৫ বিলিয়ন ডলার বরাদ্দ করার পরও এল.সি. বন্ধে তীব্র কয়লা সংকট। অথচ দেশে বিপুল পরিমাণ কয়লার মজুদ থাকার পরও রহস্যজনকভাবে তা উত্তোলনে আগ্রহ নেই সরকারের।
দেশীয় কয়লা দিয়েই দেশের বিদ্যুৎ উৎপাদনে বিপ্লব ঘটানো তথা বহির্বিশ্বে রফতানী সম্ভব।
, ০৪ রবীউছ ছানী শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ২১ খ্বমীছ ১৩৯১ শামসী সন , ২০ অক্টোবর, ২০২৩ খ্রি:, ০৪ কার্তিক, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) সম্পাদকীয়
দেশে চলমান নির্মাণাধীন ও উৎপাদন শুরুর অপেক্ষায় থাকা কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর জ্বালানি ব্যয় বিশ্লেষণ করতে গিয়ে দেখা যায়, ১ হাজার মেগাওয়াট একটি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য দৈনিক কয়লার প্রয়োজন পড়ে ১০ টন। সে হিসাবে সারা বছর বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো পূর্ণ সক্ষমতায় চালাতে কয়লার প্রয়োজন পড়বে ২৫ মিলিয়ন (আড়াই কোটি) টনের বেশি। প্রতি টন কয়লার দাম গড়ে ২০০ ডলার হিসাব করলে দুই বছর পর বার্ষিক কয়লা আমদানিতে প্রয়োজনীয় অর্থের পরিমাণ দাঁড়াবে ৫০০ কোটি ডলারের বেশিতে।
কক্সবাজারের মহেশখালীর মাতারবাড়ীতে ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। জাপান ইন্টারন্যাশনাল কোঅপারেশন এজেন্সি (জাইকা) সহায়তায় এ প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। গত বছরের নভেম্বর পর্যন্ত এ প্রকল্পের ভৌত অগ্রগতি ৬৯ দশমিক ২৬ শতাংশ। কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেডের (সিপিজিসিবিএল) তথ্যানুযায়ী, ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে বিদ্যুৎকেন্দ্রটির প্রথম ইউনিট এবং জুলাইয়ে দ্বিতীয় ইউনিট বাণিজ্যিক উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত রয়েছে। এরই মধ্যে এ প্রকল্পের জন্য মাতারবাড়ী-মদুনাঘাট সঞ্চালন লাইন প্রস্তুত করেছে পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ (পিজিসিবি)।
বাগেরহাটের রামপালে নির্মাণকাজ চলমান রয়েছে মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্লান্টের। বাংলাদেশ ও ভারতের সমান অংশীদারত্বে নির্মাণাধীন এ প্রকল্পের এরই মধ্যে পরীক্ষামূলক উৎপাদন শুরু হয়েছে গত বছরের ১৫ আগস্ট এবং ২৫ নভেম্বর দুই দফায় পরীক্ষামূলক উৎপাদনে যায় বিদ্যুৎকেন্দ্রটি। তবে কবে নাগাদ এ বিদ্যুৎকেন্দ্রের বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু হবে সে বিষয়ে স্পষ্ট করে জানা যায়নি বিপিডিবি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কাছ থেকে। পাওয়ার সেলের দেয়া তথ্যানুযায়ী, রামপাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের দুটি ইউনিটই আগামী জুনের মধ্যে বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন শুরু করতে পারবে।
পটুয়াখালীর পায়রায় ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট সক্ষমতার একটি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে উৎপাদন চালু হয়েছে। সেখানে এখন একই সক্ষমতার আরো দুটি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ হচ্ছে। এর মধ্যে একটি নির্মাণ করছে বিসিপিসিএল। আরেকটি করছে রুরাল পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড (আরপিসিএল) ও চীনা প্রতিষ্ঠান নরিনকো।
বেসরকারি একটি কোম্পানি চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে নির্মাণ করছে ১ হাজার ২২৪ মেগাওয়াট সক্ষমতার একটি বিদ্যুৎকেন্দ্র। এছাড়া বরিশালে ৩০৭ মেগাওয়াট ও ঢাকায় ৬৩৫ মেগাওয়াট সক্ষমতার আরো দুটি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ হচ্ছে। এর সবক’টিই আগামী দুই বছরের মধ্যে উৎপাদনে আসতে পারে।
কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো উৎপাদনে এলে বিদ্যুতের সংকট কমে যাবে। একই সঙ্গে গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদনের ওপরও চাপ কমে আসবে।
তবে এক্ষেত্রে সরকারের আমদানী নীতি নির্ভরতার কারণে বড় চ্যালেঞ্জ কয়লা আমদানির জোগান নিশ্চিত করা।
ডলার সংকটের কারণে আমদানীকৃত কয়লার মূল্য পরিশোধ করতে গিয়ে জটিলতায় পড়ে পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্রের পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ-চায়না পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড (বিসিপিসিএল)। সর্বশেষ ডলার সংকটে জাহাজ ভাড়া পরিশোধ করতে না পেরে আমদানীকৃত কয়লা খালাস নিয়ে জটিলতায় পড়ে বিসিপিসিএল।
শুধু পায়রায় চালু বিদ্যুৎকেন্দ্রটির জন্য কয়লা আমদানি করতে গিয়ে বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডকে (বিপিডিবি)। এর মধ্যে আবার নির্মাণাধীন ও উৎপাদনের অপেক্ষায় থাকা বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো চালু হলে আগামী দুই বছরের মধ্যে দেশের কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা দাঁড়াবে সাত হাজার মেগাওয়াটে। সংশ্লিষ্টদের তথ্যানুযায়ী, সারা বছর এ সক্ষমতার বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু রাখতে কয়লা প্রয়োজন সাড়ে ২৫ মিলিয়ন টন। গড় মূল্য টনপ্রতি ২০০ ডলার হিসাব করলেও আগামী দুই বছরে চালু হতে যাওয়া বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর জন্য শুধু কয়লা আমদানি করতেই প্রয়োজন পড়বে ৫ বিলিয়ন (৫০০ কোটি) ডলারের বেশি।
অথচ জ্বালানি বিভাগের তথ্যমতে দেশের ৫টি কয়লাখনিতে ৮৮০৩ মিলিয়ন টন কয়লার মজুদ রয়েছে। দেশে যে কয়টি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু রয়েছে কিংবা নির্মাণাধীন রয়েছে, সেগুলো দীর্ঘ সময় মজুদকৃত কয়লা দিয়েই চালানো যাবে।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে যে পরিমাণ কয়লার মজুদ তা দিয়ে ৬৫ ট্রিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের সমান তাপশক্তি উৎপাদন করা যাবে। অর্থাৎ কয়লা দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা গেলে খুব দ্রুতই বিদ্যুতের সঙ্কট থেকে বাংলাদেশ মুক্তি পাবে। সারাদেশে এমনকি দুর্গম অঞ্চলগুলোতেও বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে পারবে সরকার। সুষ্ঠু, যুগোপযোগী পরিকল্পনায় প্রযুক্তিগত উন্নয়নের মাধ্যমে দেশের কয়লার সর্বোচ্চ ব্যবহারের মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে স্বদেশের চাহিদা মিটিয়েও বিদেশে রপ্তানি সম্ভব। আর এজন্যে সরকার কার্যকর পদক্ষেপ নিয়ে এগিয়ে আসবে এটাই একান্ত বাঞ্ছনীয়।
ছহিবে সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ মুর্র্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার নেক ছোহবত মুবারক-এ কেবলমাত্র তা লাভ করা সম্ভব। খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে তা নছীব করুন। (আমীন)
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
মহিমান্বিত ১৪ই জুমাদাল উখরা শরীফ। আজ পঞ্চম হিজরী শতকের মুজাদ্দিদ, হুজ্জাতুল ইসলাম, হযরত ইমাম গাজ্জালী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ! এ সুমহান দিবস মুবারক উনার তাৎপর্য অনুধাবন করা গোটা মুসলিম উম্মাহ্র জন্য বিশেষ প্রয়োজনীয় এবং ফজিলতের কারণ।
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
দেশে মানসিক রোগীর সংখ্যা প্রায় ৪ কোটি। বিপরীতে স্বাস্থ্য বাজেটের মাত্র ০.৪৪% ব্যয় হচ্ছে মানসিক চিকিৎসায়। রয়েছে মানসিক বিশেষজ্ঞ ও দক্ষ জনবল সঙ্কট। সরকারের উচিত, দেশের মানসিক চিকিৎসা ব্যবস্থায় উন্নত করা এবং পর্যাপ্ত বাজেট বরাদ্দ করা।
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
অবৈধ পথে বিদেশে গিয়ে ভয়াবহ নির্যাতিত হওয়ার পাশাপাশি নিঃস্ব হচ্ছে বহু পরিবার। মানব পাচার রোধে শক্ত ও সমন্বিত ব্যবস্থা নেয়া জরুরী দরকার।
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
আজ মহাসম্মানিত ১২ই জুমাদাল উখরা শরীফ। যা সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহূরিল আ’যম, মহাসম্মানিত রবীউল আউওয়াল শরীফ মাস উনার মহিমান্বিত, মহাপবিত্র ১২ তারিখ উনার সাথে সম্পর্কযুক্ত। সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার শান মান মুবারক অনুভব করা, মর্যাদা-মর্তবা মুবারক জানা, দয়া-ইহসান মুবারক উপলব্ধি করা সর্বোপরি নেক ছায়াতলে উপনীত হওয়া বর্তমান যামানায় সবার জন্যই ফরজ।
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
৩ লাখ কোটি টাকা মূল্যের ৯ হাজার একর বেদখল হওয়া রেলের জমি উদ্ধারে অতীতের মত বর্তমান সরকারও ব্যার্থ হচ্ছে কথিত গলদ আইন ও লোক দেখানো উদ্ধার প্রক্রিয়া এবং লোভী জনগণের বিপরীতে খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্র চেতনাতেই সফলতা ও প্রাপ্তি সম্ভব ইনশাআল্লাহ
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
স্বামী-স্ত্রীর সহজাত খুনসুটিকে বৈবাহিক ধর্ষণ সংজ্ঞায়িত করার সরকারী উসকানি এখন বাবা-মায়ের শাসনকেও মামলায় গড়িয়েছে। পারিবারিক বন্ধন ধ্বংস, এল.জি.বি.টি.কিউ আন্দোলনের কুচক্রী, কুশীলবদের কুতৎপরতা রোধে ৯৮ ভাগ জনগোষ্ঠী মুসলমানকে এক্ষণি সোচ্চার হতে হবে ইনশাআল্লাহ
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
প্রতি বছর সাপের কামড়ের শিকার ৯৬ হাজার মানুষ, মৃত্যু ১০ হাজারের বেশী। প্রতিদিন মারা যায় প্রায় ২৫ জন। অ্যান্টিভেনম সহজলভ্য করতে হবে। দেশেই উৎপাদনের ব্যবস্থা করতে হবে। ইনশাআল্লাহ!
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
জনঘনত্বের কারণে- বেশী তাপমাত্রা, রোগব্যাধি, বায়ূ দূষণ, শব্দ দূষণ, যানজট পানিবদ্ধতা সহ বিভিন্ন দুর্বিষহ ও দমবদ্ধ অবস্থায় বিপর্যস্থ ঢাকা এখন সম্পূর্ণভাবে বসবাসের অযোগ্য। নিয়ন্ত্রণের বাইরে যাওয়ার আগেই ঢাকাকে বিকেন্দ্রীকরণ করতে হবে ইনশাআল্লাহ
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
মুবারক হো মহিমান্বিত ৯ই জুমাদাল ঊখরা শরীফ! আজ ক্বায়িম-মাক্বামে সিবতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সাইয়্যিদুল উমাম আল খ¦মিস আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ!
০১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
দেশের ৪ কোটি মানুষ না খেয়ে থাকে। অথচ বছরে প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকার শস্য নষ্ট হয় খাদ্য অপচয় রোধ করতে ‘নিশ্চয়ই অপব্যয়কারীরা শয়তানের ভাই’- পবিত্র কুরআন শরীফ উনার এই নির্দেশ সমাজের সর্বাত্মক প্রতিফলন ব্যতীত কোনো বিকল্প নেই।
৩০ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
দেশে মানসিক রোগীর সংখ্যা প্রায় ৪ কোটি। বিপরীতে স্বাস্থ্য বাজেটের মাত্র ০.৪৪% ব্যয় হচ্ছে মানসিক চিকিৎসায়। রয়েছে মানসিক বিশেষজ্ঞ ও দক্ষ জনবল সঙ্কট।
৩০ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহূরিল আ’যম শরীফ, মহাসম্মানিত রবীউল আউওয়াল শরীফ মাস উনার মহিমান্বিত, মহাপবিত্র ৭ তারিখ উনার সাথে সম্পর্কযুক্ত পবিত্র ৭ই জুমাদাল ঊখরা শরীফ আজ।
২৯ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার)












