আখেরী রসূল, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মদীনা শরীফে হিজরত করে যাওয়ার পর দেখতে পেলেন, সেখানকার অধিবাসীরা জাহেলী যুগ হতে দুটি দিন খেলাধূলা ও তামাশায় মেতে উঠে। আখেরী রসূল, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সেই দুই দিনের পরিবর্তে দুটি ঈদের প্রবর্তন করেন। অর্থাৎ ঈদের মূল কনসেপ্ট হচ্ছে খেলাধূলার বিরুদ্ধে। [সূত্র: সুনান আবূ দাউদ: ১১৩৪]।
কিন্তু আশ্চর্যজনক বিষয় হচ্ছে, বর্তমান সময়ে এক শ্রেণীর ‘ভাইরাল হুযূর’ সেই জাহেলী যুগের মত ঈদের দিন খেলাধূলায় মত বাকি অংশ পড়ুন...
দেশ ও জাতির কল্যাণে ৮ দফা দাবী উত্থাপন করেছে মুসলমান নাগরিক সমাজ। গতকাল ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) ১৩ অক্টোবর রাজধানীর মালিবাগ মোড়ে ফালইয়াফরাহু চত্বরে এক সমাবেশে তারা এ দাবী উত্থাপন করে। দাবীগুলো হলো-
১ম দফা- পবিত্র শানে মানহানী করলে শরঈ শাস্তি নিশ্চিতকরণ :
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মুবারক শানে কোন কুলাঙ্গার মানহানী করলে তার শরঈ শাস্তি বাস্তবায়ন করতে হবে। তবে এ অপরাধ যদি ভিন্ন কোন দেশে ঘটে, তবে ঐ দেশের রাষ্ট্রদূতকে ডেকে ঘটনার তীব্র নিন্দা জ্ বাকি অংশ পড়ুন...
বর্তমান যুগে ইসলামের খিদমতগারের অভাব নেই। অনেকেই আবার মুসলমানদের নেতা সেজে যায়। মিডিয়াতেও খুব নাম ডাক। আমরা অনেক সময় মিডিয়াতে নাম ডাক দেখলেই তাকে ইসলাম ও মুসলমানদের ত্রাণকর্তা ভেবে বসি। মনে করি, এই লোকই বোধ হয় বর্তমান মুসলিম উম্মাহের সংকট নিরসন করবে।
কিন্তু বাস্তবতা হলো, মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া আর মুসলিম উম্মাহের স্বার্থে কাজ করা এক জিনিস না। ভাইরাল হওয়ার জন্য প্রয়োজন ভাইরাল ইস্যুতে টাচ করা। শুধু টাচ করলেই হবে না, বড় কোন জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে যায় এমন কোন কথা বলবেন না। প্রয়োজনে তারা যা পছন্দ করে সেগুলো করে দেখাবেন। যেমন, বর্তমান তর বাকি অংশ পড়ুন...
আজ থেকে প্রায় ৫ বছর আগে ধর্মবিদ্বেষী লেখিকা তসলিমা নাসরিন একটা স্ট্যাটাস দিয়েছিলো। স্ট্যাটাসটি ছিলো এমন- “সায়েন্স পড় সায়েন্স পড় বলে বলে মানুষকে র্যাশনাল (যুক্তিনির্ভর) হওয়ার উৎসাহ দিয়েছি জীবনভর। লাভ হয়নি। সায়েন্সে পড়া মানুষগুলো, মানে ওই ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ারগুলো, ফিজিক্স কেমেস্ট্রির পন্ডিতগুলো, বেশির ভাগই দেখি ধর্মের নেশায় বুঁদ হয়ে থাকে। ধর্মের আজগুবি গপ্প নিয়ে সন্দেহ করে, প্রশ্ন করে,বা ধর্ম থেকে সরে আসে যারা, তারা অধিকাংশই আর্টসের সাব্জেক্ট নিয়ে লেখাপড়া করেছে, সাহিত্য বা দর্শন পড়েছে, আর্ট কলেজে পড়েছে ,ফিল্ম নিয়ে পড়েছে। ত বাকি অংশ পড়ুন...
শুধু এতটুকুই নয়, সৌদি আরবের ক্ষমতা নিয়ে সৌদ পরিবারের মধ্যে যে দ্বন্দ্ব হয়, তার প্রভাবে হাজীদেরকেও জীবন দিতে হয়। ২০১৫ সালে বাদশাহ আবদুল্লাহ বিন আবদুল আজিজের স্থলে সালমান বিন আবদুল আজিজ ক্ষমতায় আসলে তাদের পরিবারের মধ্যে ক্ষমতা নিয়ে দ্বন্দ্ব দৃশ্যমান হয়। সেই বছরই মসজিদ আল হারামে রহস্যজনকভাবে ক্রেন ভেঙ্গে পড়লে ১১৮ জন হাজী শহীদ হন এবং ৩৯৪ জন আহত হন। এর মাত্র ২ সপ্তাহ পর হজ্জ চলাকালে পবিত্র মক্কায় যুবরাজ বিন সালমানের গাড়ি বহরের কারণে একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক বন্ধ হয়ে যায়, এতে ভীড়ের চাপে পদদলিত হয়ে অসংখ্য হাজী শহীদ হোন। সৌদি সরকারী বাকি অংশ পড়ুন...
তাই যদি হয়ে থাকে তাহলে মুসলমান কি করে বেদ্বীন-বদদ্বীন, ইহুদী-নাছারাদের অনুসরণ করতে পারে। একজন মুসলমান সে ইসলামী লিবাস পরতে লজ্জাবোধ করে।
অথচ দেখা যায়, ইউরোপ, আমেরিকার কোন দেশে খেলাধূলা হলো সেখানে কোন আস্তিক, নাস্তিক, কাফির, মুশরিক, বেদ্বীন-বদদ্বীন সে একটা লিবাস পরলো, মুসলমান ছেলেরা সেই লিবাসটাই পরে মনে করতেছে, তারা কিছু একটা হয়ে গেছে। নাউযুবিল্লাহ!
আবার মুসলমানরাই তাদেরকে বাহবা দেয়। নাউযুবিল্লাহ! এটাতো কঠিন ব্যাপার। খুব সূক্ষ্ম ব্যাপার।
এরা কিন্তু খুব সূক্ষ্মভাবে মুসলমানদের ঈমান নষ্ট করে দিচ্ছে। ইহুদী, নাছারা, কাফির, মুশ বাকি অংশ পড়ুন...
জামিল সাহেবের একটি মাত্র ছেলে, নাম তার শুভ। বিয়ের দেড় যুগ পর ৫০ বছর বয়সে ছেলের বাবা হয়েছেন। বহু শখের সন্তান, তাই পুত্রের চাওয়া-পাওয়ায় কোন কমতি রাখেন না। নিজে কষ্ট করে হলেও সন্তানের সব ইচ্ছা পূরণ করেন, ভর্তি করিয়েছেন রাজধানীর নামকরা স্কুলে। ইচ্ছা একমাত্র ছেলে মানুষের মত মানুষ হবে। ছেলেকে ভালো স্কুলে ভর্তি করতে পেরে জামিল সাহেব ও তার স্ত্রী বেশ খুশি। অনেকটা হাঁপ ছেড়ে বেঁচেছেন, যাক এবার ছেলের একটা ভালো ভবিষ্যত হবে। ছেলেকে সময়মত স্কুলে আনা নেয়া স্বামী-স্ত্রী মিলেই করেন। ছেলে ক্লাস-৭ এ পড়ে, তারপরও একা একা ছাড়েন না, হাজার হোক একটা মাত বাকি অংশ পড়ুন...
আর কুফরীকে এত খারাপ জানতে হবে যে, একটা মানুষকে আগুনে নিক্ষেপ করলে সে মারা যাবে, আগুন তাকে জ্বালিয়ে দিবে, সে কষ্ট পাবে, এটা সে পছন্দ করে না। এর চেয়েও বেশি অপছন্দ করতে হবে কুফরীকে। এখন যদি সেটাই হয়ে থাকে, কুফরীকে অপছন্দ করতে হবে, তাহলে কি করে সে বেপর্দা হবে, সে কি করে ছবি তুলবে, টিভি চ্যানেল সে কি করে দেখবে, সে কি করে গান-বাজনা শুনবে, কি করে সে খেলাধূলা করবে, কি করে সে মূর্তি বানাবে, যদি সত্যিই সে কুফরীকে অপছন্দ করে।
এখন একটা মানুষকে আগুনে নিক্ষেপ করা হবে, এটাকে সে যত বেশি অপছন্দ করে, এর চেয়েও বেশি অপছন্দ করতে হবে কুফরীর মধ্যে পতিত হওয়ার ব্ বাকি অংশ পড়ুন...
আমাদের দেশে যারা নারী উন্নয়নের কথা বলে, তারা একটা কথা সব সময় বলে, ‘নারী-পুরুষ এক সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করবে’। কিন্তু এ বিষয়টি সব সেক্টরে দেখা গেলেও কোন খেলাধূলায় দেখা যায় না। নারী ক্রিকেট, নারী ফুটবল, নারী হকি সবস্থানে নারীরা একা খেলে, কিন্তু নারী-পুরুষ একত্রে খেলে না। টেনিস বা ব্যাটমিনটনে মিক্সড-ডাবল বলে একটা বিষয় আছে, যেখানে একপাশে নারী-পুরুষ একত্রে টিম হয়ে অপরপাশে আরেক নারী-পুরুষ টিমের সাথে খেলে। অর্থাৎ দুইপাশে নারী-পুরুষে ব্যালেন্স থাকে। উল্লেখ্য, দ্বীন ইসলামে খেলাধূলা করা পুরুষ মহিলা সবার জন্যই হারাম।
নারী-পুরুষ যে প বাকি অংশ পড়ুন...
আজকাল বিনোদন বলতে মানুষ সবচেয়ে বেশি বুঝে ৩টি বিষয়কে।
১. গান-বাজনাম ২. অভিনয় (নাটক, সিনেমা, মডেলিং), ৩ খেলাধূলা।
অনেকে এদের নির্মল বিনোদনের দাবী করে। অনেকে তো বলেই ফেলে, সমাজকে অপরাধ মুক্ত করার জন্য এসব বিনোদনের দরকার।
কিন্তু শুনতে মন্দ হলেও বাস্তবতা হচ্ছে, এই ৩টি বিনোদনের নামেই মানুষের মধ্যে যাবতীয় অপরাধমূলক কার্যক্রম প্রবেশ করছে। ধ্বংস হচ্ছে সামাজিক কাঠামো, নষ্ট হচ্ছে নীতি-নৈতিকতা। এই তিনটি বিনোদনের নামেই মানুষের মধ্যে প্রবেশ করছে নেশা, নারী আর জুয়ার কার্যক্রম।
উদাহরণস্বরূপ, গত কয়েকদিন আগে ঢাকার আর্মি স্টেডিয়ামে হয়ে গেলো বাকি অংশ পড়ুন...
আজ থেকে প্রায় ৫ বছর আগে ধর্মবিদ্বেষী লেখিকা তসলিমা নাসরিন একটা স্ট্যাটাস দিয়েছিলো। স্ট্যাটাসটি ছিলো এমন- “সায়েন্স পড় সায়েন্স পড় বলে বলে মানুষকে র্যাশনাল (যুক্তিনির্ভর) হওয়ার উৎসাহ দিয়েছি জীবনভর। লাভ হয়নি। সায়েন্সে পড়া মানুষগুলো, মানে ওই ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ারগুলো, ফিজিক্স কেমেস্ট্রির পন্ডিতগুলো, বেশির ভাগই দেখি ধর্মের নেশায় বুঁদ হয়ে থাকে। ধর্মের আজগুবি গপ্প নিয়ে সন্দেহ করে, প্রশ্ন করে,বা ধর্ম থেকে সরে আসে যারা, তারা অধিকাংশই আর্টসের সাব্জেক্ট নিয়ে লেখাপড়া করেছে, সাহিত্য বা দর্শন পড়েছে, আর্ট কলেজে পড়েছে ,ফিল্ম নিয়ে পড়েছে। তা বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র মক্কা শরীফ ও পবিত্র মদীনা শরীফ সকল মুসলমানের দ্বীনি কেন্দ্র। সারা বিশ্ব থেকে মুসলমানরা সেই দ্ইু পবিত্র মসজিদ জিয়ারতে যান। কিন্তু কথা হচ্ছে, এই দুই পবিত্র মসজিদ কেন শুধু সৌদি আরবের শাসকের খিদমত জিম্মায় থাকবে? পবিত্র মসজিদের হক তো সবার, কেন শুধু একটি মাত্র শাসক পরিবার তা কুক্ষিগত করে রাখবে?
ইতিহাস বলে, সৌদ পরিবারে আদি বাস কখনই মক্কা শরীফ বা মদীনা শরীফ নয়, এদের আদিভূমি নজদের দিরিয়া অঞ্চলে। পবিত্র মক্কা শরীফ ও মদীনা শরীফে নিয়মিত আক্রমণ, ধ্বংসযজ্ঞ ও লুটতরাজ চালানো এই মরুদস্যু পরিবারের পুরাতন অভ্যাস। এর আগেও ১৮০৩-০৪ সালে এরা বাকি অংশ পড়ুন...












