আপনাদের মতামত
‘জাগো বাহে, তিস্তা বাঁচাই’ শুধু কর্মসূচি দিলেই হবে না। বাস্তবে তিস্তা মহাপরিকল্পনা অতিসত্বর বাস্তবায়ন করে তিস্তা পাড়ের মানুষের দু:খ দুর্দশা দূর করতে হবে ইনশাআল্লাহ
, ২০ শা’বান শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ২৩ তাসি’, ১৩৯২ শামসী সন , ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রি:, ০৬ ফালগুন, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) আপনাদের মতামত

রংপুর অঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী তিস্তা নদী পাড়ের মানুষের এক সময় গোলা ভরা ধান ছিলো, গোয়াল ভরা গরু ছিলো, পুকুর ভড়া মাছ ছিলো। তিস্তাপাড়ের মানুষ এক সময় আনন্দের দিন কাটাতো। তিস্তা নদী ছিল আমাদের মায়ের মতো, সেই তিস্তা নদী এখন শুকিয়ে মরুভূমিতে পরিণত হয়েছে।
আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ শুষ্ক মৌসুমে তিস্তা নদীর উজানে বাঁধ নির্মাণ করে পানি আটকে রাখে, আর বর্ষা মৌসুমে বিনা কারণে পানি ছেড়ে দেয়। এর ফলে বন্যার সৃষ্টি হয়ে লক্ষ লক্ষ পরিবারের বাড়ি-ঘর পানিতে তলিয়ে যায়। নদী ভাঙনের কবলে পড়ে লক্ষ লক্ষ মানুষ নিঃস্ব হয়ে যায়। যে তিস্তা মানুষের জীবন-জীবিকার একমাত্র ভরসা ছিল, সেই তিস্তা এখন আমাদের দুঃখের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে বিগত সরকার তিস্তাপাড়ের মানুষের সাথে শুধু প্রতারণাই করেনি, পরিহাসও করেছে। প্রায়ই শুনা গেছে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হবে কিন্তু বাস্তবে সেটা কিছুই হয়নি। চীন এখানে অর্থায়ন করার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছিল, একটি স্মারকও স্বাক্ষরিত হয়েছিল, কিন্তু সেটি আলোর মুখ দেখতে পায়নি।
রংপুরের কাউনিয়ার তিস্তাপারের বাসিন্দা ও তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলন সংশ্লিষ্টরা বলছেন, তিস্তা মহাপরিকল্পনা একটি প্রকল্প ছিল। এটিতে চীন অর্থায়ন করতে চেয়েছিল। এর আওতায় ছিল নদী শাসন, স্যাটেলাইট শহর, হাউজিং ও ইকোনোমিক্যাল জোন নির্মাণ। এটি পর্যটন এলাকা হিসেবে ঘোষণার কথাও ছিল। ২০১৬ সালে এর সমীক্ষাও হয়েছিল। কিন্তু ভারতের আপত্তির কারণে বাস্তবায়ন হয়নি।
‘জাগো বাহে, তিস্তা বাঁচাই’ সেøাগানে তিস্তা নদীর কাউনিয়া সেতু, মহিপুর সেতু এবং তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টসহ লালমনিরহাট, গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম, রংপুর, নীলফামারীসহ পাঁচ জেলার ১১ পয়েন্টে তাঁবু খাটিয়ে একই সময়ে এই কর্মসূচি পালন করা হবে।
উত্তরের জীবন রেখা তিস্তা। এই তিস্তায় নির্ভরশীল এই অঞ্চলের কোটি মানুষ। কিন্তু বর্তমান এই তিস্তায় হাটু পানি ধারায় সীমাবদ্ধ। রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট, সরকার, নেতা পরিবর্তন হলেও পরিবর্তন হয় না তিস্তাপাড়ের মানুষের ভাগ্য। বর্ষায় অল্প পানিতে বন্যা, নদী ভাঙ্গনে নিঃস্ব। আবার খরায় পানি স্বল্পতায় চাষাবাদ ব্যহত হয় তিস্তার লাখ লাখ কৃষকের। তিস্তা নদীর এই পরিস্থিতি উত্তরণে দীর্ঘদিন ধরে দাবি উপস্থাপিত হলেও নদী শাসন বা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়নি কেউ।
ভারতের উত্তর সিকিম থেকে উৎপত্তি হওয়া তিস্তা বাংলাদেশের নীলফামারী হয়ে চিলমারীর ব্রহ্মপুত্রের সাথে মিলিত হয়েছে। মোট ৩১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ তিস্তার ১১৫ কিলোমিটার প্রবাহিত হয়েছে বাংলাদেশ অংশে। ১৯৯৮ সালে প্রতিবেশী ভারত তাদের অংশে গজলডোবা ব্যারাজ নির্মাণের মাধ্যমে একতরফা পানি প্রত্যাহার শুরু করে। এর পর থেকে তিস্তার পানিতে সমান অধিকার থাকলেও পানির ন্যায্য হিস্যা থেকে বঞ্চিত হয় বাংলাদেশ। এতে বাংলাদেশ অংশে সৃষ্টি হয় তিস্তার নাব্যতা সংকট। ফলে বর্ষায় অল্প পানিতেই বন্যার দেখা দেয়। দুকুল ছাপিয়ে পানি ঢুকে পড়ে লোকালয়ে, দুর্ভোগে পড়ে নদীর দুই তীরের অন্তত ২০ লাখ মানুষ। বন্যার পানি কমতে থাকলে শুরু হয় ভয়াবহ ভাঙ্গন। ভাঙ্গনে বিলীন হয় ফসলী জমি, বসতভিটা, নানা স্মৃতি বিজড়িত স্থাপনা। প্রতিবছরই ভূমিহীন হয় হাজারো পরিবার। আবার খরায় তিস্তার পানি সংকটে ব্যহত হয় নৌচলাচল ও চাষাবাদ।
ভারত একতরফা পানি প্রত্যাহার করায় মরতে বসেছে নদীটি। তিস্তায় সর্বশান্ত হওয়া মানুষের দীর্ঘদিনের আর্তনাদ ঘোচাতে পারে তিস্তা মহাপরিকল্পনা।
-মুহম্মদ ওয়ালীউল্লাহ।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মুসলিম ভ্রাতৃত্ব পূর্ণ সম্পর্ককে সহ্য করতে পারছে না ভারত। ভারতের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে এবং সব ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে ইসলামের নির্দেশ অনুযায়ী বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের উচিত সামরিক, বাণিজ্যিক সম্পর্কোন্নয়ন করা।
১৯ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
মসজিদ কমিটিকে রাজি-খুশি করাই যাদের উদ্দেশ্য!
১৮ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
পবিত্র ইফতারীতে একটু পছন্দের ফল খেতে ব্যর্থ হয়ে ক্ষুব্ধ রোযাদাররা বর্তমান উপদেষ্টা সরকারকে উপহাসের সরকার হিসেবে দেখছে
১৭ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
পবিত্র দ্বীন ইসলাম নিয়ে কটূক্তির জবাব দেয়া ঈমানের দাবি
১৬ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ফিরে আসো... ফিরে আসো...
১৫ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
যুগের সাথে তাল মিলানো, নাকি শয়তানের সাথে তাল মিলানো?
১৪ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
গণমাধ্যমে খবরে হেডিং হয়েছে, “রমাদ্বান শরীফে বাংলাদেশি পর্যটক না থাকায় কলকাতার ব্যবসায়ীদের মাথায় হাত” “বাংলাদেশিরা না যাওয়ায় হাহাকার আধপেটা থাকছে কলকাতার ব্যবসায়ীরা” “নেই বাংলাদেশি পর্যটক, কলকাতায় মানবেতর পরিস্থিতিতে রিকশাচালকরা”
১৩ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
ব্যক্তির জন্যই রাষ্ট্র, কিন্তু রাষ্ট্রের জন্য ব্যক্তি নয়; আর দ্বীনদার ব্যক্তির জন্য দ্বীন ইসলামই সবচেয়ে বড়
১২ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
ছি! অমুসলিম-বিধর্মীরা কতবেশি দুর্গন্ধময়!!
১০ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
দ্বীনি জ্ঞানশূন্য একজন চিকিৎসকের দ্বীনি বিষয়ে ফতওয়া দেয়া অনধিকার চর্চা, যা জিহালতির শামিল
০৯ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
পাড়ার বখাটে ছেলে.....!
০৮ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
বিজাতীয় শব্দ ব্যবহারে সতর্কতা অবলম্বন করা মুসলমানদের জন্য জরুরী
০৭ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার)