“যিনি আল্লাহওয়ালা হয়েছেন উনার পথ অনুসরণ করে চলো”
, ১৪ যিলক্বদ শরীফ, ১৪৪৪ হিজরী সন, ০৫ আউওয়াল, ১৩৯১ শামসী সন , ০৪ জুন, ২০২৩ খ্রি:, ২২ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) মহিলাদের পাতা
عَنْ حَضْرَتْ اَبِىْ هُرَيْرَةَ رَضِىَ اللّٰهُ تَعَالىٰ عَنْهُ فِيْمَا اَعْلَمُ عَنْ رَّسُوْلِ اللّٰهِ ﷺ قَالَ اِنَّ اللّٰهَ عَزَّ وَجَلَّ يَبْعَثُ لِهٰذِهِ الْاُمَّةِ عَلٰى رَأْسِ كُلِّ مِأَةِ سَنَةٍ مَنْ مُجَدِّدُ لَهَا دِيْنَهَا ۞
অর্থ মুবারক: হযরত আবু হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,“নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি প্রত্যেক হিজরী শতকের শুরুতে এ উম্মতের জন্য একজন মুজাদ্দিদ উনাকে পাঠাবেন। যিনি সম্মানিত দ্বীন-ইসলাম উনার তাজদীদ মুবারক করবেন।” (আবু দাউদ শরীফ, মিশকাত শরীফ)
উপরোক্ত পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার হাক্বীক্বী মিছদাক্ব হিসেবে প্রত্যেক হিজরী শতকের ন্যায় এ আখিরী যামানায় হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের আখাছছুল খাছ নায়িব হয়ে অমানিশার প্রহর মিটিয়ে দিয়ে উম্মতের নাযাতের জন্য এ জমিনে তাশরীফ মুবারক এনেছেন ১৫ শতকের মুজাদ্দিদ সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আ’যম, সাইয়্যিদুনা মামদুহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি এবং উনারই সম্মানিতা যাওজাতুম মুকাররমাহ সাইয়্যিদাতুনা উম্মুল উমাম হযরত আম্মাজী ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনারা। সুবহানাল্লাহ! উনারা হচ্ছেন কুল উম্মাহর জন্য হিদায়েতী নূর মুবারক। সুবহানাল্লাহ। কাজেই উনাদের ইত্তেবা করা প্রত্যেক মুসলমানের উপর ফরজ। উনারা প্রতিনিয়ত এই পথহারা মুসলিম উম্মাহকে পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের সম্মানিত বিষয়গুলি শিক্ষা দিয়ে যাচ্ছেন। কাজেই উনারা হচ্ছেন খাঁটি আল্লাহওয়ালা এবং আল্লাহওয়ালী। সুবহানাল্লাহ। তাই উনাদেরই মত, উনাদেরই পথ আমাদেরকে অনুসরণ করতে হবে। মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন-
وَاتَّبِعْ سَبِيْلَ مَنْ اَنَابَ اِلَىَّ ۞
অর্থ মুবারকঃ “যিনি আমার দিকে রুজু হয়েছেন অর্থাৎ যিনি আল্লাহওয়ালা হয়েছেন উনাদের পথ অনুসরণ করে চলো।”
মূলকথা, আমরা এই পবিত্র আয়াত শরীফ থেকে বুঝতে পারলাম যে, এ যামানায় আখাছ্ছুল খাছ আল্লাহওয়ালা আল্লাহওয়ালী উনারা হচ্ছেন সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল উমাম আলাইহাস সালাম ও উনার মহাসম্মানিতা যাওজাতুম মুকাররমাহ সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম এবং উনাদের মহাসম্মানিত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারা। উনারাই কেবল হাক্বীক্বীভাবে মহান আল্লাহ পাক উনার দিকে রুজু আছেন। আর উনারাই উপরোক্ত আয়াত শরীফ উনার হাক্বীকী কায়িম-মাকাম। সুবহানাল্লাহ!
খলিক্ব, মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি যেন দুনিয়ার সমস্ত মুসলমান পুরুষ,মহিলা, জ্বিন, ইনসান সকলকে উনাদের মত ও পথে চলে খালিছ আল্লাহওয়ালা, আল্লাহওয়ালী হওয়ার তাওফীক্ব দান করেন। আমীন!
-সাইয়্যিদাহ সুমাইয়া আহমদ (কুড়িগ্রাম)
মুসলমানদের জানা উচিত কিভাবে ইহকালে ও পরকালে কামিয়াবী হাছিল করা যায়
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “যে ব্যক্তি মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের ইত্তেবা বা অনুসরণ করবে, সে বিরাট কামিয়াবী লাভ করবে। সুবহানাল্লাহ! (পবিত্র সূরা আহযাব শরীফ, ৭১নং পবিত্র আয়াত শরীফ)
এ পবিত্র আয়াত শরীফে মুসলমানদের সর্বক্ষেত্রে সর্বাবস্থায় সম্মানিত সুন্নত মুবারক অনুযায়ী আমল করতে হবে, তাহলে ইহকাল ও পরকালে কামিয়াবী, সন্তুষ্টি-রেযামন্দি হাছিল হবে, এ বিষয়টিই বুঝানো হয়েছে। বর্তমানে মুসলমানরা কাফির-মুশরিকদের দ্বারা প্ররোচিত হয়ে কাফির-মুশরিকদের অনুসরণ করে, তাদেরকে ভাল মনে করে তাদের সাথে বন্ধুত্ব করে। নাউযুবিল্লাহ! এজন্য কাফির-মুশরিকরা মুসলমানদের উপর জুলুম করে, অত্যাচার করে শহীদ করে। নাউযুবিল্লাহ! দুনিয়াতে শাস্তি ভোগ করছে, পরকালেও কঠিন শাস্তি ভোগ করবে। নাউযুবিল্লাহ!
অথচ মহান আল্লাহ পাক তিনি সম্মানিত কুরআন শরীফে কাফির-মুশরিকরা মুসলমানদের শত্রু, নিকৃষ্ট প্রাণী, নাপাক ইত্যাদি বলে উল্লেখ করেছেন। মুসলমানরা দ্বীনী ইলম শিক্ষা না করার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, কষ্ট পাচ্ছে।
দ্বীনী ইলিম শিক্ষা করার জন্য যামানার মহান মুজাদ্দিদ ঢাকা রাজারবাগ শরীফ উনার হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার কাছে মুসলমানদের আসতে হবে। তাহলে মুসলমানরা সমস্ত জুলুম নির্যাতন থেকে বাঁচতে পারবে। মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের মতে পথে চলতে পারবে এবং কামিয়াবী হাছিল করতে পারবে।
মহান আল্লাহ পাক তিনি যেন মুসলমানদের সঠিক বুঝ দান করেন এবং জুলুম নির্যাতন থেকে হিফাযত করেন। (আমীন)
-আহমদ ফাতেমা।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথেই হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের বিষয় উল্লেখ থাকা উচিত
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
মহাসম্মানিত সুন্নত মুবারক ছেড়ে দেয়া মানেই পথভ্রষ্ট হওয়া। নাউযুবিল্লাহ!
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
পিতা-মাতার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব-কর্তব্য
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
খছম বা ঝগড়া কু-স্বভাবটি পরিহার করা অপরিহার্য কর্তব্য
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
যে ৪ শ্রেণীর লোকদের জন্য ক্বিয়ামতের দিন সুপারিশ ওয়াজিব হবে
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
মুসলমান পুরুষ ও মহিলা সকলের জন্যই ফরযে আইন হচ্ছে- যথাযথভাবে ৫ ওয়াক্ত নামায তারতীব অনুযায়ী যথাসময়ে আদায় করে নেয়া
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
মহাসম্মানিত মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারা বেমেছাল ফযীলত মুবারকের অধিকারী
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
হুব্বে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
০১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন-
০১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সৃষ্টির শুরুতেই মহান আল্লাহ পাক উনার কুদরত মুবারক উনার মধ্যে ছিলেন, আছেন এবং অনন্তকাল থাকবেন
০১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
মহান আল্লাহ পাক তিনি তওবাকারীকে পছন্দ করেন (১)
৩০ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ক্বলবী যিকির জারী না থাকলে শয়তানের ওয়াসওয়াসা থেকে বেঁচে থাকা সম্ভব নয়
৩০ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার)












