এক বৎসরের মধ্যে বেশ কয়েকজন মোতওয়াল্লি পরিবর্তন হলো, হযরত মালেক দিনার রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাকে কেউ মোতওয়াল্লির পদ দিল না।
একদিন রাতে উনি ঘর থেকে বের হলেন তাহাজ্জুদ নামায পড়ার উদ্দেশ্যে অজু করার জন্য। যখন উনি বের হলেন, একটা গায়েবী আওয়াজ হলো- “হে মালেক! এখনও কেন তুমি তওবা করনা, আর কতদিন তুমি ধোকাবাজী করবে, প্রতারণা দিবে মানুষকে আর মহান আল্লাহ পাক উনার থেকে গাফেল হয়ে মখলুকাতের মধ্যে মশগুল থাকবে? এখন তুমি তওবা করো। ”
উনি যখন এ আওয়াজ শুনলেন তখন তওবা করলেন খালেছভাবে, সত্যিই আর কতদিন আমি মহান আল্লাহ পাক উনার থেকে গাফিল থাকব? আর কতদিন আম বাকি অংশ পড়ুন...
সম্মান-মর্যাদা লাভের জন্য কোন আমল বা ইবাদত-বন্দেগী করাটাও এক প্রকার গইরুল্লাহ। এ মন্দ স্বভাব বা কামনা-বাসনা থেকে অন্তরকে পবিত্র রাখতে হবে। কারণ যারা মান-সম্মান অর্জনের জন্য কোন ইবাদত করবে তাদের ইবাদতগুলো দ্বিতীয় আকাশ অতিক্রম করে মহান আল্লাহ পাক উনার দরবারে পৌঁছবে না, সেখানে হাফাযাহ (পরীক্ষক) ফেরেশতা আলাইহিস সালাম তিনি আমলগুলো আটকে রেখে দিবেন।
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنِ حَضْرَتْ كَعْبِ بْنِ مَالِكٍ الاَنْصَارِيِّ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ عَنْ اَبِيهِ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا ذِئْبَانِ جَائِعَانِ اُرْسِلَا ف বাকি অংশ পড়ুন...
ছাহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, ছাহিবে নেয়ামত, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি ১৪৩৫ হিজরী শরীফ উনার সম্মানিত রমাদ্বান শরীফ মাস উনার একবারে শেষের দিকে ই’তিকাফের সময় রাত্রে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ছোহবত মুবারক-এ ইরশাদ মুবারক করেন, “আমরা যখন অনন্তকালব্যাপী মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিল মুবারক জারী বাকি অংশ পড়ুন...
যিনি খ্বালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি দিবস পালন সম্পর্কে পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন-
وَذَكِّرْهُمْ بِأَيَّامِ اللهِ إِنَّ فِيْ ذٰلِكَ لَاٰيَاتٍ لِّكُلِّ صَبَّارٍ شَكُوْرٍ
অর্থ: (সম্মানিত রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমার!) আপনি উম্মতদেরকে মহান আল্লাহ পাক উনার বিশেষ দিন বা দিবসসমূহ স্মরণ করিয়ে দিন। নিশ্চয়ই উক্ত দিনসমূহ স্মরণ বা পালন করার মধ্যে ছবরকারী ও শোকরকারী সকল বান্দা-বান্দীদের জন্য নিদর্শনাবলী রয়েছে। (পবিত্র সূরা ইবরাহীম শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৫)
উল্লেখ্য ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম, ইয়াওমু আশূরা, ইয়াওমুল জুমুয়াহ, বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র লাইলাতুল ক্বদর শরীফ উনার ফাযায়িল-ফযীলত মুবারক
‘লাইলাতুন’ শব্দের অর্থ হচ্ছে রাত বা রজনী। আর ‘ক্বদর’ শব্দের অর্থ হলো মহিমান্বিত বা মর্যাদামন্ডিত। এ বরকতময় রাতটি আমাদের এ উপমহাদেশে পবিত্র “শবে ক্বদর” হিসেবে মাশহুর।
এ বরকতময় রাত উনার ফযীলত মুবারক সম্পর্কে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
لَيْلَةُ ٱلْقَدْرِ خَيْرٌ مِّنْ أَلْفِ شَهْرٍۢ
অর্থ : “পবিত্র লাইলাতুল ক্বদর হচ্ছে হাজার মাস থেকে উত্তম। ” সুবহানাল্লাহ! (পবিত্র সূরা ক্বদর শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ: ২)
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছেÑ
عَنْ سَيِّدَتِنَا حَضْرَتْ اُمِّ ا বাকি অংশ পড়ুন...
সম্মানিত ই’তিকাফ সংক্রান্ত জরুরী মাসয়ালা:
মাসয়ালা- ১ : সম্মানিত ই’তিকাফ করার জন্য মহিলাদের ক্ষেত্রে মাসিক মাজুরতা ও সন্তান হওয়ার কারণে মাজুরতা থেকে পবিত্র থাকা আবশ্যক। সম্মানিত ই’তিকাফ করা অবস্থায় মাসিক মাজুরতা ও সন্তান হওয়ার কারণে মাজুরতা শুরু হলে সম্মানিত ই’তিকাফ ছেড়ে দেয়া ওয়াজিব। এমতাবস্থায় যতদিন সম্মানিত ই’তিকাফ ছাড়বে, শুধু ততদিনের সম্মানিত ই’তিকাফ ক্বাযা আদায় করা তার ওপর ওয়াজিব হবে। ক্বাযা আদায় করার নিয়ম হলো মাসিক মাজুরতা কিংবা সন্তান হওয়ার কারণে মাজুরতা থেকে পবিত্র হওয়ার পর রোযা রেখে সম্মানিত ই’তিকাফ উনার কাযা বাকি অংশ পড়ুন...
রহমাতুল্লিল ‘আলামীন, ছাহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, ইমামুল আইম্মাহ্, মুজাদ্দিদুয যামান, কুতুবুল আলম, মুহইউস সুন্নাহ, মাহিউল বিদয়াহ, গাউছুল আ’যম, আযীযুয যামান, ক্বইউমুজ জামান, আল জাব্বারিউল আউওয়াল, আল ক্বউইউল আউওয়াল, আস সাফফাহ, হাবীবুল্লাহ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মাওলানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র সূরা ক্বদর শরীফে ইরশাদ মুবারক করেন, “নিশ্চয়ই আমি পবিত্র ক্বদর উনার রাত্রিতে পবিত্র কুরআন শরীফ নাযিল করি। বাকি অংশ পড়ুন...
সম্মানিত ই’তিকাফকারীর জন্য নিষিদ্ধ কাজ
সম্মানিত ই’তিকাফ অবস্থায় জাগতিক ফায়দাদায়ক কাজ করা অবস্থাভেদে হারাম ও মাকরূহ তাহরীমী হবে।
১. মু’তাকিফ ব্যক্তি পবিত্র মসজিদে এসে কোন ফাহেশা, অশ্লীল-অশালীন ও অপ্রয়োজনীয় কথা বা কাজ করবে না এবং কোন ইবাদত-বন্দেগীতে মশগুল না থেকে চুপ করে বসে থাকা মাকরূহ। ঘুম ব্যতীত বাকি সময় ইবাদত-বন্দেগীতে মশগুল থাকতে হবে। যেমন- পবিত্র মীলাদ শরীফ, পবিত্র নফল নামায, পবিত্র কুরআন শরীফ তিলাওয়াত, পবিত্র যিকির-ফিকির করা, কিতাব পাঠ করা, ইলিম অর্জন করা ইত্যাদি।
২. সম্মানিত ই’তিকাফকারী ব্যক্তি ক্রয়-বিক্রয়, চাষাবাদ, বাকি অংশ পড়ুন...
রহমাতুল্লিল ‘আলামীন, ছাহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, ইমামুল আইম্মাহ্, মুজাদ্দিদুয যামান, কুতুবুল আলম, মুহইউস সুন্নাহ, মাহিউল বিদয়াহ, গাউছুল আ’যম, আযীযুয যামান, ক্বইউমুজ জামান, আল জাব্বারিউল আউওয়াল, আল ক্বউইউল আউওয়াল, আস সাফফাহ, হাবীবুল্লাহ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মাওলানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পবিত্র রমাদ্বান শরীফ উনার শেষ দশ দিন ই’তিকাফ করতঃ বেজোড় রা বাকি অংশ পড়ুন...
ই’তিকাফ উনার ফযীলত:
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, যে ব্যক্তি পবিত্র রমাদ্বান শরীফ উনার শেষ দশ দিন (সুন্নতে মুয়াক্কাদাহ কিফায়া) ই’তিকাফ করবে, মহান আল্লাহ পাক তিনি তাকে দুটি হজ্জ ও দুটি উমরাহ করার সমতুল্য ছওয়াব দান করবেন। সুবহানাল্লাহ!
আরো উল্লেখ করা হয়েছে যে, মহান আল্লাহ পাক তিনি তার অতীতের গুনাহখতা ক্ষমা করে দিবেন। সুবহানাল্লাহ!
আরো বর্ণিত আছে, যে ব্যক্তি একদিন ই’তিকাফ করবে, মহান আল্লাহ পাক তিনি তাকে জাহান্নাম থেকে তিন খন্দক দূরে রাখবেন। প্রতি খন্দকের দূরত্ব ৫০০ বছরের রাস্তা। সুবহানাল্লাহ!
ই’তিকাফ উনার বাকি অংশ পড়ুন...












