মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
وَاللهُ وَرَسُوْلُهٗۤ أَحَقُّ أَنْ يُّرْضُوْهُ إِنْ كَانُوْا مُؤْمِنِيْنَ
অর্থ: তারা যদি মু’মিন হয়ে থাকে তাহলে তাদের দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে মহান আল্লাহ পাক এবং উনার সম্মানিত রসূল নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদেরকে সন্তুষ্ট করা। কেননা উনারাই সন্তুষ্টি-রেযামন্দি পাওয়ার সর্বাধিক হক্বদার। (পবিত্র সূরা তওবা শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৭৬)
মহান আল্লাহ পাক তিনি আরো ইরশাদ মুবারক করেন-
رِضْوَانٌ مِّنَ اللهِ أَكْبَرُ
অর্থ: মহান আল্লাহ পাক উনার সন্তুষ্টি মুবারকই হচ্ছেন সবচেয়ে অর্থাৎ মহা বাকি অংশ পড়ুন...
সুন্নত পালনে খাদেমে রাসূল হযরত আনাস বিন মালেক রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু যিনি একাধারে দশ বৎসর সাইয়্যিদুল মুরসালীন ইমামুল মুরসালীন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার খেদমত মুবারক করেছেন। অসংখ্য পবিত্র হাদীছ শরীফ বর্ণনা করেছেন এবং সাইয়্যিদুল মুরসালীন ইমামুল মুরসালীন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার দোয়ার বরকতে একশত বৎসর হায়াত লাভ করেছেন। সুবহানাল্লাহ্!
সেই হযরত আনাস বিন মালিক রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বর্ণনা করেন- ‘একদিন এক দর্জি ছাহাবী রদ্ বাকি অংশ পড়ুন...
(১) উনাদের গুনাহখতা ক্ষমা করা হবে।
(২) উনারা ঈমানের সাথে ইন্তিকাল করবেন।
(৩) উনারা বিনা হিসেবে জান্নাতে প্রবেশ করবেন।
বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক তিনিতো হাযির-নাযির সব জায়গায় সর্বাবস্থায় বিরাজমান। কিন্তু বান্দার দিলে সে ইয়াক্বীন, সে আকী¡দা পৌঁছেনি। সেজন্য মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সহজে বুঝার জন্য বললেন, তুমি মহান আল্লাহ পাক উনাকে ঐভাবে ভয় করো যেমন তুমি তোমার প্রতিবেশীকে ভয় করো। কাজেই মহান আল্লাহ পাক উনার সাথে তাকওয়া অর্থাৎ প্রত্যেক অবস্থায় এটা ধারণা রাখতে হবে, মহান আল্লাহ পাক তিনি হাযির-নাযির। মহান আল্লাহ পাক উনাকে ভয় করে প্রত্যেক কাজ করতে হবে। এরপর মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল স বাকি অংশ পড়ুন...
সম্মানিত ঈমান উনার তিনটি স্তর রয়েছে। শরীয়ত বিরোধী কাজ দেখলে হাতে বাধা দেয়া, সেটা না পারলে মুখে প্রতিবাদ করা, এটাও না পারলে অন্তরে খারাপ জেনে সেই স্থান ত্যাগ করা। এ প্রসঙ্গে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
مَنْ رَأَى مِنْكُمْ مُنْكَرًا فَلْيُغَيِّرْهُ بِيَدِهِ فَإِنْ لَمْ يَسْتَطِعْ فَبِلِسَانِهِ فَإِنْ لَمْ يَسْتَطِعْ فَبِقَلْبِهِ وَذَلِكَ أَضْعَفُ الْإِيمَانِ
অর্থ: তোমাদের মধ্যে কেউ যখন কোনো খারাপ কাজ হতে দেখবে তখন তার দায়িত্ব হচ্ছে সে যেন সেটাকে হাত দিয়ে বাধা দেয়, যদি সেই সামর্থ্য না থাকে তাহলে সে যেন মুখ দিয়ে বাকি অংশ পড়ুন...
সাবেক মার্কিন পররাষ্ট্র সচিব জন ফষ্টার ডালেস বলেছিলো, ‘কোন জাতিকে ধ্বংস করতে হ’লে, আগে সে জাতির সংষ্কৃতিকে ধ্বংস করে দাও’। বর্তমানে বাংলাদেশে যেভাবে অপসংষ্কৃতির চর্চা শুরু
হয়েছে, তাতে মার্কিনীদের সে এজেন্ডাই বাস্তবায়িত হচ্ছে।
এইডস (অওউঝ) রোগে আক্রান্ত হলে যেমন কোন রোগীর বাঁচার আশা থাকে না, তেমনি অপসংষ্কৃতির আগ্রাসনে কোন জাতি আক্রান্ত হলে সে জাতির অপমৃত্যু হতে বেশী সময় লাগে না। তাই সাংষ্কৃতিক আগ্রাসন হচ্ছে ‘এইডস’-এর মত মরণব্যাধি, যার স্বাভাবিক পরিণতি অবধারিত মৃত্যু। কোন মুসলমান এই অপসংষ্কৃতির আগ্রাসনের শিকার হলে প্রথমে বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র হাদীছ শরীফে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
مَنْ رَأَى مِنْكُمْ مُنْكَرًا فَلْيُغَيِّرْهُ بِيَدِهِ فَإِنْ لَمْ يَسْتَطِعْ فَبِلِسَانِهِ فَإِنْ لَمْ يَسْتَطِعْ فَبِقَلْبِهِ وَذَلِكَ أَضْعَفُ الإِيمَانِ وفى رواية لَيْسَ وَرَاءَ ذَلِكَ مِنَ الْإِيمَانِ حَبَّةُ خَرْدَلٍ
অর্থ: তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি কোন অন্যায় বা হারাম কাজ সংঘটিত হতে দেখে সে যেনো তা হাত দ্বারা বাধা দেয়। যদি সে তা হাত দ্বারা বাধা দিতে না পারে তাহলে সে যেনো যবান দ্বারা বাধা দেয়। যদি যবানের দ্বারাও বাধা দিতে না পারে তাহলে যেনো অন্তরে তা ঘৃণা করে উক্ত অন্যায় বা হা বাকি অংশ পড়ুন...
আমাদের মাতৃভূমিতে দ্বীন ইসলাম বিরোধী বিদেশী সাম্রাজ্যবাদীদের দালালেরা দেশের সার্বভৌমত্ব এবং দেশের মানুষের ঈমানী অনুভূতিতে বিভিন্ন কৌশলে আঘাত করে যাচ্ছে। রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ পদগুলোতে এবং মানুষের ঈমানের সঙ্গে জড়িত সংবেদনমীল পদগুলোতে বসে আছে কাফির-মুশরিকদের দালাল মুনাফিকরা অথবা মুসলমান ছূরতে ছদ্মবেশী কাফির-মুশরিকরাই। এরা দেশকে গৃহযদ্ধের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছে এবং ভয়াবহ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির মাধ্যমে দেশকে অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক প্রায় অচলাবস্থার দিকে ঠেলে দিয়েছে। রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো অকার্যকর হয়ে পড় বাকি অংশ পড়ুন...
শয়তান যে মানুষকে নেক সুরতে ধোঁকা দেয়, এ বিষয়টি ভালভাবে অনুধাবন করেছিল শয়তানের অনুচর ইহুদী এবং খ্রিষ্টানরা। মুসলমানদের সোনালী যুগ এসেছিল শুধু ইসলামের পরিপূর্ণ অনুসরণের ফলে। শয়তানের চর ইহুদী খ্রিষ্টানরা বুঝতে পেরেছিল মুসলমানদের মধ্যে বিভেদ, অনৈক্য, সংঘাত সৃষ্টি করতে পারলেই ইসলামের জাগরণ এবং বিশ্বশক্তি হিসেবে মুসলমানদের উত্থান ঠেকানো যাবে। আর তা করতে হবে ইসলামের মধ্যে ইসলামের নামে নতুন মতবাদ প্রবেশ করিয়ে। শুরু হয় দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা; যার মূলে থাকে খ্রিষ্টীয় ব্রিটিশ সম্রাজ্যবাদ। জন্ম হয় ওহাবী মতবাদের। ওহাবী মতবাদ বাকি অংশ পড়ুন...












