শরীয়তসম্মত নয় এমন কোন কারণে যে আত্মীয়তার বন্ধন ছিন্ন করার উদ্দেশ্যে দু‘আ করে তার দু‘আ কবুল হয় না:
এ প্রসঙ্গে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنْ حضرت جَابِرٍ رضى الله تعالى عنه قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ مَا مِنْ أَحَدٍ يَدْعُو بِدُعَاءٍ إِلاَّ آتَاهُ اللَّهُ مَا سَأَلَ أَوْ كَفَّ عَنْهُ مِنَ السُّوءِ مِثْلَهُ مَا لَمْ يَدْعُ بِإِثْمٍ أَوْ قَطِيعَةِ رَحِمٍ
অর্থ: “হযরত জাবির রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে আমি বলতে শুনেছি: তিনি ইরশাদ মুবারক করেন- কোন ব্য বাকি অংশ পড়ুন...
খ্বালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,
وَرَفَعْنَا لَكَ ذِكْرَكَ
অর্থ: “আর (আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) আমি আপনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র যিকির মুবারক, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আলোচনা মুবারক, শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক বুলন্দ থেকে বুলন্দতর করেছি। ” সুবহানাল্লাহ! (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা আলাম নাশ্রহ্ শরীফ : সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ৪)
মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসস বাকি অংশ পড়ুন...
হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের ফযীলত মুবারক সম্পর্কে অনেক আয়াত শরীফ নাযিল হয়েছে অনেক হাদীছ শরীফও বর্ণিত রয়েছে।
যেমন মহান আল্লাহ পাক তিনি মুহাজির ও আনছার সকল হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের শান মুবারকে ইরশাদ মুবারক করেন-
وَالسَّابِقُوْنَ الْأَوَّلُوْنَ مِنَ الْمُهَاجِرِيْنَ وَالْأَنصَارِ وَالَّذِيْنَ اتَّـبَـعُوْهُمْ بِإِحْسَانٍ رَّضِيَ اللهُ عَنْـهُمْ وَرَضُوْا عَنْهُ وَأَعَدَّ لَهُمْ جَنَّاتٍ تَجْرِيْ تَحْتَـهَا الْأَنْـهَارُ خَالِدِيْنَ فِيْـهَا أَبَدًا ۚ ذٰلِكَ الْفَوْزُ الْعَظِيْمُ
অর্থ: মুহাজির ও আনছার সকল হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায় বাকি অংশ পড়ুন...
ভারতবর্ষে মুসলিম শাসকদের মধ্যে অনেকেই নেককার এবং পরহেজগার ছিলেন। উনাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন গুজরাটের সুলতান মুজাফফর শাহ। শাসক হওয়ার পাশাপাশি তিনি ছিলেন একজন ফক্বীহ এবং মুহাদ্দিস। তিনি সম্মানিত তাছাউফ চর্চা করতেন। সবসময় অযু অবস্থায় থাকতেন এবং জামায়াতে নামায আদায় করতেন। ছোটবেলা থেকেই তিনি পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার উপর পড়াশুনা করেন। যুগখ্যাত বড় আলিম উনাদের কাছে তিনি পড়াশুনা করেছেন। তিনি যুদ্ধবিদ্যায় অনেক বেশি পারদর্শী ছিলেন। উনার হাতের লেখা ছিলো অত্যাধিক সুন্দর। তিনি নিজ হাতে পবিত্র কুরআন শরীফ উনার অনুলিপি তৈরী করে পবিত্র বাকি অংশ পড়ুন...
রহমাতুল্লিল ‘আলামীন, ছাহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, ইমামুল আইম্মাহ্, মুজাদ্দিদুয যামান, কুতুবুল আলম, মুহইউস সুন্নাহ, মাহিউল বিদয়াহ, গাউছুল আ’যম, আযীযুয যামান, ক্বইউমুয যামান, আল জাব্বারিউল আউওয়াল, আল ক্বউইউল আউওয়াল, আস সাফফাহ, হাবীবুল্লাহ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মাওলানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি পবিত্র সূরা কাহাফ শরীফ উনার ২৮ নম্বর পবিত্র আয়াত শরীফ উল্লেখ করে বলেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “তোমরা ঐ ব্যক্তিকে অনুসরণ কর বাকি অংশ পড়ুন...
দু‘আ বা মুনাজাত উনার সম্মানিত আদব:
২১. এমন বাক্য দ্বারা দু‘আ করা যা ছোট হলেও ব্যাপক অর্থবহ। অর্থাৎ যেই বাক্যের মধ্যে দুনিয়া ও আখিরাতের কল্যাণ নিহিত রয়েছে সে সমস্ত বাক্য দ্বারা দু‘আ করা।
২২. চক্ষু বন্ধ করে একাগ্রতার সাথে দু‘আ করা। দু‘আর সময় হা করে উপরের দিকে তাকিয়ে না থাকা।
২৩. গানের মত সুর করে দু‘আ না করা। সম্মানিত শরীয়তে এ ধরণের দু‘আ করার কোন ভিত্তি নেই।
২৪. সম্পর্ক বিচ্ছেদ বা কোন গুনাহের কাজে জড়িয়ে পড়ার জন্য দু‘আ না করা।
২৫. দু‘আর সময় মহান আল্লাহ পাক উনার মহাসম্মানিত রহমত-দয়া মুবারক উনার আরজী করে দু‘আ করা।
২৬. দু‘আ কবুল হওয়া বাকি অংশ পড়ুন...
ছাহিবাতু সাইয়্যিদিল আ’দাদ শরীফ, সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, হাবীবাতুল্লাহ, ছাহিবায়ে নেয়ামত, রহমাতুল্লিল আলামীন, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি সূরা বাক্বারা শরীফের ৪৩, ৮৩, ১১০ নং আয়াত শরীফসহ পবিত্র কুরআন শরীফ-এর আরো কয়েক স্থানে ইরশাদ মুবারক করেন, তোমরা নামায কায়েম করো। নামায সম্মানিত শরীয়ত উনার অন্যতম এক ফরয আমল, যা মানুষকে ফাহেশা, হারাম, নাজায়িয ও নাফরমানী বাকি অংশ পড়ুন...












