হামাস- বীরত্বের, বিপুল অস্ত্রভান্ডারের, অদ্ভূত রণকৌশলের নাম হামাস- নিপীড়িত মুসলমানের, মজলুম মুসলমানের, মুজাহিদ মুসলমানের আলোকবর্তিকা হামাসের কাছে গোটা মুসলিম বিশ্ব ঋণী এ ঋণ শোধে মুসলিম শাসকদের অগ্রণী হতে হবে ইনশাআল্লাহ
, ২৭ যিলক্বদ শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ০৭ আউওয়াল, ১৩৯২ শামসী সন , ০৫ জুন, ২০২৪ খ্রি:, ২২ জৈষ্ঠ্য, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) মন্তব্য কলাম
বিবিসি নিউজের বিশ্লেষণে দেখা গিয়েছে, ৭ই অক্টোবর দখলদার সন্ত্রাসী কাপুরুষ ইসরায়েলের ওপর প্রাণঘাতী হামলায় হামাসের সঙ্গে যোগ দিয়েছিল পাঁচটি স্বাধীনতাকামী ফিলিস্তিনি মুজাহিদ বাহিনী। ২০২০ সাল থেকে সামরিক মহড়ায় একসঙ্গে প্রশিক্ষণ নেওয়ার পরই তারা এই হামলা চালায়।
এই গোষ্ঠীগুলি গাজায় যে যৌথ মহড়া চালিয়েছিল তার সঙ্গে দখলদার সন্ত্রাসী কাপুরুষ ইসরায়েলের উপর প্রাণঘাতী হামলার সময় ব্যবহৃত কৌশলের সাদৃশ্য রয়েছে।
তারা এসব মহড়া চালিয়েছিল এমন স্থানে যেখান থেকে দখলদার সন্ত্রাসী কাপুরুষ ইসরায়েলের সঙ্গে ‘সীমানার’ দূরত্ব এক কিলোমিটারেরও কম এবং এই ভিডিও তারা সমাজমাধ্যমেও পোস্ট করে।
এই মহড়ার সময় জিম্মিদের কীভাবে নিজেদের হেফাজতে নেওয়া হবে, কম্পাউন্ডে হামলা চালানোর কৌশল এবং দখলদার সন্ত্রাসী কাপুরুষ ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভেঙে ফেলা-সহ একাধিক বিষয় তারা অনুশীলন করে। তাদের শেষ মহড়াটি হয়েছিল ৭ই অক্টোবরের হামলার মাত্র ২৫ দিন আগে।
বিবিসি আরবি এবং বিবিসি ভেরিফাই নানা প্রমাণ সংগ্রহ করেছে যা থেকে দেখা যায়, হামাস কীভাবে গাজার বিভিন্ন গোষ্ঠীকে একত্রিত করেছিল এবং শেষ পর্যন্ত দখলদার সন্ত্রাসী কাপুরুষ ইসরায়েলের উপর হামলা চালিয়েছিল, যা পরবর্তী সময়ে যুদ্ধের আকার নেয়।
হামাসের প্রধান নেতা ইসমাইল হানিয়েহ ২০২০ সালের ২৯শে ডিসেম্বর চারটি মহড়ার মধ্যে প্রথমটিকে (যার কোডনেম ছিল স্ট্রং পিলার) গাজার বিভিন্ন সশস্ত্র গোষ্ঠীর মধ্যে "শক্তিশালী বার্তা এবং ঐক্যের চিহ্ন" হিসাবে ঘোষণা করেছিলেন।
দখলদার সন্ত্রাসী কাপুরুষ ইসরায়েলে আক্রমণ করার জন্য হামাস ও অন্যান্য জিহাদি গোষ্ঠীর কাছে যথেষ্ট অস্ত্র রয়েছে। এছাড়া তারা হামলা করার জন্য বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে থাকে। এ সহিংসতার মধ্যে দখলদার সন্ত্রাসী কাপুরুষ ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী একটি সশস্ত্র ড্রোনকে গুলি করে নামিয়েছে। ড্রোনটি গাজা থেকে দখলদার সন্ত্রাসী কাপুরুষ ইসরায়েলে প্রবেশের চেষ্টা করেছিল। সুতরাং হামাসের হাতে সশস্ত্র ড্রোন থাকার সম্ভবনাও উড়িয়ে দেয়া যায় না।
দখলদার সন্ত্রাসী কাপুরুষ ইসরায়েলের একজন সামরিক মুখপাত্র বলেছে, একটি অভিজাত হামাস ইউনিট দক্ষিণাঞ্চল থেকে একটি সুড়ঙ্গের মাধ্যমে দখলদার সন্ত্রাসী কাপুরুষ ইসরায়েলে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করেছিল। দখলদার সন্ত্রাসী কাপুরুষ ইসরায়েলে সেনাবাহিনী আগাম খবর পাওয়ায় সুড়ঙ্গটি ধ্বংস করে দিতে সক্ষম হয়।
এগুলোর বাইরে ফিলিস্তিনিদের সবচেয়ে বড় শক্তি হলো তাদের ক্ষেপণাস্ত্র। স্থল থেকে স্থলে আঘাত হানতে সক্ষম বিভিন্ন ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে হামাসের। সম্প্রতি ব্যবহার করা কর্নেট গাউডেড অ্যান্টি-ট্যাংক ক্ষেপণাস্ত্রগুলো তারা মিশরের সিনাই উপদ্বীপ থেকে টানেলের মাধ্যমে নিয়ে আসা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে বেশিরভাগ অস্ত্রই গাজা উপত্যকার অভ্যন্তরে হামাস ও অন্যান্য জিহাদি গোষ্ঠীর অস্ত্রাগারে তৈরি হয়।
দখলদার সন্ত্রাসী কাপুরুষ ইসরায়েলি এবং অন্যান্য বিশেষজ্ঞরা বিশ^াস করেন, ইরান এ শিল্প গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। দখলদার সন্ত্রাসী কাপুরুষ ইসরায়েলের বিমান হামলার অন্যতম লক্ষ্যও ছিল এ অস্ত্র উৎপাদন ও সংরক্ষণের স্থানগুলো।
হামসও অস্ত্রগুলো খুব গোপনীয়তার সঙ্গে উৎপাদন ও সংরক্ষণ করে। এজন্য তাদের কাছে আসলে কি পরিমাণ ক্ষেপণাস্ত্র আছে- তা অনুমান করা অসম্ভব। তবে সহজেই অনুমান করা যায় তাদের অস্ত্রাগারে বিভিন্ন ধরনের হাজার হাজার অস্ত্র রয়েছে। এ নিয়ে দখলদার সন্ত্রাসী কাপুরুষ ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর নিজস্ব অনুমান থাকলেও, তারা সেটি প্রকাশ করতে রাজি নয়। তাদের সব মুখপাত্রই বলবেন যে, তারা বিশ^াস করেন হামাসের দীর্ঘ সময়ে ধরে এ ধরনের হামলা বজায় রাখার সামর্থ আছে।
ফিলিস্তিনিরা বিভিন্ন ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করছে। তবে এগুলোর মধ্যে কোনটিই বেসিক ডিজাইনের ক্ষেত্রে বিশেষভাবে নতুন বলে মনে হয় না। তবে তারা সেগুলোর ব্যপ্তি বৃদ্ধি এবং আরো বেশি বিস্ফোরক বহনযোগ্য করে তুলতে চেষ্টা করছে।
কাসাম (১০ কিলোমিটার) ও কুদস ১০১ (১৬ কিলোমিটার) এর মতো স্বল্প পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর বিশাল মজুদ রয়েছে হামাসের। এছাড়া রয়েছে গ্রেড সিস্টেম (৫৫ কিলোমিটার) এবং সেজিলের (৫৫ কিলোমিটার) মতো ক্ষেপণাস্ত্রও। হামাসের অস্ত্র ভা-ারে থাকা বেশিরভাগই এই স্বল্প পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র। মর্টার ফায়ারের মাধ্যমে এগুলো শক্তিশালী করা যায়।
এগুলোর পাশাপাশি হামাস এম-৫৫ (৭৫ কিলোমিটার), ফজর (১০০ কিলোমিটার), আর-১৬০ (১২০ কিলোমিটার) এর মতো বিভিন্ন ধরনের দূর পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থাগুলোও পরিচালনা করে। কিছু কিছু এম-৩০২ এস ক্ষেপণাস্ত্রের ব্যপ্তি ২০০ কিলোমিটার পর্যন্ত। সুতরাং এটা স্পষ্ট যে হামাসের কাছে এমন অস্ত্র রয়েছে, যা জেরুজালেম এবং তেল আবিব উভয়কেই লক্ষ্যবস্তু বানাতে পারে। এছাড়া হামাসের এ ক্ষেপণাস্ত্রের কারণে পুরো উপকূলজুড়ে দখলদার সন্ত্রাসী কাপুরুষ ইসরায়েলের সর্বোচ্চ ঘনত্বপূর্ণ জনসংখ্যা এবং সমালোচনামূলক অবকাঠামোকে হুমকির মুখে ফেলেছে।
দখলদার সন্ত্রাসী কাপুরুষ ইসরায়েলি সেনাবহিনীর দাবি, গত তিন দিনে দখলদার সন্ত্রাসী কাপুরুষ ইসরায়েলে হাজারেরও বেশি রকেট ছোড়া হয়েছে এবং এর মধ্যে ত্রুটিপূর্ণ হওয়ার কারণে ২০০টি গাজা উপত্যকাতেই পড়েছে।
গাজা যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর প্রায় ২৪০ দিন অতিবাহিত হয়েছে। এই সময়ে ৩৬ হাজার ফিলিস্তিনি শহীদ এবং ৮২ হাজার ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন। তবে নৃশংসতম হত্যাযজ্ঞের পরও ইহুদিবাদী ইসরাইলের কোনো উদ্দেশ্যই পূরণ হয়নি বরং প্রতিরোধ ফ্রন্টের শক্তি ও দৃঢ়তার বিষয়টি বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে। ফিলিস্তিন ভূখ-ের বাইরেও প্রতিরোধ ফ্রন্ট নিজের শক্তির প্রমাণ দিচ্ছে এবং বিশ্ববাসীর কাছে নির্যাতন-নিপীড়নের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর মডেল উপস্থাপন করছে।
এ ক্ষেত্রে ফিলিস্তিনের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের সাহসিকতা মজলুমদেরকে ভবিষ্যতের বিষয়ে আশাবাদী করে তুলেছে এবং তারা বুঝতে পেরেছে প্রতিরোধের মাধ্যমে অনেক বড় শক্তির সঙ্গেও লড়াই চালিয়ে যাওয়া সম্ভব।
ইরানের আয়াতুল্লাহ খামেনেয়ী সম্প্রতি মার্কিন ছাত্র সমাজের উদ্দেশ্যে এক চিঠিতে বলেছেন, বিশ্বব্যাপী অনেক বিবেক জাগ্রত হয়েছে এবং সত্য প্রকাশিত হচ্ছে। প্রতিরোধ ফ্রন্ট শক্তিশালী হয়েছে এবং আরও শক্তিশালী হবে। ইতিহাস পাতা পাল্টাচ্ছে। '
লেবাননের হিজবুল্লাহর মহাসচিব সাইয়্যেদ হাসান নাসরাল্লাহও সাম্প্রতিক এক বিবৃতিতে বলেছেন, প্রতিরোধ ফ্রন্ট অতীতের তুলনায় অনেক ব্যাপক এবং শক্তিশালী হয়ে উঠেছে। ইহুদিবাদী ইসরাইলের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ফ্রন্ট বিজয়ী হবে বলে তিনি জানান।
জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে দখলদার সন্ত্রাসী কাপুরুষ ইসরাইলের বিরুদ্ধে প্রস্তাবগুলোতে একের পর এক ভেটো দিয়ে আগ্রাসনে সহযোগিতা করছে আমেরিকা। তবে আমেরিকা এবং তার মিত্র ইউরোপীয় দেশগুলোতে ফিলিস্তিনিদের পক্ষে মানুষ সোচ্চার হয়েছে।
বিশ্বজুড়ে মানবিক চাপের কারণে বিভিন্ন দেশ ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের বৈধতাকে স্বীকৃতি দিতে শুরু করেছে। ইসরাইলের সব বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছে বেলজিয়ামের গেন্ট ইউনিভার্সিটি। জেরুজালেমের মানবাধিকার নীতির সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সম্পৃক্ততার কারণে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বেলজিয়ামের উচ্চশিক্ষার প্রতিষ্ঠানটি। গত শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়টির পক্ষ থেকে এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে।
ফিলিস্তিনে ইসরাইলের হামলার প্রতিবাদে মে মাস থেকে গেন্ট ইউনিভার্সিটিতে জোরালো বিক্ষোভ চলছে। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের কিছু অংশ বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ করে আসছেন। সেখান থেকে দখলদার সন্ত্রাসী কাপুরুষ ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি ওঠে। ইউরোপে বিশ্ববিদ্যালয়টি ইউগেন্ট নামে পরিচিত। বিশ্ববিদ্যালয়টির একটি তদন্ত কমিটি ইসরাইলি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও ইসরায়েলি সরকার, সামরিক বা নিরাপত্তা পরিষেবার মধ্যে সংযোগ খুঁজে পেয়েছে। এ ব্যাপারে এক বিবৃতিতে উদ্বেগও প্রকাশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়। আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) এক রায়ের উল্লেখ করে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক মাসগুলোয় গাজার মানবিক পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়টি এটি আমলে নিয়েছে। ইউগেন্ট দুই সপ্তাহ আগে তিনটি ইসরাইলি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছিল। ইসরাইলি ১৮টি একাডেমিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়টির অংশীদারত্ব ছিল।
আমেরিকা বছরের পর বছর ধরে গোটা বিশ্বে দখলদার ইসরাইলের পক্ষে জনমত তৈরিতে কাজ করেছে। একইসঙ্গে তারা ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ আন্দোলনের প্রতি ক্ষোভ ছড়াতে কাজ করেছে। ইরানের বিরুদ্ধেও ব্যাপক প্রচার চালিয়েছে।
ফিলিস্তিনের ইসলামি প্রতিরোধ সংস্থা হামাস নামক ফিলিস্তিনি ও আধিপত্য বিরোধী আন্দোলন গত কয়েক দশকে মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলসহ গোটা বিশ্বে প্রভাবশালী ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে। খিলাফত আলা মিনহাজুল নবুওয়া থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে সংগঠনটি ব্যাপক শক্তি অর্জন করেছে এবং বিশ্বকে অবাক করে দিয়েছে। ইরাক, সিরিয়া, লেবানন, ফিলিস্তিন এবং ইয়েমেনের মতো দেশে সাম্রাজ্যবাদী ব্যবস্থার মোকাবেলায় প্রতিরোধ ফ্রন্ট সফল হয়েছে। প্রতিরোধ সংগ্রামের সফলতা গোটা বিশ্বের নিপীড়িত মানুষের মনে আশার সঞ্চার করেছে। জুলুম-নিপীড়নের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের মাধ্যমে শান্তি প্রতিষ্ঠা প্রত্যেক মানুষের ধর্মীয় ও নৈতিক দায়িত্ব। পবিত্র ইসলাম ধর্মও মানুষকে জুলুম ও অন্যায়ের কাছে মাথা নত না করার শিক্ষা দিয়েছে। আর এই শিক্ষাকে হৃদয়ে ধারণ করেই সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে হামাসের সংগ্রামীরা। । আজ তারা দখলবাজি, হত্যা-নির্যাতন ও আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধের এক উজ্জ্বল উপমা।
সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে বিশ্বের বিভিন্ন জাতির মধ্যে সচেতনতা এবং ঐক্য সৃষ্টিতে হামাসের প্রতিরোধ সংগ্রামের সাফল্য ব্যাপক ভূমিকা রেখেছে। হামাসের সাহসিকতা আধিপত্যকামীদের বুকে কাঁপন সৃষ্টি করেছে এবং তাদের সব হিসাব-নিকাশ পাল্টে দিয়েছে। এর ফলে নয়া বিশ্ব ব্যবস্থাও তরান্বিত হবে।
-আল্লামা মুহম্মদ ওয়ালীউর রহমান।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩ লাখ ৬৮ হাজার ৩৫২ কোটি টাকা ‘আইএমএফের চাপে’ নতুন করের বোঝা বাড়ছে ৫৫ হাজার কোটি টাকা আইএমএফের শর্ত মানতে গিয়ে সরকারকে জ্বালানি, সার, বিদ্যুৎ এবং সামাজিক খাতে ভর্তুকি কমাতে হয়। এতে সমাজের নিচের স্তরের মানুষের ওপর চাপ বাড়ে।
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সম্মানিত দ্বীন ইসলামে কী প্রকৃতির মুহব্বত ও ঋতু প্রিয়তার কথা নেই? নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কাছে শীতকাল যে কত প্রিয় তা অনেকেরই অজানা। শীতে আছে গণীমত (পর্ব -২)
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সম্মানিত দ্বীন ইসলামে কী প্রকৃতির মুহব্বত ও ঋতু প্রিয়তার কথা নেই? নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কাছে শীতকাল যে কত প্রিয় তা অনেকেরই অজানা। শীতে আছে গণীমত (পর্ব -১)
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সন্ত্রাসবাদ নয়; জিহাদী যোগ্যতা অর্জন করা পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ অনুযায়ী ফরয। ৯৮ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত দেশে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় সব নাগরিকের জন্য সামরিক প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক করতে হবে। উন্নত প্রশিক্ষন, যুদ্ধকৌশল, সামরিক সক্ষমতা এবং আন্তর্জাতিক র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এখন সাফল্যের শীর্ষে। সরকারের উচিত- দেশের মর্যাদা বুলন্দ ও দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ত্বকে সমুন্নত রাখতে সেনাবাহিনীর প্রতি সকল প্রকার পৃষ্ঠপোষকতা নিশ্চিত করা।
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম এর তথ্যানুযায়ী বেনিয়া বৃটিশগুলো মুসলিম ভারত থেকে লুট করেছে ১২ হাজার লক্ষ কোটি টাকা প্রকৃতপক্ষে তারা লুট করেছে লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
রামপাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র এখনও বন্ধ করলে যা লাভ হবে চালু রাখলে তার চেয়ে অনেক বেশী ক্ষতি হবে ৫৩টি পরিবেশবাদী সংগঠনের দাবী অবিলম্বে রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ করে সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্র করা হোক কিন্তু তাদের উপেক্ষা করে পরিবেশ উপদেষ্টা প্রমাণ করছে তার পরিবেশবাদী তৎপরতা অন্য পরিবেশবাদীদের সাথে সাংঘর্ষিক এবং তার পরিবেশবাদী প্রচারণা কার্যকলাপ আসলে দেশ ও দেশের মানুষের জন্য নয় বরং বিশেষ প্রভুর নির্দেশনায় (প্রথম পর্ব)
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
জুয়ার নেশায় বুদ হচ্ছে শিশু-কিশোররা-শিক্ষার্থীরা অধিকাংশ সাইটই পরিচালিত হয় দেশের বাইরে থেকে অনলাইনে জুয়ায় ছোট ছোট বাজির টাকা দিন শেষে একটি বড় অঙ্কের অর্থ হয়ে দেশ থেকে ডলারের মাধ্যমে পাচার হচ্ছে প্রতিদিন এসব খেলা স্বাভাবিক গেমের মতো হওয়ায় প্রকাশ্যে খেলা হলেও আশপাশের মানুষ তা বুঝতে পারেন না কেবলমাত্র ইসলামী মূল্যবোধের উজ্জীবনেই জুয়া বন্ধ সম্ভব ইনশাআল্লাহ
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
গার্মেন্টসের চেয়েও বড় অবস্থানে তথা বিশ্বের শীর্ষ অবস্থানে অধিষ্ঠান হতে পারে বাংলাদেশের জাহাজ নির্মাণ শিল্প। যথাযথ পৃষ্ঠপোষকতা করলে শুধু মাত্র এ খাত থেকেই বছরে ১১ লাখ কোটি টাকা অর্জন সম্ভব ইনশাআল্লাহ। যা বর্তমান বাজেটের প্রায় দেড়গুণ আর শুধু অনিয়ম এবং সরকারের অবহেলা, অসহযোগীতা দূর করলে বর্তমানেই সম্ভব প্রায় ২ লাখ কোটি টাকা অর্জন জাহাজ নির্মাণ শিল্পের সমৃদ্ধি সম্পর্কে সচেতন হওয়া এবং সরকারের গাফলতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা জনগণের জন্যও জরুরী। (২য় পর্ব)
০১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আ’যম সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার রোবে, দোয়ার বরকতে- কুদরতীভাবে কমে যাচ্ছে ডলারের আধিপত্য বাংলাদেশের রিজার্ভ ডলারে রাখা উচিৎ নয়- এতে লাভ আমেরিকার মুসলিম বিশ্বে অভিন্ন মুদ্রা ব্যবস্থা বিশেষত মূল্যহীন কাগজী মুদ্রা বাদ দিয়ে সুন্নতী দিনার-দিরহাম মুদ্রা চালু করা আবশ্যক ইনশাআল্লাহ (দ্বিতীয় পর্ব)
৩০ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
বিদেশি হাইব্রিড বীজের ফাঁদে দেশের কৃষি। হারিয়ে যাচ্ছে দেশীয় ফসলের জাত, ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে জীববৈচিত্র্য। ফুলে-ফেঁপে উঠছে বীজ কোম্পানিগুলো।
২৯ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
মুশরিক ভারতের প্রতি লা’নত ওদের জনসংখ্যা দিন দিন নিম্নমুখী পক্ষান্তরে ৯৮ ভাগ জনগোষ্ঠী মুসলমানের দেশ বাংলাদেশে খোদায়ী রহমত। (সুবহানাল্লাহ) বাংলাদেশে জনসংখ্যার এখন ৬৫ ভাগই কর্মক্ষম এবং জনসংখ্যার বৃদ্ধির হার উর্ধ্বগামী বাংলাদেশ ভোগ করছে ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ডের নিয়ামত। সুবহানাল্লাহ!
২৮ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
প্রসঙ্গ: মধ্যম আয়ের ফাঁদ এড়াতে সতর্কতা তথা মধ্যম আয়ের স্থবিরতা তাওয়াক্কুল আর তাকওয়া অবলম্বনে সব সমস্যা দূর হয়ে অচিরেই বাংলাদেশ হতে পারবে শীর্ষ সমৃদ্ধশালী দেশ ইনশাআল্লাহ
২৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার)












