হিজড়াদের কেন করুণার পাত্র বানাবেন? (২)
, ২১ রমাদ্বান শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ০২ হাদী আশার, ১৩৯১ শামসী সন , ০১ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রি:, ১৮ চৈত্র, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) আপনাদের মতামত
![](https://www.al-ihsan.net/uploads/no-image.jpg)
অনেকেই ভাবে, হিজড়াদের তৃতীয় লিঙ্গ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে তাদের প্রতি সহানুভূতি প্রদর্শণ করতে হবে। এটা আসলে ভুল কথা। একজন অসুস্থ মানুষকে যদি আপনি চিকিৎসা দিয়ে সুস্থ করেন, তবে সেটাই তার প্রতি প্রকৃত সহানুভূতি প্রদর্শন। সেটা না করে আপনি তার অসুস্থতাকে যতই স্বীকৃতি দেন, সেটা আসলে প্রকৃত সহানুভূতি প্রদর্শন হয় না, বরং অসুস্থতাকে আড়াল করা হয়।
আসলে কিছু মানুষ আছে, যারা সমস্যা নিয়ে ব্যবসা করতে চায়, রাজনীতি করতে চায়। কিন্তু সমস্যার সমাধান চায় না। কারণ সমস্যার সমাধান হয়ে গেলে তো তারা সমস্যাকে পূজি করে ব্যবসা বা রাজনীতি করা যায় না। আজকে হিজড়াদের কথা বলে যারা বিদেশী এনজিওদের থেকে ফান্ডিং পায়, তারা তো কখনই চাইবে না হিজড়ারা সুস্থ হয়ে যাক। তারা যদি শিশু অবস্থায় সুস্থ হয়ে যায়, তবে তো সমাজে হিজড়া বলে কেউ থাকবে না, ফলে হিজড়াদের নিয়ে ব্যবসা বা রাজনীতি করারও সুযোগ থাকবে না।
এজন্য যখন মিডিয়ায় হিজড়াদের জন্য মায়াকান্না দেখি কিংবা পাঠ্যপুস্তকে সহানুভূতি তৈরীর করতে বলা হয়, তখন তা মেনে নিতে পারি না। কারণ সে কেন আমার সহানুভূতি চাইবে? কেন তাকে করুণার পাত্র করতে হবে? কেন তাকে পরনির্ভরশীল হতে হবে? কেন থাকে ভাতা নিতে হবে? তার তো অধিকার সু-চিকিৎসা পাওয়ার, সুস্থ স্বাভাবিক জীবন ধারণ করার। সে সুস্থ থাকলে তো তার সহানুভূতি দরকার হবে না, কারো করুণার পাত্র হয়েও থাকতে হবে না। তাকে ভাতা কিংবা কোটা সুবিধা দিয়ে পরনির্ভরশীল না করে সু-চিকিৎসা দিয়ে সুস্থ করে দিন, স্বনির্ভর করে দিন, এটাই তার জন্য বিশাল প্রাপ্তি।
এজন্য যদি হিজড়াদের জন্য প্রকৃত ভালোবাসা প্রদর্শন করতেই হয়, তবে সবার আগে দরকার তাদের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করা। তবে এ জন্য বাবা-মায়েদের মধ্যে ব্যাপক সচেতনতা তৈরী করতে হবে, যেন একটি শিশু জন্মের পর পর লিঙ্গে কোন সমস্যা দেখামাত্র তাকে নিয়ে চিকিৎসকের স্মরণাপন্ন হয়। এবং রাষ্ট্রেরও দায়িত্ব সেই শিশুটির সু-চিকিৎসা নিশ্চিত করা। এর মাধ্যমেই শিশুটি সুস্থ স্বাভাবিক জীবন ফিরে পাবে, সেটাই হবে তার মানবাধিকার। কিন্তু তাকে সুস্থ স্বাভাবিক জীবনের ব্যবস্থা না করে তৃতীয় লিঙ্গ হিসেবে হাজার বার স্বীকৃতি দিলে কখনই তার মানবাধিকার নিশ্চিত হবে না।
-এস হাবীব
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
আধুনিকায়নের নামে আমরা গিনিপিক হতে চাই না
২৭ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
অবশ্যই সে বিশ্বের সবচাইতে ঘৃণিতদের একজন!
২৬ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
মুসলমানতো সদা-সর্বদা দ্বীন ইসলাম পালন করবে
২৫ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
উত্তম চরিত্রের অনুপম আদর্শ-একজন বিধর্মীর দ্বীন ইসলাম গ্রহণ
১৭ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
মুহররমুল হারাম মাস উনার বরকতপূর্ণ আমল সম্পর্কে মুসলমানরা পুরোই বেখবর
১৬ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাবধান ! আপনার সন্তান কি শিখছে খবর রাখুন (২)
১৫ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সাবধান ! আপনার সন্তান কি শিখছে খবর রাখুন (১)
১৪ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
পিতা-মাতা উনাদের প্রতি সন্তানের কর্তব্য
১৩ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
কোনটা করলে মুসলমান থাকে আর কোনটা করলে কাফির হয়- তা কি আজ মুসলমান জানে?
১২ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সন্ত্রাসীদের বইকে ‘জিহাদী বই’ না বলে ‘সন্ত্রাসী বই’ বলতে হবে
১১ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
মুসলমানদের জন্য পবিত্র ঈমান রক্ষার জন্য ফান্ড তৈরি করা উচিত
১০ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
আপনার শিশুকে আজই চিনিয়ে দিন তার প্রধান শত্রু “কে”
০৯ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার)