হে মুসলিম! এই আয়াত শরীফগুলো দেখার পরও কি তোমার বোধোদয় হয় না?
, ২ রা জুমাদাল ঊখরা শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ০৭ সাবি’, ১৩৯২ শামসী সন , ০৫ ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রি:, ২০ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) আপনাদের মতামত
মহান আল্লাহ পাক তিনি মুসলমানদের শত্রু কারা সে বিষয়টি প্রায় সাড়ে চৌদ্দশত বছর পূর্বেই বলে দিয়েছেন। কিন্তু বর্তমান মুসলমানদের বিধর্মীপ্রীতি দেখলে মনে হয় পবিত্র কুরআন শরীফ উনার সেই আয়াত শরীফসমূহ রহিত হয়ে গেছে। নাঊযুবিল্লাহ! মহান আল্লাহ পাক তিনি স্পষ্টভাবে বলে দিয়েছেন-
হে ঈমানদারগণ! তোমরা মু’মিন ব্যতীত অন্য কাউকে অন্তরঙ্গ বন্ধু হিসেবে বা উপদেষ্টা হিসেবে গ্রহণ করো না, তারা তোমাদের ক্ষতি সাধনে কোন ক্রটি করে না। তারা চায় তোমরা কষ্টে থাক। তাদের মুখ থেকে ইতিপূর্বেই (তোমাদের প্রতি) চরম বিদ্বেষ ফুটে উঠেছে। আর তাদের অন্তরে এরচেয়েও জঘন্য বিদ্বেষ লুকিয়ে রয়েছে। তোমাদের জন্যে নিদর্শনসমূহ বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করে দিলাম, যদি তোমরা জ্ঞানী হও তাহলে বুঝতে পারবে।
দেখ! তোমরাতো ঐ জাতি যারা তাদেরকে (কাফিরদেরকে) মুহাব্বত করো, কিন্তু তারা তোমাদেরকে মোটেও মুহাব্বত করে না। তোমরা পূর্ববর্তী সমস্ত কিতাবেই বিশ্বাস কর, ঈমান রাখো। (কিন্তু তারা তোমাদের কিতাবে বিশ্বাস করে না। ) তারা যখন তোমাদের সাথে মিলিত হয়, তখন বলে, আমরা ঈমান এনেছি। পক্ষান্তরে তারা যখন নির্জনে যায়, তখন তোমাদের উপর আক্রোশ বশত নিজেদের আঙ্গুল কামড়াতে থাকে। (কেন তোমাদের ক্ষতি করা গেলো না) আমার হাবীব মাহবূব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি তাদেরকে বলে দিন, তোরা তোদের গোস্বায় মরে যা। নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি তোদের অন্তরে যা রয়েছে, সে সম্পর্কে সম্যক জ্ঞাত রয়েছেন।
তোমাদের যদি ভালো কোন কিছু হয়; তাহলে তারা কষ্ট পায়। আর তোমাদের যদি কোনো বিপদ হয় তাহলে তারা আনন্দিত হয়। কাজেই তোমরা যদি ধৈর্য্যধারণ কর এবং তাকওয়া অবলম্বন কর, তাহলে তাদের ষড়যন্ত্র তোমাদের কোনই ক্ষতি করতে পারবে না। নিশ্চয়ই তারা যা কিছু করে তা মহান আল্লাহ পাক তিনি বেষ্টন করে রেখেছেন। (পবিত্র সূরা আলে ইমরান শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ১১৮-১২০)
বর্তমান সময়ে মুসলমানরা যদি উপরোক্ত এই আয়াত শরীফগুলো সঠিকভাবে বুঝতো তাহলে তারা অচিরেই কামিয়াবী হাছিল করতে পারতো। কেননা এখানে স্পষ্ট করে মুসলমানদের প্রতি কাফিরদের মনোভাবটা প্রকাশ করে দেয়া হয়েছে। তাদেরকে কোনো অবস্থাতেই অন্তরঙ্গ বন্ধু হিসেবে, বুদ্ধিদাতা হিসেবে গ্রহণ করা যাবে না। আর শত্রু না চিনলে কখনো তাদেরকে প্রতিরোধ করা যায় না।
তাহলে আর কবে মুসলমানদের চেতনা জাগ্রত হবে?
-মুহম্মদ ইমামুল হুদা।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
খ্রিস্টানদের অনুষ্ঠানকে ‘বড়দিন’ বলা যাবে না
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
স্বাধীন আরাকান চাই!
২৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
দেশের সার্বভৌমত্বের সংকটে- দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীকে এগিয়ে আসতেই হবে
১৬ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
পৃথিবীর সবচাইতে কুখ্যাত কিছু নৌদস্যুর অপকীর্তি
২৫ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ফসলের একটি অংশ যায় রাজাকার ত্রিদিবের সন্তান দেবাশীষের ঘরে! -এদেশে উপজাতি চৌকিদারকে কেন ‘রাজা’ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হচ্ছে?
২৪ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
উলামায়ে ছু’দের বদ আমলই কি এর জন্য দায়ী নয়?
২২ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
বাংলাদেশে জিএম ফুড প্রচলনের সকল ষড়যন্ত্র বন্ধ করতে হবে
১৯ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
জান্নাতী এবং জাহান্নামী ব্যক্তিদের কিছু আলামত
১৮ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে ঔ পনিবেশিক-ব্রাক্ষণ্যবাদী আগ্রাসন ও ষড়যন্ত্র পরিভাষা, শব্দ ও বানান আগ্রাসন (১)
১৫ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
প্রকাশ্য অপ্রকাশ্য সমস্ত প্রকার অশ্লীলতাই হারাম
১২ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ইলিশ ধরায় বাংলাদেশ-ভারতের নিষেধাজ্ঞার সময়ে বড় পার্থক্য নিষেধাজ্ঞার নামে ভিনদেশী জেলেদের জামাই আদরে সাগর থেকে ইলিশ নিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দেয়া হয় আর দেশীয় জেলেদের জেলে পুরা হয় জেলেদের প্রতি এ নির্মম জুলুম আর কতকাল?
১১ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
আধুনিকতা নাম দিয়ে হারাম ‘ছবি’ তোলা থেকে বিরত থাকুন
২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার)












