বেহেশতে প্রবেশ করবে না
০৬ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার)












