পাঠক কলাম:
হাসপাতালে নারীর নিরাপত্তা এবং শরয়ী পর্দাভিত্তিক আল মুতমাইন্নাহ মা ও শিশু হাসপাতালের প্রয়োজনীয়তা
, ০২ মুহররমুল হারাম শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ১১ ছানী, ১৩৯২ শামসী সন , ০৯ জুলাই, ২০২৪ খ্রি:, ২৫ আষাঢ়, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) মহিলাদের পাতা
পাঠকদের বুঝার সুবিধার্থে সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত একটি সংবাদ নিয়ে প্রথমে বলে নেই।
রাজধানীতে ইউনাইটেড হাসপাতাল নামক এক অভিজাত হাসপাতালে এক নারী রোগীর শ্লীলতাহানীর খবর ফাঁস হয়েছে। অপারেশনের পর রোগীকে অজ্ঞান অবস্থায় পেয়ে অসৎ উদ্দেশ্যে হস্ত সঞ্চালন করে ওই হাসপাতালের সাইফুল নামের এক স্টাফ নার্স। স্পর্শকাতর জায়গায় অনুভূতি পেয়ে জ্ঞান ফিরে আসার পর রোগী দেখতে পান তার দেহে এক পুরুষের হাত, এক পর্যায়ে সে হাতটি সরানোর চেষ্টা করছে। কিন্তু অপারেশনের পর নিথর হয়ে পড়ে থাকা নারী নিজের ইজ্জত আব্রুর রক্ষা করতে সক্ষম হয়নি। মহিলার স্বামী দেখতে আসলে প্রায় ১৬ ঘণ্টা পর তাদের সাক্ষাৎ করতে দেয়া হয়। এসময়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রোগীকে মানসিক চাপ সৃষ্টি করে যেন তার স্বামীকে এসব কথা না জানায়।
ইউনাইটেড হাসপাতালের এই ঘটনা একটি উদাহরণ মাত্র। এরূপ ঘটনা অনেক হাসপাতালেই ঘটে চলেছে প্রতিনিয়ত; যা কোনো নারী লোক লজ্জার ভয়ে প্রকাশ করেনা কিংবা অপরাধী বা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের হুমকীতে অথবা নগদ টাকা পয়সার লোভে গোপন রাখে।
এসব সমস্যা সমাধানে প্রয়োজন পৃথকভাবে শুধু নারীদের জন্য হাসপাতাল। যেখানে রিসিপশনিস্ট থেকে শুরু করে রেডিওগ্রাফারসহ সকল স্টাফ, নার্স, ডাক্তার, সার্জন সকলেই হবে নারী। এতে একদিক থেকে যেমন নারী রোগীদের ইজ্জত আব্রু, সম্ভ্রম নিরাপত্তায় থাকবে, পাশাপাশি বহু অসহায় বেকার নারী নার্সদের নিরাপদ কর্মক্ষেত্র সৃষ্টি হবে। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে এতদিন বাংলাদেশে এরূপ সুবিধাসম্পন্ন হাসপাতাল পাওয়া স্বপ্নের মতো ছিল।
তবে নারীদের জন্য স্বস্তিদায়ক খবর হচ্ছে- বাংলাদেশে একটি মাত্র হাসপাতালই আছে যেখানে সম্পূর্ণ শরয়ী পর্দায় শুধুমাত্র নারী চিকিৎসক, নারী প্যাথলজিস্ট, নারী স্টাফ দ্বারা পরিচালিত হয়। সেই ব্যতিক্রমধর্মী ও সম্পূর্ণ শরয়ী পর্দায় চিকিৎসাদানকারী হাসপাতালটির নাম হচ্ছে আল মুতমাইন্নাহ মা ও শিশু হাসপাতাল; যা সম্ভ্রান্ত নারীদের জন্য অন্তরের প্রশান্তি। হাসপাতালটি ঢাকার রাজারবাগ পুলিশ লাইনের পাশেই প্রতিষ্ঠিত। আমি অত্র প্রতিষ্ঠানের সম্মানিত প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালকগণসহ সংশ্লিষ্ট সকলের দীর্ঘ নেক হায়াত কামনা করছি।
-তাসনীমে শিরিন।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
হুব্বে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সর্বক্ষেত্রে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে প্রাধান্য দিতে হবে
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সৃষ্টির শুরুতেই মহান আল্লাহ পাক উনার কুদরত মুবারক উনার মধ্যে ছিলেন, আছেন এবং অনন্তকাল থাকবেন
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
মহান আল্লাহ পাক তিনি তওবাকারীকে পছন্দ করেন (২)
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ক্বলবী যিকির জারী না থাকলে শয়তানের ওয়াসওয়াসা থেকে বেঁচে থাকা সম্ভব নয়
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
দোযখে বেপর্দা হওয়া নারীদের শাস্তির বর্ণনা (৯)
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
জামায়াতের জন্য মহিলাদের মসজিদে ও ঈদগাহে যাওয়া হারাম ও কুফরী (৩)
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সম্বোধন মুবারক করার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ আদব-শরাফত বজায় রাখতে হবে
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথেই হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের বিষয় উল্লেখ থাকা উচিত
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
মহাসম্মানিত সুন্নত মুবারক ছেড়ে দেয়া মানেই পথভ্রষ্ট হওয়া। নাউযুবিল্লাহ!
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
পিতা-মাতার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব-কর্তব্য
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
খছম বা ঝগড়া কু-স্বভাবটি পরিহার করা অপরিহার্য কর্তব্য
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)












