বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিক্রিয়া:
২ হাজার টাকা বিদ্যুৎ বিল বাড়লে উৎপাদন খরচ বাড়বে ৫ হাজার
এডমিন, ১০ই রজবুল হারাম শরীফ, ১৪৪৪ হিজরী সন, ০৪ তাসি, ১৩৯০ শামসী সন, ২রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ খ্রি:, ১৯ই মাঘ, ১৪২৯ ফসলী সন, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) তাজা খবর

বৈশ্বিক সংকটে ইস্পাত খাতের কাঁচামালের দাম ২০ শতাংশ বেড়েছে। এমনিতেই কাঁচামালের দাম বাড়ার কারণে খরচ বেড়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারে কাঁচামালের সংকট আছে। ফলে কাঁচামালের প্রাপ্যতা কমে গেছে। ১৫-২০ দিন আগে প্রতি টন রডের দাম ছিল ৮৫ থেকে ৯০ হাজার টাকা। এখন তা ৯২ থেকে ৯৮ হাজার টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে। কাঁচামাল, গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির কারণে রডের দাম বেড়েছে। এখন যুক্ত হলো বিদ্যুতের বর্ধিত দাম। ফলে সরকারের উন্নয়ন প্রকল্পের খরচ বাড়বে, প্রকল্প বাস্তবায়ন বিঘিœত হবে।
বর্তমানে বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির ফলে কোনো মিলমালিকের (রড উৎপাদক) যদি বিদ্যুতের খরচ দুই হাজার টাকা বাড়ে, তাহলে উৎপাদন খরচ বাড়বে পাঁচ হাজার টাকা। গ্যাস-বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির ফলে শিগগিরই হয়তো প্রতি টন রডের দাম এক লাখ টাকা ছাড়িয়ে যাবে।
আমাদের নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ দরকার। নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ দেওয়ার যৌক্তিকতা দেখিয়ে দাম বাড়ানো হলো। কিন্তু আমরা কি নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ পাব? লুটপাট, সিস্টেম লসের কারণে ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। বিদ্যুতের দাম সমন্বয় করতে হবে যৌক্তিকভাবে। ব্যবসায়ীদের ওপর চাপিয়ে দিয়ে সমন্বয় করা ঠিক নয়। কোভিড ও আন্তর্জাতিক পরিস্থিতির কারণে এমনিতেই ইস্পাতশিল্পের উদ্যোক্তারা চাপের মুখে আছেন। এখন অযৌক্তিকভাবে গ্যাস-বিদ্যুতের দাম বাড়ালে ব্যবসায়ীদের ব্যবসা গুটিয়ে নেওয়া ছাড়া বিকল্প নেই।
খাতওয়ারী ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা না করেই বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়েছে। যাঁরা ব্যাংক পেয়েছেন, ভাড়ায় বিদ্যুৎকেন্দ্র পেয়েছেন, এমন ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা করে গ্যাস-বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়। ফলে ব্যবসায়ীদের স্বার্থের সুরক্ষা হয় না। সঠিক ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা করে গ্যাস-বিদ্যুতের দাম বাড়ানো উচিত।