হালাল হারামের কথা-১২
, ২৪ শাবান শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ০৭ আশির, ১৩৯১ শামসী সন , ০৬ মার্চ, ২০২৪ খ্রি:, ২২ ফাল্গুন, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
ভালো নিয়ত থাকলেই হারাম বিষয় হালাল হয়ে যায় না বরং হালাল ও হারাম পণ্য চিহ্নিত করার জন্য কিছু মূলনীতি জানা দরকার।
হালালের চিহ্ন থাকাই উক্ত বস্তু হালাল হবার নিদর্শন হতে পারে না। কারণ হালালের চিহ্ন দিয়ে হারাম পণ্যও বিক্রি করা হতে পারে। তা’ই উক্ত পণ্যটি কিভাবে তৈরী হয়েছে? কি দিয়ে তৈরী হয়েছে? সেটির উপর নির্ভরশীল উক্ত পণ্যটি হালাল ও হারাম হওয়া।
আর পণ্যের কোন নির্দিষ্ট সীমা পরিসীমা নেই তাই এর লিষ্ট প্রদান করা প্রায় অসম্ভব। তবে সময়মত বিভিন্ন উপাদানের সাথে আমরা পরিচয় করিয়ে দিব ইনশাআল্লাহ।
তাই কয়েকটি আমরা মূলনীতি উল্লেখ করছি-------
১-গোস্ত জাতীয় পণ্য হলে তা মুসলিমদের কাছে হালাল পণ্য কি না? তা দেখে নিতে হবে। অনেক সময় অনেক চিপস এবং সুপে চিকেন পাউডার দেয়া থাকে। চিকেনগুলো হালালভাবে যবেহ না হলে সেগুলো খাওয়া জায়িয হবে না এমনকি বিসমিল্লাহ শরীফ ও আল্লাহু আকবর রেকর্ড ছেড়ে মেশিনে যবেহ হলেও তা খাওয়া জায়িয নেই। কেউ কেউ মনে করেন সেগুলো বিসমিল্লাহ শরীফ বলে খেলেই হালাল হয়ে যাবে সেটি শুদ্ধ মত নয়।
২-অন্য পণ্যতে দেখতে হবে তাতে হারাম কোন বস্তু মিশ্রিত করা হয়েছে কি না? যদি মিশ্রিত করা হয়, তাহলে উক্ত হারাম পণ্যের মৌলিকত্ব বাকি আছে কি না? যদি বাকি থাকে, তাহলে উক্ত পণ্য ব্যবহার জায়েজ নয়। যেমন পাউডার ভ্যানিলিন ফ্লেভার তৈরি করতে এলকোহল (শরাব) লাগলেও পরে তার উপস্থিতি থাকে না। যদি হারামের মৌলিকত্ব বাকি না থাকে, তাহলে উক্ত পণ্য ব্যবহারে কোন সমস্যা নেই যেমন জিলাটিন। জিলাটিন প্রাণীর কোলাজেন থেকে তৈরি হলেও পরে সেখানে কোলাজেনের কোন অস্তিত্ব থাকে না। উদাহরণ হিসেবে বলা হয় লবণের খনিতে কোন প্রানী পরে মারা গেলে পরে সেটিও লবণে পরিণত হয় যেখানে কোন প্রাণীর অস্তিত্ব থাকে না তখন সে লবণ খাওয়া জায়িয হয়।
৩-পণ্যটি কোন বিধর্মীদের ধর্মীয় সংস্কৃতি প্রকাশক কি না? যদি ধর্মীয় সংস্কৃতি বা কোন ফাসিকের অনুসরণীয় পণ্য হয়, যেমন খাবারের ক্ষেত্রে হিন্দুদের প্রসাদ, পোশাকের ক্ষেত্রে ধুতি, টাই ইত্যাদি। উপরোক্ত মূলনীতির আলোকে কোন পণ্য হালাল আর কোন পণ্য হারাম তা নির্ণিত করে নিতে হবে। তবে কাফিরদের প্রস্তুতকৃত সকল খাবারই বর্জন করা উচিত।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
কাফির মুশরিকদের থেকে দূরে থাকতে এবং তাদেরকেও দূরে রাখার ব্যাপারে নির্দেশ মুবারক
২০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে- ফুটবল-ক্রিকেটসহ সর্বপ্রকার খেলাধুলা করা, সমর্থন করা হারাম ও নাজায়িয (২)
২০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
যেখানে প্রাণীর ছবি থাকে, সেখানে রহমতের ফেরেশতা প্রবেশ করেন না
২০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
২০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের সম্মানিত ৩টি স্তর
২০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
আসমাউর রিজাল, জারাহ ওয়াত তা’দীল, উছুলে হাদীছ শরীফ উনার অপব্যাখ্যা করে অসংখ্য ছহীহ হাদীছ শরীফ উনাকে জাল বলছে ওহাবী সালাফীরা (৩)
২০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
পর্দা করা ফরজ, বেপর্দা হওয়া কবীরা গুনাহ
১৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
১৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
হযরত আব্বাস ইবনে মিরদাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
যাকাত সম্পর্কিত আহকাম, মাসায়িল ও ফাযায়িল (৪)
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
প্রাণীর ছবি তোলা হারাম ও নাফরমানীমূলক কাজ
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার)












