মন্তব্য কলাম
“দেশের লাভজনক খাতগুলো বিদেশীদের হাতে তুলে দেয়ার জন্য অন্তর্বর্তী সরকার মরীয়া”- এ অভিযোগ উত্থাপন করেছেন সিনিয়র সাংবাদিকরা। চট্টগ্রাম বন্দর, পোল্ট্রি, কৃষির পর এখন টেলিকম খাতও বিদেশীদের হাতে দিতে যাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার।
, ২১ জুমাদাল ঊলা শরীফ, ১৪৪৭ হিজরী সন, ১৫ সাদিস, ১৩৯৩ শামসী সন , ১৩ নভেম্বর, ২০২৫ খ্রি:, ২৮ কার্তিক, ১৪৩২ ফসলী সন, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) মন্তব্য কলাম
অভিযোগ উঠেছে, অন্য সব খাতের চেয়ে টেলিখাতে অনেক বেশী সংস্কার করা হয়েছে বিদেশীদের স্বার্থ পূরণের জন্য।
দেশে টেলিখাত তথা ইন্টারনেট সেবাদাতাদের সংখ্যা প্রায় তিন হাজার। এতে কর্মসংস্থান প্রায় দশ লাখ লোকের। তাদের উপর নির্ভরশীলের সংখ্যা প্রায় ৫০ লাখ। বাজার ৫০ হাজার কোটি টাকার।
এই ৫০ লাখের জীবিকা নষ্ট করে প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকার টেলিখাতের বাজার বিদেশীদের হাতে তুলে দেয়ার নীল নকশা গ্রোথিত হয়েছে- প্রস্তাবিত টেলিযোগাযোগ অধ্যাদেশে।
তবে এটি শুধু বিদেশীদের হাতে সোনালী সমৃদ্ধিই তুলে দেয়াই নয়;
পাশাপাশি দ্বীন ইসলাম নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র,
মুসলমানের কণ্ঠ রোধ করার গভীর পায়তারা
এবং পারিবারিক ও সামাজিক ভারসাম্যতাও নষ্ট করার নীল নকশা।
সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ ছড়ানোর নামে ৯৯ কোটি টাকা জরিমানাও ৫ বছর কারাদন্ডের বিধান
এবং বার বার ফোন করলে লাখ টাকার জরিমানার বিধান তারই বিশেষ প্রমাণ।
উল্লেখ্য দেশবান্ধব ঔষধ নীতিমালার কারণে ঔষধের বাজার এখন পুরোটাই দেশীয় কোম্পানীর দখলে।
টেলিকম খাতেও দেশে অগ্রগতি হয়েছে এবং ঔষধের মতই পুরোটাই দেশ নির্ভরতা সম্ভব ইনশাআল্লাহ। কিন্তু উল্টোটা করে অন্তর্বর্তী সরকার কী বি.এন.পি- বিবৃত ‘বিশ্বাসঘাতক’- বিশেষণকেই সত্যি প্রমাণ করবে?
তাহলে তো দেশের মালিক জনগণকেই তার শক্ত ও কঠিন জবাব দিতে হবে ইনশাআল্লাহ।
(১ম পর্ব)
‘বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ অধ্যাদেশ ২০২৫’- এর খসড়া প্রকাশ করা হয়েছে। ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ এ খসড়া প্রস্তুত করেছে। সংশ্লিষ্ট অংশীজন এবং সর্বসাধারণের অবগতি ও মতামত প্রদানের উদ্দেশ্যে খসড়াটি ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের ওয়েবসাইটে উন্মুক্ত করা হয়েছে।
আইন অনুযায়ী, এই খাতে একটি স্বাধীন বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ কমিশন গঠন করা হবে, যা লাইসেন্স প্রদান, নীতি নির্ধারণ, স্পেকট্রাম বণ্টন ও প্রযুক্তিগত মান নিয়ন্ত্রণ করবে। কমিশন হবে পাঁচ সদস্যের, যার একজন চেয়ারম্যান ও একজন ভাইস চেয়ারম্যান থাকবেন।
খসড়ায় আরও বলা হয়েছে, অনুমতিহীনভাবে টেলিযোগাযোগ সেবা পরিচালনা বা বিদেশি ওটিটি প্ল্যাটফর্ম পরিচালনা করা হলে তা শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। এছাড়া, রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বা জনশৃঙ্খলার স্বার্থে সরকার প্রয়োজনে কোনো প্ল্যাটফর্ম স্থগিত বা বন্ধ করতে পারবে।
১৮৮৫ সালের টেলিগ্রাফ আইন ও ১৯৩৩ সালের ওয়্যারলেস টেলিগ্রাফি আইন বাতিল করে এই নতুন অধ্যাদেশ কার্যকর হবে।
প্রসঙ্গত, পর্যবেক্ষক মহল প্রশ্ন করছেন, “জ্বালানী, শিক্ষা, চিকিৎসা অন্য কোনো খাতে এত সংস্কার হয়নি। কিন্তু টেলিকম খাতে এত সংস্কার কেন, সেটা গুরুতর ভেবে দেখার বিষয়।”
অভিজ্ঞমহল বলছেন, সরকার বিদেশিদের সব দিয়ে দেওয়ার মিশন নিয়েই এসেছে।
তারই ধারাবাহিকতায় সবচেয়ে বড় পদক্ষেপ হলো টেলিকম খাত সংস্কার। তবে এটি শুধু বিদেশীদের হাতে সোনালী সমৃদ্ধিই তুলে দেয়াই নয়
পাশাপাশি দ্বীন ইসলাম নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র,
মুসলমানের কণ্ঠ রোধ করার গভীর পায়তারা
এবং পারিবারিক ও সামাজিক ভারসাম্যতাও নষ্ট করার নীল নকশা।
সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ ছড়ানোর নামে ৯৯ কোটি টাকা জরিমানাও ৫ বছর কারাদন্ডের বিধান এবং বার বার ফোন করলে লাখ টাকার জরিমানার বিধান তারই বিশেষ প্রমাণ।
কারণ সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ ছড়ানোর কোনো স্বত:সিদ্ধ এবং গ্রহণযোগ্য মাপকাঠি নেই।
পবিত্র কুরআন শরীফে কাফির-মুশরিকদের উল্লেখ করে যেসব আয়াত শরীফ আছে যেগুলো বর্ণনা করাকেও সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ হিসেবে আমলে নিতে পারে প্রশাসন।
পাশাপাশি কাফির মুসরিকদের ইসলাম বিদ্বেষী কর্মকান্ডের আলোচনা-সমালোচনাকেও সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ ছড়ানো হিসেবে আমলে নিতে পারে আদালত।
আবার কাফির মুশরিকদের ইসলাম বিরোধী বক্তব্যের জবাবের, ইসলামী ভাষাকেও সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ হিসেবে গণ্য করতে পারে সরকার।
অর্থাৎ সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ ছড়ানোর নামে- মুসলমানের কণ্ঠকেই বন্ধ, স্তব্ধ করে দেয়ার বড় কঠিন ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নের দিকে নিয়ে যাচ্ছে সরকার।
পর্যবেক্ষক মহল মনে করছেন, আমেরিকার ইসলাম বিরোধী কর্মকান্ড তথা এল.জি.বিটি.কিউ ইত্যাদির বিরুদ্ধে ইসলামী প্রতিবাদের ভাষাকেও সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ ছড়ানোর নামে রোধ করার লক্ষেই- প্রস্তাবিত টেলিকম সংস্কার করছে অন্তর্বর্তী সরকার।
পাশাপাশি টেলিকম খাত সংস্কারের নামে অন্তর্বর্তী সরকার নতুন যে নীতিমালা করার উদ্যোগ নিয়েছে, সেগুলো কেবল বিদেশি কোম্পানি, বিশেষ করে সরকারের নেকভাজন দেশের তিনটি টেলিকম অপারেটরকে সুবিধা দেবে বলে অভিযোগ তুলেছেন সাধারণ উদ্যোক্তারা।
তারা বলেছেন, এতে বিভিন্ন স্তরের কয়েক হাজার স্থানীয় কোম্পানি ব্যবসা হারাবে। এসব আইন ও নীতিমালার সরাসরি বিরোধিতায় দেশীয় উদ্যোক্তাদের পক্ষ থেকে মোর্চা গঠনের কথাও উঠেছে ঢাকার এক অনুষ্ঠানে। এমনকি আদালতে যাওয়ার কথাও বলেছেন তারা।
টেলিকম খাতের মধ্যস্তরে থাকা এনটিটিএন, আইজিডব্লিউ, আইসিএক্স এবং ইন্টারনেট সেবাদাতা আইএসপির প্রতিনিধিরা এসব কথা বলেছেন।
তারা জানান, “স্যাটেলাইটের মাধ্যমে ইন্টারনেট সেবাদাতা মার্কিন কোম্পানি স্টারলিংক বাংলাদেশে নতুন এসেছে, তার জন্য সরকার লাইসেন্স একুইজিশন ফি করেছে ১০ হাজার ডলার, যা ১২ লাখ টাকার মতো। সেখানে আমাদের দেশীয় একজন ইন্টারনেট সেবাদাতা বা আইএসপির (ন্যাশন ওয়াইড) লাইসেন্স একুইজিশন ফি ২৫ লাখ টাকা। প্রশ্নটা হলো, স্টারলিংক বড় কোম্পানি, নাকি আমাদের দেশীয় আইএসপি বড় কোম্পানি। এটার যুক্তিটা কী?”
নতুন আইনে টেলকো খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসিকে ক্ষমতাহীন করে ‘রাবার স্ট্যাম্প’ প্রতিষ্ঠান বানিয়ে ফেলা হচ্ছে মন্তব্য করে অভিজ্ঞমহল বলেন, “টেলিযোগাযোগ অধ্যাদেশের (খসড়া) ৩৩ ধারায় বলা হয়েছে, টেলিকম খাতে জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ লাইসেন্স দেওয়ার ক্ষেত্রে বিটিআরসি এককভাবে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে না। পাঁচজন সচিবের নেতৃত্বে একটা কমিটি হবে, আবার তার ওপরে থাকবেন পাঁচজন মন্ত্রী। এর মানে হলো, পাঁচজন মন্ত্রী আসলে পুরোটাই নিয়ন্ত্রণ করবেন। আবার কোন লাইসেন্সটা ‘জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ’, তার কোনো সংজ্ঞা ওখানে পরিষ্কার নাই।”
দেশের ইন্টারনেট সেবাদাতাদের সংগঠন আইএসপিএবির সূত্রে জানা গেছে, দেশে প্রায় তিন হাজার ছোট-বড় উদ্যোক্তা আছে। এখানে প্রায় ১০ লাখ কর্মসংস্থান হয়েছে। তাদের ওপর নির্ভরশীল আছেন প্রায় ৫০ লাখ মানুষ। আর পুরো বাজার হচ্ছে প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকার।
টেলিকম সংস্কারের প্রস্তাবিত নীতিমালায় মোবাইল অপারেটরদের প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, সেলুলার মোবাইল সার্ভিস প্রোভাইডার (সিএমএসপি) আর দেশীয় উদ্যোক্তাদের বলা হয়েছে ফিক্সড টেলিকম সার্ভিস প্রোভাইডর (এফটিএসপি)। নামকরণের মধ্যেই বলা আছে, তারা ফিক্সড সার্ভিসটা দেবে, আর ওনারা দেবে মোবিলিটি। কিন্তু গাইডলাইনের অপর পক্ষে বলা হচ্ছে যে, এরাও বাসা-বাড়িতে ফাইবার কেবল নিয়ে যেতে পারবে, তারাও ফিক্সড লাইন দিতে পারবে। তাহলে স্থানীয় উদ্যোক্তরা ব্যবসা করবে কীভাবে?”
যদি কেউ বিদেশি একটা প্রতিষ্ঠান হয় তাহলে তারা বাংলাদেশের যেকোনো লেয়ারে বিনিয়োগ করতে পারবে। কিন্তু কেউ দেশীয় উদ্যোক্তা হলে সেই সুযোগ নেই।
শুধু তাই নয়, “বিদেশি উদ্যোক্তাদের জন্য, মোবাইল অপারেটর চাইলে ফাইবার নিয়ে একদম বাসা পর্যন্ত কানেক্টিভিটি দিতে পারবে।
তাহলে আসলে আইএসপিরা কী করবে। অত বড় একটা ফিনান্সিয়্যাল মাসল পাওয়ারের সঙ্গে ছোট ছোট লাইসেন্সি যারা দুই-তিন হাজার সংখ্যায় হবেন তারা কী লড়াই করে টিকে থাকতে পারবে?
দেশীয় উদ্যোক্তারা ক্ষোভ ঝেড়ে বলেছেন, এটা যদি সত্যি নীল নকশা হয় তাহলে পরিষ্কার করে বললেই হয়। আমরা এখন থেকেই বন্ধ হয়ে যাই, বিদেশিরাই আসুক তাদের ইনভেস্টমেন্ট নিয়ে।”
অভিজ্ঞমহল বলেন, “প্রস্তাবিত নীতিমালা আগের পলিসির পুরোপুরি উল্টো। আগের পলিসির উদ্দেশ্য ছিল লোকাল উদ্যোক্তাদের উদ্বুদ্ধ করা। এখন যেটা হচ্ছে সেটা উল্টো।
পাশাপাশি পর্যবেক্ষক মহল মনে করেন, বৈশ্বিকভাবে দেখলে এখানে সাইবার ওয়ারফেয়ারের একটা বিষয় আছে। সেখানে সরকারের নিয়ন্ত্রণ প্রয়োজন। কাজেই এই সেক্টরটা কি আমরা পুরোপুরি বিদেশীদের হাতে তুলে দিব, নাকি ক্রমান্বয়ে আমরা চেষ্টা করব আমাদের নিজেদের নিয়ন্ত্রণে আনার। সে সদিচ্ছা সরকারের নীতিমালায় নেই। বরং উল্টো বিদেশীদের হাতে তুলে দেয়ারই পায়তারা লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
একটা সময় ছিল বাংলাদেশের টেলিকম খাত বিদেশিদের ছাড়া চিন্তা করা যেত না। কিন্তু এখন সময় পাল্টেছে। দেশে এমনও প্রতিষ্ঠান আছে, যারা সম্পূর্ণ দেশীয় ভিত্তিতে টেলিকম সেবা পরিচালনা করতে পারে। সেই সক্ষমতা অর্জিত হয়েছে।”
তবে দেশীয় উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন “মোবাইল অপারেটরদেরও চ্যালেঞ্জ আছে। তাদের যে রেভিনিউ তাদের যে কস্ট, এক-দুইজন খুব বেশি প্রফিট করছে বাকীরা করতে পারছে না।
এখন তাদের বাঁচানোর জন্য কী করা দরকার সেটা সরকারকে ঠিক করতে হবে। তবে সেটা দেশীয় উদ্যোক্তাদের ব্যবসার বিনিময়ে হওয়া উচিৎ না। আমাদের সবাইকে তাদের হাতে তুলে দেওয়া উচিৎ হবে না।”
একটা সময় ছিল ডিওটি (টেলিযোগাযোগ অধিদপ্তর) ও এনটিএমসির অত্যাচার। তাদের উদ্দেশ্য ছিল বিরুদ্ধ মতগুলোকে ইন্টারনেট থেকে সরিয়ে দেওয়া।
এর বাইরে কিন্তু ডিওটি এবং এনটিএমসি আর কোনো দায়িত্ব পালন করেনি। তাদের উচিৎ ছিল ইন্টারনেটের অপব্যবহার হচ্ছে কিনা, সেগুলো নজরদারি করা। নতুন বাস্তবতায় দেশীয় উদ্যোক্তাদের আশা ছিল কিছু তথ্য সরকার শেয়ার করবে। সাইবার সিকিউরিটি, আর্থিক নিরাপত্তার বিষয়গুলো আমাদের কোনো পলিসিতেই কাভার করা হচ্ছে না। নতুন বোতলে পুরনো মদ টাইপের বিষয়গুলোই আমরা দেখছি। জুলাই পরবর্তী সরকারের কাছে আমরা এগুলো প্রত্যাশা করি নাই।
প্রযুক্তি নীতিমালা বিশ্লেষকরা বলছেন, “গত ছয়মাস ধরে আমাদের অবস্থা জেরবার। দেশীয় উদ্যোক্তরা বলেছেন, গত ছয়মাস ধরে এই সেক্টরে এতগুলো নতুন পলিসি নিয়ে কাজ করতে হচ্ছে যে আমরা আসলে সেগুলো পড়েই কুলাতে পারছি না।”
খসড়া নীতিমালায় ‘ইন্টারনেট বন্ধ করা যাবে না’ বলে যে ধারা সংযোজন করা হয়েছে, সেটিকে ‘স্টান্টবাজি’ উল্লেখ করে তারা বলেন, “এর আগে দেশে ইন্টারনেট বন্ধ করা হয়েছে দায় নেওয়ার মতো কাউকে পাওয়া যায়নি। এটা একটা প্রটোকল থাকা উচিৎ, যেন রাষ্ট্র তার বিশেষ প্রয়োজনে রাষ্ট্রপতি বা প্রধানমন্ত্রীর অনুমতি সাপেক্ষে নির্দিষ্ট একটা এলাকায় ইন্টারনেট বন্ধ রাখতে পারে।”
প্রস্তাবিত টেলিকম সংস্কার প্রসঙ্গে অভিজ্ঞমহল মন্তব্য করেছেন- “অন্তর্বর্তী সরকার যে খাতগুলো লাভজনক, সেখানে বিদেশিদের আনছে একটার পর একটা। তারা কোনো রিস্ক নেবে না, শুধু ক্রিমটা উঠিয়ে নেবে। বলা যায় ধারাবাহিকতায় তো চট্টগ্রাম পোর্টের কথা। অন্তর্বর্তী সরকার বলছে, বিশ্বের শ্রেষ্ঠ কোম্পানিকে তারা দিচ্ছেন। একটা প্রকিউরমেন্ট ল তো আছে বাংলাদেশে, সেটাও মানা হয়নি। কোনো টেন্ডার হয়নি। তাদের মনে হয়েছে এটা শ্রেষ্ঠ, অতএব এটাকে ওনারা দেবেন। এটাই তাদের নিজস্ব যুক্তি।”
সমালোচক মহল মন্তব্য করেছে, “এই সরকার যত দিন আছে, এদের কাছে ভাই কান্নাকাটি করলে আপনার চোখের পানিটাই নষ্ট হবে। তারা একটা মিশন নিয়ে আসছে। এই মিশন বোধ হয় তারা ফেব্রুয়ারি পর্যন্তই করে আর যদি তারা কথা রাখে। তবে কথা না রাখার মতো অনেক কারণ তারা করছে, তাদের ওপর কেউ আস্থা রাখে না।”
প্রসঙ্গত আশির দশকে দেশের ঔষধের বাজার পুরোটাই ছিল বিদেশি কোম্পানিগুলোর দখলে। হিস্টাসিন বা কফ সিরাপের মতো কিছু প্রডাক্ট দেশে তৈরি হতো। কিন্তু সরকার যখন আশির দশকে নীতিমালা করল তখন দেশীয় উদ্যোক্তারা এগিয়ে গেলেন। দেশীয়দের দাপটে বিদেশি কোম্পানিগুলো গুটিয়ে গেছে ২০ বছরের মধ্যেই। এখন পুরো বাজার দেশীয় কোম্পানিগুলোর দখলে।
অর্থাৎ “সরকারের নীতি দেশীয় শিল্পকে গড়ে উঠতে সহায়তা করে। কিন্তু সমালোচক মহল মনে করেছেন, বিশ্বাসঘাতক অন্তর্বর্তী সরকারের কর্তাব্যক্তিরা উল্টোটা করছেন।
যেখানে ফরেন ইনভেস্টমেন্ট দরকার, সেখানে ফোকাস না করে যেখানে আমাদের দেশীয় উদ্যোক্তাদের সক্ষমতা তৈরি হয়েছে এতদিনে, সেটাকে নষ্ট করার পাঁয়তারা করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত অভিজ্ঞমহল মন্তব্য করেছেন, যদি ফার্মাসিউটিক্যালে দেশীয় উদ্যোক্তরা মাল্টিন্যাশনালদের সরিয়ে দিতে পারে প্রপারলি বিজনেস করে, তাহলে কেন টেলিকমে পারবে না?” (ইনশাআল্লাহ চলছে)
-আল্লামা মুহম্মদ ওয়ালীউর রহমান আরিফ।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
সন্ত্রাসবাদ নয়; জিহাদী যোগ্যতা অর্জন করা পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ অনুযায়ী ফরয। ৯৮ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত দেশে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় সব নাগরিকের জন্য সামরিক প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক করতে হবে। উন্নত প্রশিক্ষন, যুদ্ধকৌশল, সামরিক সক্ষমতা এবং আন্তর্জাতিক র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এখন সাফল্যের শীর্ষে। সরকারের উচিত- দেশের মর্যাদা বুলন্দ ও দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ত্বকে সমুন্নত রাখতে সেনাবাহিনীর প্রতি সকল প্রকার পৃষ্ঠপোষকতা নিশ্চিত করা।
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম এর তথ্যানুযায়ী বেনিয়া বৃটিশগুলো মুসলিম ভারত থেকে লুট করেছে ১২ হাজার লক্ষ কোটি টাকা প্রকৃতপক্ষে তারা লুট করেছে লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
রামপাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র এখনও বন্ধ করলে যা লাভ হবে চালু রাখলে তার চেয়ে অনেক বেশী ক্ষতি হবে ৫৩টি পরিবেশবাদী সংগঠনের দাবী অবিলম্বে রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ করে সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্র করা হোক কিন্তু তাদের উপেক্ষা করে পরিবেশ উপদেষ্টা প্রমাণ করছে তার পরিবেশবাদী তৎপরতা অন্য পরিবেশবাদীদের সাথে সাংঘর্ষিক এবং তার পরিবেশবাদী প্রচারণা কার্যকলাপ আসলে দেশ ও দেশের মানুষের জন্য নয় বরং বিশেষ প্রভুর নির্দেশনায় (প্রথম পর্ব)
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
জুয়ার নেশায় বুদ হচ্ছে শিশু-কিশোররা-শিক্ষার্থীরা অধিকাংশ সাইটই পরিচালিত হয় দেশের বাইরে থেকে অনলাইনে জুয়ায় ছোট ছোট বাজির টাকা দিন শেষে একটি বড় অঙ্কের অর্থ হয়ে দেশ থেকে ডলারের মাধ্যমে পাচার হচ্ছে প্রতিদিন এসব খেলা স্বাভাবিক গেমের মতো হওয়ায় প্রকাশ্যে খেলা হলেও আশপাশের মানুষ তা বুঝতে পারেন না কেবলমাত্র ইসলামী মূল্যবোধের উজ্জীবনেই জুয়া বন্ধ সম্ভব ইনশাআল্লাহ
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
গার্মেন্টসের চেয়েও বড় অবস্থানে তথা বিশ্বের শীর্ষ অবস্থানে অধিষ্ঠান হতে পারে বাংলাদেশের জাহাজ নির্মাণ শিল্প। যথাযথ পৃষ্ঠপোষকতা করলে শুধু মাত্র এ খাত থেকেই বছরে ১১ লাখ কোটি টাকা অর্জন সম্ভব ইনশাআল্লাহ। যা বর্তমান বাজেটের প্রায় দেড়গুণ আর শুধু অনিয়ম এবং সরকারের অবহেলা, অসহযোগীতা দূর করলে বর্তমানেই সম্ভব প্রায় ২ লাখ কোটি টাকা অর্জন জাহাজ নির্মাণ শিল্পের সমৃদ্ধি সম্পর্কে সচেতন হওয়া এবং সরকারের গাফলতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা জনগণের জন্যও জরুরী। (২য় পর্ব)
০১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আ’যম সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার রোবে, দোয়ার বরকতে- কুদরতীভাবে কমে যাচ্ছে ডলারের আধিপত্য বাংলাদেশের রিজার্ভ ডলারে রাখা উচিৎ নয়- এতে লাভ আমেরিকার মুসলিম বিশ্বে অভিন্ন মুদ্রা ব্যবস্থা বিশেষত মূল্যহীন কাগজী মুদ্রা বাদ দিয়ে সুন্নতী দিনার-দিরহাম মুদ্রা চালু করা আবশ্যক ইনশাআল্লাহ (দ্বিতীয় পর্ব)
৩০ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
বিদেশি হাইব্রিড বীজের ফাঁদে দেশের কৃষি। হারিয়ে যাচ্ছে দেশীয় ফসলের জাত, ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে জীববৈচিত্র্য। ফুলে-ফেঁপে উঠছে বীজ কোম্পানিগুলো।
২৯ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
মুশরিক ভারতের প্রতি লা’নত ওদের জনসংখ্যা দিন দিন নিম্নমুখী পক্ষান্তরে ৯৮ ভাগ জনগোষ্ঠী মুসলমানের দেশ বাংলাদেশে খোদায়ী রহমত। (সুবহানাল্লাহ) বাংলাদেশে জনসংখ্যার এখন ৬৫ ভাগই কর্মক্ষম এবং জনসংখ্যার বৃদ্ধির হার উর্ধ্বগামী বাংলাদেশ ভোগ করছে ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ডের নিয়ামত। সুবহানাল্লাহ!
২৮ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
প্রসঙ্গ: মধ্যম আয়ের ফাঁদ এড়াতে সতর্কতা তথা মধ্যম আয়ের স্থবিরতা তাওয়াক্কুল আর তাকওয়া অবলম্বনে সব সমস্যা দূর হয়ে অচিরেই বাংলাদেশ হতে পারবে শীর্ষ সমৃদ্ধশালী দেশ ইনশাআল্লাহ
২৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
রিজওয়ানার পরিবেশবাদী প্রচারণার বিপরীতে রবি ঠগ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস স্থাপনে ইতিবাচক বার্তা এবং ইউনুসের পানি ও প্রকৃতি প্রেমের বানীর পরিবর্তে আপত্তি সত্ত্বেও একনেকে রবি ঠগ বিশ্ববিদ্যালয় প্রকল্প অনুমোদনে জনগণ তথা নেটিজনের মূল্যায়নটা কী?
২৬ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
যখন কোনো দেশ যুক্তরাষ্ট্র থেকে যুদ্ধবিমান কিনে, তখন তা শুধু একটি বিমান কেনার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে না। এর সাথে যুক্ত হয় একাধিক শর্ত, নিষেধাজ্ঞা এবং জটিল টার্মস অ্যান্ড কন্ডিশনস
২৫ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
লাগামহীন ব্যর্থতার পর মাদক নিয়ন্ত্রণেও সরকার চরমভাবে ব্যর্থ। আইন শৃঙ্খলা বাহিনী নিজস্ব দুর্বলতার কারণে মাদক নিয়ন্ত্রণে নজরই দিতে পারছে না। উল্টো আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর অনেক সদস্য নিজেরাও জড়িয়ে পড়ছে মাদক ব্যবসায়।
২৪ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার)












